শান্তিনিকেতন আসলে একটা পাগলকে খুঁজে বেড়াই রোজ যে গর্ত খুঁড়ে নিজের জন্য, অনেক স্বপ্নের ভীড়ে যার হলুদিয়া মন। শান্তিনিকেতনে আসলে একটা পাগলকে খুঁজতে থাকি রোজ যে গল্প করতে করতে খাবারের কথা ভুলে যায়, যে গান গাইতে গাইতে ভুলে যায় বানানো সমাজের আদব কায়দা, যে রাতের পর রাত অন্ধকারের ভেতর হেঁটে বেড়ায়। একটা পাগলকে খুঁজি যার গলায় মানুষের মালা, যার মুখে প্রেমের কালাম, যার চোখ থেকে রোদ কান্না একসঙ্গে নেমে আসে, যে হাসতে জানে, হাসাতে জানে, যার কাছে জীবন মানে মানুষ। বীজগনিত, পাটিগনিত, ত্রিকোনমিতির হিসাব জানবে না সে, বোকা ট্রেনের মতো সে কেবল জীবন নিয়ে চলবে চলবে, ভেদিয়া গ্রামের মতো চুপচাপ সবুজ বিলাবে, অজয়ের ব্রিজে বিকাল বেলা বাতাস খেতে আসবে। সূর্য নিভে গেলে আদিম ঘরে রাখবে সে কিছু স্বপ্নের নিশান, নিশান বাতাসে উড়বে ঘুরবে
Tag: শান্তিনিকেতন
সুহিনি সাবেত্রীর প্রেমিক
সুহিনি সাবেত্রী। ছিপছিপে শরীরে আটসাঁট বাঁধন তার। তার দাঁত যেন সাগরের বালি— চিকচিক করে। শাড়ি তার একমাত্র পোশাক। অবশ্যই রুমের ভেতর সে থ্রি কুয়াটার আর টিশার্ট পরে। সাইকেল তার প্রিয় বাহন। শুধু তার কেন, শান্তিনিকেতনের প্রায় স্টুডেন্টদের প্রিয় বাহন সাইকেল। টাকা হলে স্কুটার কিনবে এমন কথা সে প্রায় বলে বেড়ায়। সুহিনি হাসলে গালে টোল পড়ে। তার চোখে কাজল দেয়া লাগে না, জন্মগতভাবেই তার চোখে কাজল দেয়া। তার মামা তাকে কাজল নামেই ডাকে। সুহিনি যখন সাইকেলে চেপে বসে তখন মাঝেমধ্যে হালকা বাতাসে নাভিমূলের উপর থেকে শাড়ি সরে যায়, আর ঠিক তখন মাই গড টাইপের এক সৌন্দর্য নেমে আসে যেন বহু প্রত্যাশিত কাঞ্চনজংঘা! সুহিনি শান্তিনিকেতনে অনীলদেব শর্মার অধীনে পিএইচডি করছে। বিষয় বাংলা সাহিত্যে গ্রামীন জীবন। বাংলা সাহিত্যে নারীদের অবস্থান নিয়ে সে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করতে
অব্যয়
রেললাইন। হাজার বছরের পুরাতন রেললাইন। রেললাইনের পাশে মসজিদ। এখনো নির্মাণাধীন। একজন পাহারাদার, মুখে তার সর্বহারা সিগারেট। মসজিদের রড-সিমেন্ট যেন চুরি না হয় সেজন্য সারারাত তার ডিউটি। এই রেললাইনে কুকুর নিজের উপস্থিতি জানান দেয় প্রিয় কোনো শক্তিশালী ভঙ্গিমায়। রেললাইনের রেড এলার্ট কখন থেকে জারি করা তা রেললাইন জানে না, তাকে জানতে দেয়া হয়নি। একজন মাতাল পথ ভুলে রেললাইন ব্যবহার করছে বাড়ি ফেরার তাগাদায়। একটি চাঁদ ঝুলে আছে রেললাইনের ঠিক মাথা বরাবর। কৃত্রিম লাইট দূর অন্ধকারে মিলিয়ে যায়, দূর অন্ধকার থেকে ভেসে আসছে ঝিঁঝিঁপোকার আনন্দ ধ্বনি। দুটি আকাশচুম্বী বোকা গাছ লম্বা হতে হতে ছোট হওয়ার শিল্প ভুলে গেছে। রাত কিন্তু এখন মধ্য বয়সী— যৌবন এবং বৃদ্ধের হাতছানি। এই রাত বলে না কোনো কিছু আসবে,বলে না কোনো কিছু যাবে। কেবলই স্বপ্ন দেখায়। এখন রাতেরও স্বপ্ন
সিমলার এমনও কুন্তল দেহে…
বলছিলাম তারিক আজিজ আমার উপরের সিটে নামাযও পড়ে আবার পাদও দেয়। বলিনি আরেকটি কথা। তারিক আজিজ বিসিএসের শিটও পড়ে। চাকরিটা তার পেতেই হবে। জানিনা বেলা নামে কেউ তার আছে কিনা যার কাছে চাকরি পেয়ে ফোন দিতে হবে — ‘চাকরিটা আজ পেয়ে গেছি বেলা শুনছো।’ বেলা থাকুক আর না থাকুক তারিক আজিজের জন্য সময় বসে থাকে না। ভ্রমন হোক কিংবা বিয়ে বাড়ি হোক সাধারন জ্ঞান তার মুখস্থ করতেই হবে। সময় কারো জন্য বসে থাকে না। গ্রীন ভ্যালিতে আমরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ আর তারিক আজিজ শিট পড়ছে। বিসিএস ক্যাডার তার হতেই হবে। তারিক আজিজ যাতে ক্যাডার হতে পারে সেজন্যে আমাদের সবার প্রার্থনা অটুট থাকবে ইনশাল্লাহ। ইসলামে আছে মুসাফিরের প্রার্থনা আল্লা কবুল করে। সফরে থাকলে মন একেবারে পবিত্র হয়ে আসে। আসল কথা গতির সাথে