...বলছিলাম রাবনের কথা। রাবন ব্রাহ্মণদের কাছ থেকেও খাজনা নিতেন। ব্রাহ্মণরা হুজুর টাইপের মানুষ। দোয়া দরুদ তপ জপ করা যাদের কাজ। তারা খাজনা দিবে কোথা থেকে। খাজনা দিতে অক্ষম ব্রাহ্মণদের কাছ থেকে রাবন রক্ত নিতো, নিয়ে মাটির পাত্রে সংগ্রহ করতো। ব্রাহ্মণরা অভিশাপ দিলো— এই মাটির পাত্র যেখানেই রাখা হবে সেখানেই অভাব অনটন দেখা দিবে। রাবন জানতো ব্রাহ্মণদের অভিশাপ সত্য হবে। তাই সে রক্তভরা মাটির পাত্র মিথিলার রাজা জনকের রাজ্যে রেখে আসে রাতের অন্ধকারে। জনকের রাজ্যে অভাব দেখা দেয়। জনক রাজা অভাব থেকে পরিত্রাণের জন্যে বিধান সভার সাহায্য প্রার্থনা করে। বিধান সভা তাকে হালচাষের পরামর্শ দেয়। রাজা জনক হালচাষ করতে গিয়ে বাচ্চা সীতার দেখা পায়। সীতা মানে তাই হলরেখা। জনক রাজার হালচাষের বিষয়টি মেটাফর হিসাবে নিলাম। অর্থাৎ রহস্যে ভরপুর এই বসুন্ধরার রহস্যময় ইতিহাস আমাদের
Tag: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
কবিতার মানুষ, মানুষের কবিতা
সাগর, মহাসাগর। সংখ্যার বাঁধনে বাঁধা যায় না এমন অ-বলা, অবর্ণনীয় জলরাশি বুকে পিঠে ধারণ করে তাদের দিনযাপন। প্রতিটি জলকণার জীবন, মনন, প্রকৃতি, প্রত্যয়, জীবনবলয়ের অব্যয় ভিন্ন থেকে ভিন্নতর কখনো কখনো ভিন্নতম। কখনো এক জলকণাবর্গের সাথে অন্য জলকণাবর্গের প্রচণ্ড তর্জন, গর্জন, আন্দোলন হয়ে থাকে। তার ফলস্বরূপ জন্মগ্রহণ করে তৃতীয় একটা দৃশ্যমান কিছু- ফেনা- তাই কবিতা । আর কবি হলেন সেই ব্যথা, কথা, প্রথা যিনি বুঝেন কখনো কখনো বোঝান। তবে কবি কখনো গৃহ শিক্ষকের মতো বোঝানোর উদ্দেশ্য কলম ধরেন না। তাঁর কলম কথা বলতে আরম্ভ করে যখন চিন্তার গোলায় আগুন লাগে। আগুনের দুটি রূপ— আলো, তাপ। কখনো তাপের তাড়নায় কবি লেখেন আবার কখনো আলোর ঘ্রাণে লেখেন। কবির লেখা মূলত অন্তরে চাষকৃত সম্প্রসারিত আগুনের অনুপ্রকাশ। আবুল হাসানের কবিতায় যখন পায়চারি করি তখন মন বলে
‘সদর ও অন্দর’ গল্পের বেদন অবেদন নিবেদন
বিপিন। বিপিনকিশোর। তার নামের শেষে কিশোর আছে মানে বিপিন সারা জীবন কিশোর থাকবে এমন ভাববার কোনো কারন নাই। কনক্রিট সময় মানুষকে বাস্তবতার মুখোমুখি করেই থাকে। শিশু থেকে কিশোর, কিশোর থেকে যুবক, যুবক থেকে বৃদ্ধ হওয়া পর্যন্ত যে চক্র সেই চক্রে মানুষকে পড়তেই হয়। আর তাই সময় বাস্তবতা। বিপিনকিশোরের জন্ম ধনীঘরে। তাই সে অর্থ ব্যয় করা জানে ভালোই। কিন্তু অর্থ উপার্জনের মন্ত্র তার তেমন ভালো জানা নাই। ব্যয়ের সাথে আয়ের ব্যালেন্স না থাকলে হিসাবের অভিধানে অপচয় বলে একাউন্ট হয়ে থাকে। অপচয়কারী শয়তানের ভাই। লোকে বলে। শয়তানের কোনো টাকা পয়সা ধন দৌলত নাই। বিপিনেরও টাকা পয়সা ধন দৌলত থাকে না। তার সম্বল দুই টাকা মাত্র। তাও শেষ পর্যন্ত রাজভৃত্য পুটের পকেট ভারী করে। বিপিনকিশোর আসমান থেকে পৃথিবীতে নেমে আসছিল কিনা আমরা জানি না। আমরা