ক্ষেতের কিনারে জলেছোঁয়া নদী মধুপুর গ্রাম আমাদের নৌকার বাতাস কলমি শাক হাইচা গাছে মানুষের জীবন মিনিপ্যাক ঢেউয়ের সারি দূরে এক বন গাছের ঝুলে থাকা আসন্ন রাত মাঝি তোমার গাঙ আমার বসে থাকা পাল মাঝি তোমার জাল আমার পরানের মোড়কে মাছ আর মাছ নির্জন নিরুপায় গানের সুরের তালে তালে মেঘনা বড় হচ্ছে প্রতি ঢেউয়ে পারিবারিক আবহে পাতামাখা রাত মেশিনের নৌকা নৌকার প্রাচীন শব্দের আজান মেঘলা স্বপ্নের দুরারোগ্য দর্বৃষ্টিপাত সব মিলিয়ে যায় অন্ধকারের মতো দিনের ভেতরে সব তলিয়ে যায় দিনের মতো অন্ধকারের ভেতরে বসে থাকা পাখি গান গাওয়া দিন কতিপয় আলো হাসি আর কান্নার রাত একদিন একদিন করে নদী আর আকাশ মিলে যাওয়ার মতো মুহূর্তে চিকন ডাক শুনতে পাচ্ছে সময় সে আসবে আমিও যাবো সে যাবে আমিও আসবো অনেক নীরব জলে ভেসে থেকে দেখেছি জীবনের গান এক আজব হরফ— ও এ ক খ ছায়ার বাড়িতে নেমে আসা রোদ কল্প লতা গান শীতল জলে গাংচিল
Tag: মেঘনা
হাওড় নয়, হাওড়ের মতো
নবীনগর উপজেলার পূর্বাংশে নাটঘর ইউনিয়নের অবস্থান। নাটঘর ইউনিয়নের আয়তন ৬,৪৭৬ একর (২৬.২১ বর্গ কিলোমিটার)। জনসংখ্যা প্রায় তিরিশ হাজারের মতো। এই নাটঘর ইউনিয়নের একটি গ্রাম রসুলপুর। মাত্র একটি ব্রিজকে কেন্দ্র করে এটি ইদানিং হয়ে উঠেছে মানুষের বিনোদন কেন্দ্র। বর্ষাকালে প্রচুর মানুষ একটু শ্বাস ফেলার ইচ্ছায় চলে আসে এই রসুলপুর গ্রামে। এই গ্রামের এক পাশে তিতাস নদী। বর্ষার জলে তিতাস নদী যখন টইটুম্বুর হয়ে ওঠে তখন চাষের জমি হয়ে ওঠে তরতাজা জলল প্রাণ। বাংলাদেশের মানুষ জল পছন্দ করে পছন্দ করে জলগোষ্ঠী জলের স্বাভাবিক ধারা-উপধারা প্রবাহ। রসুলপুর ব্রিজ থেকে একটি রাস্তা সোজা চলে গেছে বিদ্যাকুটের দিকে। বর্ষাকালে এই রাস্তার দুই ধারের ধানি জমিতে কেবল জল আর জল। হাওড় নয় তবে হাওড়ের মতো (গ্রীষ্মকালে হাওরকে সাধারণত বিশাল মাঠের মতো মনে হয়, তবে মাঝে মাঝে বিলে পানি
দেখা হবে মেঘনা আর প্রিন্সেপ ঘাটে
প্রিন্সেপ ঘাটের মাঝি কাহা যখন উচ্ছ্বাল হাসি দিয়া মাতিয়ে রাহে অন্ধকারমাখা জলের মুখ, হুগলি নদী তখন আনন্দে আটখানা, বিদ্যাসাগর সেতু তার খুলে দেয় আনত দুটি চোখ— তখন তুমি জলের মতো খুঁজে পাও অনুকরনপ্রিয় সুখ— নৌকো এক এক করে নদীর ভেতর যায়, নদী যায় জলের ভেতর— নন্দিনী কী জানে তাহার দায় কোথায়— মিমির মতো ষোলো আনা তোমার চাই-ই চাই— বৈঠার ছলাৎছলাৎ— কালো চুলের উদাস মাঠে বয়ে চলে বাতাসের অন্তিম নাগর— ও নাগর, বাতাসকে রেখে তুমি কোথায় যাও— প্রিন্সেপ ঘাটও মেঘনা নদীর লাহান পৃথিবীর মায়ায় পড়েছে— করে চলেছে তারা চাতক অনশন— একবার দেখা হবে মেঘনা আর প্রিন্সেপ ঘাটের খুব ভোরে— রাত ততদিনই তাহে যতদিন সূর্য তাহে অভিমানের ঘরে
জীবনকে মেঘনা নদীর জেলেও মনে হয়
জীবনকে কখনো কখনো ডমেস্টিক ট্রেন মনে হয়। চলছি তো চলছি। তবে চালানো হচ্ছে। স্টেশনে স্টেশনে নোঙর রাখি। মানুষ দেখি, পাখি দেখি, দেখি ক্লান্ত মেয়ের ঘুম। যে মেয়েটি সারা রাত দেহ বিক্রি করে ঘুমের ভারে ভারাক্রান্ত। তারপর অভিজ্ঞতাগুলো বগিতে তুলে যাত্রা শুরু করি অন্য কোনো স্টেশনের উদ্দেশ্য। মাঝে মাঝে জীবনকে মেঘনা নদীর জেলেও মনে হয়। সারাদিন জেলে ঘুমায়। রাতকে দিন বানায়, মাছ শিকার করে। লাইটার সার্চ খেয়ে শক্তি জমা করে শক্তিঘরে। কারণ সে-ই তো জেলের রাতের সূর্য। সকালে ব্যাগভর্তি মাছ। জীবনের মাছ। মাছ দেখে বউটার তার আকাশের মতো হাসি দেয়। যে হাসিকে পুঁজি করে জেলে প্রতিটি দিন ঘুমে ঘুমে কাটিয়ে দেয়। এইভাবেই ভাবনার চলাফেরায় জীবনে দাড়ি আসতে পারতো। কিন্তু আসলো না। ভাবনাগুলো পৃথিবীতে বেচেঁ থাকার ইচ্ছা পোষন করে। আমিও কেন যেন তাদের সাথে
আশেক, মাশুক আর মুরশিদের গল্প
মুসলমানরা এই সহজিয়া মাটিতে যেভাবে জায়গা করে নিয়েছে ওস্তাদ শব্দটি সেইভাবেই জায়গা করে নিয়েছে। ওস্তাদ শব্দটি ফারসি শব্দ। ‘ওস্তাদ’ যখন বিশেষ্য তখন শব্দটির অর্থ দাঁড়ায় গুরু, শিক্ষক, প্রভু। দাউদ নবীর আবৃতি শুনে সাগর থেকে মাছ চলে আসতো। সপ্তাহে একদিন তিনি তার ধর্মগ্রন্থ আবৃতি করতেন। আবৃতির দিন মাছ ধরা নিষিদ্ধ। মাছধরা নিষিদ্ধ— কারন মাছেরা সম্মোহিত— সম্মোহিত প্রানিকে ধরতে নেই। আমিও সম্মোহিত প্রানি ছিলাম, আছি, হয়তো থাকবো। বারবার সম্মোহিত হয়ে আমি ধরা পড়েছি। সম্মোহনের স্থান, সময় ভিন্ন থেকে ভিন্নতর হয়েছে। কিন্তু সম্মোহিত হয়েছি এই আকাশের নিচে, চোখের সামনে কিংবা মনের ভেতর— কতবার যে সম্মোহিত হয়েছি আর বুকের ভেতর পানি শুকিয়ে যাওয়া নদীর মতো রেখা চিহ্ন রয়ে গেছে তার দিকবাল বা স্মরনসভা আমার স্মৃতির আয়োজন সভায় এতটুকু মনে পড়ে না— ‘ব্যথা দিয়ে কবে কথা কয়েছিলে পড়ে