বাজে কয়টা ভাই? দশটা। সই দশটা? হুম। ব্রাহ্মণবাড়িয়া নরসিংদী কিশোরগঞ্জে সই মানে সমান। সই দশটা মানে সমান দশটা। সই(সহি) দেয়া মানে স্বাক্ষর দেয়া— টিপসই শব্দটি বৃহত্তর ময়মনসিংহ ও ত্রিপুরা রাজ্যে বহুল প্রচলিত। সই আবার বান্ধবী অর্থেও ব্যবহৃত হয়— দুস্ত মানে বন্ধু, দুস্তের বিপরীত শব্দ হিসাবে সই ব্যবহৃত হয়— তখন সখি হতে সই শব্দের জন্ম। ‘সই কইরা লামু’ শব্দটি ঠিক করে ফেলা অর্থে ব্যবহৃত হয়। কেউ যখন খুব বাড়াবাড়ি করে তখন ‘সই কইরা লামু’ শব্দটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া অঞ্চলের মানুষ বলে থাকে। ‘সই করা’ মানে সমান করা। লাঙল দিয়ে চাষ করার পর ক্ষেতে ইডা বা মাটির ঢিলা জমা হয়। আর সেই ইডা বা মাটির ঢিলা মই বা চগম দিয়ে অথবা মুহৈর<মুগুর ব্যবহার করে ভেঙে সমান করে বিজ ফেলার উপযোগিতা নির্মাণ করতে হয়। ক্ষেতের ইডা বা মাটির ঢিলা ভেঙে
Tag: ব্রাহ্মণবাড়িয়া
হাওড় নয়, হাওড়ের মতো
নবীনগর উপজেলার পূর্বাংশে নাটঘর ইউনিয়নের অবস্থান। নাটঘর ইউনিয়নের আয়তন ৬,৪৭৬ একর (২৬.২১ বর্গ কিলোমিটার)। জনসংখ্যা প্রায় তিরিশ হাজারের মতো। এই নাটঘর ইউনিয়নের একটি গ্রাম রসুলপুর। মাত্র একটি ব্রিজকে কেন্দ্র করে এটি ইদানিং হয়ে উঠেছে মানুষের বিনোদন কেন্দ্র। বর্ষাকালে প্রচুর মানুষ একটু শ্বাস ফেলার ইচ্ছায় চলে আসে এই রসুলপুর গ্রামে। এই গ্রামের এক পাশে তিতাস নদী। বর্ষার জলে তিতাস নদী যখন টইটুম্বুর হয়ে ওঠে তখন চাষের জমি হয়ে ওঠে তরতাজা জলল প্রাণ। বাংলাদেশের মানুষ জল পছন্দ করে পছন্দ করে জলগোষ্ঠী জলের স্বাভাবিক ধারা-উপধারা প্রবাহ। রসুলপুর ব্রিজ থেকে একটি রাস্তা সোজা চলে গেছে বিদ্যাকুটের দিকে। বর্ষাকালে এই রাস্তার দুই ধারের ধানি জমিতে কেবল জল আর জল। হাওড় নয় তবে হাওড়ের মতো (গ্রীষ্মকালে হাওরকে সাধারণত বিশাল মাঠের মতো মনে হয়, তবে মাঝে মাঝে বিলে পানি
বাওনবাইরার ভাষা [ ২ ]
ডেগ = রান্না করার পাত্র কেডা = নিদিষ্ট অর্থে কে অতলা = প্রচুর (এহানে অতলা মানু কেরে) রাত > রাইত তারা > হেরা কাল > কাল্লা লাউ = কথা লাঠি > লাডি দরকার > দরহার লোহা > লোয়া এটা > ইডা এখন > অখন পুত্র > পুত ইনি > ইলা কিতা = নিদিষ্ট অর্থে কি ঝি = মেয়ে (ফুফুকেও ঝি বলা হয়) খুঁটি > হুডা বাড়ি> বাইত রাত > লাইত হুতুম = শোয়া ফাতি = বাঁশের পাত্র ডিগলা = রশি (মূলত গরু ছাগল বেধেঁ রাখার রশি) হয়েছে > অইছে মহিষ > বইস জিংলা = চিকন বাঁশ [ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আঞ্চলিক ভাষা]