শব্দের মাঝে কিংবা শেষে ‘হ’ বর্ণ থাকলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রায় ‘হ’ বর্ণটি বিলুপ্ত হয়ে উচ্চারিত হয় ভেহেস্ত > ভেস্ত; আল্লাহ্ > আল্লা; গোনাহ > গোনা; সোবাহান > সোবান; যশোহর > যশোর; তাহসান > তাসান; শাহবাগ > শাবাগ; বাদশাহ > বাদশা; ( আরও পড়ুন ) ♥ বাওনবাইরার ভাষা [ ৬ ] ♥ বাওনবাইরার ভাষা [ ৫ ] ♥ বাওনবাইরার ভাষা [ ৪ ] ♥ বাওনবাইরার ভাষা [ ৩ ] ♥ বাওনবাইরার ভাষা [ ২ ] ♥ বাওনবাইরার ভাষা [ ১ ]
Tag: বাওনবাইরার ভাষা
বাওনবাইরার ভাষা [ ৫ ]
শব্দের মাঝে কিংবা শেষে যদি ‘ট’, ‘ঠ’ থাকে তবে তা ব্রাহ্মাণবাড়িয়ার আঞ্চলিক উচ্চারণে ‘ট’, ‘ঠ’ স্থলে ‘ড’ হয় কাঁটা > কাডা; নাটাই > নাডাই; ফাটা > ফাডা; নটী > নডি; ছুটি > ছুডি; কোটা > কুডা; মাটি > মাডি; ছাটাই > ছাডাই; মাঠ > মাড; কাঁঠাল > কাডাল; বৈঠা > বৈডা; ওঠটি >ওডতি, উঠোন > উডান। Ξ আরও পড়ুন Ξ ♥ বাওনবাইরার ভাষা [ ৪ ] ♥ বাওনবাইরার ভাষা [ ৩ ] ♥ বাওনবাইরার ভাষা [ ২ ] ♥ বাওনবাইরার ভাষা [ ১ ]
বাওনবাইরার ভাষা [ ৩ ]
কইতারিনা আমি = বলতে পারি না আমি মতলব = ইচ্ছা, অভিলাস কনদা নামবা = কোন দিক দিয়ে নামবে সুন্দর অইবো = সুন্দর হবে থিরি= তৃতীয় কমু আমি = আমি বলবো যাই ত = হুম, যাই আইফুরমু = আসবো ছক্কা খেলা = লুডু খেলা নিচে যা = নিচে যাও চারহি = চাকরি চিললান = চিৎকার লেম্বু/ লেম্বু= লেবু কিএললাইগ্যা = কী কারণে লেং দেয়া = কৌশলে পা দিয়ে পায়ে আঘাত বেততমিজ = বেয়াদব ছাইরা দে = ছেড়ে দাও ( তীব্র রাগ এবং আকুতি প্রকাশ) আইচ্ছা = ঠিক আছে পাকনা= পরিপূর্ণ পাকা, অকাল পক্ক পাকনামী = অতিরিক্ত পাণ্ডিত্য প্রদর্শন গাডা = আঙ্গিনা ~ বাড়ির গরু গাডার ঘাস খায়না = কোনোজন নিকটজনকে গুনীজন হিসাবে মূল্যায়ন করে না। [ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আঞ্চলিক ভাষা] দ্বিতীয় পর্ব: বাওনবাইরার
বাওনবাইরার ভাষা [১]
আসব > আমু যাব > যামু খাব > হামু রাঁধব > রান্দুম দেখব > দেহুম শুনব > হুনুম মারব > মুরামু ডাকব > ডাহুম [তরে মুরাইয়্যা বাফ ডাহামু] করব > কুরুম মরব > মুরুম [তরার যন্ত্রণায় আজা মুরুম] (বিশেষত মায়ের উক্তি) উচ্চারণের সময় ‘ব’ ধ্বণিটি ‘ম’ হিশেবে উচ্চারিত। কখনো মাঝের বর্ণটি উধাও; আবার প্রথম বর্ণে ‘উ’ কার চলে আসে। [ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আঞ্চলিক ভাষা]