দেবলছেড়া পুঞ্জি। কেউ কেউ বলে ডাবলছেড়া পুঞ্জি। শমশেরনগরের একটি জায়গা। বাগান এলাকা। চা বাগান। দেবলছড়া পুঞ্জির পাশেই খাসিয়া পল্লী। মিস্টার পিডিশন এই পল্লীর প্রধান। খাসিয়া পল্লীর পাশেই প্রাইমারি স্কুল। স্কুলের বিশাল মাঠ। মন ঠান্ডা করে দেয় এমন মাঠ। এই মাঠ থেকে সকাল ছয়টা ৪৫ মিনিটে শুরু হয় আমাদের ট্রেইল ম্যারাথন। ৪২.২ কিলোমিটার। আমরা কিন্তু ছয়টা ৪৫ মিনিটে ম্যারাথন শুরু করিনি। আমরা বলতে আমি আর সাদিয়া দেওয়ান মুনা। মুনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের philosophy ডিপার্টমেন্টের স্টুডেন্ট। ম্যারাথন করে প্রায় দুই বছর আগ থেকে। মুনার আন্তরিক সহযোগিতার ফলে ম্যারাথনযাত্রা শুরু করতে পারলাম, তাও আবার ট্রেইল ম্যারাথন দিয়ে। কেন আমরা ৫৫ মিনিট পরে ম্যারাথন শুরু করি? ড্রেস পরিবর্তন করার জন্যে কোনো জায়গা খুজে পাচ্ছিলাম না। ব্যাগ রাখার জন্যে কোনো নিরাপদ জায়গায় খুজে পাচ্ছিলাম না। তাছাড়া শমশেরনগর থেকে
Tag: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
সেই হাসি, সেই চোখ
আজও মনে পড়ে তাকে। আজও মনে পড়ে তার সেই হাসি। আজও মনে পড়ে তার সেই চোখ। বাংলা বিভাগে ভর্তির যাবতীয় কাজ শেষ করলাম। এখন আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। মনে আনন্দ আর আনন্দ। কলাভবনের দ্বিতীয় তলায় আমাদের বাংলা বিভাগ। রুদ্র মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ এই কড়িডোর দিয়ে হাঁটাহাঁটি করতেন, আমি এখন এই কড়িডোর দিয়ে পায়চারী করে রোদেলা সময় যাপন করবো। এতো আনন্দ আমি কোথায় রাখি! আনন্দ মনে গানে গানে সিঁড়ি ভেঙে নিচে নামি। ডিন অফিসের সামনের দরজায় বের হয়ে যাবো। দেখি ডিন অফিসের সামনে কস্টিউম করা সুন্দরী মেয়েরা ম ম পন পন বো বো করছে। এক সুন্দরী মেয়েকে জিজ্ঞেস করলাম ‘এখানে কী?’ মেয়েটি হাসিমাখা চোখে উত্তর দেয়— নাট্যকলা ও সঙ্গীতের ভাইভা হচ্ছে। ও তাই। জ্বী তাই। তারপর মেয়েটি আমার সম্পর্কে জানতে চায়লো। আমি আপনি আপনি আমার আনন্দের নিউজটা প্রকাশ করার
মহিমা চৌধুরী
আয়নাবাজি সিনেমার পর বাদশা ভাই সবচেয়ে জনপ্রিয়। না, বাদশা ভাই কোনো সিনেমার নাম না। বাদশা ভাইয়ের দোকান। ভাসমান দোকান। উদ্যানে তার ভাসমান খাবারের দোকান। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থেকে শুরু করে বাংলা একাডেমির কর্মকর্তা মিডিয়া ব্যক্তিত্ব সবাই তার খাবারের ভক্ত। সে যখন প্রথম উদ্যানে খাবার চালু করে আমি ছিলাম তার দোকানের প্রথম কাস্টমার। আমি তার খাবার খেয়ে বলেছিলাম আপনি তো একদিন অনেক জনপ্রিয় হয়ে যাবেন, আমার কথা কিন্তু মনে রাখবেন। সে একটি বিনয়ের হাসি দিয়েছিল। আজকেও বাদশা ভাই আর তার বউয়ের আচরনে বিনয় আছে কিন্তু প্রথম কাস্টমার হিসাবে আমার কোনো আলগা সুবিধা নাই। বারোটার মধ্যে তারা উদ্যানে চলে আসে। প্রায় চারটা পর্যন্ত তাদের খাবার চলে। আজকে আসতে একটু লেইট হচ্ছে। একটু বলতে প্রায় দেড় ঘন্টা। সবাই খাবার খেতে আসে কিন্তু খাবার তো আসেনি। অপেক্ষা
ভাবিলেও পৃথিবী চলিবে, না ভাবিলেও চলিবে
থাকি জিয়া হলে। জিয়া হলে থাকি বলে আপনারা ভাববেন না এখানে জিয়া সৈনিকদের বাড়িঘর। বাংলাদেশ তো। তাই পুরাই উল্টা। জিয়া হলে বঙ্গবন্ধু সৈনিকের একচেটিয়া আস্তানা। মজা পাবেন একটি কথা শুনলে— আমাদের হলের যিনি প্রভোস্ট তার নামও জিয়া। আমার রুমের পাশেই মহাসড়ক। মহাসড়কে চব্বিশ ঘন্টা গাড়ি চলে! আর আমাদের মাথার ভেতর চলতে থাকে পু পা বে বো। গরুর নতুন শিং ওঠলে যেমন সবারে গুতা দিতে চায় তেমনি বাংলাদেশী ড্রাইভাররা সারাজীবন শিংধারী নতুন গরু থাকিয়া যায়। সাবেক বছর এমন দিনে আমার ঠান্ডা লাগে। আমার স্মৃতিশক্তি বলে নাই, বলিয়াছে ফেইসবুকের on this day appsটি। ইতিহাসের কী মহান কুদরত এমন দিনে আবারও আমার শরীর ঠান্ডার কবলে পড়িল। সামনে বিশাল কাজ। শরীরে ঠান্ডা থাকিলে হইবে না। তাই ঠান্ডার কৃষ্ণলীলা দূর করিবার মিশন হাতে নিলাম। এক ডাক্তার ভাইকে ফোন
আশেক, মাশুক আর মুরশিদের গল্প
মুসলমানরা এই সহজিয়া মাটিতে যেভাবে জায়গা করে নিয়েছে ওস্তাদ শব্দটি সেইভাবেই জায়গা করে নিয়েছে। ওস্তাদ শব্দটি ফারসি শব্দ। ‘ওস্তাদ’ যখন বিশেষ্য তখন শব্দটির অর্থ দাঁড়ায় গুরু, শিক্ষক, প্রভু। দাউদ নবীর আবৃতি শুনে সাগর থেকে মাছ চলে আসতো। সপ্তাহে একদিন তিনি তার ধর্মগ্রন্থ আবৃতি করতেন। আবৃতির দিন মাছ ধরা নিষিদ্ধ। মাছধরা নিষিদ্ধ— কারন মাছেরা সম্মোহিত— সম্মোহিত প্রানিকে ধরতে নেই। আমিও সম্মোহিত প্রানি ছিলাম, আছি, হয়তো থাকবো। বারবার সম্মোহিত হয়ে আমি ধরা পড়েছি। সম্মোহনের স্থান, সময় ভিন্ন থেকে ভিন্নতর হয়েছে। কিন্তু সম্মোহিত হয়েছি এই আকাশের নিচে, চোখের সামনে কিংবা মনের ভেতর— কতবার যে সম্মোহিত হয়েছি আর বুকের ভেতর পানি শুকিয়ে যাওয়া নদীর মতো রেখা চিহ্ন রয়ে গেছে তার দিকবাল বা স্মরনসভা আমার স্মৃতির আয়োজন সভায় এতটুকু মনে পড়ে না— ‘ব্যথা দিয়ে কবে কথা কয়েছিলে পড়ে