মেঘনা নদী আমাদের বাড়ি থেকে খুব দূরে নয়। আমি প্রায় মেঘনা নদীর কিনারায় বসি— মাছের সংসার দেখি, মালামাল ভর্তি জাহাজ দেখি, লঞ্চের জানালার ফাঁকে লতাপাতার মতো বেড়ে ওঠা চোখ দেখি, আরও দেখি জলের গভীরে প্রবাহমান চুরাস্রোত। মেঘনা নদীর মাঝখানে দ্বীপের মতো একটি জায়গা আছে, এলাকাবাসী জায়গাটিকে চর বলে। চরে তরমুজ ভালো হয়। বালি মাটিতে তরমুজ ভালো হয় ছোট্ট কাল থেকে শুনে আসছি। সূর্যের তাপে বালি মাটি ভেতরে ভেতরে দগ্ধ হতে থাকে, লাল দহনের সবটুকু ব্যথা বালি তরমুজের হৃদয়ে ট্রান্সফার করে দেয়, তাইতো তরমুজের হৃদয়ে হৃদয় এতো লাল। আসলে হৃদয় দহন কেউ দেখে না— কালিমা পড়া নসিমুন বাবু কিংবা কবুল বলা জলিমা। জলিমা, বিগত দিনে কার বুকে মাথা রেখে তুমি শুনালে করবীকুঁড়ির তরল সুর, চিৎকারে চিৎকারে সাজালে রঙিন বাসর? আমি কিন্তু বালি মাটির তরমুজের মতো ভেতরে
Tag: জলিমা
প্রিয়তমা উপলব্ধি
প্রতিদিন কোটি কোটি নক্ষত্র জন্মগ্রহন করে আবার কোটি কোটি নক্ষত্র মারা যায়। কোটি নক্ষত্রের মাঝে একটি নক্ষত্র আমার চেনা। একটি নক্ষত্রের সাথে আমার দেখা হয় রোজ বৈঠকে খাবার টেবিলে, ধ্যানে জ্ঞানে চিন্তায়। তাকে আমি হাত দিয়ে স্পর্শ করতে পারি না, তার স্পর্শ অনুভব করি। তার নাম নেই, সে এক উপলব্ধির নাম, আমার সেই প্রিয়তমা উপলব্ধি জলিমা। জলিমা, পৃথিবী থেকে আরেকটি সপ্তাহ চলে গেলো, আরেকটি ধাপ এগিয়ে গেলাম মৃত্যুর পথে। মৃত্যু কোনো সাধারন সমীকরন নয়, মৃত্যু একটি পূর্নাঙ্গ জীবন বিধান। আজও আমার অগোছালো চুলে তোমার হাতনিড়ানি এগিয়ে আসেনি প্রিয়তমা শিহরনের কোনো আমাজিং এলাকায়। কিন্তু আমি তো তোমার অধরা হাতের ছায়াশিহরন অনুভব করি দেহের প্রত্যেক নালায়। উপলব্ধি আর স্পর্শের মাঝে যতটুকু শুন্যতা ততটুকু অস্থিরতা এই হৃদয়কে সহ্য করতে হয় অসীম সীমানার অব্যক্ত সন্ধ্যার কোনো এক
সাক্ষাৎও এক তৃষ্ণার নাম
আজ শুক্রবার, আরেকটা ছুটির দিন, আরেকটি মিলনের দিন কিন্তু আজকের আকাশে এতো মেঘ কেন, কেন এতো গর্জন? সুন্দর আকাশ কেমন চমৎকার ফ্যাকাসে হয়ে আছে, বৃষ্টি হলেই পারে, কিন্তু বৃষ্টি হচ্ছে না, হচ্ছে না তো হচ্ছে না! জলিমা, মেঘলা আকাশ কেন আমার মনের উপর ভর করেছে? কালো নীল শাদা মেঘে ভরে গ্যাছে আমার আকাশ, বৃষ্টি হলেই জলের নদীতে হাসফাঁস করে শোকসমগ্রকে বিদায় জানাতে পারতাম, বৃষ্টিও মৃত্যুর মতো অপেক্ষাকারী প্রিয়তমা ধৈর্যের অসুর, কান্দি কাটি চোখে জল নাই তো জল না! সাক্ষাৎও এক তৃষ্ণার নাম, এক হৃদয়ঘটিত সুখের নাম! জল না পান করে থাকা যায় কিন্তু সাক্ষাৎ না করে আমি যে বাঁচতে পারবো না! জলিমা, ক্যামনে থাকো তুমি আমি বিহনে, তোমার হৃদয়গাছে কী একবারও আমার প্রেমবাতাস স্পর্শ করে না? চলে আসো সব ছেড়ে, চলে আসো এই অধম গরীবের ঘরে, তুমিআমি মিলে
তোমার শহর থেকে কিছুটা দূরে
জলিমা, আজও তুমি এলে, এলো না তোমার ফোন কেবল, তোমার ফোনের অপেক্ষায় ছিলাম কিংবা একটি ছোট্ট মেসেজ, কিছুই এলো না, হঠাৎ এক ঝাঁকে নেমে আসে বৃষ্টি, বৃষ্টির পর শুরু হয় আমার মাথা ব্যথা, মাথা ব্যথা নামক অসুখ আমার নেই। তাহলে আজ কেন আমার মাথায় নেমে আসলো ব্যথা? ব্যথাদের উপরে হয়তো কোনো আকাশ নেই, আকাশ থাকলে এমন চমৎকার বাতাস আর ঝিরঝিরে বৃষ্টিকে সামনে রেখে কাউকে আক্রমন করতে পারে না। জলিমা, তোমার সাথে দেখা হবে না বলে আমিও তোমার শহর থেকে কিছুটা দূরে চলে গেছি, আমাদের দেখা আমাদের মতো করে হবে এটাই আমরা চাই, আমাদের চাওয়া পাওয়ার সাথে তাল রেখে চলে না, আমাদের পাওয়া বরাবরই চাওয়াকে ছাড়িয়ে যায়। পৃথিবী যেমন আছে তেমনই রবে তোমার কিংবা আমার। তারপরও আমাদের একটি পৃথিবী থাকবে যেখানে কোনো সাংবাদিকতা থাকে না, থাকে