সিকিউরিটি ঢুকতে দিবে না। দিবে না তো দিবে না। আমার সাথের তারা আশা ছেড়ে দিয়েছে। আমি শালা সহজে পরাজিত হওয়ার মানুষ না। আমি জানি পৃথিবীতে নিজের ইচ্ছা বাস্তবায়নের জন্য কোনো না কোনো উপায় থাকে। জাস্ট আবিষ্কার করতে হয়। আমাদের কেন ঢুকতে দিবে না? কারন আমরা জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র না। রেজা ভাই, চলেন চলে যায়... কোনো কথা না বলে সিকিউরিটির কাছ থেকে দূরে গেলাম, গেলাম গেইটের কাছে বসা এক ছাত্রের কাছে। সমস্ত বিষয় খোলাখুলি বললাম। হিন্দি তেমন পাড়ি না। তারপরও আমি আমার বক্তব্য উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছি। ভূপেন্দ্র দা যথেষ্ট সহযোগিতা করলেন। হামিদ ভাই নিজের আইডি কার্ড দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করেছে। আমরা জে এন ইউ ক্যাম্পাসে ঢুকতে সক্ষম হয়েছি। ক্যাম্পাসটি মুগ্ধকর। অনেকটাই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অথবা চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের টাইপের। তবে চরিত্রগত পার্থক্য তো আছেই। দিল্লি
Tag: গণজাগরণ মঞ্চ
উত্তাল শাহবাগ
গণজাগরণ মঞ্চ। উত্তাল শাহবাগ। জয় বাংলা ধ্বনি-প্রতিধ্বনি। বসে আছি আমিও। বসে আছি মূল মঞ্চের খুব নিকটে। বার বার আমার চোখ ক্যামেরার দিকে। ক্যামেরা যদি একবার আমার চেহারাহানা ক্লিক করে তাইলে আমার গ্রামের মানুষ ঘরে বসে আমারে দেখতে পাইবো। দেখতে পাইলেই আমারে ফোন দিবো আর কইবো, ‘আফনারে অমুক টিভিতে দেখছি।’ তাতেই আমি খুশি, বসে থাকার উসুল হয়ে যাবে। আমার পাশেই বসে আছে মোমবাতি মোমবাতি টাইপের এক নারী। তার সাথে কিউট কিউট এক শিশু। শিশুর কপালে বাংলাদেশের পতাকা, শরীরে পাঞ্জাবি। নারী আমার দিকে তাকিয়ে বলে, ‘মনে হচ্ছে আবার স্বাধীনতা যুদ্ধ চলে আসছে।’ উত্তর না দিয়ে মৃদু হাসলাম। মৃদু হাসলাম। কিছুক্ষণ পর ছোট ছোট বৃষ্টির ফোঁটা পড়ছে। নারী আর বসে থাকেনি। কারণ বৃষ্টির ফোঁটা নারীর ম্যাকাপ করা মুখে আক্রমণ করে, ম্যাকাপ নষ্ট হয়ে যায়, ক্যামেরায় রূপালী ফেইস আর আসবে