আমাদের হরতালের দিন কেউ রাস্তায় নামেনি, ঠিকই একটি পাখি রাস্তায় নেমেছিল এবং সবদিক কম্পিত করে বলেছিল ‘হরতাল মানি না’। দুঃখের বিষয় আমরা কেউ পাখির ভাষা বুঝি না। চকচক করলে সোনা হয় না— স্বর্ন চকচকই করে। রাজহাঁস জলের মধ্যে থেকে দুধকে আলাদা করে নিতে জানে— মেয়েরাও ভীড়ের মধ্যে থেকে তার নিজের পুরুষকে আলাদা করে নিতে জানে— তবে রাজহাঁস দুধকে আলাদা করে — মেয়েরা প্রায়ই আলাদা করে জল— ফলে বিয়ের কয়েকদিন পর বালিশ ভেজে যায় জলে। বিয়ে এক উদ্ভট জুয়াখেলা— এই খেলায় দুইপাশে সমান উত্তেজনা— উত্তেজনার উত্তম পরাজয়। মাটির গুনাগুনের উপর নির্ভর করে ফসলের গুনাগুন—ভালো বীজ ভালো মাটিতে শেকড় ছড়ালে ভালো ফসল— কেবল মাটির উপরে ভালো কাজ করলেই মাটির নিচে ভালো থাকা যায় না— মাটিরও রয়েছে কিছু প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ। কারো সাথে
Tag: কৃষ্ণ
কথোপকথন
আফালের মাছ [ ৯ ]
হারানো রোদের গল্প শুনতে শুনতে যাদের দিন যায় তাদের ডান চোখের নিচের সবুজ গাছটির ছায়ায় বসে থাকি আমি ভাবের সম্পর্ক পরিবর্তন হয় না— ভবের সম্পর্ক প্রয়োজনে আসে আবার প্রয়োজনে চলে যায় চাঁদ দেখবো বলে একটি রাত চেয়েছিলাম, ভোর দেখতে হলে রাতের দরকার হয় লেজ নাড়ানো কুকুরের স্বভাব, চোখ এবং মনের বড়ই অভাব তার মোড শেন ওয়ার্ন কিংবা মুরালিধরনের বলের চেয়ে অধিক সোয়িং করে, বল দেখে ব্যাট করো হে হিটার, আউট হলে ক্যারিয়ার চলে যাবে দর্শক গ্যালারিতে কবিকে দেখা যায় কবিতার আকাশে— অন্য কোথাও কবি যেনো জলের বাতাস ভাইরাসকে আক্রমন নয়, ভাইরাসের আক্রমনের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্যও শক্তিশালী এন্টিবডির প্রয়োজন Man at all software not yet hardware and we are the same software and software has no country
মিডিয়া ও তার টিআরপি
মোস্তফা রহমান আরজু। এলাকায় পরিচিত আরজু মাস্টার নামে। তিনি আর এখন নেই। তিনার ছেলে ইমরান এখনো আছেন। ইমরান মামা। ইমরান মামাকে আমি কোনোদিন দেখি নাই। নাম শুনেছি। এখন ইমরান মামার রুমে ঘুমাতে যাচ্ছি। কানে আসতেছে গোবিন্দ জপনাম— হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ। আজ সারা রাত গোবিন্দ জপনাম চলবে। চব্বিশ প্রহরের আজ শেষ দিন। মাইক বাজতেছে। বাসুদেব শ্রীকৃষ্ণ কোথায় আছেন জানি না। ভক্তকুল কৃষ্ণ কৃষ্ণ জপ করতে করতে হাওরের চাদের মোলায়েম জোছনাস্নানে বিকীর্ন করছে হৃদয়। যে রুমে ঘুমাতে যাচ্ছি তার পাশে একটা ঘর, তার পাশে গোবিন্দ জপমালা চলছে। শুনে হয়তো অনেকে অবাক হবেন এই কারনে যে এই গ্রামটির নাম চৈয়ারকুড়ি যা নাছিরনগর উপজেলার অধীনে। ইদে মিলাদুন্নবী তথা হযরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শুভ জন্মদিন ছিল একদিন আগে। এই উৎসবের কারনে মিল্লাদুনবী এশার
জলের শরীরে জলের মৃত্যু
পাতাওয়ালা গাছের নিচে বসতে বসতে হঠাৎ গৌতম হওয়ার ইচ্ছা জাগলে ফুলদের বাড়ি যাবো— ফুলদের সাথে কথা হবে কতিপয় ফল নিয়ে। গাছের ছায়ায় পাখিমন ঘুমাতে চায় আল্পনা ছোঁয়ায়— সত্য প্রমান করতে গঙ্গা নদীতে যমুনার চাষ করতে হয় না— ইলিশ যাবে জনগনেরর পেটে। কথা বলতে বলতে রাত বাড়বে। তারপরও কথা শেষ হবে না। ফতোয়া খতিয়ান দেখানো বন্ধ করে চলো মানুষের বাড়ি যাই একসঙ্গে। মানুষের কোনো ঘর নেই এখন— পাতাকে পছন্দ করে পাতামানব হয়ে বাস করছে গাছের নিচে নিচে। আদিকালের কথা ভুলে বর্তমান হয়ে চলো বাচতে শিখি— খুব সহজভাবে মেঘের পালকের মতো সুর লয় তাল নিয়ে। যত কথা বলবে সহজ কথার মতো কোনো কথা নেই— যত চালাকি করবে সহজ চাওয়ার মতো কোনো চাওয়া নেই— সব কিছু নিভে যাবে— গুন্না করে নাক দিয়ে কথা বলে লাভ
ক রো না বি ন তে কো ভি ড উ নি শ [তৃতীয় পর্ব]
...জব্বার সাহেব করোনা নিয়ে শ্বশুর বাড়ি গেলেন মধুমাসের আম কাঠাল খাওয়ার জন্যে। জব্বার সাহেব থেকে তার শ্বশুর বাড়ির প্রত্যেকে করোনায় আক্রান্ত হলো। পরে জানতে পারি জব্বার সাহেবের শাশুড়ি মারা গেলেন। কারন জব্বার সাহেবের শাশুড়ির ভাইরাসের বিরুদ্ধে ফাইট করার জন্যে পর্যাপ্ত সক্ষমতা ছিল না। তাহলে খুনী কে? খুনী আতর আলী প্রথমে, তারপর জব্বার। এখন যারা ঘর থেকে বের হচ্ছে, আনন্দে আকাশে বাতাসে ঘুরে বেড়াচ্ছে এরা প্রত্যেকে খুনী। তাহলে আপনি বলতে পারেন সুইডেনের প্রত্যেকে ত আকাশে বাতাসে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তারাও কী প্রত্যেকে প্রত্যেকের জন্য খুনী? আরে ভাই, ওরে বোন, সুইডেন একটি সাংবিধানিক রাজতন্ত্র। রাজা কার্ল ষোড়শ গুস্তাফ রাষ্ট্রপ্রধান হন। দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্তেফান লোফভেন (Sweden is a special country characterized by high levels of trust—not just between people but between people and government institutions)।
শুন্যতার বাজার
রাধা যখন ঘর ছেড়ে বৃন্দাবনে যায় যমুনা নদীতে বাঁধ দেয় কৃষ্ণ কানাই ঢাকা শহর কান্দে তখন হায়রে হায় সাপের মাথায় মিনার দেখে কান্দে রেজা ভাই।। ঘর ভর্তি মানুষ তবু শুন্যতার বাজার বৃন্দাবনের হাওয়া লাগলো গতরে তাহার তাবিজ টুনা কাকে বলে তা তো জানি না চর্মে মর্মে জ্বলে রেজা রাধাই বুঝে না।। বুঝে না বুঝে না কেউ বুঝাইতে চায় দিবে না দিবে না কেউ নেবার আশায় যদি তাকে একবার সরল পথে পাই কসম খোদার রেজা তারে রাখবে মাথায়।।
আফালের মাছ [ ৩ ]
এই পৃথিবীর অনেক চিপাচাপাকে মহৎ করেছে প্রেমিকজুটি যারা এখনো আকিজ আর পাতার বিড়ি খায় তারাই বাংলা ভাষা ও বাংলা জীবনের রিয়েল প্রতিনিধি ব্যক্তি মানুষের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা অভিজ্ঞতা। অভিজ্ঞতা থেকে অনুমানের জন্ম। অনুমানের আবিষ্কারের ফলে আমরা রূপক, উপমা, প্রতীক, চিত্রকল্পের খোঁজ পাই। উপমায় যে তুলনা করা হয় তার অর্থ বহুবিধ হয়, হতেই পারে। প্রতীকও একধরনের উপমা। তবে তার চিহ্নিত অর্থ আপাতত নিদিষ্ট। কিন্তু চিত্রকল্পের মতো সরাসরি নিদিষ্ট নয়। চিত্রকল্প হলো মনের কচিকাচা তরুলতা। প্রিয়তমার মতো আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থাকে। উপমা, রূপক উল্লম্ফনে বেচেঁ থাকে। নিজেকে ছড়িয়ে দেয় চেনা-জানা পরিবেশের পরিবেশনের মোহনায়। রূপকের অর্থ উদ্ধারের জন্য চঞ্চল সচেতন প্রয়োজন। তাইতো রূপকের বসবাস জ্ঞানীদের শহরে, শহরের দরজায়। সবুজ মাঠ হারিয়েছে তার প্রেমিক রাখালকে, প্রেমিক প্রেমিকা মারা গেলে পৃথিবী মারা যায় অর্ধেক নদীতে হাতুর
বৃন্দাবালক কৃষ্ণ জানে রাধার অভিমান
এই তো ভালো ভালোর সাথে ভালো যেমন থাকে ফুলের সাথে গন্ধ যেমন ফুলের ❀ সাথে বাচে নদীর সাথে জলের যেমন মাছের যেমন দেখা তুমি যেমন তোমার হাতে✋রাশিফলের রেখা আমি যেমন তোমার হাতে শুভ শুভ্র শাখা গাছের সাথে পাতা গরমকালের পাখা ঝুলমাংস ছিডালরুডি পিঠা ঝুমবৃষ্টি শ্যামাকন্যার কানের লতিশব্দ সাতার শেষে দুটি দেহের নখের আঁচড় সাতার শেষে দুটি দেহ কামে প্রেমে দগ্ধ আচলখোলা দুটি দেহ পেরেক অবিরাম বৃন্দাবালক কৃষ্ণ জানে রাধার অভিমান জলে ঝাল ডাঙায় কাল আকাশভরা মেঘের ☁ বাহন ব্যথার দেশে শব্দ ভালো ভালোর সাথে আছি ভালোর সাথে ভালো যেমন ভালো হয়ে থাকে অন্ধকারে কালো যেমন মুখ লুকিয়ে হাসে জলের মাঠে হাস যেমন জলের মতো ভাসে হেসে আছি ভেসে আছি আছি প্রেমের ত্রাসে আছি এখন যেমন ছিলাম তেমন থাকবো বলে ঘরে তোমার ডেকে নিও ঘর শুকানো হলে