...জব্বার সাহেব করোনা নিয়ে শ্বশুর বাড়ি গেলেন মধুমাসের আম কাঠাল খাওয়ার জন্যে। জব্বার সাহেব থেকে তার শ্বশুর বাড়ির প্রত্যেকে করোনায় আক্রান্ত হলো। পরে জানতে পারি জব্বার সাহেবের শাশুড়ি মারা গেলেন। কারন জব্বার সাহেবের শাশুড়ির ভাইরাসের বিরুদ্ধে ফাইট করার জন্যে পর্যাপ্ত সক্ষমতা ছিল না। তাহলে খুনী কে? খুনী আতর আলী প্রথমে, তারপর জব্বার। এখন যারা ঘর থেকে বের হচ্ছে, আনন্দে আকাশে বাতাসে ঘুরে বেড়াচ্ছে এরা প্রত্যেকে খুনী। তাহলে আপনি বলতে পারেন সুইডেনের প্রত্যেকে ত আকাশে বাতাসে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তারাও কী প্রত্যেকে প্রত্যেকের জন্য খুনী? আরে ভাই, ওরে বোন, সুইডেন একটি সাংবিধানিক রাজতন্ত্র। রাজা কার্ল ষোড়শ গুস্তাফ রাষ্ট্রপ্রধান হন। দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্তেফান লোফভেন (Sweden is a special country characterized by high levels of trust—not just between people but between people and government institutions)।
মত দ্বিমত
একটি মানুষ মানুষ হলে…
একটি আলোর কণা পেলে লক্ষ প্রদীপ জ্বলে একটি মানুষ মানুষ হলে বিশ্ব জগৎ টলে লেখাটি কার আমি জানি না, তবে লেখাটি মর্মে মর্মে উপলব্ধি করি। লেখা তো এমনই হওয়া চাই, জীবনের মতো উর্বর। লেখা মানে আমি মনে করি উন্নত কথা। যে কথা আইডিয়াবাহী, যে আইডিয়া জীবন বদলে দিতে পারে, জীবনকে নিয়ে যেতে পারে সত্য, সুন্দর, মহিমায় পৃথিবীর দিকে। একটি জীবন যদি অন্য জীবনের কাজে না আসে, তাহলে সেই জীবনের কোনো প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। জীবনের প্রয়োজন কেবলই জীবনের কাছে। লেখা তো সূর্যের কিরণোৎসব যা সূর্যের মতো লেখকের জৈবিক কাজ। তবে লেখাধরা আর মাছধরা এক কথা নয়, মাছ থাকে জলের নিচে যা ধরার জন্য জেলেমন হলেই যথেষ্ট, আর লেখা থাকে বোধের নিচে যার জন্য প্রেমআগ্রহ এবং লেখকমন থাকা আবশ্যক। বুদ্ধিকে যাঁরা জীবিকার মাধ্যম
ক রো না বি ন তে কো ভি ড উ নি শ [দ্বিতীয় পর্ব]
...ধরেন, কারো নাম চান মিয়া। লোকে তাকে ডাকবে চান্দু। টাকা পয়সার মালিক হওয়ার পর তার নাম হবে চান মিয়া সাহেব। টাকা ব্যয় করে মক্কা শরীফ ঘুরে আসার পর তার নাম হবে হাজী চান মিয়া সাহেব। এমনভাবে আরও লেজের ব্যবস্থা টাকা ব্যয় করে দানবীর হাজী চান মিয়া সাহেব করতেই পারেন। আর যার অর্থতেলের ব্যবস্থা নেই তার নাম হবে টোকাই,তার নাম হবে ধোপা,তার নাম হবে কামলা। তবে আবুল খায়েরের বউ কিন্তু কোনোদিন তার নাম ধরে ডাকে না। স্বামীর নাম ধরে ডাকা পাপ। অনিন্দিতা খানম স্বামীকে স্বামী বলেই ডাকে। আবুল খায়ের তার বউয়ের কাছে জানতে চায় যদি সে গাছ থেকে পড়ে মারা যেতো তাহলে তার বউ বাকী জীবনটা কীভাবে কাটাতো। তার বউ উত্তর দেয়, ‘আমি পাগল হয়ে যেতাম।’ আবুল খায়ের আরও স্পষ্টভাবে জানতে চায়, সে
ক রো না বি ন তে কো ভি ড উ নি শ [প্রথম পর্ব]
covid-19! Co থেকে করোনা Vi থেকে ভাইরাস D থেকে ডিজিস। আর ১৯ মানে উনিশ সাল। নোভেল করোনা ভাইরাস অথবা কোভিড উনিশ। নোভেল মানে নতুন। করোনার বিশেষ কোনো অর্থ নেই। তবে করোনা শব্দটি এসেছে ল্যাটিন ক্রাউন শব্দ থেকে। ক্রাউন মানে মুকুট। কদম ফুল বাংলার বর্ষাকালের চোখশান্তি। এই কদম ফুলের মতো করোনা গনের চীনের উহানে আক্রমন আনে দুই হাজার উনিশ সালের ডিসেম্বর মাসে। বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস মেহমানদারি অত্যন্ত সক্রিয়ভাবে করা শুরু করে দিয়েছেন যখন কদম ফুল বাংলার আকাশে বাতাসে। এই ভাইরাস যখন গনের চীনের মানুষকে হতাশায় ফেলে দিয়েছে তখন পৃথিবী তাদেরকে নিয়ে মজা করায় ব্যস্ত। এখানকার আলেম সমাজের কাছে তখন ওহী আসতে শুরু করে দিয়েছে যে চীনে মহান আল্লার গজব নাযিল হয়েছে। তাদের মতে আল্লার আর কোনো কাজ নাই— গজব আর রহমত বর্ষন
শিক্ষা এক সম্পর্কের নাম
শিক্ষা এক সম্পর্কের নাম। চিন্তার সাথে চিন্তার, চিন্তার সাথে বস্তু জগতের সম্পর্ক [কাআ তরুবর পাঞ্চ বি ডাল]। ইন্দ্রিয় প্রতিনিয়ত শিক্ষার প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। প্রতিটি প্রশিক্ষণকে ইন্দ্রিয় ধরে রাখতে পারে না। যে শিকার অনূভুতি ব্যক্তির চেতনাঘরে স্থায়ী সদস্যপদ লাভ করে তাই মূলত শিক্ষা। ব্যক্তি তো একটি কাভার যা চিন্তার গ্যাস দ্বারা পরিপূর্ণ, পরিপূর্ণভাবে চালিত। তাই তরুণ চিন্তাসমষ্টি অর্ফে শিক্ষা প্রাণিকে পরিবর্তন করে আলতো আলোয়, সবুজ সরোবরে। শিক্ষা সাগরের জলের মতো প্রতি মুহূর্তে আধুনিক। সদস্য অতীত আর অতিথি বর্তমানকে নিয়ে সে ভবিষ্যতের স্বপ্ন বোনে, বনসাই বুনন। শিক্ষার বড় যোগ্যতা হলো সে নেতা হওয়ার ক্ষমতা রাখে। কারণ সেই প্রভাবিত করে চেতনে -অবচেতনে। দারুণ নিদারুন প্রভাবক। অন্যভাবে বললে শিক্ষা হলো একটি সাবান; যে ধৌত করে, ধৌত হয়। একসময় ব্যক্তিকে সতেজ করে এবং পরিপূর্ণ পূর্ণ করে
আদম, হাওয়া আর সিসি ক্যামেরা
আল্লা ফেরেশতা বানাইলেন। ফেরেশতার ভালো কাজ ব্যতীত অন্য কোনো প্রকার কাজ করার ক্ষমতা নেই। আল্লার সামনে শয়তান নিজের অবস্থান শক্তিশালী করে। শয়তানেরও খারাপ কাজ ব্যতীত অন্য কোনো কাজ করার ক্ষমতা নেই। আল্লা মানুষ বানাইলেন যারা সবকিছু করতে পারে— ভালো কিংবা মন্দ অথবা মন্দ ভালো। তাইতো আদম-হাওয়া পরাধীন জীবন পছন্দ করে না, পছন্দ করে না সি সি ক্যামেরা। বেহেশতে সি সি ক্যামেরা আছে— যাকে সবকিছু করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে সে কী নিষেধ মানে! হাওয়া-আদম গভীর প্রেমে ব্যস্ত— তার পাখনায় তার পালক, তার পালকে তার রক্তের স্পন্দন। সি সি ক্যামেরায় তাদের দেহজ প্রেমবাক্য রেকর্ড হয়। আল্লা তাদের ডাকলেন এবং স্বাধীন ভূমি পৃথীবিতে পাঠাইলেন। আদম স্বাধীন মনে কান্দে কেউ তাকে সান্ত্বনা দিতে আসে না, হাওয়া চোখের জলে বুক ভাসায়— কেউ টিসু প্যাপার নিয়ে হাজির হয় না। পৃথিবী
মা হোক সন্তানের প্রধান পরিচয়
সন্তান যখন পৃথিবীতে আসে মাদের রাতদিন বলে কিছু থাকে না— একটাই দিন থাকে— সন্তানদিন। সন্তান হাসলে মা হাসেন, সন্তান কাঁদলে মা কাঁদেন, সন্তান ঘুমালে মা ঘুমানোর স্বপ্ন দেখেন, সন্তান জেগে থাকলে মা জেগে থাকেন। বীর্য থেকে ব্যক্তি হওয়া পর্যন্ত যতবার সন্তানের পরিবর্তন সাধিত হয় ততবারই মায়ের পরিবর্তন সাধিত হয় দৈহিক ও মানসিকভাবে। সন্তানের পরিবর্তন চোখে পড়ে কিন্তু মায়ের পরিবর্তন সমাজের পর্দায় ঢাকা পড়ে যায়। যখন সন্তান মায়ের পেটে আসে তখন সন্তানের জন্মদিন, মায়ের পেট থেকে যখন সন্তান পৃথিবীতে আসে তখন মায়ের জন্মদিন আর সন্তানের প্রথম মৃত্যুদিন। মায়ের সাথে সন্তানের সম্পর্ক যত গভীর ততোধিক গভীর সম্পর্ক আর কারো সাথেই থাকে না। অথচ সন্তানকে পরিচিত হতে হয় বাবার পরিচয়ে। বিষয়টি কৃত্রিম ও অবৈজ্ঞানিক। দশ মাস একটা পাথরের সাথে থাকলেও পাথরের গুনাবলি ব্যক্তির মধ্যে স্থানান্তরিত হবে। আর
আমার সোনার বাংলা
‘ভালোবাসা’ শব্দটি প্রথম সাহসের সাথে উচ্চারন করেছিলাম প্রাইমারি স্কুলের মাঠে লাল-সবুজ পতাকার নিচে— আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি। বাংলা মানে তখন কেবল আমার পরিচিত কয়েকটি গ্রাম। বয়স বাড়ে— বাংলার আয়তনও বাড়তে থাকে। একসময় বাংলার আয়তন মানে বাঅনবাইরা ও ঢাহা। এখন যখন লোকে বলে আমি বড় হইছি (বয়সে) তখন বাংলার ধারনাও আমার কাছে কেবল বাংলাদেশ নয়— বাংলা মানে বাংলা ভাষার প্রতি প্রীতিবোধ আন্তরিকভাবে ধারন করে এমন জনগোষ্ঠী। এখন দেখি ছোট কালে যে ‘ভালোবাসি’ শব্দটি সাহসের সাথে উচ্চারন করেছিলাম সেখানে সাহস ছিল না, ছিল অজ্ঞতা, ভন্ডামি, ভয়ভীতি। কারন আমি যে জেনে গেছি সন্তান কখনো মাকে ভাগ করতে পারে না— আর ভাষা তো আমাদের মায়েরও মা…
একটি লেনদেনের হিসাব
একদিন জীবনানন্দ দাশ কইলেন পৃথিবীর নাকি গভীর অসুখ। কথাটা শুনে অনেকক্ষণ আমার মন বিষন্ন ছিল। ইন্টারমিডিয়েটে যখন কাজল স্যারের অর্থনীতির ক্লাস করতাম তখন তিনি আমাদের বিশ্বাস করাতে বাধ্য করতেন বাংলাদেশের চেয়ে গরীব রাষ্ট্র আর হতে পারে না— কিছু দিনের মধ্যে বাংলাদেশ দেউলিয়া হয়ে যাবে। স্যারের ক্লাস করার পর আমার আর কোনো ক্লাস করার ইচ্ছা থাকতো না। সাইকেলের তালা খুলে সোজা বাড়ি চলে যেতাম। বাড়ি গিয়ে ফ্রেশ হয়ে লাঞ্চ করে এক ঘুম। ঘুম থেকে ওঠে সান্ধ্যকালীন হাওয়া মাথায় ঢুকার পর স্যারের ক্লাস নির্দ্বিধায় ভুলে যেতাম। কিন্তু এখন দেখি বাংলাদেশ অনেক ধনী রাষ্ট্র। ডেসটিনি হাজার হাজার কোটি টাকার আমানত নিয়ে দূরে কোথাও চলে যায়— বাংলাদেশের মানুষের কিচ্ছু হয় না। হলমার্ক কেলেঙ্কারিও হাজার কোটি টাকার হিসাব— তাও বাংলাদেশের মানুষের এক কেজি ইলিশ চার হাজার
রোগ আর আরোগ্যের আলাপ
আমি। একটা সময়। খুব অসুস্থ থাকতাম। অসুস্থতা বলতে বড় ধরনের কোনো রোগ না। খুচরো রোগ। বারো মাসের মধ্যে চব্বিশ মাসই আমার ঠান্ডা লেগে থাকতো। পারত আমি এলোপ্যাথী চিকিৎসা করি না, হোমিওপ্যাথিতে আমি আস্তিক। একবার আমার জ্বর হয়েছিল। খুব জ্বর। একশত চার ডিগ্রি। তারপরও আমি এলোপ্যাথী চিকিৎসার কাছে বায়াত গ্রহন করেনি। হোমিও চিকিৎসা আমার মুর্শিদ। হোমিও কখনো রোগের চিকিৎসা করে না, হোমিও রোগীর চিকিৎসা করে। রোগীর চিকিৎসা বলতে মানসিকতার চিকিৎসা। হ্যাঁ আমি বলতে চাই বনের বাঘে মানুষকে খায় না মনের বাঘেই খায়। বনের ক্ষুধার্ত বাঘ যে মানুষকে পেলে খাবে না এমনটা না, পেলে অবশ্যই খাবে। রোগ মানে মানসিকতার বিশৃঙ্খলা। ঔষধ মানেও বিশৃঙ্খলা, প্রাকৃতিক বিশৃঙ্খলা। প্রাকৃতিক বিশৃঙ্খলাকে শারীরিক বিশৃঙ্খলা ধবংস করার জন্য পাঠানো হয়। যদি দুটি বিশৃঙ্খলা সমজাতীয় হয় তখন একটি আরেকটিকে বিকর্ষন করে মানে