যা সহজ তা যখন আমরা সহজভাবে মেনে নিতে পারি না তখনই আমরা নিজের কাছে নিজে বিরক্তিকর হয়ে উঠি। প্রথমে সকাল দুপুর রাত নিজের মানসিক স্বাস্থ্যে চলে অবিরত অত্যাচার। তারপর আশেপাশের মানুষের উপর তার প্রভাব পড়তে আরম্ভ করে। যে মানুষ নিজের কাছে নিজে বিরক্তিকর তাকে অসীম ভালোবেসে দেখুন সে আপনার ভালোবাসা বমি করে দিবে, আপনাকে হেনস্তা করবে ঠিক আপনার ভালোবাসার সামনে। ভালোবেসে দেখুন একটি কুকুরকে, দেখবেন আপনাকে ভালোবাসাময় করে তুলার জন্য বৃষ্টির রাতেও ঠিক আপনার ছায়ার পাশে কায়া হয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে। কেউ কেউ আপনার সাথে মিশবে শতসহস্র আন্তরিকতা নিয়ে এবং গোপনে সিসি ক্যামেরা ওপেন করে রাখবে, হঠাৎ করে একদিন আপনি জানতে পারবেন আপনি যার সাথে আন্তরিকভাবে মেলামেশা করছেন সে আসলে মানুষ নয়, আধুনিক সিসি ক্যামেরা যে আপনার গতিবিধি নোট করছে। এইসব সিসি ক্যামেরাকে প্রোগ্রামভেবে পরিবর্তন
বৈঠক ঘর
আফালের মাছ [ ৪ ]
সাধারন এমন অসাধারন যে চোরকে মারে কিন্তু সন্ত্রাসকে ভয় পায় সাপের বিষদাঁত তুলে নিতে হয় সাপকে মারার জন্য নয় সাপ যাতে মারতে না পারে সেইজন্যে ফুল, ফুল হওয়ার জন্য গন্ধ ও সৌন্দর্য বিলায় না, গন্ধ ও সৌন্দর্য বিলায় বলে তার নাম ফুল ফেরেশতা স্বাধীনতা চাইলে শয়তান হয়ে যায় বলাকা একটি ব্লেডের নাম দীর্ঘশ্বাসের পৃথিবী হয় নীল নয় লাল The world of high exhale either blue or red জুতা নির্বাচনে আর সঙ্গ নির্বাচনে খুব বেশ চোজি হতে হয়। দুটাই চলার মিহি গতিতে থামিয়ে দিতে পারে কিংবা জীবনের গতিতে করতে পারে মসৃণ বেগবান ইবাদত করে আল্লাকে যদি পাওয়া যেতো রিক্সাচালক হতো পৃথিবীর একমাত্র টাকাওয়ালা। টাকা দিয়ে যদি আল্লাকে পাওয়া যেতো রিক্সাচালক হতো পৃথিবীর একমাত্র গরীব। কেউ যখন কোনো বিষয়ে ভালো জানে তখন
ভাবিলেও পৃথিবী চলিবে, না ভাবিলেও চলিবে
থাকি জিয়া হলে। জিয়া হলে থাকি বলে আপনারা ভাববেন না এখানে জিয়া সৈনিকদের বাড়িঘর। বাংলাদেশ তো। তাই পুরাই উল্টা। জিয়া হলে বঙ্গবন্ধু সৈনিকের একচেটিয়া আস্তানা। মজা পাবেন একটি কথা শুনলে— আমাদের হলের যিনি প্রভোস্ট তার নামও জিয়া। আমার রুমের পাশেই মহাসড়ক। মহাসড়কে চব্বিশ ঘন্টা গাড়ি চলে! আর আমাদের মাথার ভেতর চলতে থাকে পু পা বে বো। গরুর নতুন শিং ওঠলে যেমন সবারে গুতা দিতে চায় তেমনি বাংলাদেশী ড্রাইভাররা সারাজীবন শিংধারী নতুন গরু থাকিয়া যায়। সাবেক বছর এমন দিনে আমার ঠান্ডা লাগে। আমার স্মৃতিশক্তি বলে নাই, বলিয়াছে ফেইসবুকের on this day appsটি। ইতিহাসের কী মহান কুদরত এমন দিনে আবারও আমার শরীর ঠান্ডার কবলে পড়িল। সামনে বিশাল কাজ। শরীরে ঠান্ডা থাকিলে হইবে না। তাই ঠান্ডার কৃষ্ণলীলা দূর করিবার মিশন হাতে নিলাম। এক ডাক্তার ভাইকে ফোন
দরিদ্রতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ
প্যান্ডোরার বক্স দুঃখের জন্মভূমি। এই বক্স খোলা হলে পৃথিবী প্রথমবারের মতো দুঃখের সাথে পরিচিত হয়। আজ পর্যন্ত দুঃখের শাষণ চলছে, শোষণ মেনে নিচ্ছি আমরা। মেনে নেয়াতে আনুগত্য থাকে, মুক্তি থাকে না। অনেকে হয়তো গোপনে তার সাথে টেবিলের নিচের কাজটি সম্পূর্ণ করেছেন। নতুবা এতদিন জনাব দুঃখ টিকে থাকেন কীভাবে? আমরা এর প্রমাণও পাই— হে দারিদ্র, তুমি মোরে করেছ মহান। তুমি মোরে দানিয়াছ খ্রীস্টের সন্মান কণ্ঠ-মুকুট শোভা দিয়াছ, তাপস, অসঙ্কোচ প্রকাশের দুরন্ত সাহস আহারে! দরিদ্রতা নিয়ে কী রোমান্স। বিকশিত হওয়ার অনেক মাধ্যম বিদ্যমান। দরিদ্রতা প্রধান মাধ্যমে কেন? বরং দরিদ্রতা মানসিক বিকাশের পথে প্রধান অন্তরায়। যাদের নুন আনতে মজুদকৃত পান্তা ফুরিয়ে যায় তারা জানে না সাগরের ইলিশের স্বাদ কেমন। আর আকাশের তারা, শেকড়বিহীন বটবৃক্ষ, সাপ প্রভৃতি তো তাদের দেবী, দেবতা, যাকিনা অনেকের কাছে গ্রহ-উপগ্রহটির, বৃক্ষ, প্রাণি। অর্থনৈতিক
মারামারি-গলাগলি
এই জীবনে অনেককেই অপছন্দ করি কিন্তু কাউকেই শত্রু ভাবি না। কাউকে শত্রুভাবার শিক্ষা আমাকে দেয়া হয় নাই। ছোটকালে অনেক শয়তানি করতাম কিন্তু মারামারি করি নাই। নিরীহ কারনে আমার মামাতো ভাইয়ের সাথে মারামারি করতাম। সকালে মারামারি করলে দুপুরে গলাগলি করে গোসল করে একসঙ্গে খাবার খেতে বসতাম। তাই আমাদের মারামারি ছিল আমাদের সম্পর্কের আরেকটি অবিচ্ছেদ্য অবয়ব। কখনো যদি বাইরের কারো নামে আব্বার কাছে বিচার দিতাম আব্বা উল্টো আমার বিচার করতেন। আব্বা বলতেন, ‘কাডে গুনে ধরলে গুনের দুস নাই দুস কাডের।’
আফালের মাছ [ ৩ ]
এই পৃথিবীর অনেক চিপাচাপাকে মহৎ করেছে প্রেমিকজুটি যারা এখনো আকিজ আর পাতার বিড়ি খায় তারাই বাংলা ভাষা ও বাংলা জীবনের রিয়েল প্রতিনিধি ব্যক্তি মানুষের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা অভিজ্ঞতা। অভিজ্ঞতা থেকে অনুমানের জন্ম। অনুমানের আবিষ্কারের ফলে আমরা রূপক, উপমা, প্রতীক, চিত্রকল্পের খোঁজ পাই। উপমায় যে তুলনা করা হয় তার অর্থ বহুবিধ হয়, হতেই পারে। প্রতীকও একধরনের উপমা। তবে তার চিহ্নিত অর্থ আপাতত নিদিষ্ট। কিন্তু চিত্রকল্পের মতো সরাসরি নিদিষ্ট নয়। চিত্রকল্প হলো মনের কচিকাচা তরুলতা। প্রিয়তমার মতো আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থাকে। উপমা, রূপক উল্লম্ফনে বেচেঁ থাকে। নিজেকে ছড়িয়ে দেয় চেনা-জানা পরিবেশের পরিবেশনের মোহনায়। রূপকের অর্থ উদ্ধারের জন্য চঞ্চল সচেতন প্রয়োজন। তাইতো রূপকের বসবাস জ্ঞানীদের শহরে, শহরের দরজায়। সবুজ মাঠ হারিয়েছে তার প্রেমিক রাখালকে, প্রেমিক প্রেমিকা মারা গেলে পৃথিবী মারা যায় অর্ধেক নদীতে হাতুর
সেলিম আল দীনকে চিঠি
সেলিম আল দীন, বন্ধু আমার, কেমন আছো? নিশ্চয় ভালো আছো। তোমারই তো ভালো থাকবার কথা। তোমার তো আর ভালো থাকতে পয়সা লাগে না। আমাদের ভালো থাকা অবশ্যই পয়সা দিয়েও হয় না। এখন চলে টাকার হিসাব। আজিজের এক কাপ চা পনেরো টাকা, হাকিমের লেবু মিশ্রিত এক কাপ গরম পানিও পাঁচ টাকা। তোমারই তো ভালো থাকবার কথা। তোমাকে তো আর বাংলা বিভাগে পড়তে হয় না, যেখানে চলে ঠোঁট টু কলমস্থ বিদ্যার বাহার, সৃষ্টিশীল উত্তর লেখা যেখানে নিয়মতান্ত্রিক অপরাধ। বন্ধু জানো, তোমার গুরুত্ব অনুধাবন করেছে বাংলা বিভাগ। বাংলা বিভাগের সিলেবাসে এখন দেখা মিলে রুস্তম, ইদল হক, লাউয়া কন্যাদের সমাহার। রঙ্গমঞ্চে দেখতে পাই তোমার বেদনার অভিসার। এসো একবার বাংলা বিভাগের করিডোরে, দেখবে বনশ্রী মালা, ডালিমনের চমৎকার প্রামাণিক হালচাল। বনশ্রী বালা, অনেক বছর পর তোমার দেখা পেলাম, তোমার মনে যে আয়াত নাযিল হয়
আফালের মাছ [ ২ ]
প্রেমিকার মন প্রেমিকের যুদ্ধক্ষেত্র Mind, the mind of girlfriend is the battlefield of the boyfriend নেই শব্দটি সাধকের কাছে থাকলে ফসল ফলে, নেই শব্দটি বোকার কাছে থাকলে ভিক্ষুকথালা ফলে কত বিমান চোখের সামনে দিয়ে উড়ে যেতে দেখি, তারপরও রেজা ভাই কেবল চিল হতে চায়— আকাশের উপরে আকাশ বউকে ধর্ষন করেও মিলন বলে চালিয়ে দেয় বাড়ি বলতে আমরা যা বুঝি মূলত তা বাড়ি নয়। এটি একটি বসবাসের জায়গা যেখানে কেউ বসবাস করত এবং কেউ বসবাস করবে। প্রত্যেক ব্যক্তির নিজস্ব বাড়ি তার শরীর। এই বাড়ির একমাত্র বাসিন্দা ব্যক্তি নিজেই। বাড়িটির পাহারাদারের নাম মন। মন যতদিন তার দায়িত্ব যথার্থভাবে পালন করে ততদিন বাড়িটি নিজ মহিমায় অবস্থান করে। বাড়িওয়ালা আর পাহারাদারের মধ্যে একটি অভেদ্য সম্পর্ক আছে। এই অভেদ্য সম্পর্কের নাম প্রেম। প্রেম আদি, প্রেম
আফালের মাছ [ ১ ]
সমাজে অপরাধী থাকে না, অপরাধীরা সমাজ বানায়, দেশে ক্রিমিনাল থাকে না, ক্রিমিনালরা দেশ বানায়। আমি অপরাধী প্রভু, তোমার বিপুলা পৃথিবীকে খন্ড বিখন্ড বিভক্ত করতে করতে দেশ কাল সমাজ নামক দেয়াল আর দেয়ালের সংবিধান রচনা করেছি। পৃথিবীর সব শোষিত গাধা কখনো এক হয়ে কাজ করতে পারে না কারন তারা গাধা যারা সম্পদ জমানোর চেষ্টা করেছে ইতিহাস তাদের মনে রাখে নাই, যারা নিজেকে অর্থময় করে তুলার চেষ্টায় ছিলো আজ তারা ইতিহাসের সম্পদ রাজপ্রাসাদের পাখি কখনো রাজা হয় না— রাজপ্রাসাদের অলংকার হয় মাত্র অন্ধকার তীব্র হলে মোমবাতির আগুনও কাজে লাগতে শুরু করে, অন্ধকার আরো তীব্র হলে দিয়াশলাইয়ের কাঠি হয়ে ওঠে মানুষের আরেক নাম বিদেশ থেকে গাছ এনে দেশের মাটিতে রোপন করলেই সেই গাছ দেশী হয়ে যায় না দুর্দিন মানুষের আসে না— সুদিন
সমস্যা সমাধানের চর্চা
লখা ও চণ্ডী ঝগড়া লাগে। তাও খাবার নিয়া। কুবের নির্লিপ্ত। তাদের ঝগড়া সমাধান করতে আসে না। কারন কুবের মনে করে কাড়াকাড়ি করে জীবনে নিজের অবস্থান সক্রিয় রাখতে হয়। গণেশ চায় সাময়িক সমস্যার স্থায়ী সমাধান, কুবেরও চায়। কিন্তু কুবের খুব করে চায় তার সন্তান যেন সমস্যা সমাধানের চর্চার মধ্য দিয়ে বেড়ে ওঠে। কুবের মনে করে একদিনের সমস্যা সমাধান করে দিলাম মানে এক বেলার খাবারের জন্য একটি মাছ দিলাম, আর সমস্যা সমাধানের জন্য যদি তারা একটি পদ্ধতি আবিষ্কার করতে পারে তাহলে তারা বড়শি পেয়ে গেলো। আমাদের কুবের নেই বললেই চলে। গণেশদের সংখ্যাই বেশি যাদের হৃদয়ে হুজুগে দয়া, ভালোবাসার ঘাটতি নেই। ফলে দেখা যায় অভিভাবক পৃথিবী থেকে বিদায় নেয়ার পর সন্তান পড়ে কঠিন বিপাকে। কারন উত্তর দক্ষিন কিচ্ছু চিনে না। আর যতটুকু চিনে তাও অভিভাবকের চোখ