জনম দুঃখী প্রকৃতিকে দেখতে খুব ভালো লাগে। কারন মাইনাসে মাইনাসে প্লাস। আনন্দের কোনো ঘর বাড়ি নাই, দুঃখের বসত ভিটা আছে। কুকুরের কোনো দুঃখ আছে বলে আমার মনে হয় না। কুকুর প্রভুকে খুব তেল দিতে পারে। তেল খেয়েও প্রভু মাঝেমাঝে রাগের ভান করে, আসলে প্রভু কুকুরের প্রতি বিশেষ সন্তুষ্ট থাকে। আজকে হলের সামনে একটি নারী কুকুর ও একটি পুরুষ কুকুর দেখলাম। তারা বেশ আনন্দে আছে। বিবাহ ছাড়া তারা রাত্রিযাপন করতে পারে। তারা আনন্দে থাকবে না তো মানুষ আনন্দে থাকবে? বাবা কুকুরের কাজ কেবল বীর্য দান করা, মা কুকুরের কাজ কেবল একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বাচ্চাকে দেখাশোনা করা, তারপর প্রত্যেকের নিজস্ব জৈবিক জীবন। কুকুর দুটি অনেকক্ষন ধরে প্রেম খেলায় মত্ত। কুকুর ফেইসবুকের ইনবক্সে প্রেম করে না, তাদের প্রেম সরাসরি শারীরিক। কুকুর পরিবারে পরকীয়া প্রেম বলে
বৈঠক ঘর
ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক
আমার দুই বন্ধু। আমরা তিনজন হাঁটছি। তারা দুইজন কথা বলছে। একজন ব্যবসায়ী। একজন সমাজ সেবক। ব্যবসায়ীজন বলছে— আমার মাথায় একটা আইডিয়া আসছে। কী? এই শহরে ত অনেক রিক্সা আছে। হুম। রিক্সার পেছনে আমার কোম্পানির বিজ্ঞাপন দিয়ে দিলে সারা শহরে আমার বিজ্ঞাপন ছড়িয়ে যাবে। এত সহজে ও সস্তায় মূল্যবান বিজ্ঞাপন দেয়ার আর কোনো উপায় নেই। সমাজ সেবকজন এবার বলে— আমার মাথায় একটা আইডিয়া আসছে। কী? অনেকের ওড়না বাহনের চাকার সাথে প্যাঁচ খায়। তাই রিক্সার পেছনে লিখে দিতে পারি 'আপনার ওড়না চাকা থেকে সাবধানে রাখুন'। ভালো আইডিয়া। তারপর ব্যবসায়ীজন আবার বলে— আরও একটি কাজ করা যায়। কী? রিক্সার পেছনের অংশকে দুটি ভাগ করে একটি ভাগে আমার কোম্পানির বিজ্ঞাপন আরেকটি ভাগে ওড়নার কথাটা বললে কেমন হয়? ভালো হবে। ব্যবসাও হবে আবার সমাজ সেবাও হবে। আমি কান পেতে শুনছি আর হাসছি। কারন সমাজ সেবা যখন থেকে ব্যবসায়ীদের হাতে
হায়রে মধু
আমার বোতলে যে মধু ছিল আজকে তাকে পরিপূর্নভাবে শেষ করলাম। মধুটা জেনুইন। গাছ থেকে সরাসরি সংগ্রহ করা। আমার ভাই সংগ্রহ করে দিয়েছিলেন। প্রতিদিন মধুকে দেখতাম আর আস্তে আস্তে খেতাম। ইচ্ছা করলে তিন মাসেই খেয়ে শেষ করতে পারতাম। করি নাই। ভালো কিছু আস্তে আস্তে খাওয়া উত্তম। আবার নতুন মধু আসবে আমার ঘরে। এই মধু আরও ভালো হবে। কারন এইবার নিজেই মৌয়াল হবো, নিজেই মধু সংগ্রহ করবো। জীবনের জন্য যা কিছু উত্তম তা চয়েজ করতে ভাই কেন বাবার উপরও নির্ভরশীল হওয়া উচিত নয়। বোতলের মধু তোমাকে বিদায়! আমার মধু তোমাকে স্বাগতম!! আমি জানি আজ সকাল থেকে মৌমাছি উড়তে শুরু করবে ফুলে ফুলে। কেবল আমার জন্য। আমি মৌয়াল হবো— এই আনন্দে মৌমাছি উড়বে। আমি নিজে মৌপর্না থেকে মধু নিয়ে আসবো— এই আনন্দে মৌমাছি উড়বে। মৌমাছি আর আমার
পরিচয় মানে ধর্ম পরিচয় নয়
আজ মানে বৃহস্পতিবার। আজ মানে আর এক সপ্তাহ। আমার পাশে বসা মিষ্টি। আজ সে আমার পাশে বসা। গতকাল সে আমার পাশে ছিল না। আগামীকালও সে আমার পাশে থাকবে না। গতকাল যে আমার পাশে ছিল তাকে যেমন করে অনুভব করতে পারি আগামীকাল যে আমার পাশে থাকবে তাকে তেমন করে অনুভব করতে পারি না। গতকাল আর আগামীকালের মাঝে আমিকাল বরাবরই নিয়তি হয়ে যায়। নিয়তি ঠিক নয়— বলা যায় সময়নিষ্ঠুরতা। সময়নিষ্ঠুরতা যতবার উপলব্ধি করেছি ততবার নাজিম হিকমতের কয়েকটি লাইন আমাকে জাপটে ধরেছে ‘বাতাস আসে বাতাস যায় / চেড়ির একই ডাল একই ঝড়ে / দুইবার দোলে না।’ এক সপ্তাহ পর আমরা কেউ আর ক্লাসে বসবো না। ক্লাস হবে। জেলখানার মতো নিয়মকানুন ঠিকঠাক চলবে। এক সপ্তাহ পর আমরা কেউ আর জেলখানায় থাকবো না। অনেক কালো টিপ আর
শীত আর সূর্যের আদরে যে গাছ বেড়ে ওঠে…
আমাদের ভানুসিংহের আক্ষেপ ছিল মাঝে মাঝে তার দেখা পায় চিরদিন কেন পায় না। চিরদিন যারে পাওয়ার ইচ্ছা তার দেখা মাঝে মাঝে পাইলেই বেটার। শীত আর সূর্যের আদরে যে গাছ বেড়ে ওঠে তার পুষ্টিমান অনেক ভালো। তাইতো প্রতিদিন নিয়মতান্ত্রিক ব্যস্ততার মধ্যে যখন একদুইদিন ছুটি পাওয়া যায় তখন স্বাভাবিকভাবেই আলিফ লাইলার সিন্দবাদ হয়ে রাতের জলে জাহাজ ভাসাতে ইচ্ছা করে এবং বাস্তবায়নও করি। এখান থেকে সেখানে, সেখান থেকে এখানে— এমন করে রাতজাগাপাখি হয়ে ছুটি উপভোগে ব্যস্ত কতিপয় বিন্দুবোধের দল। আমরা যারা বিন্দুবোধের সদস্য তারা তাবৎ পৃথিবীর তাবলিক রাতের জলে ভাসা জাহাজে নিয়ে আসি, আর বাতাসের স্রোতে ভাসিয়ে দেই আমাদের বিশ্লেষন। আজকে কথা হচ্ছিল সার্বিয়া নিয়ে, কথা হচ্ছিল জেনেভা ক্যাম্প নিয়ে, কথা হচ্ছিল ওমর মুভিটি নিয়ে যেখানে প্রেমিক দম্পতি বাংলাদেশ হানিমুনে আসার ব্যাপারে হাস্যরসের কারখানায়, কথা
সংগঠন, সম মানসিকতার মিলন
সংগঠন। সম মানসিকতার দুই বা ততোধিক মানুষ যখন কোনো নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে মিলিত হয় তাই সংগঠন। সংগঠনের জন্য আর্থিক বিষয় মুখ্য নয়, আবার মুখ্য। কারন অর্থের তরলমান অনেক জায়গায় প্রয়োজন হয়, আবার অনেক ক্ষেত্রে আবশ্যক হয়ে পড়ে। সংগঠন তারাই করে যারা সমাজের অন্য আট দশজন থেকে আলাদা। সংগঠনের অনেক কাজ থাকতে পারে কিন্তু সংগঠনে তৎপর লোকটির প্রধান গুন আত্মমর্যাদাবোধ। ইন্টিগ্রিটি সেন্স না থাকলে সংগঠন করা যায় না, মূলত ইন্টিগ্রিটি সেন্স থেকে একজন মানুষ সাংগঠনিক মানুষ হয়ে উঠে। একটি মাজারের খাদেম আর সাংগঠনিক মানুষটির মধ্যে অবশ্যই কিছু নীতিগত পার্থক্য থাকবে। খাদেম বাজার খুলে বসে আছে মানে টাকা আসবে, যে কেউ তার মাজারে গরু ছাগল মহিষ ভেড়া উপহার দিতে পারবে। একজন সাংগঠনিক মানুষ কখনো বাজারের খাদেমের মতো অন্যের কাছে অর্থ প্রত্যাশা করতে পারে
ধর্ষণ, সুবিচার ও মাও সেতুং
বেইজিং গনপ্রজাতন্ত্রী চীন সরকারের অধীনে সরাসরি কেন্দ্রশাসিত পৌরসভা হিসেবে পরিচালিত। বেইজিং কথাটির অর্থ ‘উত্তরের রাজধানী’। মহানগর এলাকার ভেতর দিয়ে হাই নদী ব্যবস্থার অনেকগুলো উপনদী প্রবাহিত হয়েছে, যাদের মধ্যে ছাওপাই নদী ও ইউংতিং নদীর কথা উল্লেখযোগ্যভাবে বলা যায়। বেইজিং সুসংহতভাবে গঠিত নয়; এখানে গ্রামীন বসতি ও স্থাপনার আধিপত্যই বেশি। প্রাদেশিক মর্যাদাবিশিষ্ট বেইজিং ষোলটি পৌরজেলা, উপ-পৌরজেলা এবং গ্রামীন জেলা নিয়ে গঠিত। ১৯৫০ সাল। ১৯৫০ সালের বেইজিংয়ের কথা। ১৯৫০ সালের বেইজিংয়ের একটি গ্রামের কথা। ১৯৫০ সালে বেইজিংয়ের একটি গ্রামের একটি ধর্ষিত মেয়ের কথা। চেয়ারম্যান তখন মাও সেতুং। বলা হয়ে থাকে মাও সেতুং কোনোদিন দাত মাজতেন না। কারন হিসাবে তিনি বলতেন বাঘের কথা। বাঘ নাকি দাত মাজে না। চেয়ারম্যান তখন মাও সেতুং। একটি মেয়ে উদাম মাঠে গণধর্ষণের কবলে পড়ে! মেয়েটি আস্ত শরীর নিয়ে বাড়ি ফিরে কান্না অভিমান
প্রতিযোগিতার অসীম গোলক ধাঁধাঁ
স্কুলে ভর্তি হওয়ার সাথে সাথে শিশুর হাতে বই ধরিয়ে দেয়া হয় না, দেয়া হয় প্রতিযোগিতার অসীম গোলক ধাঁধাঁ। গোলক ধাঁধাঁয় পড়ে প্রথমে শিশুটি তার পাশের শিশুটিকে প্রতিযোগী ভাবতে শিখে। জীবনের প্রথম শিক্ষালয়ে শিশু শিশুর কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার পরিবর্তে কাঁধে অস্ত্র রেখে চলার শিক্ষা লাভ করে। এইভাবে শিশু বড় হতে থাকে, হতে থাকে ব্যক্তিগত, হতে থাকে আপনি বাঁচলে বাপের নাম পরিবারের বাসিন্দা। অপরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ কমতে থাকে। অপরকে যে শ্রদ্ধা করে না সে কখনো পূর্ণাঙ্গ মানুষ হতে পারে না। অপূর্ণাঙ্গ মানুষ আবিষ্কারের কাহিনি মুখস্থ করে, কখনো আবিষ্কারক হয়ে ওঠতে পারে না। আবিষ্কারক হয়ে ওঠার জন্য যে সমতার নীতি প্রয়োজন তা কিছু বিসর্জন দেয় স্কুলে, কিছু কলেজে, বাকি সবটা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে। প্রত্যেক ছাত্র কঠোর পরিশ্রম করে। লাইফটারে একেবারে তেজপাতা বানাইয়া ফেলে। তারপর তারা চাকর
বিয়ে করলে মন ত খারাপ থাকবেই!
অটোতে বসা। দুধ কিনে আনছি। সয়াবিন তেল দিয়া যে বাজারি দুধ বানায় এই দুধ না। রিয়েল দুধ। বিয়ের আগে দুধ খাওয়া উত্তম। বিয়ের পরে দুধ খাওয়া অতি উত্তম। তবে বিয়ের আগে ও পরে রিয়েল দুধ পাওয়া খুবই কষ্টের। অনেক খুঁজতে হয়। অনেক কষ্ট করেও খুঁজে পেলে ভালো। মুরুব্বিদের বলতে শুনছি রিয়েলের এক গুন, আনরিয়েলের আঠারো দোষ। গেইট বাজার থেকে রিয়েল দুধ কিনে আনছি। তরতাজা ব্যাপার স্যাপার। অটোতে আমি আর অটোম্যান। অটো চলছে। অটো থামল। এক লোক উঠে।লোকটির দিকে তাকিয়ে কথা বলার ইচ্ছা হল। আপনার মন খারাপ? লোকটির আমার দিকে মিটমিট করে তাকায়। আপনি বিয়ে করেছেন। (রাস্তার পাশেই তার বাড়ি। অটোতে উঠার সময় তার চেহারায় বউয়ের সাথে ঝগড়া করার ছাপ)। হুম। বিয়ে করলে মন ত খারাপ থাকবেই। কেন? স্বামী চায় বউ তাকে যেন বুঝে, বউ চায় স্বামী যেন তাকে বুঝে,
আফালের মাছ [ ৭ ]
রিক্সাওয়ালা ভাসমান রেকর্ডার সবাই যখন কথা বলে সবপাশ মাতাল করে রাখে নিজেকে তখন নিতান্ত গরীব কথার মানুষ মনে করতে থাকি। কৃপন স্বভাবও কিন্তু আমার নেই। ব্যাংকে আমি কথা জমা রাখি না। আজকাল কথা শুনতেও ভালো লাগে না। আমি মনে হয় গাধার মতো চুপ থাকতে শিখেগেছি দুর্বলের মতো গর্জন করবো বলে। শুনেছি দুর্বলের গর্জন নাকি অনেক সুন্দর, অনেক শক্তিশালী। যা দেখা হয় তা মনেই দেখা হয়, চোখ তো কেবল দেখার উপায় মাত্র ইতিহাস সত্যের কবর, সত্যের জন্য কোনো হাশরের ময়দান নেই History is the grave of the truth, no meadow be found for the truth প্রিয় ফুলের গান শুনতে চাই না, কবরে থেকেও ফুলের ঘ্রাণ পেতে চাই Dear not eager to listen a song on flower, burning need to have odor of flower even in