হুজুর আর খেজুর মরুভূমিতে ভালো জন্মে For the sex you can get easily a lot of terrible sources, for the love you can get something a less than the want, for the better living for the sake of soul touch they are rare and you are rare too— Nature gives you something by giving you nothing মশাকে যতই গালি দেই না কেন আমরা, মশা তার দায়িত্ব সম্পর্কে শতভাগ সচেতন চালাক নিজেকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, বুদ্ধিমান অন্যকে আলোকিত করে। কারন চালাক থামতে জানে না, বুদ্ধিমান পরাজয়ে হাসতে জানে। মানুষ অরক্ষিত প্রাণী। মানুষের শিং নেই, বড় বড় নখ নেই, ধূলিকণা থেকে রক্ষার জন্য শরীরচুলও তেমন নেই, রোগ প্রতিরোধ এন্টিবডিও যে খুব শক্তিশালী এমন নয়। মানুষের একটি শক্তিশালী মস্তিষ্ক রয়েছে। হাজার হাজার বছরের পুরনো
বৈঠক ঘর
রহস্য আসলেই রহস্য
চিড়িয়াখানার পাশেই বোটানিকেল গার্ডেন। খুব সুন্দর। প্রানি দেখা হয়ে গেলে উদ্ভিদ দেখা। খুবই সুন্দর। তবে অনেকেই চিড়িয়াখানা দেখার পর আর বোটানিকেল গার্ডেনে যায় না। ক্লান্ত হয়ে পড়ে। বোটানিকেল গার্ডেন কিন্তু সমস্ত ক্লান্তি দূর করার মতো ক্ষমতা রাখে! চিড়িয়াখানায় আমার ছোট্ট কালে যাওয়ার কথা কিন্তু যাওয়া হয় নাই। যাওয়া যখন হলো তখন জীবনে আর ছোট কাল নেই, বিচার করার মানসিকতা চলে আসে। শিশুরা সুখী কারন তারা বিচার করার মানসিকতা নিয়ে কারো সাথে মিশে না, তারা আনন্দ পাওয়ার বিনিময়ে আনন্দ বিনিয়োগ করে। তারা ভালোবাসতে গিয়ে কেঁদে ফেলে, তারা কাঁদতে গিয়ে ভালোবেসে ফেলে। ফলে জীবন মানে শিশুদের কাছে মাছ ধরা নয়, মাছ দেখা। চিড়িয়াখানায় বাঘের মাংস খাওয়া দেখলাম, দেখলাম সাপের ঘুম, দেখলাম বিরহী বানরকে। সারস ক্রেনকেও দেখলাম। সারস সবুজ ডিম দেয়, বাংলাদেশে সারস পাখি সবচেয়ে বড়
রাখে আল্লা মারে কে?
দ্রাক্ষা। লাক্ষা। উচ্চারণ প্রায় কাছাকাছি। অথচ কত পার্থক্য তাদের আচরণ। দ্রাক্ষা মানে কিচমিচ (vine wilt), লাক্ষা মানে জতু অথবা বড়ই গাছের পোকার বুমি অথবা অলক্ত। মহাভারতে জতুগৃহ নামে এক লোমহর্ষক পরিকল্পনা আমরা দেখতে পাই। পঞ্চপাণ্ডবদের মেরে ফেলার জন্যে জতুগৃহ নির্মাণ করা হয়। রাখে আল্লা মারে কে!? লাক্ষার ভয়ঙ্কর আগুন পঞ্চপাণ্ডবদের ক্ষতিনিশানার কোনো পথ দেখাতে পারেনি। কবিরাজ সাহেবের কাছে এসে জানতে পারি লাক্ষা ও দ্রাক্ষার সাক্ষাৎ পার্থক্য। জানতে পারি মধুর বিশাল এলাকার কথা যেখানে মধু বিভিন্ন উপায়ে মানুষের শরীরে পিএইচডি করে। বাড়িতে মধু রাখতে পারেন। মধু জ্বরের বিপরীতে দারুণ কাজ করে। তবে একটা মজার কথা বলি— আমার একান্ত ব্যক্তিগত অবজারভেশনের ফলে বলছি— পৃথিবীতে যত মধু নামের মানুষের সাথে আমার পরিচয় হয়েছে তারা কিন্তু মানুষের মনের অথবা শরীরের জ্বর বৃদ্ধিতে অত্যন্ত সক্রিয় সহায়ক সরকার
একদিন…
একদিন। গ্লাসের জলে একটি মাছি পড়ে। তার পাখা ভিজে যাচ্ছে এবং সে প্রায় জলে ডুবে যাচ্ছে। তার বেঁচে থাকার তীব্র ইচ্ছা তার ছটফটানিতে দেখতে পেলাম। তার প্রান রক্ষা করলাম। মাছিটি নড়তে পারছে না। তার শরীরে এমন একটি রং দিয়ে দিলাম যাতে হাজার মাছির ভীড়েও আমি তাকে সনাক্ত করতে পারি। সেদিনের মতো মাছিটি উড়ে গেলো। তাকে আমি পোষ মানাতে চাইনি। কারন মাছিকে কেউ পোষ মানাতে চায়না। এখন প্রতিদিন খাবার টেবিলে পৃথিবীর ময়লা নিয়ে সেই মাছিটি হাজির হয়। খাবার নষ্ট করে। আমি তার প্রতি রেগে যেতে পারি কিন্তু রেগে যায় না। কারন আমার কাছে যা ময়লা মাছির কাছে তা খাবার।
আমি কখনো পালাই নাই
বাড়ি থেকে আমি কখনো পালাই নাই। যেহেতু আমি আমার গ্রামের একমাত্র শয়তান ছিলাম সেহেতু বাড়িপালানো আমার জন্য প্রায় স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু এই স্বাভাবিক ব্যাপারটা আমার হয় নাই। এসএসসি পরীক্ষা দেয়ার আগে আমি ঢাকাই গেছি মাত্র দুইবার। তাও আব্বার লগে। একবার বাড়ি থেকে পালানোর উদ্দেশে আমি আর আমার বন্ধু জসীম আশুগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে আসি। কারো প্রতি রাগ করে বা কেউ আমাকে শাষন করেছে এমন কোনো বিষয় ছিল না। কারন একটাই— নায়ক হবো। আমি ত ক্লাস টু থেকে সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমা দেখি। তাই নায়ক হওয়ার বাসনাটা তখন মাথায় ঝেঁকে বসে। সিনেমায় নায়কেরা দেখতাম ছোট কালে পরিবার থেকে হারাইয়া যায় অথবা পরিবার থেকে পলাইয়া দূরে কোথাও চলে যায়। আশুগঞ্জে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছি। আমার বয়স তখন নয়। ট্রেন সিনেমাতে দেখেছি কিন্তু সরাসরি দেখি নাই। প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে
মানুষ নশ্বর আবার মানুষই অবিনশ্বর
জান্নাতের দুটি টিকেট আছে। একটা তোমার, আরেকটি যাকে ইচ্ছা তাকে দিতে পারবে। জান্নাত মানে অফুরন্ত সুখের প্রশান্তির দীর্ঘমেয়াদি আবাস— ফুলের গন্ধে শরীর ডুবিয়ে বসে থাকার মতো নাতিশীতোষ্ণ প্রাসাদ। কাকে দিবে তুমি এই টিকেট? তোমার সাথে যে জাহান্নামে যেতে চায় না তাকে কখনো জান্নাতের টিকেট দিবে না—পুত্র আমার জেনো রাখো তুমি। পুত্র আমার জেনো রাখো তুমি— মানুষ নশ্বর আবার মানুষই অবিনশ্বর— মানুষ কালের সন্তান আবার মানুষ থেকেই কালের সৃষ্টি। মানুষকে জানো চোখ কান নাক মুখ হাত পায়ের সমস্ত অনুভূতি প্রয়োগ করে— মানুষকে জানার কিছুক্ষণ আগেও কোনো ফাইনাল কথা বলবে না পুত্র আমার। মানুষ আগুন বানাবে,মানুষ তোমাকে আগুনে ফেলবে, মানুষ আবার নিজের প্রয়োজনে তোমাকে আগুন থেকে রক্ষা করবে— মানুষ নদীর মতো সাগরে মিশে যাওয়ার লোভে পাড় ভাঙে— ভাঙতে ভাঙতে বেচে যায় নদী। আকাশ ভেঙে মাথায় পড়বে
কথোপকথন [ ২ ]
— বাসুদেব একটা কথা বলবো? — মাধব আপনি আমার সাথে কথা বলবেন, তাও আবার অনুমতি নিয়ে! — না বলছিলাম যে গত রাতে একটা স্বপ্ন দেখলাম। — বাহ, আপনারে স্বপ্ন দেখে পুরো সৃষ্টি, আপনাকেও স্বপ্ন দেখতে হয়, বাহ, বাহ, মাধব। — আচ্ছা, তাহলে বলুন দেখি আপনার স্বপ্নের ধারা। — স্বপ্নে দেখি রাধা মথুরায় চলে এসেছে, তাও আবার বোরখা পরে, রাধার আগমনে আপনার চেহারায় অস্বস্তির মেঘ ☁। — মাধব, তুলসী বনের রাধাকে আমি চিনি, সে ছদ্মবেশ জানে না, তাই তাকে আমি দিয়েছি বিরহ, মথুরায় রাধাকে আমি নিয়ে আসতে পারি, মথুরাকে স্থাপন করেছি রাধার মনে, তাইতো আমি মথুরার রাজা। — বাসুদেবের জয়, জয় গোবিন্দ, আপনি বিরহের শিরোমণি, জয় মুকুট আপনার, আপনি প্রশান্তি আপনি ধৃষ্টার সম্মান। — আরেকটি বিষয় জানতে চাই গোবিন্দ — বলুন তবে — স্বপ্নে রাধা আমার সাথে কোনো কথা বলেনি, রেগে
কথোপকথন
আফালের মাছ [ ৯ ]
হারানো রোদের গল্প শুনতে শুনতে যাদের দিন যায় তাদের ডান চোখের নিচের সবুজ গাছটির ছায়ায় বসে থাকি আমি ভাবের সম্পর্ক পরিবর্তন হয় না— ভবের সম্পর্ক প্রয়োজনে আসে আবার প্রয়োজনে চলে যায় চাঁদ দেখবো বলে একটি রাত চেয়েছিলাম, ভোর দেখতে হলে রাতের দরকার হয় লেজ নাড়ানো কুকুরের স্বভাব, চোখ এবং মনের বড়ই অভাব তার মোড শেন ওয়ার্ন কিংবা মুরালিধরনের বলের চেয়ে অধিক সোয়িং করে, বল দেখে ব্যাট করো হে হিটার, আউট হলে ক্যারিয়ার চলে যাবে দর্শক গ্যালারিতে কবিকে দেখা যায় কবিতার আকাশে— অন্য কোথাও কবি যেনো জলের বাতাস ভাইরাসকে আক্রমন নয়, ভাইরাসের আক্রমনের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্যও শক্তিশালী এন্টিবডির প্রয়োজন Man at all software not yet hardware and we are the same software and software has no country
কুয়াশা গলে গলে পড়ে চোখের বিছানায়
জুনায়েদ বোগদাদির মামা সাররী সাকতী। সকত থেকে সাকতী। সকত শব্দটির অর্থ হলো ভূমিতে পড়া। ভূমিতে পতিত ফল কুড়িয়ে বিক্রি করে তিনি জীবনযাপন করেন প্রথম জীবনে। তার পীরের নাম মারুফ কারখি। সাররী সাকতী অত্যন্ত উচু মানের একজন সাধক ছিলেন— কথিত আছে দীর্ঘ ৯৮ বছর তিনি কখনো মাটিতে পীঠ লাগাননি— ঘুম পেলে দেয়ালে ঠেশ দিয়ে বসতেন। সাকতী অসুস্থ হয়ে পড়ে। মুমূর্ষু। আবহাওয়া খুবই গরম। জুনাইদ বোগদাদি বাতাস করতে চায়লেন।তিনি নিষেধ করেন। তার মতে বাতাস আগুনের তেজ নাকি বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়। জুনাইদ বোগদাদি বাতাস করা বন্ধ করে নছিহত চায়লেন নিজের মামার কাছে নিজের জন্যে। — জুনায়েদ! মানুষের সাহচর্য বর্জন করে শুধু আল্লাহর ধ্যানমগ্ন হয়ে কালযাপন করো। জুনায়েদ মামার কথা শুনে জবাব দিলেন— ‘এমন কথা যদি আপনি আগে বলতেন তাহলে আমি মানুষ থেকে এমন দূরে থাকতাম যে