— একটা কথা বলতে চাই, আপনি মাইন্ড করবেন বাসুদেব? — আগে বলো, তারপর মাইন্ড করি। — হা হা হা, বাসুদেব আপনি রসিকতার রাজা। — আপনাকে অনেকে লম্পট, নারীলিপ্সুক বলে। — হা হা হা, যারা বলে অতিসত্য কথা বলে, তবে সত্য বলে না। — কেমন বিষয়টা বাসুদেব, ঠিক মাথার উপর দিয়ে গেলো? — অর্জুন গাছের ছাল থাকে না, জানো তুমি? — জ্বি বাসুদেব, হরিণের সুস্বাদু মাংস যেমন হরিণের শত্রু তেমনি অর্জুন গাছের ছালের অধিক উপকারিবোধ তাকে গাছের সাথে থাকতে দেয় না। — যে নারী আমাকে অধিক ভালোবাসে সেই আমার উপর কলঙ্কের অলঙ্কার লেপন করে যাতে শেষপর্যন্ত আমার শরীরে ছাল থাকে। — শোনো অর্জুন, তোমাকে একটা কথা বলি। — বলুন বাসুদেব, আমার মনোযোগ আপনার দাসত্ব মেনে নিতে প্রস্তুত। — জোলেখা ইউসুফকে জেলে দিয়েছিল, অনেকে অনেক কারন বলে থাকে, মূল কারন আরেকটা—
বৈঠক ঘর
কথোপকথন [ ৩ ]
অর্জুন— বাসুদেব, ইদানিং ব্রেইন কাজ করে কম,স্মৃতিশক্তি হ্রাস পাচ্ছে মনে হচ্ছে। বাসুদেব— রাতে ঘুমানোর ঠিক আগ মুহূর্তে এক চামচ মধু খাবে। প্রায় এক মাস বয়ে গেলো— অনেকগুলো রাত ঢুকে গেলো দিনের ভেতর— অনেকগুলো দিন ঢুকে গেলো রাতের ভেতর— জন্ম নিলো হাজারো ঘটনা হাজারো লেনদেন। অর্জুন— বাসুদেব, আমার ব্রেইনের অবস্থা তো আগের চেয়েও খারাপ হচ্ছে বাসুদেব— আচ্ছা অর্জুন— একটা পথ দেখান বাসুদেব বাসুদেব— মধু খেয়েছো নিয়মিত? অর্জুন— মধুতে ভেজাল, তাই খেজুর গুড় খেয়েছি, মধুও মিডা খেজুরের গুড়ও মিডা। বাসুদেব— হা হা হা বাসুদেব— বাবুরে, বিষও তিতা, চিরতার জলও তিতা, তুমি নিশ্চয়ই চিরতার অভাবে বিষের প্রয়োজন অনুভব করবে না!? অর্জুন— ভুল হয়েছে বাসুদেব, ব্রেইন ইদানিং একটু কম কাজ করছে তো কথোপকথন [ ২ ]
আফালের মাছ [ ১১ ]
মানুষ ‘শয়তান’ বলে গালি দিতে দিতে শয়তানের দায়িত্ব কমিয়ে দিচ্ছে আজ বৃষ্টি হলে কাল থেকে জলের ইহকাল শুরু, ঘুম এক পরকালের নাম অনেকের কাছে প্রেমিকা শব্দের বাংলা অনুবাদ রোবট যাকে রিমোট দিয়ে নিয়ন্ত্রন করা যায়, স্বামী শব্দের বাংলা অনুবাদ রাখাল যার ইশারা সীমানায় প্রত্যেকটি পশু রাব্বাইক রাব্বাইক বলতে বাধ্য গোবরের পদ্মফুল ছদ্মবেশে গোবরই থাকে রেজা ভাই একা চলে, সাথে নিয়ে রব, কখনো তাকে সাথে অনিন্দ্য রফরফ সমস্যা সমুদ্র হমান, সমাধানের উপায় যেনো ডিঙি নৌকা, তবু সমস্যা সমাধান করতে হবে এক এক করে, একেবারে নয় অঙ্গ ব্যবহার না করলে অঙ্গহানি ঘটে কালো কোনো রঙ নয়— সব রঙকে সে ধারন করে— আল্লা কোনো রঙ নয়— সব রঙকে তিনি ধারণ করেন পরিস্থিতি পালটাই কিন্তু দরজা খোলার কাজটি দরজাতেই থেকে যায় টাকাহীনরে হঠাৎ
মাটি ক্যাফের ডার্টবোর্ড
১৮৬০ সালের কাছাকাছি সময়ে ডার্টবোর্ড ইংল্যান্ডের সোনালি রোদে প্রথম কোনো এক শাদা চামড়ার লোক খেলেছিলো বলে আমরা নিষাদরা অনুমান করে থাকি। বর্তমান আয়ারল্যান্ডসহ পৃথিবীর অনেক দেশে বেশ জনপ্রিয় এই নিশানাপ্রধান খেলাটি। এই খেলাটি হাত, চোখ এবং ব্রেইনের খেলা। ডার্টবোর্ড থেকে ব্যক্তির অবস্থান দূরত্ব ৮ ফোট ৯ ইঞ্চি— ভূমি থেকে বোর্ডটির উচ্চতা ৫ ফোড ৮ ইঞ্চি বা ১.৭২ মিটার। তার কিন্তু অনেক ডাকনাম আছে— throwers, arrows, tungsten, dartsmith। ওয়ার্ল্ড ডার্ট ফেডারেশন (WDF) ১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ইন্ডিয়া-পাকিস্তান এই ফেডারেশনের সদস্য পদ লাভ করলেও বাংলাদেশ এখনো পদ্দা সেতুতে ছবি তুলা নিয়ে ব্যস্ত। PDC World Cup of dart প্রতিষ্ঠা লাভ করে ২০১০ সালে জার্মানিতে। ডার্টবোডের মূলবিন্দু সই করতে পারলে জিত আপনার এবং আপনার নাম্বার হবে ১০০— মূলবিন্দুর শরীর ঘেঁষে রয়েছে স্পর্শবিন্দু এবং তাকে সই করতে
বিশ্বাস
পানসে নদীতে এখন জলের যৌবন। নৌকা থাকে ঘাটে সারি সারি। রাতে নৌকাড্ডা বেশ জমে উঠে। চাচ্ছি আজকে আমাদের আড্ডায় কুকুরটা অংশগ্রহণ করুক। বাড়ি গেলে যতক্ষণ ঘরের বাইরে থাকি ততক্ষণ সে আমাদের সাথেই থাকে। নৌকায় উঠা তার জন্যে টাফ। তাকে কেউ নৌকায় উঠা শেখায়নি। অথবা তাকে নৌকায় উঠাবে এমন বিশ্বাসযোগ্য লোক কুকুরটা পাইনি। আমি ভালো করেই জানি কুকুরটা আমাকে খুব বিশ্বাস করে। কারন আমি তাকে মিষ্টি খেতে দিয়েছি সে খেয়েছে, আমি তাকে আম খেতে দিয়েছি সে খেয়েছে, এমনকি আমি তাকে পেয়ারা খেতে দিয়েছি সে খেয়েছে। আজকে তাকে নৌকায় উঠাবো। খান ভাই আমার সাথে চ্যালেঞ্জ করেছে যে আমি কুকুরটাকে নৌকায় উঠাতে পারবো না। মুচকি হাসি ☺ দিয়ে চেষ্টা করতে থাকি। কুকুরটা যখন নৌকায় উঠে যাচ্ছে এমন সময় খান ভাই একটা বাশ কুকুরটার দিকে ছুড়ে
আফালের মাছ [ ১০ ]
হুজুর আর খেজুর মরুভূমিতে ভালো জন্মে For the sex you can get easily a lot of terrible sources, for the love you can get something a less than the want, for the better living for the sake of soul touch they are rare and you are rare too— Nature gives you something by giving you nothing মশাকে যতই গালি দেই না কেন আমরা, মশা তার দায়িত্ব সম্পর্কে শতভাগ সচেতন চালাক নিজেকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, বুদ্ধিমান অন্যকে আলোকিত করে। কারন চালাক থামতে জানে না, বুদ্ধিমান পরাজয়ে হাসতে জানে। মানুষ অরক্ষিত প্রাণী। মানুষের শিং নেই, বড় বড় নখ নেই, ধূলিকণা থেকে রক্ষার জন্য শরীরচুলও তেমন নেই, রোগ প্রতিরোধ এন্টিবডিও যে খুব শক্তিশালী এমন নয়। মানুষের একটি শক্তিশালী মস্তিষ্ক রয়েছে। হাজার হাজার বছরের পুরনো
রহস্য আসলেই রহস্য
চিড়িয়াখানার পাশেই বোটানিকেল গার্ডেন। খুব সুন্দর। প্রানি দেখা হয়ে গেলে উদ্ভিদ দেখা। খুবই সুন্দর। তবে অনেকেই চিড়িয়াখানা দেখার পর আর বোটানিকেল গার্ডেনে যায় না। ক্লান্ত হয়ে পড়ে। বোটানিকেল গার্ডেন কিন্তু সমস্ত ক্লান্তি দূর করার মতো ক্ষমতা রাখে! চিড়িয়াখানায় আমার ছোট্ট কালে যাওয়ার কথা কিন্তু যাওয়া হয় নাই। যাওয়া যখন হলো তখন জীবনে আর ছোট কাল নেই, বিচার করার মানসিকতা চলে আসে। শিশুরা সুখী কারন তারা বিচার করার মানসিকতা নিয়ে কারো সাথে মিশে না, তারা আনন্দ পাওয়ার বিনিময়ে আনন্দ বিনিয়োগ করে। তারা ভালোবাসতে গিয়ে কেঁদে ফেলে, তারা কাঁদতে গিয়ে ভালোবেসে ফেলে। ফলে জীবন মানে শিশুদের কাছে মাছ ধরা নয়, মাছ দেখা। চিড়িয়াখানায় বাঘের মাংস খাওয়া দেখলাম, দেখলাম সাপের ঘুম, দেখলাম বিরহী বানরকে। সারস ক্রেনকেও দেখলাম। সারস সবুজ ডিম দেয়, বাংলাদেশে সারস পাখি সবচেয়ে বড়
রাখে আল্লা মারে কে?
দ্রাক্ষা। লাক্ষা। উচ্চারণ প্রায় কাছাকাছি। অথচ কত পার্থক্য তাদের আচরণ। দ্রাক্ষা মানে কিচমিচ (vine wilt), লাক্ষা মানে জতু অথবা বড়ই গাছের পোকার বুমি অথবা অলক্ত। মহাভারতে জতুগৃহ নামে এক লোমহর্ষক পরিকল্পনা আমরা দেখতে পাই। পঞ্চপাণ্ডবদের মেরে ফেলার জন্যে জতুগৃহ নির্মাণ করা হয়। রাখে আল্লা মারে কে!? লাক্ষার ভয়ঙ্কর আগুন পঞ্চপাণ্ডবদের ক্ষতিনিশানার কোনো পথ দেখাতে পারেনি। কবিরাজ সাহেবের কাছে এসে জানতে পারি লাক্ষা ও দ্রাক্ষার সাক্ষাৎ পার্থক্য। জানতে পারি মধুর বিশাল এলাকার কথা যেখানে মধু বিভিন্ন উপায়ে মানুষের শরীরে পিএইচডি করে। বাড়িতে মধু রাখতে পারেন। মধু জ্বরের বিপরীতে দারুণ কাজ করে। তবে একটা মজার কথা বলি— আমার একান্ত ব্যক্তিগত অবজারভেশনের ফলে বলছি— পৃথিবীতে যত মধু নামের মানুষের সাথে আমার পরিচয় হয়েছে তারা কিন্তু মানুষের মনের অথবা শরীরের জ্বর বৃদ্ধিতে অত্যন্ত সক্রিয় সহায়ক সরকার
একদিন…
একদিন। গ্লাসের জলে একটি মাছি পড়ে। তার পাখা ভিজে যাচ্ছে এবং সে প্রায় জলে ডুবে যাচ্ছে। তার বেঁচে থাকার তীব্র ইচ্ছা তার ছটফটানিতে দেখতে পেলাম। তার প্রান রক্ষা করলাম। মাছিটি নড়তে পারছে না। তার শরীরে এমন একটি রং দিয়ে দিলাম যাতে হাজার মাছির ভীড়েও আমি তাকে সনাক্ত করতে পারি। সেদিনের মতো মাছিটি উড়ে গেলো। তাকে আমি পোষ মানাতে চাইনি। কারন মাছিকে কেউ পোষ মানাতে চায়না। এখন প্রতিদিন খাবার টেবিলে পৃথিবীর ময়লা নিয়ে সেই মাছিটি হাজির হয়। খাবার নষ্ট করে। আমি তার প্রতি রেগে যেতে পারি কিন্তু রেগে যায় না। কারন আমার কাছে যা ময়লা মাছির কাছে তা খাবার।
আমি কখনো পালাই নাই
বাড়ি থেকে আমি কখনো পালাই নাই। যেহেতু আমি আমার গ্রামের একমাত্র শয়তান ছিলাম সেহেতু বাড়িপালানো আমার জন্য প্রায় স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু এই স্বাভাবিক ব্যাপারটা আমার হয় নাই। এসএসসি পরীক্ষা দেয়ার আগে আমি ঢাকাই গেছি মাত্র দুইবার। তাও আব্বার লগে। একবার বাড়ি থেকে পালানোর উদ্দেশে আমি আর আমার বন্ধু জসীম আশুগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে আসি। কারো প্রতি রাগ করে বা কেউ আমাকে শাষন করেছে এমন কোনো বিষয় ছিল না। কারন একটাই— নায়ক হবো। আমি ত ক্লাস টু থেকে সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমা দেখি। তাই নায়ক হওয়ার বাসনাটা তখন মাথায় ঝেঁকে বসে। সিনেমায় নায়কেরা দেখতাম ছোট কালে পরিবার থেকে হারাইয়া যায় অথবা পরিবার থেকে পলাইয়া দূরে কোথাও চলে যায়। আশুগঞ্জে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছি। আমার বয়স তখন নয়। ট্রেন সিনেমাতে দেখেছি কিন্তু সরাসরি দেখি নাই। প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে