দুধের মধ্যে পাউডার মেশাবেন আপনি, প্রিয় রসালো ফল আমের মধ্যে ফরমালিন মেশাবেন আপনি, গরিবের কৃমিনাশক ঔষধ আনারসের মধ্যে হরমোন দিবেন আপনি, ইনস্ট্যান্ট এনার্জি কলার মধ্যে কার্বোহাইড্রেট দিবেন আপনি, শিক্ষাকে বাণিজ্যিক করবেন আপনি, বাঙালির হাজার বছরের প্রিয় জায়গা রসালো মিষ্টির মধ্যে হাইড্রোজ দিয়ে ধবধবে সাদা ইংরেজ করে ফেলবেন আপনি, খেজুরের গুড়ের মধ্যে চিনি দিয়ে লাভে লাভ করে ফেলবেন আপনি, আমাদের হাজার বছরের প্রোটিন ভিটামিনের আকর ঘিয়ের মধ্যে সোয়াবিন দিয়ে ব্যবসা করবেন আপনি, ফল গাছের পরিবর্তে কাঠ গাছ দিয়ে আকাশ বাতাস ভারী করে ফেলবেন আপনি, অধিক দুধের আশায় আপনার গোমাতাকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করে যাবেন আপনি, উচ্চ ফলের আশায় আপনার মাটিকে নষ্ট করবেন আপনি, আপনার সন্তানকে দিনের পর দিন প্রতিযোগী পণ্য করে তুলবেন আপনি.... তারপরেও বলবেন ইমিউনিটি সিস্টেম স্ট্রং থাকবে,তাই না !? বলবেন
বৈঠক ঘর
বাবা ও তার বাবার জীবন
সময় বদলে গেছে। বদলে যাচ্ছে মানসিকতা। তৈরি হচ্ছে বিলাসিতার আপডেট ভার্সন। আব্বা ফজরের আযানের আগে ঘুম থেকে উঠতেন। মাঠে যেতে হবে, জমিকে লাঙল চালিয়ে করতে হবে আবাদি, ফসলি। খুব তাড়া। এতো ভোরে রান্না করার সুযোগ নেই। আব্বা পানিতে জমানো ভাত থালায় তুলতেন, আম্মা তাড়াতাড়ি শুটকিভর্তা করে আব্বার পাতে দিতেন। পান্তা ভাত আর শুটকিভর্তার আদলে আব্বা তাঁর পেট মহাশয়কে সন্তুষ্ট করতেন। আমার ঠাকুরদাও তাই করতেন। এই হলো কৃষকশ্রেণীর নাস্তা করার স্টাইল। নাস্তা করার নাগরিক অর্থ তাঁরা জানেন না। তাঁরা কেবল উদরপূর্তি করার জন্য খায়। শর্করা, আমিষ, স্নেহ পর্দাথের খবর তাঁদের কান পর্যন্ত পৌঁছে না। অথচ কৃষক শ্রেণী সত্যিকারের মানুষ, সব সাধকের বড় সাধক। সেই সাধকদের সঠিক মূল্যায়ন না করে, অবমূল্যায়নের সিনেমা তৈরি করে নাগরিক জীবন। সেই সিনেমার নাম `পান্তা- ইলিশ ভক্ষণ'। সিনেমা হলটির
পৃথিবীকে বাসযোগ্য করে যাব
ছোটকাল থেকে আমার একটা বিশেষ রোগ আছে। আর তাহলো সাজানো রোগ। আমার চারপাশটাকে সব সময় সাজিয়ে রাখতে চাই। সাজানো যেকোনো কিছু আমার ভালো লাগে খুব করে। যেদিন থেকে পড়ার টেবিল বলে কিছু একটা আছে সেইদিন থেকে আমার টেবিলে অন্য কারো হাত দেয়া বারন। একটা পোকাও যদি আমার টেবিলের উপর দিয়ে হেঁটে যেতো কোনো প্রকার সিসি ক্যামেরা ছাড়াই আমি টের পেতাম। টেবিলে হাত দেয়া বারন কারন অন্য কেউ হাত দেয়া মানে অগোছালো করে ফেলা। আমি দেখেছি আমি ব্যবহারিক জিনিস সম্পর্কে যত যত্নবান তত যত্নবান মানুষ আজও আমার চোখে পড়েনি। অনেকে নিজের জিনিসটা খুব যত্ন করে রাখে কিন্তু অন্যের জিনিসের প্রতি উদাসীন। আমি নিজের জিনিসের চেয়ে অন্যের জিনিসের প্রতি অধিক যত্নবান। হ্যাঁ। দায়িত্ব নিয়ে বলছি। আমরা যদি আমাদের চারপাশটা সুন্দর পরিচ্ছন্ন মার্জিত করে রাখি তাহলে