গাধাকে সিংহাসনে বসতে দিলাম। — তারপর গাধা সিংহাসনকে পীঠে নিলো। — তারপর সিংহাসনকে পীঠে নিয়ে গাধা হাটতে লাগলো। — তারপর সিংহাসনকে পীঠে নিয়ে হাটতে হাটতে গাধা দেশের বাইরে চলে গেলো। —তারপর সিংহাসনকে গাধা দেশের বাইরে রেখে আসলো। —তারপর তারপর গাধা আরেকটি বোঝাভার খুজতে লাগলো।
বৈঠক ঘর
লোকটি
লোকটি ফেইসবুকে পোস্ট দিচ্ছে, আল্লাহ সর্বোত্তম পরিকল্পনাকারী— কিছুক্ষণ পর লোকটি পরিকল্পনা করছে কেমন করে বোনদেরকে সম্পত্তির ন্যায্য বন্টন থেকে বঞ্চিত করা যায়! লোকটা ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিচ্ছে,আল্লাহ সর্বোত্তম পরিকল্পনাকারী, আর মনে মনে কল্পনা বানাচ্ছে কেমন করে ভালো মানুষের পোশাক পরে আরও আরও জালিয়াতি দুর্নীতি করে প্রচুর টাকাপয়সার মালিক হওয়া যায়!! লোকটা ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিচ্ছে, জনগনই সকল ক্ষমতার একমাত্র উৎস— আর তলে তলে জনগণকে বিক্রি করে টাকা নিয়ে যাচ্ছে উৎস থেকে নিজের ব্যক্তিগত উৎসবে! আসুন, আমরা ইফতার পার্টির আয়োজন করি ফায়েবস্টার হোটেলে এবং গরীব মানুষের জন্যে দোয়া ঢেলে দেই এবং জুড়ে জুড়ে জোড়ায় জোড়ায় সমকন্ঠে বলি— এদেশের মেহনতি মানুষের জয় ✌ হোক এবং ফাইবস্টার মানসিকতার ফাক দিয়ে কোনো শ্রমজীবী মানুষের হাড়ভাঙা মেহনত করা দেখে আরবি ভাষায় বলি— আল্লাহুম্মা বারিক লাহু! লোকটা বক্তব্য শুরু করার আগে বলছে,
রাজা দরবেশ।
দরবেশ— মহারাজ, আপনার রাজ্যে আমি যা ইচ্ছে বলি, ভয় লাগে না। মহারাজ (মৃদু হাসিতে)— এটাই তো চেয়েছি, কেউ যেন আমার নয়—সত্য বলতে ভয় না পায়। দরবারি— কিন্তু যদি কেউ ভুল বলে? মহারাজ— তবে সত্য দিয়ে তাকে ভুল দেখাতে হবে, শাস্তি দিয়ে নয়। দরবারি— তাহলে কি রাজ্যে শাস্তি দেয়ার প্রক্রিয়া থাকবে না। প্রজ্ঞা— রাজার রাজ্যে কেউ সত্য কথা বলতে ভয় পায় না, এটাই রাজার সবচেয়ে বড় জয়। শাস্তি হলে সবার আগে রাজার হবে তারপর প্রজার! দরবারি— তাহলে যারা অন্যায় করে তাদের ব্যাপারে কি সিদ্ধান্ত হবে? প্রজ্ঞা— কেউ অন্যায় করে না: তাকে অন্যায়কারী বানানো হয়! মহারাজা— আমার একটি কথা মনোযোগ দিয়ে শোন—Lies grow stronger in the shadow of fear— Easy for a King to choose to light the way with truth. (দরবারে সবাই করতালি দেয়, মঞ্চে আলো ধীরে নিভে আসে)
ইবাদত জ্ঞান শিক্ষা
মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে গাছের উপর নির্ভরশীল— এমন উপকারী বন্ধু গাছও কার্বনডাইঅক্সাইড ত্যাগ করে যা মানুষের জন্যে ক্ষতিকর— গাছ মানুষের উপকার বা অপকারের আশায় কিচ্ছু করে না— গাছ যা করে তা কেবল নিজের প্রয়োজনে করে— গাছ যা কিছু করে নিয়মের সীমানায় থেকে করে— মানুষ নিয়মের সীমানা প্রায় ভুলে যায়। জ্ঞান— তাহলে মানুষের বড় বন্ধু কে? প্রাজ্ঞ— মানুষের কোনো বন্ধু নেই— মানুষ অনেক বড় সিন্ধুর মাঝে অনেক ছোট বিন্দু। ইবাদত— তাহলে তো তার জন্যে কোনো নিয়ম থাকার কথা নেই! প্রাজ্ঞ— অবশ্যই। নিয়মের কোনো নিয়ম নেই। শিক্ষা— তাহলে আমরা যে নিয়ম টিয়মের কথা বলি। প্রাজ্ঞ— তাহলে বলি শোনো— আমাদের কান কোনো শব্দ শুনে না,শুনে আমাদের ব্রেইন, আমাদের ব্রেইন কোনো শব্দ শুনে না,শুনে আমাদের অর্জিত অভিজ্ঞতা, আমাদের অভিজ্ঞতা জাস্ট বানানো একটা গেইম যার শুরু এবং শেষ একই রকম। মেধা— তাহলে
প্রাজ্ঞ মেধা শিক্ষা জ্ঞান
ন্যায় বিচার হলো ভালো বীজের মতো— ভালো বীজ 'পানি'তে রাখলে কাজ হয় না— ভালো বীজ বাতাসে রাখলে গাছ হয় না— বীজকে রাখতে হয় মাটিতে। ন্যায় বিচার ন্যায় বিচার বলে ফেনা তুললে লাভ হবে না ওহে মাওলানা ডট কম— মাটি তোমার কথা শুনতে অনেক আগেই হয়েছে অক্ষম। জ্ঞানী— হে মহান প্রাজ্ঞ, তাহলে সমাধান কী? প্রাজ্ঞ— সমাধান একমাত্র বৃষ্টি— মেঘ থেকে নেমে আসা বৃষ্টি। মেধা— বিষয়টি সহজ করে বললে সুবিধা হয়। প্রাজ্ঞ— রহমত হলো বৃষ্টির মতো— রহমতের উদয় হবে এবং রহমত প্রথমে মাটির নষ্ট হয়ে যাওয়া গুনাবলি ফিরিয়ে আনবে, তারপর রহমত এন্ড গং ন্যায়ের কথা বলবে। শিক্ষা— তার জন্যে আমাদের তো প্রস্তুত থাকতে হবে নতুবা রহমত এসে মাইন্ড করবে না!? প্রাজ্ঞ— নদী শুকিয়ে গেলে মাছের প্রস্তুতিতে জলের কি আসে যায়! জ্ঞানী— আসলেই, বিল্ডিং ভেঙে গেলে ইট কাচামাল মাত্র। প্রাজ্ঞ— দারুণ
জ্ঞান প্রজ্ঞা মেধা
জ্ঞান— আমাকে একটা কথা বলো তো? শিক্ষা— কি কথা হে মহান জ্ঞান? জ্ঞান— নৌকা পানিতে ভাসে। পাথর কেনো ডুবে যায়? শিক্ষা— নৌকা জলে শরীর রেখে যে জায়গা দখল করে তার ওজন জলের ওজনের চেয়ে কম: পাথর জলে যখন শরীর রাখে তখন তার ওজন জলের ওজনের চেয়ে বেশি। জ্ঞান— প্রিয় মেধাবী তুমি উত্তরটা দাও তো। মেধাবী— নৌকার মোট ঘনত্ব পানির চেয়ে কম হওয়ায় এটি ভেসে থাকে, আর পাথরের ঘনত্ব বেশি হওয়ায় এটি ডুবে যায়। জ্ঞান— বাহ: তোমরা দুজনে সুন্দর বললে। নৌকা আর পাথরের জীবন থেকে তোমরা কি কোনো লেসন খুঁজে পাও? শিক্ষা— আপনিই বলুন হে প্রানপ্রিয় জ্ঞান। জ্ঞান— দুনিয়ার চাওয়া পাওয়ায় এমনভাবে মন রাখো যাতে চাওয়া পাওয়ার ওজন দুনিয়ার চেয়ে বেশি না হয়: বেশি হলে ডুবে যাবে: কম হলে ভেসে থাকবে এবং তীরে যেতে পারবে। মেধাবী— লোভ-লালসার ভারে যখন মন
আফালের মাছ [ ১৩ ]
০১ হুজুর ওয়াজ করতেছেন— কলার যদি বাকল না থাকে তাহলে কলাতে মাছি পড়বে, আমে যদি বাকল না থাকে তাহলে আমেতে মাছি পড়বে। মা-বোনদের যদি পর্দা না থাকে তাহলে আমের মতো কলার মতো অবস্থা হবে। পর্দা বা বেপর্দা নিয়ে আমার কোনো কথা নাই। আমার কথা হচ্ছে, বেপর্দা মা-বোনদের জন্যে মাছিটা কেডা!? ২ রক্তের সম্পর্ক মানেই উপকারী এমনটা ভাবার কোনো বিশেষ কারন নাই— উকুন আপনার রক্তের বংশধর,ছারপোকাও— বিশেষ কারনেই আপনি উকুন ছারপোকাকে নিজের সাথে রাখতে চান না। ৩ যত উপরে উঠবে তত একা হবে যখন তুমি আকাশ চিনবে না,চিনবে না মেঘ ☁,চিনবে না বাতাস— সঙ্গী চিনে ফেললে পলকে পলকে বন্ধুত্ব। ৪ তুমুল সঙ্গমের সময় কোনো প্রকার অভিনয় থাকে না— অভিনয় থাকে সঙ্গমহীনতায়— মিলনে থাকে না অমিল, অমিলে যত অভিনয় অভিযোগ অস্বীকার অপ্রাসঙ্গিক অপ্রাপ্তি— মিলন হবে কতদিনে আমার মনের মানুষেরও সনে! ৫ গুলি করা
অর্জুন কৃষ্ণ
অর্জুন— কেউ তীর মারলে কি করা উচিত বাসুদেব? বাসুদেব— তীর খেয়ে ফেলা প্রয়োজন। অর্জুন— কারন জানতে পারি হে মাধব ( माधव)? বাসুদেব— তীর খেয়ে ফেলার পর তীরন্দাজ দুর্বল হয়ে যাবে। আক্রমণকারী তার অস্ত্রের সমান শক্তিশালী। অর্জুন— আবার তো সে শক্তি অর্জন করে আক্রমণ করবে। ভালো হয় না আক্রমণকারীকে একেবারে শেষ করে দেয়া? বাসুদেব— ওহে অর্জুন : জল কখনো শেষ হবে না— নদীর কোথাও চর জাগবে: কোথাও নদীই আবার চর ভাঙবে: তাই জলে সাতার কাটতে শিখো: শিখে নাও প্রচন্ড ঢেউয়ে কেমন করে সার্ফিং করতে হয়। অর্জুন— কি অসাধারণ আইডিয়া বাসুদেব! জাস্ট মুগ্ধ হয়ে গেলাম!! বাসুদেব— প্রিয় অর্জুন আমার, মুগ্ধতা এক ধরনের সীমানা, মগ্ন হতে পারলে সীমানা জয়ের ✌ আনন্দ পাবে।
আমি আর মামু
আমরা ভালো নেই। আমাদের একটা স্বাধীন ভূখণ্ড লাগবে। আমরা এখন যে ভূখণ্ডে আছি তা আমাদের শান্তি দিতে পারছে না— শান্তির নামে আল্লাহু আকবর বলে আমরা আলাদা হলাম। আমাদের নতুন ভূখণ্ডের নাম পাকিস্তান!যেনো একেবারে পাক হয়ে গেলাম— আর কোনো নাপাকি লাগবে না মোর গায়। আমরা ভালো নেই। আমাদের না খেয়ে থাকতে হয়। আমাদের মুখের ভাষা কেড়ে নিতে চায় তারা, এমন বৈষম্য আমরা মেনে নিতে চাই না— আমাদের নিজস্ব ভূখণ্ড লাগবে। আবারও শান্তির নামে বৃটিশ মনোনিত মানচিত্র থেকে আমরা বের হয়ে আসলাম। আমাদের দেশ হলো— নতুন দেশের নাম বাংলাদেশ! বিজয়ের পতাকা পতপত করে আকাশে উড়লো— অনেক কান্নার নদী সাগরে গিয়ে মিশলো— সাগরজল বাষ্প হয়ে ফিরে এলো আবারও+ফিরে এলো আমাদের চোখে! আমরা ভালো নেই। আমাদের নতুন নিয়ম লাগবে। পুরাতন নিয়ম সব বাদ। যিনি নতুন নিয়ম আনতে গেলেন তাকে হত্যা করো— সময় সুযোগ করে
কারবালার তাবিজ
তিনাকে সতর্ক করা হচ্ছে। আকাশ বাতাস তিনাকে সতর্ক করছেন— সতর্ক করছেন জমিনের গাছপালা। কারো সতর্কবানী কানে নিচ্ছেন না তিনি। তিনি শুনছেন তিনার একান্ত নিজস্ব স্বজনদের কথা। স্বজনদের উপর তিনি অনেক নির্ভরশীল হয়ে গেলেন।লোকজন তিনার বাসভবনের সামনে জমায়েত হতে শুরু করে— তিনি তাদেরকে তিন দিনের সময় দিলেন আন্দোলন ভেঙে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্যে। আন্দোলন আরও তীব্র হয়ে উঠছে। কোনোভাবে আন্দোলন দমন করতে পারছেন না তিনি।তিনি আন্দোলনকারীদের সামনে আসলেন না— আসলেন তিনার পক্ষ থেকে তিনারই একজন স্বজন— এসে বক্তব্য দিলেন—তোমরা কি চাও?তোমরা কি লুটপাট করতে চাও?সময় থাকতে ফিরে যাও।তোমাদের ধারনা, তোমাদের ভয়ে আমাদের রাষ্ট্রপ্রধান পদত্যাগ করে তোমাদের হাতে শাসনভার তুলে দেবেন?যদি তোমরা তা ভেবে থাকো তাহলে বোকামি করবে। আমরা কোনো জালেমের হাতে নিজেদের ন্যস্ত করতে ইচ্ছুক নই।'জালেম' শব্দটা আন্দোলনকারীদের মনে আরও তীব্র