আমাদের বাড়ির দক্ষিনে ডোবা। আমাদের বাড়ির দক্ষিনে সবুজ আর সবুজ। সবুজে রাতে ডাহুক ডাকে। দিনে সেই ডাহুকই আবার খেলা করে বাচ্চা নিয়ে। দক্ষিনে বসে সবুজ দেখা যায়, ডাহুক দেখা যায়, অনেক বছরের পুরাতন এক কাঁটাগাছ দেখা যায়, দেখা যায় না দূরের সেই গ্রামটিকে। গ্রামটি আমার শৈশবের প্রশ্ন গল্প কৌতূহল। মনে মনে গ্রামটিতে হাঁটাচলা করে আসি, আমার পায়ে তাতেই সন্ধ্যা নামে। রাত করে বাড়ি ফিরি। মনে মনে। সেই গ্রামে মানুষ থাকে, না ভূত থাকে তাও জানতাম না। জানতে পারবো বলে আশাও করিনি। গ্রামটি তাই আমার কাছে একধরনের আলিফ লায়লা সিরিয়াল– দেখে দেখে দেখার বাসনা বাড়ে। সেই দূরের গ্রামের পরপারেও আমাদের জমি ছিল। আব্বা গ্রামটি পার করে প্রায় নিজের জমি দেখতে যেতো। আব্বাকে নিয়ে আমার টেনশনের শেষ ছিল না। কারন ভূত যদি আব্বাকে কিছু করে। আস্তে
কবিতা
শুন্যতার বাজার
রাধা যখন ঘর ছেড়ে বৃন্দাবনে যায় যমুনা নদীতে বাঁধ দেয় কৃষ্ণ কানাই ঢাকা শহর কান্দে তখন হায়রে হায় সাপের মাথায় মিনার দেখে কান্দে রেজা ভাই।। ঘর ভর্তি মানুষ তবু শুন্যতার বাজার বৃন্দাবনের হাওয়া লাগলো গতরে তাহার তাবিজ টুনা কাকে বলে তা তো জানি না চর্মে মর্মে জ্বলে রেজা রাধাই বুঝে না।। বুঝে না বুঝে না কেউ বুঝাইতে চায় দিবে না দিবে না কেউ নেবার আশায় যদি তাকে একবার সরল পথে পাই কসম খোদার রেজা তারে রাখবে মাথায়।।
বলেও বলি না তারে…
কি যে সে ভাবে কি যে সে ভাবে ভাবনার অন্তরালে কি যে সে চায় কি যে সে চায় তার চাওয়া সে ন জানে ডান হাতে তার সোনার পৃথিবী বাম হাতে তার সাগর জলভরা সাগর মাঝি চলে নৌকা চলে নাগর কি যে সে চায় কি যে সে চায় তার চাওয়া সে ন জানে কি যে সে ভাবে কি যে সে ভাবে ভাবনার অন্তরালে ঠোঁটে তার মিটিমিটি হাসি চোখে জল রাশি রাশি চুলে তার মেঘকালো আসমান দরিয়া ভরি বলেও বলি না তারে ভালোবাসি, ভালোবাসি ভুলেও বলে না আমারে চলো এক সাথে বাঁচি চলো এক সাথে বাঁচি এমন করে দিন যায় রাত আসে মনের ছাদে দুটি পাখি দুই ঘরে বাকবাকুম বাকবাকুম ডাকে এমনই করে দিন গেলে ভালো হত এমনই করে দিন গেলে হত না ভালো চলছে আষাঢ়ে আকাশ মনে তার দোলদোল পায়ে নুপূরে বাতাস মেঘ করে পরপর চাওয়া কাঁপে থরথর আকাশের ঘর নাই তবু তো তারে চাই তবু তো তারে চাই দুই পাখি দুই ঘরে মন চায় দেহ পাড়ে দেহ
সব নদীতে একই জল
দুটি উপলব্ধি
কেমন করে কানতে?
জয়দর
চরিত্রবান রাত। রাতবীর্য অন্ধকার। আলোয়পূর্ণ ছায়া অন্ধকারের পোশাক। দ্রোহতাবাজি ঝুলে থাকে অন্ধকারের সদর দরজায়। আনন্দ— স্বপ্লচিন্তার আস্তানা, দুঃখের নবীন যৌতুকে ঘেটুপুত্র। অন্ধকারবাবা ‘হক মওলা’ জিকিররব তোলে। মানুষ! মানুষের কাছাকাছি দূরে যায়— অসীম-সসীম দূর! জয়দর। পলিমাটিমানুষ। কুয়াশার ডাকে চোখের দরজা খোলে। বউওম হৃদয় টানে। হৃদয়ের দাবিতে ডুবে থাকার অর্থ— বছরব্যাপী উপোস থাকা। চকবাজারে যেতে হবে। মানুষ ভাড়া আনবে— পূর্বে সূর্য দেখা, পশ্চিমে সূর্য না-দেখা— মধ্যবর্তী সময়ের জন্যে। সন্ত্রাস শীতের বিরুদ্ধে বাবুয়ানী অস্ত্রে সজ্জিত নয় জয়দর। রাস্তায় নামে— অর্ধেক বরফ, অর্ধেক পা সঙ্গে। ভাড়াটে মানুষ কেটে আনবে পলিমাটিসন্তান। মানসিক শাসন ঘিরে ধরবে তাদের সবপাশ। কাজে ফাঁকি দিতে মানা। জয়দর তাদের বলবে— ‘ভাত পরের, কাম নিজের’
একপাশে জল একপাশে বন
সব পথ ছেড়ে, সব মত ভুলে
তোমাকে পাঠ করতে গিয়ে অপঠিত থেকে যাই আমি আমার নদী-নালা, খাল-বিল বৃষ্টির লুকোচুরি খেলা, রৌদ্রের ডানায় মনচিল বার বার ফিরে আসি চলনবিল থেকে হাকালুকি হাকালুকি থেকে কোপাই নদী, শ্রীনিকেতনের গভীর চলন থেকে রাজনগরের মুক্ত আকাশ এখনো সুরঞ্জনা নগ্ন মাছির মতো উদাস, উদাস বাউল গান গেয়ে যায়, কণ্ঠে তার ভৈরবী সুর সব পথ ছেড়ে, সব মত ভুলে আমি এখন বেসুরা অসুর তোমার গান গাইতে গিয়ে আমি এক অশ্রাব্য সুর তাই বিমানের ভেতরে বিমান কিনে মাহফিল হবে, পাঠ হবে নিজমগ্নের দরুদ সাল্লু আলাইহি…ওঁম শান্তি ওঁম
পুঁটিমাছদ্বন্দ্ব
আমি থেকে পিতা, পিতা থেকে পিতামহ যুগের পর যুগ, কালের পর কাল শালবীথির নীরবতা থেকে আমাজানের গভীরতা মানুষের চোখে আকাশ দেখেছি, প্রেম দেখেনি আকাশ লুকানো বাতাস, বাতাস লুকানো প্রেম সফোক্লিসের ইদিপাস, ঘাটের কথার সন্ন্যাস রাজনগর বাজারে বিক্রি করে হরিতকীজল আমরা কিনি চকোলেট, প্রসাধনী বেদ অথচ ইলেট্রন কেমন প্রেমময় চোখে করেছিল ভ্রমণ প্রোটনের দিকে পেয়েছি মানুষজন্ম যেখানে প্রেমের মাথায় গজায় ভোগের বটগাছ প্রতিটি মানুষ পুঁটিমাছদ্বন্দ্বে করে বসবাস দিনের পর দিন রাতের পর রাত মানুষজন্ম ইভের ইতিহাস, ভোগের সকাল