রেজা ভালো হয়ে যাও। এখন গভীর রাত। সকাল হবার আগেই ভালো হয়ে যাও। পয়সা টয়সা লাগবো না। চোখ বন্ধ করে হৃদয়ের কথা শুনে দেখো বোবা পৃথিবী অযথা চিল্লায়। পুঁটি মাছ নাচে অযথা বেশি, বৃদ্ধ চাচার কন্ঠে থাকবেই কাশি। তোমার আকাশ এখনো অসীম, এখনো শতভাগ ব্যবসায়ী হতে পারনি, ভালো হবার সুযোগ আছে তোমার শতভাগ। কূপকে যারা মৃত্যুর ফাঁদ ভেবেছিল তারা জানে না কূপ কেমন করে অসহায় ইউসুফকে নবী বানায়, রাজা বানায়; তারা জানতেও পারবে না। তারা কেবল নিজের ভেতর গর্ত খুঁড়ে খুঁড়ে একদিন ভালো মানের কূপ হয়ে যাবে। তুমি গর্তের সন্ধানে মাটির ঢেলার সাথে মিশে যাবে তা সে চায় না, তোমাকে সে আগুনে দিবে তবে মাটির চেয়ে আরও শক্তিশালী করার জন্যে। সে তোমাকে ধীরে ধীরে তার দিকে নিয়ে যাবে, তুমি বুঝতেও পারবে না। তুমি
কবিতা
ফাগুন মাতাল দোল
শব্দের ছায়া দেখে
শব্দের ছায়া দেখে পাখিদের ঘর আঁকে মানুষ আকাশে বিমান উড়ে আকাশে মেঘ উড়ে আকাশে আকাশ উড়ে পলাতক প্রেম এসে নির্মান করে সংসার অনেক কথার বাহার ফুল কিন্তু চোখের সামনেই থাকে গলিত সূর্যের হাতে সন্ধ্যার বাজার বসে, মানুষ বড়ই নিষ্পাপ, আজাইরা কাজের মতো নিষ্পাপ। মধুপুর গ্রামে আজও কোনো মধুর চাষ দেখি নাই, মধুর চাষ হয়েছিল বলে মনে পড়ে না কিংবা ইতিহাসও নেই, তারপরও গ্রামটির নাম মধুপুর। অনেক মানুষের নাম মধু চা বিক্রি করে সাথে হয়তো চিনি নয়তো খেঁজুর গুর। যাক, নামে কী আসে যায়। নামের গুনে কত বদনাম আকাশের চাঁদে! ককপীঠে বাতাস থাকে, ককপীঠে থাকে কিছু ঘুম কিছু বিশ্রাম। মৃত পুকুরের আগাছায় পরগাছার সন্যাস, চলক স্কিনের পেছনে হাত পেতে থাকে মাস্টার শটের কারসাজি, অনেক খেলার পর গল্পের নামে কেবলই ছায়াবীথিকার লম্বা হাত। পৃথিবীও বড় মানুষ, আমরা সেই মানুষের পোকা, বাতাসে ঘুরপাক
শিশুদের ঘর ভাঙেনা
প্রতিনিয়ত খেলে যায় তারা— শিশুদের ঘর ভাঙেনা কখনো, কখনোই না ওঠেনি কখনো গড়ে শিশুদের খেলাঘর উচ্ছ্বাস উদ্বেগ আবেগ শুরু থেকে শেষ শূন্যকুম্ভ প্রান্তিক এলাকায় কোলাহল ভরপিন্ড ভরপুর পাথরের ডানায় আশার পালকে কোমলপ্রাণ ঘুম পেছন থেকে সামনে সামনে থেকে পেছনে মাঝামাঝি সামনে মাঝে মাঝে পেছনে— একই কথা একই কান্না তবু নতুন তারা নয়তো রাজা— রাজ্য আছে তাদের তারা নয়তো প্রজা— তারা রাজার উপরে প্রশান্তিদেশ রোদ উঠে অন্ধকার নামে কুয়াশায় দেখা মিলে প্রেমের ঝিলিক ঢেউয়ের তরঙ্গের শিশুদের নবান্ন হিড়িক তারা হাসে কান্নার মতো তারা কাদে হাসির মতন তারা ঘুমে যায় যেনো জেগে আছে তারা জেগে থাকে যেনো ঘুম ঘুম রতন নেই তবু আছে শিশুদের খেলাঘর শিশুদের চোখে নেই বানানো সমাজ থাকে নাতো সমাজ বানানো আপন সমাজ বানানো পর শিশুচোখে থাকে মোহনার ত্রিকাল সাগর নদী দ্বীপচর
কার বুকে রোপন করি পৃথিবীর আশা
জানালার পাশে সবুজ মাঠ মাঠের পাশে পানসে নদী পানসে নদীর পাশে বাস করে কোনো এক কবি কবিকে বলি নিয়ে আসতে নিয়ে আসতে দরজার পরপাশের মতো অন্ধকার কবি নিয়ে আসলো নিয়ে আসলো বৃদ্ধ দাদুর দাঁতের মতো স্মৃতিধরা পতাকা প্রেমিকাকে বলেছিলাম বলেছিলাম কোনো এক আশ্চর্য সহনশীল সন্ধ্যায় দেবদারু গাছের নিচে বিনয় ভবনের রাস্তার পাশে কাবা শরীফের পাথরে চুমু দেয়া হয়নি আমার চুমুু দিয়েছি তোমার ঠোঁটে রোপন করেছি তোমার ঠোঁটে চব্বিশ ঘন্টা অর্জনযোগ্য সব তেলাওয়াত দ্রোপদী মহাভারত সূরা আলাক সব শর্ত মেনে আমাকে দাও দূরদ্বীপে সাগরের বুকে স্বপ্নমাখা এক ছায়া— এক হাসিমাখা সৌহার্দ আশ্রয় প্রেমিকা আমাকে দিলো আইন কানুন দিলো নিয়মেধরা কাঁটাতার পতাকা সংবাদ প্রবঞ্চনা কৃষকের লাঙলের কাছে আশ্রয় নিলাম তাকেও বলি এনে দাও সবুজ হাসি আর মাঠভর্তি প্রজন্মের আশা কৃষকের লাঙল এনে দিলো এনে দিলো তামাশার সূর্য অলসতার ঘুম বাউলের দুতারায় আস্থা রাখি কিছুক্ষন বাউলও খাবার মাছের সন্ধানে ভুলে যায় নদীর জীবন ভাবের সুরে উদারায় তুলে দর্শন
মিছিলে মিছিলে জেগে থাকা চোখ
দুটি চোখ ওয়ান প্লাস ওয়ান বাদলমেশানো চোখ ঝড়দাপানো চোখ আমার মানুষের সমুদ্রে ঢেউ গুনে গুনে ভোর আনে রকেটের গতির মতো থেমে থাকে জলের মাছের মতো হাসতে থাকে এলাকার ভূমি অফিসে যে জল্লাদ বসে থাকে আদালত পাড়ায় ডানাবিহীন পাখির চিৎকার বিবেকের আইসক্রিমঠান্ডা আচরন দেখে দেখতে থাকে জলমেশানো চোখ আমার বিলাসের জলে স্বপ্নডাঙার তলে ঘামহীন চোখ আমার ডুবে না সেবানন্দের পাড়ে যখন আকাশ হবে ভালোবাসার যখন বাতাস হবে প্রেমের যখন জলে কচুরিপানার পরিবর্তে ভাসবে সহানুভূতি সহমর্মিতা হাসপাতালে পায়চারি করবে পলকে পলকে তখন শরীরপাড়াত চোখ আমার যাবে তোমার বাড়ি দেখবে তোমারে মন ডুবিয়ে তোমার হাসির ভূমিতে গন্ধমাদন উৎসব হবে ফুলের ভাষা বুঝে নিবে আমাদের প্রজন্ম সন্ধ্যা তারা রাত এখনো রাত এখনো রয়েছে বারান্দার পুরাতন চানক্য চেয়ারে রাতজাগা চোখ আমার সুন্দরতর দিনের দিকে রাতমাখা চোখ আমার সুন্দরতম দিনের পথে দৃষ্টিনেশাভরা সন্ধ্যার ফুলফল পাহাড়ে জোছনামাখা চিত্রলিপি রাতের সাজঘরে প্রভাতের নুরানি হাওয়ার গতিবেগ ধরে এখনো মিছিলে মিছিলে জেগে থাকা চোখ আমার স্বপ্ন দেখে স্বপ্ন গায় সবুজের হিমোগ্লোবিনে
বিস্মিত ভালো লাগা
সকাল। শীতের সকাল। হেতাকে ফাঁকি দিয়ে শিশির লুকানো বাতাস শরীরকে বিছানাতে থাকতে বাধ্য করে। শুয়ে শুয়ে তার কথা, তাহার কথা কখনো ঠোঁটের কাছে, কখনো মস্তিষ্কের গোপন এলাকায় খেলা করে। প্রায় রাতসকালে তাকে ফোন করি। সে তখন ঘুমায়। তার ঘুম ভাঙ্গানোর জন্য মাঝে মাঝে এই বিশেষ অভিযান চলে। মোবাইলের স্পিকার বেয়ে ভেসে আসে আড়মোড়া কণ্ঠ। আমার চমৎকার শিশুমনটা তখন জেগে উঠে। বর্ষাকালে আমাদের এলাকায় পাটচাষ হতো। বর্ষার যুবতী জলের মাঝে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকতো পাটগাছ। বাতাসের সাথে তাদের মিহিকুচি বন্ধুসভা আমাদের আনন্দসভাকে মিছিলে নামাতো। পাটপঁচা গন্ধের একটি বিশেষ অর্থ ছিল আমার নাকের কাছে। যে অর্থের অর্থ উদ্ধার করা যায়না আজো, তবু আজো মনে পড়ে তার গন্ধের অদৃশ্য দৃশ্য। পাটকাঠি রোদে শুকাতে দেওয়া হতো। অনেকটা তাবুস্টাইলে। মনে হতো যেন কসমিক তাবু। আমরা এই তাবুতে ঢুকে
ভালোবাসা ভালো থাক
কত ইতর খেলা ঘটে যায় হৃদয়ে বাসা বাধে ভালোবাসা বাসা বাধে বাহিরে কত রঙিন খেলা বসে যায় হৃদয়ে বাসা বাধে ভালোবাসা বাসা বাধে ভেতরে কুয়াশার কাপড়ে পড়ে থাকে স্মৃতির লাশ মানুষের অপমানে মানুষেরই কালান্তর উল্লাস বাসা বাধে ভালোবাসে বাসা বাধে আশেপাশে দূরে থাক তবু তার সুখডাকা ঘর থাক কাছে আসে ভালোবাসে কাছে আসে নিজে নিজে ঘর বানায় ঘর ভাঙে দোষারোপ করে শেষে কাছে আসে ভালোবাসে দূরে যায় দোষ ধরে ভালো থাক সুখে থাক সুখে থাক ভালো থাক আমোদে প্রমোদে সুখে থাক ভালো থাক আমাদের সময়ে সময়ের অভিশাপ কাল সাপ নীল সাপ ভালো সাপ অভিশাপ আমাদের সময়ে আমাদের অভিশাপ ভালো থাক সুখে থাক আমোদে প্রমোদে নীল জলে পাক সাত ভুল হলেও ঝড়টা ফুলদের ঘরে যাক থাক থাক ভালো থাক ভালোবাসা ভালো থাক ভালো থাক সুখে থাক
আকাশ পাতাল উঁচুনিচু
নষ্ট হচ্ছে ঘর নষ্ট হচ্ছে বাড়ি নষ্ট হচ্ছে মপর্না সেন নষ্ট হচ্ছে নারী চেপে আছে মন মৌমাছি ভনভন নষ্ট হচ্ছে প্রিয় হাসি নষ্ট হচ্ছে রাখাল বাঁশি নষ্ট হচ্ছে অফিসার নষ্ট হচ্ছে টিচার নষ্ট হচ্ছে গতকাল নষ্ট হচ্ছে আগামীকাল নষ্ট হচ্ছে আজ নষ্ট তাদের সাজ নষ্ট হচ্ছে অভ্যাস নষ্ট হচ্ছে ঘুমের রাত নষ্ট হচ্ছে অনেক কিছু আকাশ পাতাল উঁচুনিচু নষ্ট হচ্ছে মায়ের কুলে জন্ম নেয়া শিশুটিটু নষ্ট হচ্ছে ঘরের চাবি আজন্ম এক সত্য যীশু
দুই পৃথিবী
নারী ও পাখি উড়ে উড়ে চলে রমণী ও ঘুড়ি উড়ে কথা কই নারী ও কাক শীতে ঢল ঢল নদী ও নারী স্রোতে কল কল নারীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম পুরুষ, পুরুষের বৃন্দাবন নারী 〈〉 আমারে না জানাইয়্যা পৃথিবী ঢুক্কু ঢুক্কু খেলে শ্রাব্য-অশ্রাব্য শব্দের মাইদ্যে আমি টুয়াপাতি খেলে যায় কানা ঘোষ স্বামী তরও আকাশ ছিল আমারও ছিল চোখ চোখভরা নগ্ন আকাশ হাতভরা দুহ