বহন করে যাচ্ছি— আমাকে বহন করে যাচ্ছি আমি— উত্তর থেকে দক্ষিণ— দক্ষিণ থেকে পশ্চিম— পশ্চিম থেকে পাতাদের সংসার পর্যন্ত। সন্ধ্যার মুখে বাতাস নড়েচড়ে— অমায়িক হাসি ☺ ঢলে পড়ে চোখের ছায়ায়— চোখেরা কথা বলে— মুখ চুপচাপ— বিধবা চাওয়া সূর্যাস্তের পথ চিনে না— পথিক ভাবনায় নামে— ভাবনাযানে তার ঠোঁটে উড়তে উড়তে বাড়ে তিয়াসা— চোখে ভাসে তার মুখ যেনো জোছনা শরৎ প্যাগোডা হাসি— বলা হয় না তাকে বলা হয় নাই তাকে রাতের ট্রেন তুমি বড় ভালোবাসি— ঝকঝকা রঙের ঘোড়াময় শব্দ— শিবিরে পিদিম আলো মিটমিট গন্ধে মিষ্টি কুয়াশা ছড়ায়— শব্দের ভেতর নীরবতা রাশি রাশি— মহাকালের নৌকায় পথিক পথ চেয়ে থাকে জলের জোয়ারে ব্রহ্মালোক আকাশ। আবেগের মিছিল— আন্দোলনে তুমিহীন আমি— বহন করে যাচ্ছে— আমাকে বহন করে যাচ্ছে আমি— পালতোলা নৌকার ডাক— আত্মাবৃষ্টি রোজ ভেজায় পলিমাটির দেহ। মানুষের সেবায়
কবিতা
পুত্র আমার…
সব কিছু দ্রুত হবে— জন্ম কিংবা মৃত্যু— ভয় কিংবা সাহস— ভালোবাসা অথবা ঘৃণা। এমন সময় আসবে তিন মাসে জন্ম নিবে মানুষের বাচ্চা— ত্রিশ বছর হবে মানুষের গড় আয়ু। পান খেতে খেতে হাসতে হাসতে মৃত্যুর কুলে ঢলে পড়বে প্রিয় চাচা কিংবা যৌবনা ফুলের বাতাস। মায়ের আঙুল ধরে যে শিশু পাঠশালায় যাবে টুপি আর পাঞ্জাবি পরে হটাৎ সবকিছু ছেড়ে পালাবে— পৃথিবী উপরে পৃথিবী। পালাতে পালাতে মানুষ ভুলে যাবে মানুষের মুখ মানুষের কথা— মানুষ আর হাসবে না মানুষের মতো— পশুকে কেউ কোনোদিন হাসতে দেখেনি— মানুষের পৃথিবীতে হাসি এক উদ্ভুত ভয়ংকর আবিষ্কার। কলা গাছের সমান হবে একটি কলা— ভোগে যাবে— মায়ের ভোগে যাবে তোমাদের জমানো সুখ কিংবা আশ্চর্য ঐশ্বর্য। রাত হলে ভয়ে কাপতে থাকবে দিনের মানুষ— দিন হলে ভয়ে কাপতে থাকবে রাতের মানুষ। ব্যক্তিগত স্ত্রী বলে—
আহারে প্রেম!!
আহা! আহারে প্রেম!! গেলাম চলে দূরে বহুদূর ছিলো আমাদের আকাশ এককালে ছিলো বাতাস প্রানময় তোমার সুরে আহা! আহারে প্রেম!! রোদে শুকায় জোছনায় জেগে উঠে কালের খাতায় চর জাগে চক ডাস্টার স্বভাব ভুলে গেলাম ভুলে গেলাম মনফুল তুমিবন এখন ঢেউয়ের ঘরে দোল আমার দারুন অভ্যাসের বিছানো অভাব আহা! আহারে প্রেম!! চলে যায় ঝরা পাতা পথে আনন্দ নৃত্য করে অনিবার্য শোকে
যাচিত সনাতন পৃথিবী
পুরাতন। পিরিত পুরাতন। স্বাস্থ্যশীল পুরাতন। বহু জাগতিক পুরাতন পৃথিবী। মানুষের কল্পনার মতো যাচিত সনাতন পৃথিবী। কাচা পাতা বিক্রি করতে করতে জলের ছায়ায় কাপ্তাই মানুষ ভাসে— জলে স্থলে রসে কসরত ভঙ্গিতে প্রতারক মানুষ প্রার্থনার কথা বলে— অপরাজিতা ফুল ❀ দিয়ে চা হলেও আমার দুখ তোমার হয়ে যায় না— আমার দুখের কারন হতে পারো তুমি কিংবা তোমরা। আকাশে তারায় ☆ তারা যন্ত্র পাঠায়— তারা আকাশ বানাতে পারে না— আকাশের পাতে সূর্য একটা ডিম পারে— আর সেই ডিম খেয়ে বেচে থাকে যতসব বিজ্ঞানীফুল আর ফুলবানুর দল। আকাশ থেকে যতদূর মানুষের ঘর ততকাছে মানুষের মন— আকাশের সাথে দেখা হয় রোজ— দেখা হয় না দেখা হয় না কেবল মাটির উজ্জ্বল ব্রোর মনবাজারের প্রোজেনিটর সরলতার সাথে— রাখা হয় না রাখা হয় না খোঁজ— দ্যা স্কাই হেজ
দেখার আশায় পাল তুলেছি
উদাস মেঘের গান
আকাশে বাড়ি বানানোর পর
আকাশে বাড়ি বানানোর পর বাড়ি বানানোর কয়েকদিন পর এবং দুইয়ের সাথে দুই যোগ করার পর যোগফল যখন জনগণের বদলে সরকার হলো তখন ঠিক তখনই পৃথিবীতে নেমে আসে জোছনার প্লাবন চোখে নাকে কানে সাদা আর হরিণ রঙের ফুলের মেলা দূর থেকে ভেসে আসে মানবাধিকার কান্না কান্নাকাটি সেরে তিনি চললেন পুরাতন বাড়ির খুঁজে বাড়ি মিলেও গেলো মোবাইল রেকর্ড দারুণ কাজ জমজমাট ফেইসবুক ইউটিউব টুইটার কেবল ফতুর হচ্ছে ভিখারি আবেগ গাছে পাতা না থাকলে তার কী? কিচ্ছু হবে না ব্যাংকে মেঘ না থাকলে তার কী? কিচ্ছু হবে না বাতাসে ভোর না থাকলে তার কী? কিচ্ছু হবে না জমানো আলোতে তার চশমাচোখ পেয়ে যাবে পথ জমানো চালে তার ক্ষুধার্ত মুখ পেয়ে যাবে ঘাস জোছনার প্লাবন বাড়তে থাকবে শীতার্ত চোখে পাহাড় নেমে ভাসবে গরম জলে পর্যাপ্ত পরিশ্রম স্বার্থক করেছে আকাশের গল্পছাদঘুড়ি জলপ্রেম দেখেছে হাজার বছর তারা ফুল ফুল গভীর স্রোতে উজানে টানা সাপ পাথর নুড়ি
ইয়া জাজং নিথুয়া
একটু আসো ফাঁকে একটু আসো ফাঁকে ফাঁকে একটু আসো অনেকটা থেমে যাও তসবির দানার মতো সুতায় প্রেম গাও পাতায় পাতায় একটু হাসো অনেকটা থেমে যাও শীতের শিরায় বসে মানুষের প্রান গাও পূর্বাভাস অপূর্ব পুর্বারঙে সূচনাসুর অনাবিল গাঙচিল জলের ফাঁকে থামো একটু আনন্দ অনাবিল নারীবাদী রূপকথায় নারী আবাদি দাওয়াবিল সেইখানে যেখানে মজনু খুঁজে হারানো দিন ইয়া জাজং নিথুয়া দিগন্ত আলপিন লায়লি খুঁজে সুর ভোরবেলা পাতার আদর আন্ধার দেহে নুর বাজনার শানে বাজে সুর নৃত্য তাল আনন্দ পাতার দেহে বাতাস যেমন জয় পরানের ছন্দ হলুদ গুড়ো হলুদ গুড়া আলিফ লাম মিম ঘনঘোর তমসা বাতায়ন লেবানন লুকোনো গন্ধম অদৃশ্য আলাদিন রকদস্তি একদিন দুইদিন তারপর বহুদিন শেষ রাতে জেগে উঠে পাতার ফাঁকে জ্বিন জ্বিন যেনো পরী চায় পরী চায় ঘর থেমে থেমে আপন করো করো না করো একটু পর
ঝাঁকপূর্ণ রাত
ঝাঁকপূর্ণ রাত নেমে আসে। রক্তশুন্য শব্দ চুষে প্রকৃতি মানবিক। ঘুমের রেওয়াজ শুরু হয় নীরবতার তালপাতায়। রাতের জন্মসন্তান পৃথিবী কতো দিন ঘুমিয়ে ছিল জানা নেই। পৃথিবীর জন্মসন্তান আমি অর্ধদিন ঘুমাই। রাতকে দিন বলা পিতৃতান্ত্রিক অভ্যাস। অভ্যাসটাকে ফরমালিন সজীব রাখতে থেরাপির পর থেরাপি চলে— হেফাজত থেরাপি! আমরা ঘুমাই তারাও ঘুমাই মাঝে রাতের বীর্যপাত আল্লা রাইতটারে দিছে ঘুমাইবার লাইগগা ৩-১-১৪২০ ∇ তুমি বন্ধু ছায়া-কায়া আমি তোমার বাড়ি বাড়ির পাশে আড়শিনগর আড়শিপাড়ে নারী ১-১-১৪২০ ∇ মানুষের হাতে শিকার যন্ত্র পাখির ডানায় ওড়ার মন্ত্র
হ্যালো মাই ডিয়ার অনর্গল নদী
হ্যালো মাই ডিয়ার অনর্গল নদী সাগরের দেখা পাও যদি বলিও বলিও তারে বৃষ্টি হয়ে যাবো তার বাড়ি সে এক আশ্চর্য সহনশীল আনন্দ— বামটান ডানটান গাছের ছায়ায় এক ভয়ানক গ্রাম ছায়ার সুরে মনোধর ঝড় তুফান তুলে চোখে তার রাগের মিউজিয়াম কোলাহল করে কাকলি বাতাস গভীর রাতে মৃত্যু গিলে বলিও বলিও তারে জলের দুই পার বেদনায় একাকার দুই পার এক হলে জলমনে হাহাকার