আশা নদীর পাড়ে বসে লিখি জীবনকথা কৃষক আমি ফসল তুলে জয় করি সব ব্যথা আষাঢ় শ্রাবণ বর্ষা আমার জলজোয়ারে থাকি কষ্ট পেলে মনের কথা গপ্পেসপ্পে আকি তোমরা যারা কৃষক কেটে বানাও রাতের সুখ শাষণ তাপে সূর্য গলে ভাঙে আমার বুক মদের গ্লাসে মিছিল মিলন চলে এসিশোক শ্রমিক আমি ঘামে কথা মর্মে আমার দুক তোমার চোখে গাধা আমি মূল্যহীন এক লোক ষড়ঋতুর কালেও আমি ফসলঋতুর মানুষ তোমরা যারা উঁচু গলায় বাজাও পুতুল সুর নও কৃষ্ণ তোমরা আসল দুর্যোধনের হুশ বেচে থাকলে বাচাও কৃষক বাচতে আমি চাই রাজা হবে কর্মে কৃষক ভেদাভেদ তার নাই
কবিতা
সময় খেয়ে আমরা এখন
বিকাল মাচায় বসে আছি সন্ধ্যাপথ ধরে জলকন্যা ডাকছে আমায় আড়িয়ালখার ঘরে রোদ পড়েছে চুলের ঘ্রাণে জলকন্যা হাসে প্রিয়া আমার নদী বাংলা জল শরীরের ঘাসে নদী জানে সব জানে জানে সবার কথা অন্ধকার ডানায় ডানায় নাড়ছে বাতাস পাতা অন্ধকারের সামনে বসা মন বসানো ফুল ❀ আশা নদীর পাড়ে বসে মাঝি আকছে কূল ডাকছে ব্যাঙ উড়ছে ফড়িং উদাস করে মন বৃষ্টিজলে আড়িয়ালখা স্মৃতি বৈঠা বন জলের আগে তুমি ছিলে আমিও ছিলাম পাশে সময় খেয়ে আমরা এখন আড্ডা খেলার তাসে
দয়া তোমার না পেলে
দয়া তোমার না পেলে লাভ হবে কী বলো চাওয়া হলে সতত সচল ছলে বলে কৌশলে তুমি প্রেম প্রেমের মহল আমার আমিরও কাছে এক করিতকর্মা নুর পাইনা দেখা আলোরেখা যোজন যোজন দূর তুমি দয়া দয়াল দয়াময় গিরিশ-নন্দিনী স্বয়ং দয়ার সাগর তবু প্রেমহীন কারো সাথে সম্পর্ক রাখে না প্রভু মরা মাছ বাজপাখি শিকার করে না কভু প্রেম জানে চাতক পাখি বৃষ্টিধরা জল ইলেক্ট্রন প্রোটন যতসব খটাখট প্রেমের ফসল
প্রেমফুল শব্দপাঠ
তোমার হাতের দিকে বয়ে যাচ্ছে আমার হাত আমার হাত থেকে দূরে সরে সরে যাচ্ছে তোমার হাত আকাশের চোখের বিছানায় তোমার বাড়ি বানাবো বলে বলি— চলো একসাথে বাচি হাতে না রেখে হাত বাচা যায় বললে তুমি চোখে রেখে চোখ চলো সমুদ্র বানাই চোখে না রেখে চোখ হাটা যায় বললে তুমি পায়ে পায়ে ছন্দে তালে চলো মাখি ঘ্রাণ সভ্যতার পা থেকে পায়ের দূরত্ব কষলেও দেখা যায় দূরত্ব কষলেও দেখা যায় প্রাকৃতিক গ্রাম বললে তুমি দুজনের কানে দুজনে রোপণ করি চলো রোপণ করি চলো প্রেমফুল শব্দপাঠ কথাশব্দ বাহার না জেনেও বানানো যায় বসতির হাট বললে তুমি আমরা পাশাপাশি— আমাদের হাত পা চোখ কান প্রতিটি গ্রহের মতো কক্ষপথ বেছে নিয়েছে— আমরা কেবল বেছে নিতে পারিনি আমাদের পথ।
রেখো আমায় প্রেমে
পাগল আলপনা
কেটে যাবে যতসব হৃদয়ের খরা
দুইটি কবিতা
অজুহাতের আয়না
পড়তে যখন ইচ্ছে হলো পড়তে তুমি থাকো অসুখটুসুখ গায়ে তোমার ভালো করে মাখো ইচ্ছে এক দারুণ ব্যাপার সকাল বেলার পাখি ইচ্ছে হলে পালক কেটো কেটে নিও আখি কিচ্ছু হবেনা রঙের দুনিয়া দেখবেনা উড়বেনা— এইটুকু আর কি!? মন খারাপের দিনে বেদনাকে ডাকো ইচ্ছে হলে বিষন্নতায় অহিনিশি থাকো ভালো থাকা বাজে ব্যাপার তোমার সাথে যায়না বাজার থেকে কিনে আনো অজুহাতের আয়না তারপর এক সকাল দেখে মন খারাপের দেশে সব প্রজাদের রাজা হয়ে বাচো দীর্ঘশ্বাসে