গাছে মেঘকালার। মাঠে মেঘকালার। বসন্তের শাখায় শাখায় মেঘকালার। কলাভবন থেকে মেডিকেল কলেজ পর্যন্ত যে রাস্তাটি চলে গেছে সেই রাস্তার হাড়-কংকাল-মাংসে মেঘকালার। প্রকৃতি আজ নয়টা-পাঁচটা ডিউটি থেকে মুক্ত। প্রকৃতি আজ নিজের মতো করে বাউলিপনা করবে বলে ঘরকে করেছে বাহির। শকুন্তলাও তার পুরাতন সাইকেলকে ডাক দিয়েছে। বাংলা সাহিত্যের প্রাকৃতিক সাইকেল। সাইকেল হাজির। পৃথিবীর ছাদের নিচে একমাত্র বাউল নারী শকুন্তলা। মেড্ডার অর্ধখণ্ড দিয়ে শকুন্তলা পড়েছে কপালের টিপ। জল পড়ছে, বাসন্তী জল। জল থেকে রং এনে শকুন্তলা সম্পন্ন করছে পেডিকিউর। জলের সাথে নেমে আসছে শিলা। শিলাবৃষ্টি শরীরে মাখছে আর তাতেই তার শরীর থেকে ঝরে পড়ছে দুষ্মন্তশোক। প্রকৃতি আর শকুন্তলা যেখানে এক সেইখানেই শকুন্তলার বাহুযুগল কোমল গাছের মতো, তার ঠোঁটে নতুন পাতার শোভা। শকুন্তলা তার সাইকেলের কাছে নিরাপদ, প্রকৃতির ভেতর নিরাপদ। দুষ্মন্ত শকুন্তলা থেকে অনেক দূরে— কোনো এক নাগরিক
কবিতা
Higher than Blue
Every time in the evening come to say you the word The word is holy The word is child The word is blabber The word is epos But I can't utter the word But I can I want to keep my word on your mind ford But I am to stand still to watch your forearm to watch you are staring to watch your silence Your silence is stream ever than the river Your silence is sky higher than blue Your silence is wild more than thought Your silence is a panacea effective much more than integral hail You are the you thought of mine Look you say nothing Talk you having nothing Kiss you not of touching Intone you not of singing But Yes I want to say you something every time of evening what I can say what
তারানি
নারীর জন্ম মৃত্যু বরাবর। জন্মের গোলাপি স্বাদ তাদের প্রতারণা করে সেই সময় এবং এই সময়। নারীর ফটোকপি চোখের সামনে জ্বলজ্বল। মূল কপি চিতা বাঘের চিন্তায়। মনটা তাদের আশ্রয় খোঁজার তালে মাতাল। আসলে মহলের বাসিন্দারা কোনো দিন নারী হয়ে ওঠতে পারিনি; হয়ে ওঠে ‘রমণী’ ‘জননী’। তারানি তাদের প্রতিনিধি নয়? বিয়া বইতাম না। জীবনডা আমার। তুমরা অত ফাগল ঐছ কেরে। বিয়ার জীবন আর গাদার জীবন হমান হমান। মারে লন্ডনপ্রবাসী বড় ঘরের ছেলে। তোরে লন্ডন নিয়া যাইব। নাহুশ-তাহুশ করিস না। এমন বিয়া হগলের কফালে অই না। খাচার পরিপাটি গল্প ঘন-নীল আকাশপ্রাণ তারানির জেদে ঝড় আনে। তার হক কথার উত্তেজনায় রাগের ভাইরাস ছড়ে সবপাশ। সে তখন আন্তর্জাতিক বেয়াদব। তারানির একমুখী জেদ ভাতের ফেনার মতো গাণিতিক নয়; জ্যামিতিক হারে বাড়ে। কইছি বিয়া বইতাম না; মরা কবর থেইক্কা উইট্টা আইলেও
তুমিও মানুষ, দিনশেষে
জীব জন্তু জানোয়ার নয়, মানুষ সম্পর্কে তোমাকে সাবধান করছি। মানুষ তোমাকে ভালো থাকতে দিবে না, মানুষ তোমাকে খারাপ থাকতে বলবে না, মানুষ এখন পর্যন্ত আমার দেখা একমাত্র চিড়িয়া যাদের দেখতে চিড়িয়াখানায় যেতে হয় না। জীবন নামক তরকারিতে মানুষকে লবনের মতো ব্যবহার করতে শিখো যেনো তোমার জীবন-উত্তর শেষ পর্যন্ত তুমি দিতে পারো। কোনো মানুষকে তোমার কথা শুনতে বাধ্য করবে না। আমার কথা তুমি মানতে বাধ্য থাকবে না। কথাকে কাজে রূপান্তরিত করার আগে নিজের পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা ওপেন করে নিবে। নিজের চোখ সবচেয়ে বড় আদালত, নিজের মুখ সবচেয়ে বড় মার্কেট, নিজের হাত সবচেয়ে বড় গ্রুপ অব কোম্পানি, নিজের পা সবচেয়ে বড় মানবিক হাসপাতাল। নিজের চেয়ে কাউকে অধিক ভালোবাসতে যাবে না, পৃথিবীটা ভালোবাসার জায়গা নয়, দুনিয়াটা জাস্ট প্রয়োজনের জায়গা। কাউকে মুগ্ধ করার জন্যে হকার হয়ে উঠা
ভালোই আছি দেশটাতে
শান্তিবাতাস, তোমার ঘরে
সুখের সময় নাইবা পেলে পাশে দুখের সময় বজ্রপাতের সাথে একলা পথে হাঁটতে গিয়ে দেখো আলো হয়ে পথ দেখাবো রাতে আলোর সময় অনেক পোকা আসে আগুন হয়েও জলের মতো নাচে মাঘের শীতে তুমি যখন কাঁপো মেঘের বানে তুমি যখন ভাসো সব শালারা লুঙ্গি তুলে হাসে আমিও এখন হাসি সরল হাসি তোমার চেনা পথ ছেড়ে উল্টো পথে হাঁটি ভালো থেকো ভালো মতো বাজাও সুখবাঁশি শান্তিবাতাস তোমার ঘরে আসুক রাশি রাশি
প্রজাপতি
প্রজাপতি, তরমুজের বাইরে সবুজ ভেতরে লাল। লাল আর সবুজ মিলে একটি দেশ— বাংলাদেশ। তোমার মুখে যেদিন বাংলাদেশ দেখেছিলাম সেই দিন প্রথমবারের মতো হারিয়ে যাওয়া আমিকে খুঁজে পাই। প্রত্যেক আমির ভেতর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র তোমরা থাকে। আর প্রত্যেক তোমাদের ভেতর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আমরা থাকে। আমিও তাই মনে করতাম কিন্তু এখন দেখি আমার সমস্ত মনের ক্যানভাসে একটাই জলেরঙের আঁকা ছবি— তুমি এবং তুমি তা যেন তুমি নও, হুবহু আমি এবং আমি। গতকাল সারা রাত ঘুম হয় নি। আকাশে মেঘ ছিল প্রচুর। বৃষ্টি আসবে বলে আসেনি। তাই বালিশের সাথে মাথা থাকলেও ঘুমের সাথে চোখের সম্পর্ক হয়নি। তুমি তো জানো আমার একটি প্রিয় বদঅভ্যাস ছিল— বালিশে মাথা দেয়ার সাথে সাথে ঘুম চলে আসতো। আজকাল বদঅভ্যাসটি খুব করে আমাকে হামলা করেনা। আমিও এখন ঘুমহীন রাত কাটাতে শিখে গেছি।
কেন তুমি হাসতে জানো না?
চরমে যাবার ভয় বারবার জড়ায়ে ধরে পরমকে পাওয়ার আকুতি বারবার হৃদয়ে আসে গুনাগারের মতো ভগবান আমার বারবার ডাকে আমি যেতে চাই আমি ধরতে চাই ঘুমাতে চাই যোনির ভেতর গতিশীল নদী হয়ে ঘাসফুল অজ্ঞান না হয়ে মরে যায়, আকাশ থেকে নেমে আসে নৌকাবাইচ— লাল পতাকা— নাগরিক শব্দ থেকে নিস্তার নেই— বাড়িদের কোনো ঘর নেই— এতো নাইএর মাঝে ক্যামনে মাঝি নৌকা চালায় ইচ্ছে জাগে জানিবার— বৃষ্টির মতো মোনালিসা মেঘ আসে— সৃষ্টির জল চলে যায় পাহাড়ে— চলে যায় পর্বতের পরপারে। কেন তুমি হাসতে জানো না? কেন তুমি প্রার্থনার মতো চুপ থাকো ইথারে ইথারে? কেন তুমি পুষে রাখো কাফের অভিমান? আমি তো রোজ মানুষ, মিনিটে মিনিটে মানুষ, কিয়ামতের পরেও মানুষ— আমার জন্য একপাশে দোযখ অন্যপাশে স্বর্গ— অনিয়মিত হাসি আমাকেও দিতে হয়— স্বর্গের লোভে আমিও কায়েম করি সালাত— আমার হৃদয়েও আসে কামাতুর এলহাম। কেন তুমি মেলে ধরনা
এই নদীর নাম উন্নয়ন
সব নদীই কেমন যেন পুরাতন হয়ে যায় সব ঘাসেই কেমন যেন ময়লা জমে আমাদের বাড়ির সামনে অনেক সুন্দর একটি বাড়ি গড়ে ওঠেছিল— নির্জন মাঠ, সবুজ পোশাক, দক্ষিনা বাতাস— প্রকৃতির সুন্দর আয়োজনে ছিল বাড়িটি। আজ বাড়িটি শুধুই বাড়ি। তামাটে বর্নের নদীকন্যা ছিল চোখের সামনে, তার দেহে ছিল বাঁক, বাঁকে ছিল অজস্র জোয়ার, তাও আজ খরচ হয়ে গ্যাছে সময়ের নিহাদ ফ্যাশনে ওয়াল্ডে। যারা কালো চশমা পরে আমার চোখের সামনে দিয়ে হিরোবেশে পত পত করে হেঁটে যেতো তারা এখনো তেমনই আছে, তেমন নেই আর তাদের সম্পর্কে আমার ভাবনা, আমি এখন জেনে গেছি মাকাল ফল কেন এতো রূপ নিয়ে চেয়ে থাকে অহর্নিশ। মাকালের ঘর নেই, মাকালের নিজস্ব কোনো আকাশ নেই। সৎ হলে বলা যায় পাখি আকাশে উড়ে সৎ হলে বলা চলে মানুষের ঘর আছে আমাদের ঘর আছে সাগরে রয়েছে পৃথিবী, পৃথিবীর রয়েছে মাসিকস্রাব— জোয়ার। জোয়ারের
লিলিথকাব্য
রাধাস্নাত প্রকৃতি আমার ঝরা একখান মায়া আধখান প্যাঁচানো মারীচকায়া, আধখান ফানুসপায়া প্রকৃতিমানব শূন্য হয়েছে কৃষ্ণশূন্যতায় হংসমৈথুন আস্তানা গড়েনা দাহ্যমথুরায় লীলাপদ্ম কেন পেতেছে আসন আয়ুনঘোষ কাতরায় লিলিথকাব্য আকাশ হয়েছে ভাঙামেঘ উড়ে যায় বড়ায়ি তোমার ইচ্ছাপাখা মেলে ধর রাধাপৃথিবী বাতাস হয়েছে অনলে আনলে কৃষ্ণপাতা হেলিয়ে পড়ে লিলিথকমলে