গুচ্ছ গুচ্ছ আলোর পাশে একটা পোকা থাকে অন্ধকারে ধরার বেশে অধরা সে জলের ভীড়ে মাছেরা হাসে চুপিসারে অভিসার জানালা খোলা তার জোছনা আসে তার বাতায়নে শত শত কথার ভীড়ে একটা কথা থাকে নীরব ঘরে দেখা দিয়েও দেখায় না সে খুব যতনে গোপনে হাঁটে প্রতিদিন প্রতিদান মন তার ছিমছাম অনুপম ভাবনায় কথা বলে
কবিতা
জমা হওয়া অনেক কথা
কষ্টের জেলখানা
নিজেকে অলস ভেবে যখন রোদপথে হাটতে থাকি তখন দেখি আশি বছরের উঠোন আমার কাপে থরথর, আল্লা গো এমন রোদে মাইনসে ঘুমায় ক্যামনে, ক্যামনে মানুষ করে হাড়ভাঙা পরিশ্রম, উঠোনে বৃষ্টি নামে, টুনটুনি খেলে যায় হাজার বছরের মন্তু। একলাফে হাজার বছর, একলাফে কোটি বছর, একলাফে ঘুমের ভেতর লাফালাফি করে কই মাছ, আমার লাগাতার শৈশব, শৈশবের ধান ক্ষেত, ডেইন দিয়া আমার শৈশবের হাবভাব অতলা অতলা আরাম তুলে আনে, আমার শৈশবের নাকে যদি একটি মাঠ বসাতে পারতাম তাইলে বুঝাইতাম বাবুরাম খেলে যা কারে কই, কারে কই আফনার পর। আমার শৈশব বিয়া দেখলে কত সুন্দর ইদ ইদ খেলতো। আর অহন? কেমন করে চুপ হয়ে যায়, কেন যেন অহন বিয়ার মাইদদে হালি তারে চোখে দেখে, তা অহন তাহাদের কথা শিরোনামে বক্তৃতা দেয়, আর আমি একটু পরে পরে
এক মুখে হাজার শিস
এই জাতির সমস্যা খুব গভীরে এই জাতির সমস্যা ক্ষুধায় এই জাতির সমস্যা চোখে এই জাতির সমস্যা খুব গভীরে এই জাতি না মিছিলে এই জাতি না গোপনে এই জাতি মুখে মধু অন্তরে বিষ এই জাতির এক মুখে হাজার শিস এই জাতির এক মুখে চার কথা তেলাপোকা বাজারি নেতা তাদের আলাদা আলাদা ইশ্বর তারা ইশ্বর বানায় নিজের ভোগের উপর তাদের প্রভু থাকে অনেক দূরে আকাশের ঠিক টনখানি উপরে প্রভুকে ধরা যায় না ছোঁয়া যায় না বলেই প্রভু রাম শাম কখনো প্রভু হয় না— প্রভু থাকেন আলোর মিছিলে অন্ধকার থেকে অনেক দূরে আকাশের ঠিক মাসখানেক পরে নিজের দুর্বলতা মেজাজে ঢাকে গরম গরম মেজাজ শিশুর মতো চলে যারা তারা খুব দুর্বল তিনারা ভাবে জাতিগত সমস্যা খুব গভীরে প্রসংশা করে প্রসংশা ভাঙ্গে কেবলই প্রয়োজনে চোখের প্রয়োজনে ভোগের প্রয়োজনে নামের প্রয়োজনে খ্যাতির প্রয়োজনে সচিব হওয়ার প্রয়োজনে বিছানায় পাওয়ার প্রয়োজনে মাস্টার হওয়ার প্রয়োজনে তেলতেলে শরীর হবে তোমার খুব শীঘ্রই শরীরের পোশাক থাকবে না খুব
A lie for lie
A lie for lie makes the whole world dazzling dark. A lie is dark. A lie is a killing operation against sustenance. The only lie can make you great greater, and the greatest. But not for eternity for a time one. A bombastic lie and junk food family are the same as a burgeoning but ill-founded current— win and win situation here be not found. For a mosaic life, one needs a musical job alike unveiling the dark face, and that is the mother of Pearl. What should and what shouldn't is the big fish, man! Big fish is man's paradigm towards his time cell. If I make a game today, my child will be a player morrow. So what I keep
অলসতায় নির্বাণ
যুগপর্ব অদেশে বিআনত প্রণয় পাতালে হাঁটে ভিনদেশি বিনয় আজরাঈলের হয় না ভোর চা-নাস্তার খোঁজে প্রাণনাশের চাকরি নিয়ে মলিন বিমল হাসে মধুসময় তার ব্যস্তচাকু কাটে দূরপাল্লার নক্তচরে আমাকে ডাকে আজরাঈলের সাথে হয় কথা আলালে দুলালে জীবন আমার তোমার হাতেই চা-নাস্তা খাও মহাখুশি নিয়মিডাকাত আমার সেবায় অলসতায় নির্বাণ আজরাঈলের মাথায়
রহস্যের পথে দেখা হয় রোজ
আমিও কল দিয়েছিলাম ফোন বন্ধ ঘরের আলো নিভে গ্যাছে পাহাড়ি নদীর ডানহাতে জানালা ধরে নেমে আসছে চাদের বাসন্তী ঘ্রান একটা সন্ধ্যা একটা বিকাল একটা সকাল একটা সূর্যের মতো ভূতপূর্ব অভূতপূর্ব সময় আমি কল দিয়েছিলাম ফোন বন্ধ নদী দেখার ইচ্ছে কালো শাড়ি লাল টিপ কালো ব্লাউজ হাতে সবুজ রঙের কুচকাওয়াজ শঙ্খচিল মন আকাশে উড়াল দেয় রোদের ডানার মতো আকাশেও তুমি নেই বাতাসে নেই তোমার গন্ধ কথাতে নেই তোমার কম্পন চোখে নাই তোমার ঝনঝন দৃশ্য মনে মনে সারাদিন কলমন তোমার মনে ওয়াইফাই করি মনে মনে বেচে যাই আমরা শরীরে বেচে যায় মৃত্যু হলুদ আলোর সাথে বিয়ে দেই নীল আলোর অভিসারে যায় ব্রাউন সন্ধ্যার বেগুনি সকাল ফোনকলে কথা বলিনা কতকাল কতকাল তোমার মিষ্টি কন্ঠ আমার নিউরনে আমার নিউরনে চুমুভাস্কর্য স্থাপন করে না সাওম রোযার দেশে আমিও কাফির মুসাফির ইশারায় ডাক দিয়ে দেখো রক্তেমাংসে হবো হাজির কল দিয়েছিলাম মোবাইল ব্যালেন্স শেষ হওয়ার শত বছর আগে ফোন বন্ধ শতবছর পর দেখা হলেও বলবো ‘ভালোবাসি’ তোমার জন্য আমি বাচি আমার কথা
লাল মাটির পৃথিবী
লাইব্রেরি। লাইব্রেরির পাশে মেলার মাঠ। ভাষা ভবন। ভাষা ভবনের পাশে মেলার মাঠ। মেলার মাঠের কোনায় কোনায় তাদের আড্ডা। আড্ডায় বসে তারা বিলি করে দেশবিদেশের চরিত্রের সনদ পত্র। কে ভালো কে পাপী কে পন্ডিত মশাই কে মাস্টার মশাই কোন দাদার সাথে কোন দিদির টক কিংবা ঝাল সম্পর্ক তা এখানে বসে জানতে পারে বিশ্ব। অথবা ইহা শান্তিনিকেতনের ভাসমান নিউজরুম। এই নিউজরুমের কোনো প্রকার পরিবর্তন হয় না। প্রতিনিধি বদলায় কিন্তু নিধিরাম আচরন বদলায় না। অধ্যাপক বাবু দুবছর আগে যেমন করে রাস্তা মেপে মেপে হাঁটাচলা করতেন, এখনো করেন, এখন শুধু তার চোখের নিচের আকাশে ফন একখান স্বপ্নের জন্ম হয়েছে, বাবা হলে প্রত্যেক পিতার এমন একখান ভাবধাম আসে। অর্কিড বন্ধ হয়ে গ্যাছে। অর্কিডের আচরন নিয়ে শান্তিনিকেতনে মাস্তানি করছে আড্ডা। আড্ডায় জন্মদিনে লাল নীল হলুদ কালারের প্রেম খেলাধূলা করে, ভালোবাসা
অব্যয়
রেললাইন। হাজার বছরের পুরাতন রেললাইন। রেললাইনের পাশে মসজিদ। এখনো নির্মাণাধীন। একজন পাহারাদার, মুখে তার সর্বহারা সিগারেট। মসজিদের রড-সিমেন্ট যেন চুরি না হয় সেজন্য সারারাত তার ডিউটি। এই রেললাইনে কুকুর নিজের উপস্থিতি জানান দেয় প্রিয় কোনো শক্তিশালী ভঙ্গিমায়। রেললাইনের রেড এলার্ট কখন থেকে জারি করা তা রেললাইন জানে না, তাকে জানতে দেয়া হয়নি। একজন মাতাল পথ ভুলে রেললাইন ব্যবহার করছে বাড়ি ফেরার তাগাদায়। একটি চাঁদ ঝুলে আছে রেললাইনের ঠিক মাথা বরাবর। কৃত্রিম লাইট দূর অন্ধকারে মিলিয়ে যায়, দূর অন্ধকার থেকে ভেসে আসছে ঝিঁঝিঁপোকার আনন্দ ধ্বনি। দুটি আকাশচুম্বী বোকা গাছ লম্বা হতে হতে ছোট হওয়ার শিল্প ভুলে গেছে। রাত কিন্তু এখন মধ্য বয়সী— যৌবন এবং বৃদ্ধের হাতছানি। এই রাত বলে না কোনো কিছু আসবে,বলে না কোনো কিছু যাবে। কেবলই স্বপ্ন দেখায়। এখন রাতেরও স্বপ্ন
নীরব পথ
পথ আমি চিনি না। কোনো পথ। কোনো পথে আমার বাড়িঘর নেই। এই যে এই পথটি। মানে বিনয় ভবনের রাস্তাটিকে চিনতে পারছি না। অথচ কত চেনা ছিল সে আমার, কত সুর ছিল তার আচরনে বিচরনে, শরীর ভর্তি ছিল তার নদী জল স্রোতের মাহফুজ— জল পাখিদের কলরব। পথিক ভাঙা পথে আজ সে কাগজের ফুল— অধরা গন্ধে অধিকারহীন ব্যাকুল। কলেজ স্ট্রেটের চায়ের কাপে গরমের তেজ অথচ ধুপ নেই তেমন, নাগরিক কলকাতা এমনই হয় প্রিয়তমা— তুমি তা জান না, তুমি তা জান না— জিন্সের পেন্টাগ্রামে বিনয় ভবন হাঁটে না। পথ আজ নীরব গুসসা করে পথ হারাচ্ছে সময়ের যৌবন পথ ভুলে যাচ্ছে তার নিজের পথিক অবিরাম আয়োজন করে প্রিয়জনকে ভুলে থাকা যায়? যায় না। দহনকাল সময়ে অসময়ে দেখা দেয় অমাবস্যা কিংবা বর্ষাকালে— প্রেমদহনে গ্যালে বর্ষার ঢল নামে হৃদয়ে বারবার— মুক্তি