আজ শুক্রবার, আরেকটা ছুটির দিন, আরেকটি মিলনের দিন কিন্তু আজকের আকাশে এতো মেঘ কেন, কেন এতো গর্জন? সুন্দর আকাশ কেমন চমৎকার ফ্যাকাসে হয়ে আছে, বৃষ্টি হলেই পারে, কিন্তু বৃষ্টি হচ্ছে না, হচ্ছে না তো হচ্ছে না! জলিমা, মেঘলা আকাশ কেন আমার মনের উপর ভর করেছে? কালো নীল শাদা মেঘে ভরে গ্যাছে আমার আকাশ, বৃষ্টি হলেই জলের নদীতে হাসফাঁস করে শোকসমগ্রকে বিদায় জানাতে পারতাম, বৃষ্টিও মৃত্যুর মতো অপেক্ষাকারী প্রিয়তমা ধৈর্যের অসুর, কান্দি কাটি চোখে জল নাই তো জল না! সাক্ষাৎও এক তৃষ্ণার নাম, এক হৃদয়ঘটিত সুখের নাম! জল না পান করে থাকা যায় কিন্তু সাক্ষাৎ না করে আমি যে বাঁচতে পারবো না! জলিমা, ক্যামনে থাকো তুমি আমি বিহনে, তোমার হৃদয়গাছে কী একবারও আমার প্রেমবাতাস স্পর্শ করে না? চলে আসো সব ছেড়ে, চলে আসো এই অধম গরীবের ঘরে, তুমিআমি মিলে
কবিতা
আলো যখন আলো হলো
তোমার শহর থেকে কিছুটা দূরে
জলিমা, আজও তুমি এলে, এলো না তোমার ফোন কেবল, তোমার ফোনের অপেক্ষায় ছিলাম কিংবা একটি ছোট্ট মেসেজ, কিছুই এলো না, হঠাৎ এক ঝাঁকে নেমে আসে বৃষ্টি, বৃষ্টির পর শুরু হয় আমার মাথা ব্যথা, মাথা ব্যথা নামক অসুখ আমার নেই। তাহলে আজ কেন আমার মাথায় নেমে আসলো ব্যথা? ব্যথাদের উপরে হয়তো কোনো আকাশ নেই, আকাশ থাকলে এমন চমৎকার বাতাস আর ঝিরঝিরে বৃষ্টিকে সামনে রেখে কাউকে আক্রমন করতে পারে না। জলিমা, তোমার সাথে দেখা হবে না বলে আমিও তোমার শহর থেকে কিছুটা দূরে চলে গেছি, আমাদের দেখা আমাদের মতো করে হবে এটাই আমরা চাই, আমাদের চাওয়া পাওয়ার সাথে তাল রেখে চলে না, আমাদের পাওয়া বরাবরই চাওয়াকে ছাড়িয়ে যায়। পৃথিবী যেমন আছে তেমনই রবে তোমার কিংবা আমার। তারপরও আমাদের একটি পৃথিবী থাকবে যেখানে কোনো সাংবাদিকতা থাকে না, থাকে
মনের ডানার উদাস দুপুরে
এখন রাত। লোকজন এই সময়টাকে নিশি রাত বলে। একটু পরে ভোর হবে। একটু পরে মসজিদে আযান পরবে। আমি তোমার কথা ভাবছি। খুব করে ভাবছি। তোমাকে ফোন দিতে একটা সময় খুব ইচ্ছে করতো। এখন করে না। এখন ভাবতে ইচ্ছে করে। সহজ করে বললে তোমার কথা প্রায়ই মনে পড়ে আমার। জানতে ইচ্ছে করে কী করছো তুমি, রেগে গেলে কার সাথে ঝগড়া করো। তোমার গল্প জানতে খুব ইচ্ছে করে আমার। কেউ নাই যে তোমার কথা আমার কাছে বলবে। তুমি আমার কাছে এখন জীবিত পরকাল। কেউ মেঘদূত ☁ হয়ে তোমার মনের দেশের খবরাখবর আমার কাছে পৌঁছে দিলে সে নিশ্চিত স্বর্গ লাভ করতো। কিচ্ছু না, তুমি কী করছো, কী ভাবছো, কি নিয়ে ব্যস্ততা যাচ্ছে, কোনো মানুষকে তোমার নতুন করে ভালো লাগছে কিনা জানতে পারলেই ভালো
বুকপকেটে প্রতিজ্ঞাফুল
প্রেমের জিকির
যোজন যোজন দূরে
একটি হাতকাটা লাশ কাটাঘরে পরে আছে সাপে নেউলধূসর পাড়ে যোজন যোজন দূরে নগ্নদৃশ্য বসে আছে মাঝির অপেক্ষায় ডিঙ্গা এসেছে নদীর কূলে মাঝি আমার নাই নিজেই মাঝি চলল চরে নির্বাণ তার চায় মাঝখানে তুমি পেছনে নারী, নির্বাণ একটু সামনে নারী ভেতরে চর আছে, চরের ভেতরে তুমি পেছনে তাকালে কলঙ্ক হবে, নারী কলঙ্কভূমি সামনে চলো, মুক্তি পাবে, নির্বাণই তোমার নারী
বৃন্দাবালক কৃষ্ণ জানে রাধার অভিমান
এই তো ভালো ভালোর সাথে ভালো যেমন থাকে ফুলের সাথে গন্ধ যেমন ফুলের ❀ সাথে বাচে নদীর সাথে জলের যেমন মাছের যেমন দেখা তুমি যেমন তোমার হাতে✋রাশিফলের রেখা আমি যেমন তোমার হাতে শুভ শুভ্র শাখা গাছের সাথে পাতা গরমকালের পাখা ঝুলমাংস ছিডালরুডি পিঠা ঝুমবৃষ্টি শ্যামাকন্যার কানের লতিশব্দ সাতার শেষে দুটি দেহের নখের আঁচড় সাতার শেষে দুটি দেহ কামে প্রেমে দগ্ধ আচলখোলা দুটি দেহ পেরেক অবিরাম বৃন্দাবালক কৃষ্ণ জানে রাধার অভিমান জলে ঝাল ডাঙায় কাল আকাশভরা মেঘের ☁ বাহন ব্যথার দেশে শব্দ ভালো ভালোর সাথে আছি ভালোর সাথে ভালো যেমন ভালো হয়ে থাকে অন্ধকারে কালো যেমন মুখ লুকিয়ে হাসে জলের মাঠে হাস যেমন জলের মতো ভাসে হেসে আছি ভেসে আছি আছি প্রেমের ত্রাসে আছি এখন যেমন ছিলাম তেমন থাকবো বলে ঘরে তোমার ডেকে নিও ঘর শুকানো হলে
তখন তুমি মাত্র দুপুর
মানুষ হয়ে রাতের মতো কথা বললে আমি কিন্তু ঠিকই একটা ভোর কিনবো ভোরের সাথে সূর্যে যাবো ভোরের কথায় দুঃখ পাবো ভোরের চোখের শিশির খাবো তখন তুমি ঠিকই একটা ভোর হবে আমরা তখন দুপুরস্রোতে বিকাল হবো বিকালপরে অন্ধকারের খরস্রোতা এক নদী পাবো তখন তুমি মাত্র দুপুর পাওয়ার ইচ্ছায় তীব্র ব্যাকুল আমরা তখন দুপুররাতের শান্তি সুখের কুমকুমাকুম এমনি করে বয়বে রাত এমনি করে নামবে দিন পাখি গায়বে গায়বে গান একটি নদী জলে ভরা একটি নদী চরে খরা
কষ্ট আর কত বড়!
আমার পৃথিবী পাতা নয় পাতার শিরা-উপশিরা কিংবা পেরিফেরাল পুলক অথবা চোখের পাতা আর চোখের দূরত্বের মতো ছোট কাহ্ন পার গুরুশাস্ত্রে ভক্তি নেই শ্রীরাম নিজের মনে মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রার্থনা করি গুরু-শিষ্য আমার ইচ্ছার এপিঠ-সেপিঠ তবু ঝড়ো হাওয়া তুমি আশ্রয় নিলে এই জীবের ডানায় আমাকে জানলে তুমি কানায় কানায় আশা দিলে নিয়ে যাবে স্বপময় শুন্যদেশে শুন্য হয়ে গেলাম, স্বপ্ন আসেনি ঝড়ো হাওয়া চলে গিয়ে ভুল করোনি ক্ষুদ্র জীবন, কষ্ট আর কত বড়! ও সাথী আমার দেখে যেও পাতার মরণ