ভুলের জঠরে বায়তুল্লাহ্ কাদেরী বলিঘোড়া খুব কাছে এসে হ্রেষা ডাকে: উঠুন, সম্ভ্রান্ত। উঠুন এ পৃষ্ঠদেশে। ভাবলাম, এই আরোহণ যদি হয় নদী-মদিরার দেশে আর না ফেরার ? যদি হয় ভুলে-যাওয়া ঋণের চারণভূমি তাহলে কি ঘোড়া স্থির হবে ঘূর্ণন রেখায় ? আবহমানের কোল ঘেঁষে আমিও দাঁড়াই ছিলাম, রয়েছি, রবো- এইভাবে মর্ত্যময় একজন ভাবে, অন্যজন খুব ভোরবেলা অপরজনের কাছে এসে বলে পৃথিবীতে যে লোকের জন্য দম বন্ধ হতে যাচ্ছিল রুহের ফেরেশতার তারও প্রশ্ন ছিল: ছিলাম, রয়েছি, রবো- এসবের মানে কি বলুন? জনাব, জবাব দিয়েই তবে নিয়ে নিন আমার রুহের তোহফা। ফেরেশতাটি থ' মেরে তাজ্জব! বলে কি এ গোয়ালার পুত ! ঝিয়ের পেটেই কি না মায়ের জন্ম! তাহলে ঝিটা কার? কোথায় সে ছিল, রয়েছে কোথায়, কিংবা রবে কোন ভুলের জঠরে ? কবিতাটি এক অস্তিত্ববাদী ভ্রমণ। বলিঘোড়া এখানে নিয়তির রূপক, যেটি মানুষকে টেনে নেয় অজানা গন্তব্যে। “ছিলাম, রয়েছি, রবো”—এই পুনরাবৃত্তি প্রশ্ন তোলে
You are here
Home > আড়াইসিধা