ছোট জানালা বড় মাঠ ছোট মাঠ বড় জানালা আকাশ দেখা যায় আকাশ ধরা যায় নীড়ধরা সন্ধ্যাপাখি ছোট নৌকা পানসে নদী শ্যামাকন্যা জলঘাট পালতোলা দেহতরী জলে জন্ম জলে মরি দালান ঘরে মাটির আশা মাটির ঘর মাটির আকাশ দুটি চোখ চোরের আশা চড়ুই পাখি চলে যাওয়া প্রাণমুখ অবহেলিত বাক্যে মরে যায় নরম তুলতুলে মন ব্যস্ত শহর ব্যস্ত মানুষ ব্যস্ত ধন জন ঠান্ডালাগা গলা কান্নাভেজা গলা বুঝে তারা আপন আপন যারা ঘুম চোখে বাউল পাখি কোন সুরে গায় গান কেমনে বুঝি আমার মনে তোমার মনের টান ছোট জানালা বড় মাঠ খোলা আকাশ খাবনামা ফালনামা ও তাবীর খেলছে চোখ খেলছে হাত খেলছে খোলা কান দূরে তুমি সময়-সুতা মানুষ ঘুড়ি অসীম সীমায় তুমি ঝড় তুমি শীত তুমি বন্যা তুমিই কলেধরা বান
Author: emranor reja
কিছু মেঘ আর কাঁচা রোদ
বাতি নিভে যাওয়ার মতো কোনো সন্ধ্যা আসেনি গরম অন্ধকারের মতো কোনো রাত আসেনি শিবের মতো কোনো ভোর আসেনি আমার জীবনে আমার জীবনে এসেছে একটা আকাশ সাথে কিছু মেঘ আর কাঁচা রোদ নিয়ে, কুয়াশা আর কিছু টকবগে বাতাস নিয়ে একদিন অনেক দূরের আকাশকে ডেকে নিয়ে আসে আমাদের আকাশ, আমাদের উজান গাঙে নেমে এলো মধুরমা স্বপ্ন, জালে দেখা দিল বড় বড় খৈল মাছ, আমাদের গবাদি পশুর হাঁট দারুন জমে ওঠলো, গাছঘরে বাড়ে কলরব, মাঠে নেমে আসে দর্শন, দুগ্ধবতী হয়ে ওঠে আমাদের আড্ডা, উর্বরবতী রস আসে আমাদের চুম্বনে, আমাদের কথার ফিতা দেয়াল থেকে বের হয়ে গ্যালাক্সির উঠোনে প্রীতি ম্যাচের আয়োজন করে পৃথিবী ভুলে গেলো সাপ্লিমেন্ট নিয়তি, পৃথিবী আস্থা রাখতে আরম্ভ করে কর্মে সংগ্রামে কৌশলে পৃথিবী ভুলে গেলো হয় মারো নয় বাঁচো নীতিমার্কা ঢেউটিনের ঢেঁকুর। আমাদের পৃথিবী এখন একগুচ্ছ ফুলের
মহিমা চৌধুরী
আয়নাবাজি সিনেমার পর বাদশা ভাই সবচেয়ে জনপ্রিয়। না, বাদশা ভাই কোনো সিনেমার নাম না। বাদশা ভাইয়ের দোকান। ভাসমান দোকান। উদ্যানে তার ভাসমান খাবারের দোকান। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থেকে শুরু করে বাংলা একাডেমির কর্মকর্তা মিডিয়া ব্যক্তিত্ব সবাই তার খাবারের ভক্ত। সে যখন প্রথম উদ্যানে খাবার চালু করে আমি ছিলাম তার দোকানের প্রথম কাস্টমার। আমি তার খাবার খেয়ে বলেছিলাম আপনি তো একদিন অনেক জনপ্রিয় হয়ে যাবেন, আমার কথা কিন্তু মনে রাখবেন। সে একটি বিনয়ের হাসি দিয়েছিল। আজকেও বাদশা ভাই আর তার বউয়ের আচরনে বিনয় আছে কিন্তু প্রথম কাস্টমার হিসাবে আমার কোনো আলগা সুবিধা নাই। বারোটার মধ্যে তারা উদ্যানে চলে আসে। প্রায় চারটা পর্যন্ত তাদের খাবার চলে। আজকে আসতে একটু লেইট হচ্ছে। একটু বলতে প্রায় দেড় ঘন্টা। সবাই খাবার খেতে আসে কিন্তু খাবার তো আসেনি। অপেক্ষা
প্রেমে পরিচয়
প্রেমে মরে না মানুষ
ক্ষেতের কিনারে জলেছোঁয়া নদী মধুপুর গ্রাম আমাদের নৌকার বাতাস কলমি শাক হাইচা গাছে মানুষের জীবন মিনিপ্যাক ঢেউয়ের সারি দূরে এক বন গাছের ঝুলে থাকা আসন্ন রাত মাঝি তোমার গাঙ আমার বসে থাকা পাল মাঝি তোমার জাল আমার পরানের মোড়কে মাছ আর মাছ নির্জন নিরুপায় গানের সুরের তালে তালে মেঘনা বড় হচ্ছে প্রতি ঢেউয়ে পারিবারিক আবহে পাতামাখা রাত মেশিনের নৌকা নৌকার প্রাচীন শব্দের আজান মেঘলা স্বপ্নের দুরারোগ্য দর্বৃষ্টিপাত সব মিলিয়ে যায় অন্ধকারের মতো দিনের ভেতরে সব তলিয়ে যায় দিনের মতো অন্ধকারের ভেতরে বসে থাকা পাখি গান গাওয়া দিন কতিপয় আলো হাসি আর কান্নার রাত একদিন একদিন করে নদী আর আকাশ মিলে যাওয়ার মতো মুহূর্তে চিকন ডাক শুনতে পাচ্ছে সময় সে আসবে আমিও যাবো সে যাবে আমিও আসবো অনেক নীরব জলে ভেসে থেকে দেখেছি জীবনের গান এক আজব হরফ— ও এ ক খ ছায়ার বাড়িতে নেমে আসা রোদ কল্প লতা গান শীতল জলে গাংচিল
যায়, চলে যায়
যায় চলে যায় চলে যায় নদী চলে যায় সাগর চলে যায় পাহাড় চলে যায় গাছ চলে যায় দেশ চলে যায় মহাদেশ যায় চলে যায় কই যায় তারা? চলে গেলে তুমি চলে গেলো ভূমি চলে গেলো স্মৃতির ডাকাত চলে গেলো আমাদের আজকাল প্রভাত মানুষ চলে যায় মানুষ চলে যাচ্ছে চলে যাবে মানুষ প্রান বটতলা কই যায়? জিরো হয়ে যায় কলা কৌশল ছলা আকাশে নদীর ছায়া বিরাট মায়া ঢেউ তরঙ্গ জোছনা গাছ বিরাট রাত ঘুমহীন চোখে অন্ধ সকাল ঘাসের শরীর রূপান্তর ঢেউ ফলবতী দৃষ্টির এন্টাসিড প্লাস অনেক আশার গাতা ডুবে যায় ডুবে যায় দেহ ডুবে যায় ডাক ডুবে যায় জীবন পথ আকাশ অর্জন ডুবে যায় ফুল ফল গন্ধ বাতাস ডুবে যায় ডুবে যায় ডুবে যায় কত গভীরে ডুবে নিপাতনে জলবান? কার প্রানে লাগায় মৃত্যু নতুন এক প্রান? কারে জিগামু কারে জিগাই কারে জিগামু কারে জিগাই কই যাই? কই যায় তারা?
মেঘেরও ডানা থাকে
অনেক ব্যথার পর জন্ম নেয় একজন মানুষ তবুও তো কথা থাকে মানুষের ঘরে বিমান থেকে উড়ো আসে কতিপয় মেঘ মেঘেরও ডানা থাকে মেঘেরও থাকে কিছু আনন্দ আন্দালিব অনেক দূর থেকে যমুনার ঘরে জলের কলতান আস্তে করে দেখে নিতে হয় জলের কাছে কেবল জল, মনের কাছে কেবল মন, মাছের কাছে কেবলই মাছ— এই আমাদের চোখ, আমাদের সমাজ। গাছের শরীরে ছুরিকাঘাতে লাঞ্চিত করে প্রাকৃতিক সুখ— কারা? বহু আগে যারা গুরু নামে স্বার্থের সাথে কেটে নিয়েছিল একলব্যের বীরশ্রেষ্ঠ অনামিকা তারা… আমি তাদের সাথে বসবাস করি, খাই দাই আনন্দ করি অনেক ব্যথার পর হয়তো আমিও আমি হয়ে ওঠি!
লেবাসের জপ
চলছে ট্রেনের মোড়ক পেঁচানো পলিজিনি গাড়িখানা বাতাসলগে আজব শহর জ্বিন আলাদিনের আস্তানা ট্রেন থেকে অনেক দূরে শ্রমিকের ঘর বাড়ি মামলার সুখে আমলা এখন অপরাধমাখা গাড়ি মাঝখানে দ্বীপের মতো রোদেলা হাসি নারী ঠোঁটের ভেতর ঘর বেঁধেছে বহুগামী নদী সাগর উত্তাল পাতালে নেমেছে পাহাড় প্রিয় দিদি পাহাড়ে পাহাড়ে পাখি কলরব জমিনে মানুষ রাজা রোজ মরছে ঘামের রক্ত চেতনার বাড়ছে সাজা কলাশিশ্ন জিংলা নিয়ে বাড়ছে বিপ্লবী বাড়ছে ফলের রংকালার বাড়ছে ভংবাদী দোয়া কবুলের নামে বাড়ছে আমিন আমিন রব হুজুর খাচ্ছে মজুরের ঘাম বাড়ছে লেবাসের জপ আবহাওয়ার খবর দিচ্ছে ভাঙ্গা কলের গান ঝরাপাতার পেঁচানো রোগ ভ্যানিটি ব্যাগের প্রান বিপ্লব হয়েছে বিনোদন সিনেমা তেলাপোকা সাহস দলাদলির ঘর সংসার সুদ কাঞ্জি পাট্টা চেলি চাহস
তোমার চোখে বৃষ্টি কেমন?
তোমার চোখে বৃষ্টি কেমন ভেবেও আমি ভাবি না তোমার চোখে রোদের খেলা দেখেও আমি দেখি না একলা আমি সাগর তীরে সাগর আমি সাগরমুখী পেছন থেকে স্মৃতির খেলা গল্প আমার লুকোচুরি আকাশ বেয়ে চাঁদ উঠে মেঘও তার প্রতিবেশী পেছনে সব উড়াল পাখি সমাজ নিয়ে দারুন খুশী বয়ে চলা জীবন নিয়ে প্রশ্ন করি উত্তর লিখি বর্ষাজলে বেহুলা ভাসে স্বর্গ কোথায় স্বর্গ খুঁজি জীবন যাবে জীবন রবে আসবে তুমি আসবে আমি আবার যখন দেখা হবে বলবো তোমার প্রেমিক আমি
গ্রামের নদী হতাম যদি
গ্রামের খুব কাছে মেঘনা নদী গ্রামের নদী হতাম যদি বাষ্প হয়ে বাতাসে বাতাসে মেঘ হয়ে আকাশে আকাশে জলচোখে চিনে নিতাম বন্ধু তোমার বাড়ি তারপর কোনো এক দিন তৃষ্ণায় তুমি চিন চিন ঠিক তখন ঠিক তখন আমি তোমার একমাত্র আপন কানকথা নেই ভুলদেখা নেই নেই কোনো দর্জি মেশিন তোমার চাওয়া আমি আমার চাওয়া তুমি চাওয়া চাওয়া এক হয়ে আমরা তখন স্রোতস্বিনী নদী ঢেউয়ে ঢেউয়ে সংসার জলকেলি কালচার প্রেমে মনে গুলজার একে একে একেকার আমি যে তোমার তুমি যে আমার আমি যেন দেহ তুমি আমার আত্মা তারা যেন না বলে তারা যেন না বলে তুমি আর আমি ভিন্ন সত্তা