সাপ একবার বলল তোমরা আপেল খাও, তারপর থেকে তারা বারবার আপেল খেতে লাগলো। আপেল খাওয়ার কারনে পৃথিবী নামক দ্বীপে তাদেরকে নির্বাসন দেয়া হলো। তবুও তারা আপেল খাবে। জান্নাতে যেমন সাপ ছিল পৃথিবীতেও সাপ আছে। তবে পৃথিবীতে সাপ এসে ব্যবসায়ী হয়ে গ্যাছে– মাছ ব্যবসায়ী, গাইড ব্যবসায়ী, শিক্ষা ব্যবসায়ী, গান ব্যবসায়ী, ধর্ম ব্যবসায়ী, কর্ম ব্যবসায়ী, ব্যবসায়ী এবং ব্যবসায়ী।
Author: emranor reja
চাঁদের জোছনা পৃথিবীর আলোয়
মিছিলের ভীড়ে বহু আগে হারিয়ে গেছে জমিলা লাল শাড়ি চাকরি নিয়েছে বৃদ্ধার কামনার ঘোরে বৃদ্ধের চোখে জড়িয়ে থাকে লিপস্টিক হাসি প্রেমের গন্ধম কৌনিক দাবি, উপপাদ্যের পাঠশালা মজিদ, হুসেন মিয়া আধখানা সমাজ, আধখানা তাহাদের কুর্নিশফাঁড়ি নিথুয়া এজাজত প্রতিপাদ্য স্মরণসভা, কাতারে বক্তব্য, বক্তব্যের সারি চাঁদের জোছনা পৃথিবীর আলোয় দ্বিতীয় অর্জুন সীতা বির্সজনে নারীপ্রগতি, সময়ের সাংসারিক গুণ বহুকাল হয়ে গেল সখিনা বিবির কান্দন থামেনি এখনকার জমিলা রান্না করে আবেগ– মমতার তরকারি
মধু প্রিয়ার কথার পাখা
দশটি হাঁসের জীবন
বিবিসি নিউজ শুনছিলাম। শুনছিলাম এক গ্রামীন মায়ের বক্তব্য। অবশ্যই বক্তব্য বলা যাবে না, বলতে হবে গ্রামীন মায়ের কথা। কারন মিডিয়া মনে করে গ্রামীন সহজ সরল মানুষ বক্তব্য দেয়ার মতো যোগ্যতা রাখে না। বক্তব্য বা অভিভাষন দেয়ার একমাত্র যোগ্যতা রাখে শহরের গুগলমুখী মানুষ যারা মুখ ও মুখোশের হিসাবটা ভালো জানে। কথায় যা উঠে আসলো তা হলো গ্রামীন মা বন্যায় আটকা পড়েছে। তার কুড়ি পঁচিশটা হাঁস ছিল, তার মধ্যে দশটি হাঁস মারা গ্যাছে। আর দশটি হাঁস মারা যাওয়াতে তার বড় ক্ষতি হয়ে গ্যাছে। হ্যাঁ, সে বলছিল তার বড় (!) ক্ষতি হয়ে গ্যাছে। অথচ এই শহরের বিলাসী রেস্টুরেন্টে প্রতি ডিনারে মাত্র একটি টেবিলে দশ হাঁসের অবচয়ের হিসাব ডাস্টবিনে জমা থাকে!
একা এক অসুখের নাম
আমাদের বাড়ির দক্ষিনে ডোবা। আমাদের বাড়ির দক্ষিনে সবুজ আর সবুজ। সবুজে রাতে ডাহুক ডাকে। দিনে সেই ডাহুকই আবার খেলা করে বাচ্চা নিয়ে। দক্ষিনে বসে সবুজ দেখা যায়, ডাহুক দেখা যায়, অনেক বছরের পুরাতন এক কাঁটাগাছ দেখা যায়, দেখা যায় না দূরের সেই গ্রামটিকে। গ্রামটি আমার শৈশবের প্রশ্ন গল্প কৌতূহল। মনে মনে গ্রামটিতে হাঁটাচলা করে আসি, আমার পায়ে তাতেই সন্ধ্যা নামে। রাত করে বাড়ি ফিরি। মনে মনে। সেই গ্রামে মানুষ থাকে, না ভূত থাকে তাও জানতাম না। জানতে পারবো বলে আশাও করিনি। গ্রামটি তাই আমার কাছে একধরনের আলিফ লায়লা সিরিয়াল– দেখে দেখে দেখার বাসনা বাড়ে। সেই দূরের গ্রামের পরপারেও আমাদের জমি ছিল। আব্বা গ্রামটি পার করে প্রায় নিজের জমি দেখতে যেতো। আব্বাকে নিয়ে আমার টেনশনের শেষ ছিল না। কারন ভূত যদি আব্বাকে কিছু করে। আস্তে
ক রো না বি ন তে কো ভি ড উ নি শ [তৃতীয় পর্ব]
...জব্বার সাহেব করোনা নিয়ে শ্বশুর বাড়ি গেলেন মধুমাসের আম কাঠাল খাওয়ার জন্যে। জব্বার সাহেব থেকে তার শ্বশুর বাড়ির প্রত্যেকে করোনায় আক্রান্ত হলো। পরে জানতে পারি জব্বার সাহেবের শাশুড়ি মারা গেলেন। কারন জব্বার সাহেবের শাশুড়ির ভাইরাসের বিরুদ্ধে ফাইট করার জন্যে পর্যাপ্ত সক্ষমতা ছিল না। তাহলে খুনী কে? খুনী আতর আলী প্রথমে, তারপর জব্বার। এখন যারা ঘর থেকে বের হচ্ছে, আনন্দে আকাশে বাতাসে ঘুরে বেড়াচ্ছে এরা প্রত্যেকে খুনী। তাহলে আপনি বলতে পারেন সুইডেনের প্রত্যেকে ত আকাশে বাতাসে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তারাও কী প্রত্যেকে প্রত্যেকের জন্য খুনী? আরে ভাই, ওরে বোন, সুইডেন একটি সাংবিধানিক রাজতন্ত্র। রাজা কার্ল ষোড়শ গুস্তাফ রাষ্ট্রপ্রধান হন। দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্তেফান লোফভেন (Sweden is a special country characterized by high levels of trust—not just between people but between people and government institutions)।
গোধূলির কান্না
একতরফা বৃষ্টি হওয়ার কথা। বৃষ্টি হবে হয়তো। ভাদ্র মাস বলেই সন্দেহ। ভাদ্রের সূর্য, বৃষ্টি, ভ্যাপসা গরম অর্থাৎ তার কোনো আচরণ নিয়ে নিশ্চিতভাবে কথা বলা যায় না, ছন্দহীনের মতো ছন্দময়। আমাদের গ্রামে এক আলোচিত সাবালক আছে। সাবালক মেয়ে। এখনো বিয়ে বসেনি। কোনো ছেলে হয়তো তাকে বিয়ে করতো। কিন্তু! সে নিজেকে ব্যতীত অন্য কাউকে পরিচ্ছন্ন মনে করে না। সবার আচরণে, পোশাকে যেন ময়লা। সালুনি স্নান করতে যায় রাতে। স্নান শেষে ঘরে আসার আগ পর্যন্ত কেউ যেন তাকে দেখতে না পায়। মানুষের চোখেও ময়লা আছে তার ধারণা। বাড়ি টু বাড়ি ঘুরাঘুরি তার দৈনিক ডিউটি। প্রত্যেক বাড়ির মুরুববী গিন্নির সাথে তার উঠা-বসা। প্রত্যেক বাড়িতে তার আলোচ্য বিষয় ময়লা। কার শরীরে, মনে কী পরিমাণ ময়লা লেগে আছে। গিন্নিরা ময়লার আলোচনা শুনতে বেশ সুখ পায়, এই সুখ যে অহংকারের। হায়রে অহংকার! মানুষ
সূর্য জেগে থাকে দিনমান
উত্তাল শাহবাগ
গণজাগরণ মঞ্চ। উত্তাল শাহবাগ। জয় বাংলা ধ্বনি-প্রতিধ্বনি। বসে আছি আমিও। বসে আছি মূল মঞ্চের খুব নিকটে। বার বার আমার চোখ ক্যামেরার দিকে। ক্যামেরা যদি একবার আমার চেহারাহানা ক্লিক করে তাইলে আমার গ্রামের মানুষ ঘরে বসে আমারে দেখতে পাইবো। দেখতে পাইলেই আমারে ফোন দিবো আর কইবো, ‘আফনারে অমুক টিভিতে দেখছি।’ তাতেই আমি খুশি, বসে থাকার উসুল হয়ে যাবে। আমার পাশেই বসে আছে মোমবাতি মোমবাতি টাইপের এক নারী। তার সাথে কিউট কিউট এক শিশু। শিশুর কপালে বাংলাদেশের পতাকা, শরীরে পাঞ্জাবি। নারী আমার দিকে তাকিয়ে বলে, ‘মনে হচ্ছে আবার স্বাধীনতা যুদ্ধ চলে আসছে।’ উত্তর না দিয়ে মৃদু হাসলাম। মৃদু হাসলাম। কিছুক্ষণ পর ছোট ছোট বৃষ্টির ফোঁটা পড়ছে। নারী আর বসে থাকেনি। কারণ বৃষ্টির ফোঁটা নারীর ম্যাকাপ করা মুখে আক্রমণ করে, ম্যাকাপ নষ্ট হয়ে যায়, ক্যামেরায় রূপালী ফেইস আর আসবে
বাওনবাইরার ভাষা [ ৬ ]
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ‘ও’ কারের উচ্চারণ ‘উ’ কারের মতো করা হয় আলো > আলু; ভালো > ভালু; কালো > কালু; কোথায় > কুথায়; কোটা > কুটা; শোনা > শুনা; সোনা > সুনা; পাঠানো > পাঠানু; খোলা > খুলা; চোর > চুর; ডোবা > ডুবা; নোনা > নুনা।। ( আরও পড়ুন ) ♥ বাওনবাইরার ভাষা [ ৫ ] ♥ বাওনবাইরার ভাষা [ ৪ ] ♥ বাওনবাইরার ভাষা [ ৩ ] ♥ বাওনবাইরার ভাষা [ ২ ] ♥ বাওনবাইরার ভাষা [ ১ ]