Exam is an structure and every structure based on power, power practice. And so seen power practice builds a den of classification, earthly gloom. As a result of classification a new devastated burn of thought has been come in our locality, then we have to face Adam and devil complex, Adam - devil hardship. Exam deserves quality at first, quality is the atomic something to make a huge difference between man and man. So why? quality is preferably urged! we need preferable life leading by born is the burning cause. Exam is the infinite choice at all. And only for that man's lives are buried in the infinite earth but not in the eternal appeal. It is harrowed sorrows that the factor exam fingers our
Author: emranor reja
শব্দের জীবন
তারা শব্দের প্রথমে র’ ফলা থাকলে র’ ফলাকে উচ্চারন করতে প্রস্তুত নয়। ফলে গ্রাম, গ্রামীন, প্রান , ঘ্রান প্রভৃতি শব্দের উচ্চারন করে গেরাম, গেরামিন, পরান, গেরান। তারা জিব্বার ওঠানামা, আগেপিছে নিয়মনীতির প্রতি যথেষ্ট পরিমানে উদাসীন। দেখা যায় টিব্যাগকে উচ্চারন করতেছে টিকেট। টিব্যাগের চা দাও বললে, তারা অনুবাদ করে জানতে চায় টিকেট চা কিনা। তখন বলি হ মামা, টিকেট চা। তারা শব্দের সংক্ষিপ্তকরনে পটু। ওগো আমার আপাকে তারা আগঅ’ বলে কাজ সমাধান করে ~ আগঅ তুমি হুদুহুদি রাগ করতাছ।
নীরব অন্ধকার
তারপর আমাকে বাজারে তুলা হলো। এক টাকা দামের চকলেটের সাথে রাখা হলো আমাকে। কেউ কেউ রাখলেন দামি কোনো হিরা মনি মুক্তার সাথে। কেউ আবার মেয়াদোত্তীর্ন পন্যের সাথে রেখে দিল ডাস্টবিনের জন্য। আমার তো ভালো লাগে গ্রামের নীরব অন্ধকার। যেখানে গ্রাম শহর মানুষ বলতে কিছু নেই এমন জায়গায় যেতে পারলে আরও ভালো লাগবে বলে স্বপ্নের জাল বুনতে থাকি দিনের পর দিন। দুটি কালিম পাখিকে রেখে ছিলাম ব্যক্তিগত খাঁচায়। দেখলাম দিনের পর দিন তারা ম্লান হয়ে আসছে। ভেতরে তাদের হাজার বছরের ছটফটানি। একদিন তাদের মুক্ত করে দিলাম। তারা কোনো এক পুরাতন ডোবায় কচুরিপানার ঘরে রচনা করে তাদের প্রাকৃতিক সংসার। তারপর দুই থেকে তারা হয়ে গেলো শতাধিক, ছড়িয়ে পড়লো আড়াইসিধার প্রত্যেক ডোবায় ডোবায়। আর আমি হয়ে গেলাম তাদের পাখনার নিচের আদিম অন্ধকার।
বিপ্লবী উল্লাসকর দত্তের স্মৃতি
কাসেম ভাই। পারভেজ মুন্না নামে নিজের পরিচয় দিতে ব্যাপক স্বাচ্ছন্দবোধ করেন তিনি। কাজ করেছেন ১৮ বছর বাংলাদেশ নৌবাহিনিতে। কবিতাবাহিনিতে ইদানিং ব্যাপক তোড়জোড়রে নিজেকে যুক্ত করেছেন। ভালোবাসেন কবিতা ও বই পড়তে। ইদানিং তেমন বই পড়ছেন না, ইদানিং কবিতাঘোর তাকে আক্রান্ত করেছে। একদিন রাতে তার মাথায় কবিতা নাযিল হচ্ছে, এমন সময় তার প্রস্রাব পায়। কবিতাঘোর চলে যাবে, তাই লুঙ্গি না পরেই টয়লেটে যাত্রা করেন তিনি। তার কাছ থেকে জানতে পারি— হয় তিনি একটা কবিতা জীবনে লেখবেন নতুবা পাগল হয়ে যাবেন। কমান্ডো প্রশিক্ষন তিনি নিয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনি থেকে। এই প্রথম কোনো সামরিক বাহিনির লোকের সাথে আমার সাক্ষাৎ ঘটে যিনি কবিতা লেখার জন্যে জীবনের দীর্ঘ সমুদ্র সফেন অতিক্রম করার প্রয়াস করেছেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের হেমন্তী গল্প পড়ে সাহিত্যের প্রতি তার অনুরাগ জন্মে ১৯৯৮ সালে। তারপর থেকে জ্ঞানতৃষ্ণা কাতর
পরগাছা
যে সব পরগাছা মেয়েরা ভাবছেন স্বামী অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হলেই আপনার মেরুদন্ডের একটি পারিবারিক ঠিকানা হয়ে যাবে তাদেরকে শুধু বলতে চাই আপনিও কিন্তু জীবন্ত গাছ। মানুষ ইচ্ছা করলেই পরগাছা হতে পারে কিন্তু মানুষ ইচ্ছা করলেই গাছ হতে পারে না, যদিও স্বকীয়তা নিয়ে প্রত্যেকটি মানুষ জন্মগ্রহন করে। আপনার মানসিকতায় যদি পরগাছা মনোভাব থাকে তাহলে আপনার সন্তানও পরগাছা মানসিকতা নিয়ে বড় হবে। কারন দশ মাস দশ দিন সন্তান আপনার গর্ভেই অবস্থান করে। শিশুর মানসিক গাঠনিক পর্যায়েও আপনার সান্নিধ্য হয়তো লাভ করে থাকে, আপনার বুকের দুধ তার পৃথিবীর বুকে প্রথম খাবার। ছহবত আসল কথা– ছহবতে ছালে তোরা ছালে কোনাদ ছহবতে তালে তোরা তালে কোনাদ। অনেকে আপনাকে গাছের খুঁটি ভাবতে পারে, আপনি নিশ্চয় খুঁটির মতো জোয়ার-ভাটাহীন পদার্থ হতে জন্মগ্রহন করেন নাই, পৃথিবী আপনাকে মানুষ ভাবতেই পছন্দ করে
আসলে মানুষ, নির্ভরশীল
জিন্দেগি বহৎ কুছ সিখাতে হে কাভি হাসাতি হে কাভি রোলাতি হে হুদছে জাদা কিছিপে ভারোসা মাত কার না আন্দেরে সে তো পারছায়ি বি সাত সুর ঝাতে হে অন্ধকারে নাকি নিজের ছায়াও নিজের সাথে থাকে না। আমি বলি অন্য কথা। অন্ধকারে ছায়া আর আমি এক হয়ে যাই। বিপদ আসলেই নিজের চরিত্র আয়না হয়ে যায়। নিজেকে তখন নিজের চোখে দেখা যায়। কষ্টের ভেতর থাকে অন্য রকম মানব জীবন। কষ্টের গানই মূলত গান। কষ্টের কথাই মূলত পৃথিবীর আদি কথা। মানুষকে অবশ্যই মানুষের উপর বিশ্বাস, ভরসা রাখতে হয়। একজন বিজ্ঞানীর সাথে একজন কৃষক জন্মগতভাবে থাকেন। কারণ কৃষকের উৎপাদিত ফসল বিজ্ঞানীকে ভোগ করতে হয়। একজন কৃষকের সাথে একজন তাঁতী বাধ্যতামূলকভাবে থাকেন। কারণ কৃষককে কাপড় পরিধান করতে হয়। একজন তাঁতীর মাঝে একজন ডাক্তার থাকেন। কারণ তাঁতীকে ঔষধ সেবন করতে হয়। আসলে মানুষ
এই কথা শেষ কথা নয়
সকালে। খুব সকালে। গ্রাম এলাকায় যারে বলে বিননালা। বিননালা মানে সূর্য দেখা যায়নি পুব আকাশে এমন সময়। দেখবেন আপনার জমি আর আপনার নাই। আপনার বাড়ি আর আপনার নাই। আপনার পরমা সুন্দরী রূপকথার মতো গুনবতী বউ আর আপনার খতিয়ানে নাই। ছাগল স্নান করতে যাবে সাগরে। পাহাড়ে আশ্রয় নিবে কবুতরের ডানা। মানুষ হয়ে পড়বে বৃষ্টির মতো পতনমুখী টুপটাপ টাপুর টুপুর ঝনঝন পনপন। এই রাত শেষ রাত এই কথা শেষ কথা নয় নিজেকে দিনে দিনে বিক্রি করে যে গাড়িটা ক্রয় করলেন, যে গাড়িটা ক্রয় করলেন মানুষের মাংস বিক্রি করে, যে রেস্তোরা ঝিকমিক করে তুললেন আপনার আপন স্ত্রীর স্তন বিক্রি করে, মানুষের রক্তের কার্পেটে আপনি যে বিলাসবহুল প্রাসাদ দালাল গড়ে তুললেন— একদিন সন্ধ্যায় দেখবেন তা আর আপনার নাই— নাই আর চেয়ারম্যানগিরি ফলানোর অতি উচ্চ জমিদারি দম্ভী দামদর—
দ্বিতীয় মানুষ
প্রজাপতি, তোমার গিফট হাতে পেলাম। চমৎকার কারুকার্যখচিত আল্পনা। অনেকক্ষণ হাতে তৈরি খামের দিকে তাকিয়ে ছিলাম,তাকিয়ে ছিলাম খামের ভাঁজে ভাঁজে যে স্পর্শ লুকিয়ে আছে তার দিকে। চোখে নাকি মন থাকে, আমি বলি চোখে থাকে জীবন। তাই জীবন দিয়ে খামের জীবনকে উপলব্ধি করার চেষ্টা করি। উপলব্ধির জায়গায় আমি চমৎকার মানুষ, প্রকাশের জায়গায় এখনো আশাবাদী হয়ে ওঠতে পারি নি। বেশি ফুলের নাম জানি না। কারণ আমার শৈশব কেটেছে সরিষার ফুলের গন্ধে। তা ছাড়া তথ্যগত জায়গা থেকে আমার শৈশব ততটা শিক্ষিত না। তারপরও তোমার পাঠানো খামের প্রচ্ছদে নীরবে শুয়ে থাকা অজানা ফুলের দিকে আমার চোখ। ফুলের মাঝখানে ‘প্রজাপতি’ শব্দটি আমাকে মারাত্মক প্রেমিক করে তোলে। প্রিয় নাম যে ফুলের চেয়েও সুন্দর হতে পারে, হতে পারে ফুলের চেয়েও সুগন্ধী আমার জানা ছিল না। তার উপরে প্রিয় নামটি প্রিয়ার নিজ হাতে
‘তুই’ ও ‘তুমি’
গল্পটি আম্মার কাছ থেকে শোনা। আম্মা শুনেছে তার আম্মার কাছ থেকে— এক মহিলার তিন বিয়ে হয়েছে। তার প্রতিটি বিয়ে ভেঙে যাওয়ার একটিই কারন— স্বামী যখনই রাগ করে মহিলাকে ‘তুই’ বলে সে আর স্বামী-সংসার করে না। চতুর্থ বিয়ের সময় মহিলার পরিবার থেকে স্বামীকে সর্তক করে দেয়া হয়েছে যাতে ভুলেও মহিলাকে ‘তুই’ না বলে। স্বামী জমিতে কামলা নিয়ে যায়। বউকে রান্না করার জন্যে বলে যায়। কিন্তু বউ রান্না করে নাই। নাস্তা করতে এসে স্বামী তো প্রচন্ড রেগে যায়। গ্রামীন স্বামী বউকে গালি দিতে হবে— তবে ‘তুই’ বলা যাবে না। এখন? গ্রামীন স্বামী এবার বউকে গালি দিচ্ছে এইভাবে— চুতমারানি তুমি খেতে গেছে মুনি ভাত নানছ না কেরে তুমি কামলা লইয়া হামু কি আমি