আমি প্রতিদিন রাতে একগ্লাস জুস খাই। পেঁপের বা আমের বা কলার জুস। একটি দোকান থেকেই খাই। পকেটে যেহেতু টাকা এবং মনভর্তি স্বাধীনতা আছে সেহেতু যে কোনো দোকান থেকেই খেতে পারি। কিন্তু খাই না। যেখানেই থাকি জুস খাওয়ার জন্য আমি সেই দোকানে চলে আসি (ঢাকা থাকলে)। লেনদেন আমি একজায়গা থেকে করতে পছন্দ করি। আমার মোবাইল কোনো কারনে অন্য চার্জজার দিয়ে চার্জ দিলে মোবাইল গুসসা করে অনেকটা বাংলা সিনেমার এককালীন চমৎকার অভিনেত্রী শাবানার মতো। সে তখন ভালোভাবে কাজ করতে চায় না। তাই যেকোনো লেনদেনে আমি বহুগামীতা পছন্দ করি না। একবছর যাবৎ আমি সেই দোকান থেকে জুস খাচ্ছি। কিন্তু দোকানদার আমার সাথে অন্য কাস্টমারের মতোই আচরন করে। প্রতিদিন দোকানে গিয়ে আমাকে বলতে হয়, ভাই প্রয়োজনে টাকা বেশি নেন কিন্তু আমার জুস যেন ভালো হয়। সে
Author: emranor reja
সুখবাসী মানুষের ভাষা
১৬১০ সাল। সুবেদার। বাংলার সুবেদার ইসলাম খান চিশতি ঢাকায় আসন পাতেন। সুবেদার সাহেবের সাথে অসংখ্য পশ্চিম ভারতীয়, আফগান, ইরান-আরবি তথা বহিরাগত মুসলমান-সনাতনী ঢাকায় আসেন। এই আগমন ধারা আরও প্রায় ২৫০ বছর চলমান থাকে বুড়িগঙ্গা নদীর তীর ধরে। সুবেদার ইসলাম খান চিশতিকে মেন্টর মনে করে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে গড়ে উঠা এই বিশাল জনস্রোতের ধারাই আজকের পুরান ঢাকা। তবে আলো ব্যবসা জুতা ব্যবসা আলু ব্যবসা মাছ ব্যবসাকে কেদ্র করে প্রচুর মিশ্রিত জনস্রোত এই পুরান ঢাকায় পাওয়া যায় যা সুবেদার সাহেবের রচিত জনস্রোতের বাইরে। পুরান ঢাকার মানুষ যে ভাষায় কথা বলে তা মূলত সোব্বাসী ভাষা। সুখে বাস করা বা সুখবাস থেকে সোব্বাস। সোব্বাস ঢাকাইয়ারা সুখকে বলে সোখ। সুখ থেকে সোখ, ফলে সুখবাস থেকে সোব্বাস। পুরান ঢাকার মানুষ যে সুখে বসবাস করতে পছন্দ করে তার অনেক
মানুষের সবচেয়ে বড় আবিষ্কার মানুষ
মানুষের সবচেয়ে বড় আবিষ্কার মানুষ। পৃথিবীর সব সৌন্দর্য প্রায় এক। কিন্তু মানুষের সৌন্দর্য বৈচিত্র্যমিত্র। মানুষের হিংসা ভালো লাগে, মানুষের রাগ ভালো লাগে, মানুষের অভিমান ভালো লাগে, মানুষের নির্লিপ্ততা ভালো লাগে। আকাশ যেকারনে আকাশ সেই কারনে আকাশকে ভালো লাগে। মানুষ যে কারনে মানুষ সেই কারন ছাড়াও মানুষকে ভালো লাগে। সৌরজগৎ কসমিক সময়ের কাছে একটি বালির চেয়েও ছোট। আর পৃথিবীর জায়গা তো সেখানে নেই বললেই চলে। মানুষ ত আরও নেই। তবুও মানুষ একটা পারমানবিক বোমার নাম, মানুষ একটা ঐতিহাসিক প্রেমের নাম। কোপাই নদীর সাথে কুমিল্লার গোমতী নদীর বেশ মিল। গোমতী নদী কিন্তু আমাদের ছোট নদী না যে বাঁকে বাঁকে চলে। সন্ধ্যা মাঝি সাঁওতাল বালিকা। দশম শ্রেনির ছাত্রী। তাকে দেখে আমার মাথিনের কথা মনে পড়ে। ধীরাজ বেটা কৃষ্ণের যোগ্য বংশধর হয়তো। এখানে মাথিনকূপ নেই, আছে কংকালীতলা। সন্ধ্যা
জলের শরীরে জলের মৃত্যু
পাতাওয়ালা গাছের নিচে বসতে বসতে হঠাৎ গৌতম হওয়ার ইচ্ছা জাগলে ফুলদের বাড়ি যাবো— ফুলদের সাথে কথা হবে কতিপয় ফল নিয়ে। গাছের ছায়ায় পাখিমন ঘুমাতে চায় আল্পনা ছোঁয়ায়— সত্য প্রমান করতে গঙ্গা নদীতে যমুনার চাষ করতে হয় না— ইলিশ যাবে জনগনেরর পেটে। কথা বলতে বলতে রাত বাড়বে। তারপরও কথা শেষ হবে না। ফতোয়া খতিয়ান দেখানো বন্ধ করে চলো মানুষের বাড়ি যাই একসঙ্গে। মানুষের কোনো ঘর নেই এখন— পাতাকে পছন্দ করে পাতামানব হয়ে বাস করছে গাছের নিচে নিচে। আদিকালের কথা ভুলে বর্তমান হয়ে চলো বাচতে শিখি— খুব সহজভাবে মেঘের পালকের মতো সুর লয় তাল নিয়ে। যত কথা বলবে সহজ কথার মতো কোনো কথা নেই— যত চালাকি করবে সহজ চাওয়ার মতো কোনো চাওয়া নেই— সব কিছু নিভে যাবে— গুন্না করে নাক দিয়ে কথা বলে লাভ
গ্রামীন হৃদয়ের আকাশ বাতাস
নাগরিক মানুষ প্রতি রাতে হয়তো মিউজিক প্লেয়ার চালু করে ঘুমিয়ে যাওয়ার অভিনয় করে কিন্তু চোখে ঘুম আসে না, তারপর কেমিক্যাল কেয়ারে চোখের পাতা বন্ধ করে এবং নিজেকে হাজার রকমের অটোসাজেশন দিতে দিতে স্বপ্নের দেশে যাওয়ার মিশন চালায়। কিন্তু এখানে ব্যাঙ কাহারবা তালে মিউজিক প্লেয়ার অন করে। প্রাকৃতিক মিউজিক প্লেয়ার। এখানে বিছানায় গতর রাখা মানে চোখে চমৎকার ঘুম নেমে আসা, মনে নেমে আসে সুমনা স্বপ্ন। ঘুম থেকে জেগে ওঠলেই অনুধাবন করা যায় ঘুমিয়ে ছিলাম। হলুদ আলো চোখে এসে নাচতে শুরু করে, হাঁসের চুই চুই ডাক কানে এসে তারাময় সঙ্গীত রচনা করে। হাঁসের ডাক শেষ না হতেই লাতার কামুক ডাকক্রিয়া মনে জানান দেয় প্রকৃতির অমিয়ভূষন নিয়তির কথা। লাতার ডাকের সাথে হামিং করে ছাগলের বাআ বাআ ধ্বনি হৃদয়ে নিয়ে আসবে চরসাটুরিয়া আবেদন। গ্রামের প্রাকৃতিক
৮.৮- এর বনগাঁ লোকাল
পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজন আলোর পরম্পরা। সমাজ অন্ধকারের ভয়াল থাবা থেকে বেরিয়ে আসুক অধিকাংশ মানুষ চায়। কারণ পৃথিবীতে খারাপ মানুষের সংখ্যা আসলেই অল্প। ভালো মানুষের সংখ্যা বেশী। তবে বেশী ভালো মানুষের বিশাল অংশ নিরীহ। মেরুদণ্ড নেই। সহজভাবে বললে মেরুদণ্ডহীন ভালো মানুষ। এমনি মেরুদণ্ডহীন ভালো মানুষ আমাদের অনন্ত দাস (তাপস পাল)। ছাপোষা কেরানি। নিজের চেহারা আয়নায় দেখে শান্তি পাই। বউ, সন্তান আর বৃদ্ধ বাবাকে নিয়ে তার সংসার। সাদা সাদা মিথ্যার মতো ছোট ছোট অপরাধ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে অনন্ত দাস। নিজের অধিকার যে পরিপূর্ণ আদায় করতে পারে এমন নয়। তাইতো ভদ্র মানুষের প্রতিনিধি (মুখোশধারী) দুলাল দার কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা আদায় করতে পারেনি, একবার অনেক নকশা করে বললেও দুলাল দা অস্বীকার করে। নিজের জীবনে হুমকি আসবে এমন কিছু করতে রাজি নয় অনন্ত দাস।
ষোলো আনা চাই
পাগলী পোকাদের ছেড়ে চলে আয়, উর্বর জমি আমার বর্গা দিয়েছি আজ সাত মাস,জেনে রাখিস এই জমি তুই ছাড়া বিক্রি হবার না, ইরি বিরি গাইন্দা ধানের ফসলি মৌসুম আমার, তর জাবার পূর্ন করবে বারো মাস, তর নখের আঁচড়ে মাটি পাবে প্রান,প্রান ভাসবে আবেগের বন্যায়, এখনো বেঁচে আছে এই মাটি তর স্পর্শের কামনায়,পাগলী সব কিছু ভুলে সব পাহাড় বেয়ে চলে আয় আমার আঙিনায়,তকে আমার ষোলো আনা চাই,এক সিকি কম হলে জ্বলবে আগুন এই বাংলায়।
নারীকে মাংস ভাবিনি
কেউ যদি বলতো কী করছেন? আমি হয়তো বলতাম অলসতার কূলে শুয়ে আছি। তখন কেউ বলতো না না, একদম অলসতা করা যাবে না। এখনি স্নান সেরে দায়িত্ব সচেতন হয়ে পড়ুন। আমি বলতাম, আরেকটু অলসতা পান করি, তারপর না হয়…। আপনার রূপ-কথার রাণী সাত সমুদ্র তের নদীর পাড়ে অপেক্ষা করছে। অলস হলে দৈত্য এসে হালুম করে নিয়ে যাবে আপনার রাণীকে। তাতে কী? দৈত্যের বুঝি মাংস খাওয়ার স্বাদ জাগে না। ভীতু হরিণের মাংস খুব বেশি লাল হয়ে থাকে, লাল মাংস দৈত্যের কাছে স্বাদ আর স্বাদ, লাফালাফি প্রিয়। লজ্জা আর লজ্জা, ছি, ছি ছি কেন? কী হলো আবার নারীকে মাংস ভাবতে লজ্জা হলো না আপনার, আপনি এত নীচ। নারীকে মাংস ভাবিনি বলেই তো অলস হয়ে শুয়ে আছি হায় চিল বেদনায়, এখনো তেলোয়াত করি পদ্মঠোঁটের চুম্বন। আমার ঠোঁট আজ হিরোশিমা-নাগাসাকি যেখানে জন্মাবে না আর
আফালের মাছ [ ৬ ]
মৃত্যু এক পর্যটন নগরী, প্রাণী বাধ্যগত পর্যটক মায়ের জাত এখনো ঘরকেই জয় করতে শিখেনি, আর বাইরে তো তুমুল বৃষ্টি শিশুদের চোখ নিষ্পাপ নগরী, শিশুদের হাসি হৃদয়ের ঢেউ প্রতিটি ভ্রমণ একটি জন্মের কথা বলে, প্রতিটি রমণ একটি ভ্রমণের কথা বলে প্রেমিকা বানরকে পছন্দ করে, প্রেমিককে মনে করে খোপার বেলী ফুল মানুষের হাসির নিচে থাকে স্বার্থ, কান্নার নিচে আমিত্ব প্রত্যেক নারী সাবজেক্ট- ভার্ব-অবজেক্ট, প্রত্যেক পুরুষ অবজেক্ট-ভার্ব-সাবজেক্ট রাত মানে অন্ধকার নয়— চোখের অসুখ Night is not the collection of dark body; very limitation of the eye রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কেমন করে যেন ঘরের ভেতরের কথা খুব সহজ করে বাইরে নিয়ে এসে ফুলেল গন্ধময় করে তুলেন, বাইরের কথা ঘরে নিয়ে এসে ভীষন সুন্দর পূজাঅর্ঘ প্রতিমা করে তুলেন আলোর খুব কাছে থাকে পোকামাকড়— আলো থেকে
আফালের মাছ [ ৫ ]
শরীরের কোন অংশে ক্যানসারের ভাইরাস পাওয়া গেলে তা কেটে ফেলে দিতে হয়। ডাক্তার তাই করেন। জীবন বাঁচাতে গেলে ডাক্তারকে এমন অনেক নিষ্ঠুর কার্যাবলী অত্যন্ত দক্ষভাবে সমাপ্ত করতে হয়। প্রয়োজনে নিষ্ঠুর হওয়ার নাম মানবিকতা। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে বাংলাদেশে রোগীর চেয়ে ডাক্তার বেশি। আপনার সন্তানকে নিয়মিত সহনশীলতার টিকা দেন যাতে সে গনতান্ত্রিক মানুষ হয়ে ওঠতে পারে। শিক্ষিত ছাগল শেষ পর্যন্ত মানুষ হয়ে ওঠতে পারে কিন্তু গনতান্ত্রিক ছাগল শেষ পর্যন্ত মানুষের হয়ে ওঠতে পারে না। Things end but thoughts survive যাদের গার্লফ্রেন্ড অথবা বয়ফ্রেন্ড নেই তাদের গার্লফ্রেন্ড অথবা বয়ফ্রেন্ড শয়তান অনেকেই আমাকে ম্যাসেজ দেয় ‘শুভ রাত্রি’। তারা শুভ এবং রাত্রির মাঝখানে ফাঁক রাখে। কিন্তু আমি জানি শুভ এবং রাত্রি বিবাহিত। তাই তাদেরকে আলাদা রাখতে চাই না অন্তত রাতের বেলায়। তাইতো আমি ম্যাসেজ পাঠাই