জ্ঞান— আমাকে একটা কথা বলো তো? শিক্ষা— কি কথা হে মহান জ্ঞান? জ্ঞান— নৌকা পানিতে ভাসে। পাথর কেনো ডুবে যায়? শিক্ষা— নৌকা জলে শরীর রেখে যে জায়গা দখল করে তার ওজন জলের ওজনের চেয়ে কম: পাথর জলে যখন শরীর রাখে তখন তার ওজন জলের ওজনের চেয়ে বেশি। জ্ঞান— প্রিয় মেধাবী তুমি উত্তরটা দাও তো। মেধাবী— নৌকার মোট ঘনত্ব পানির চেয়ে কম হওয়ায় এটি ভেসে থাকে, আর পাথরের ঘনত্ব বেশি হওয়ায় এটি ডুবে যায়। জ্ঞান— বাহ: তোমরা দুজনে সুন্দর বললে। নৌকা আর পাথরের জীবন থেকে তোমরা কি কোনো লেসন খুঁজে পাও? শিক্ষা— আপনিই বলুন হে প্রানপ্রিয় জ্ঞান। জ্ঞান— দুনিয়ার চাওয়া পাওয়ায় এমনভাবে মন রাখো যাতে চাওয়া পাওয়ার ওজন দুনিয়ার চেয়ে বেশি না হয়: বেশি হলে ডুবে যাবে: কম হলে ভেসে থাকবে এবং তীরে যেতে পারবে। মেধাবী— লোভ-লালসার ভারে যখন মন
Author: emranor reja
দিনাজপুর দুপুর
বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের দিনাজপুর শহরের রেস্ট হাউজটি বা পর্যটন মোটেলটি ভালো— ভালো বলতে দিনাজপুর শহরে এর চেয়ে ভালো মোটেল কিংবা রেস্ট হাউজ আর নেই— তবে সে আরও ভালো হতে পারতো— রুমে সেই পুরাতন এসি— সেই পুরাতন সামগ্রিক সেটআপ— তোয়ালে থেকে শুরু করে নুয়ালে পর্যন্ত। পরিবেশ নিরব শান্ত, নিরাপত্তা পদ্ধতি যথেষ্ট ভালো। কিন্তু সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে পর্যটন মোটেল দিনাজপুর আপডেট হতে পারেনি। সকালে ঘুম থেকে উঠি নয়টায়— তারপর নাস্তা খাওয়ার পালা— নাস্তায় দুটি রুটি একটি ডিম একটি পানির বোতল এক কাপ কফি— বাড়তি একটি রুটি খেতে গেলেও এক্সট্রা বিল পে করতে হবে! অথচ এক রাতের জন্য তারা আমার কাছ থেকে নিয়েছে তিন হাজার দুইশো টাকা!! নাস্তা খেয়ে অটোরিকশা করে যাত্রা করি কান্তজিউ মন্দিরের উদ্দেশ্যে— আগে কান্তজিউকে বলতাম কান্তজির। মাত্র দুইশো টাকায় আসা-যাওয়া
ঢেউডাকা বেউ।
তীরে আসা ঢেউ ফিরে গেলে জল হয়ে নিজ ঘরে নিজ ঘরে জোছনার ফল হয়ে ফিরে গেলে চুপিসারে জানলো না কেউ ব্যথা দিলে রোজ যারে সুখ দিলে রোজ তারে ফুল হয়ে ফল হয়ে জলঘরে জলঘরে অকূলের পথ বেয়ে চাঁদময় মায়া ধরে কায়া ধরো ঢেউ হয়ে ছায়া দাও রোজ নিখোঁজের মনে দাও— শান্তির খোঁজ তীরে আসা ঢেউ মরনে লবন তুমি— মনেধরা বেউ Waves that touch the shore Return as water once more Silent steps, a silver glow Moonlit fruits that softly flow No one knew, no one heard Pain was given, joy was stirred Flower, fruit waves untold Drifting back to waters cold Through boundless tides they sway Clutching moonlight on their way Oh, be a wave, embrace the sea Shade the lost in harmony Waves that touch and fade from view Salt in death— yet bound to you ১১/০২/২০২৫ ৯:৩০মিনিট জাম্পিং পয়েন্ট গলে ফোর্ট শ্রীলঙ্কা
আফালের মাছ [ ১৩ ]
০১ হুজুর ওয়াজ করতেছেন— কলার যদি বাকল না থাকে তাহলে কলাতে মাছি পড়বে, আমে যদি বাকল না থাকে তাহলে আমেতে মাছি পড়বে। মা-বোনদের যদি পর্দা না থাকে তাহলে আমের মতো কলার মতো অবস্থা হবে। পর্দা বা বেপর্দা নিয়ে আমার কোনো কথা নাই। আমার কথা হচ্ছে, বেপর্দা মা-বোনদের জন্যে মাছিটা কেডা!? ২ রক্তের সম্পর্ক মানেই উপকারী এমনটা ভাবার কোনো বিশেষ কারন নাই— উকুন আপনার রক্তের বংশধর,ছারপোকাও— বিশেষ কারনেই আপনি উকুন ছারপোকাকে নিজের সাথে রাখতে চান না। ৩ যত উপরে উঠবে তত একা হবে যখন তুমি আকাশ চিনবে না,চিনবে না মেঘ ☁,চিনবে না বাতাস— সঙ্গী চিনে ফেললে পলকে পলকে বন্ধুত্ব। ৪ তুমুল সঙ্গমের সময় কোনো প্রকার অভিনয় থাকে না— অভিনয় থাকে সঙ্গমহীনতায়— মিলনে থাকে না অমিল, অমিলে যত অভিনয় অভিযোগ অস্বীকার অপ্রাসঙ্গিক অপ্রাপ্তি— মিলন হবে কতদিনে আমার মনের মানুষেরও সনে! ৫ গুলি করা
অর্জুন কৃষ্ণ
অর্জুন— কেউ তীর মারলে কি করা উচিত বাসুদেব? বাসুদেব— তীর খেয়ে ফেলা প্রয়োজন। অর্জুন— কারন জানতে পারি হে মাধব ( माधव)? বাসুদেব— তীর খেয়ে ফেলার পর তীরন্দাজ দুর্বল হয়ে যাবে। আক্রমণকারী তার অস্ত্রের সমান শক্তিশালী। অর্জুন— আবার তো সে শক্তি অর্জন করে আক্রমণ করবে। ভালো হয় না আক্রমণকারীকে একেবারে শেষ করে দেয়া? বাসুদেব— ওহে অর্জুন : জল কখনো শেষ হবে না— নদীর কোথাও চর জাগবে: কোথাও নদীই আবার চর ভাঙবে: তাই জলে সাতার কাটতে শিখো: শিখে নাও প্রচন্ড ঢেউয়ে কেমন করে সার্ফিং করতে হয়। অর্জুন— কি অসাধারণ আইডিয়া বাসুদেব! জাস্ট মুগ্ধ হয়ে গেলাম!! বাসুদেব— প্রিয় অর্জুন আমার, মুগ্ধতা এক ধরনের সীমানা, মগ্ন হতে পারলে সীমানা জয়ের ✌ আনন্দ পাবে।
পানের ডিবি।
পুরো আকাশ ঢেকে গেলো মাটিতে হাত রাখি এমন মেঘ ☁ কোথাও নেই বাতাসে সমগ্র স্থলভাগ ঢেকে গেলো আকাশে নৌকা চালাই মাঝি আমি এমন জল নেই আর এমন জল নেই আর টানটান টনটনে হৃদয়পাশে রোপণ করি ঘুম রোপণ করি আলসেমি এক রাত এক দিন এক অন্ধকার এক আলো— হাতে রাখে হাত: স্বপ্নে রাখে স্বপ্ন চোখের ভেতর যে নীল জমা হয় তাও ঘামে তাও ঘামে জবজব আশার আশ্রয় মনের জঙ্গলে মনের প্রেম সময়ের মঙ্গলে জঙ্গলে মঙ্গলে কাপে অঙ্গ আনন্দ নৃত্য করে উলঙ্গ প্রাংশুলভ্য প্রাঙ্গণে কার যেনো কাদের যেনো কেটে যায় দিন ডিগ্রিরত্ন অর্জনে ডিগ্রিরত্ন পান শেষে অর্থসাগর মন্থনে কার যেনো কাদের যেনো কেটে যায় দিন কেটে যায় দিন পানের ডিবির পাটাতনে
জেনে রেখো।
জেনে রেখো এই দেশ মেহনতি জনতার ঘামে শ্রমে কথা বলে নেই কোন ভয় তার জেনে রেখো এই বাংলার বাউল সূফি কথাকার প্রয়োজনে এক হয় এক হয়ে একাকার গুলি করলে গুলি হয়ে ফিরে যাবো উল্টো ঝরে যাবে ছিড়ে যাবে নাট আর বুল্টু জেনে রেখো এই দেশ যাত্রাপালা কিসসার বিজাতীয় আলামত শীঘ্রই দেশ ছাড় দেশ ছাড় দেশ ছাড় যতসব শয়তান বাগানে ফুটবে ফুলবাহার ইনসান ❀ মনে রেখো কৃষকের ঘাড়ে থাকে গামছা ফসলের রাজা সে নয় কারো চামচা ভেঙে যাবে ভেঙে দাও কলোনি হামছা জয় হবে হবে জয় বাংলার ইচ্ছা ✌
আগুনের ধর্ম।
বাঘের বাচ্চা— হরিনের জঙ্গলে আগুন লাগলো! বাঘ— তাহলে বেশ ভালো। বাঘের বাচ্চা— কেনো ভালো!? বাঘ— হরিণ বাচতে চাইবে এবং আমাদের জঙ্গলে চলে আসবে: কষ্ট করে আর হরিণকে ধরতে হবে না। বাঘের বাচ্চা— শুধু কি হরিণ আসবে? আগুন আসবে না!? আগুনের প্রশ্নে বাঘ চুপ। আসলেই তো— হরিন আসার আগেই আগুন চলে আসবে! বাঘ দৌড়ে গেলো দরবেশের কাছে। দরবেশ জঙ্গলে ধ্যান করছেন। দরবেশের ধ্যান ভাঙানো অন্যায়। কিন্তু সবচেয়ে বড় ন্যায় হলো প্রান বাচানো। বাঘ— হে মহান দরবেশ, হরিনের জঙ্গলে আগুন লেগেছে! দরবেশ— তোমরা তোমাদের বাসস্থানে যাও, দেখছি আমি কি করা যায়। দরবেশ লোকালয়ে গেলো এবং জঙ্গলে আগুন লাগার বিষয়টি নিশ্চিত করে। দলে দলে মানুষ নেমে আসে জঙ্গলে এবং মানুষের সর্বশক্তি দিয়ে আগুন দমন করে। আগুন নিভে যায়—জঙ্গলে স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে আসে— দরবেশ আবার ধ্যানে বসেন— বাঘ আবার হরিণের মাংস খাওয়ার
আমি আর মামু
আমরা ভালো নেই। আমাদের একটা স্বাধীন ভূখণ্ড লাগবে। আমরা এখন যে ভূখণ্ডে আছি তা আমাদের শান্তি দিতে পারছে না— শান্তির নামে আল্লাহু আকবর বলে আমরা আলাদা হলাম। আমাদের নতুন ভূখণ্ডের নাম পাকিস্তান!যেনো একেবারে পাক হয়ে গেলাম— আর কোনো নাপাকি লাগবে না মোর গায়। আমরা ভালো নেই। আমাদের না খেয়ে থাকতে হয়। আমাদের মুখের ভাষা কেড়ে নিতে চায় তারা, এমন বৈষম্য আমরা মেনে নিতে চাই না— আমাদের নিজস্ব ভূখণ্ড লাগবে। আবারও শান্তির নামে বৃটিশ মনোনিত মানচিত্র থেকে আমরা বের হয়ে আসলাম। আমাদের দেশ হলো— নতুন দেশের নাম বাংলাদেশ! বিজয়ের পতাকা পতপত করে আকাশে উড়লো— অনেক কান্নার নদী সাগরে গিয়ে মিশলো— সাগরজল বাষ্প হয়ে ফিরে এলো আবারও+ফিরে এলো আমাদের চোখে! আমরা ভালো নেই। আমাদের নতুন নিয়ম লাগবে। পুরাতন নিয়ম সব বাদ। যিনি নতুন নিয়ম আনতে গেলেন তাকে হত্যা করো— সময় সুযোগ করে
কারবালার তাবিজ
তিনাকে সতর্ক করা হচ্ছে। আকাশ বাতাস তিনাকে সতর্ক করছেন— সতর্ক করছেন জমিনের গাছপালা। কারো সতর্কবানী কানে নিচ্ছেন না তিনি। তিনি শুনছেন তিনার একান্ত নিজস্ব স্বজনদের কথা। স্বজনদের উপর তিনি অনেক নির্ভরশীল হয়ে গেলেন।লোকজন তিনার বাসভবনের সামনে জমায়েত হতে শুরু করে— তিনি তাদেরকে তিন দিনের সময় দিলেন আন্দোলন ভেঙে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্যে। আন্দোলন আরও তীব্র হয়ে উঠছে। কোনোভাবে আন্দোলন দমন করতে পারছেন না তিনি।তিনি আন্দোলনকারীদের সামনে আসলেন না— আসলেন তিনার পক্ষ থেকে তিনারই একজন স্বজন— এসে বক্তব্য দিলেন—তোমরা কি চাও?তোমরা কি লুটপাট করতে চাও?সময় থাকতে ফিরে যাও।তোমাদের ধারনা, তোমাদের ভয়ে আমাদের রাষ্ট্রপ্রধান পদত্যাগ করে তোমাদের হাতে শাসনভার তুলে দেবেন?যদি তোমরা তা ভেবে থাকো তাহলে বোকামি করবে। আমরা কোনো জালেমের হাতে নিজেদের ন্যস্ত করতে ইচ্ছুক নই।'জালেম' শব্দটা আন্দোলনকারীদের মনে আরও তীব্র