একাডেমিক শিক্ষা অনেকটা ঘরের মতো। যখন ঘর ছিল না তখনো মানুষ পৃথিবীতে ছিল। তখন আকাশটাই ছিল একমাত্র ছাদ। এখন ছাদের ভেতরেও ছাদ আছে। ঘরের প্রান খুঁটি। খুঁটিকে অনেকেই খুঁটিনাটি বিষয় বলতে পারে। কিন্তু খুঁটিনাটি বিষয়টি ঘরের জন্য মহা সত্য। দালানের জন্য যেমন ফাউন্ডেশন প্রান তেমনি ঘরের জন্য খুঁটি তেমনি একাডেমিক শিক্ষার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা। প্রাথমিক শিক্ষার একাডেমিক আঁধার প্রাথমিক বিদ্যালয়। অর্থাৎ প্রাথমিক বিদ্যালয় একাডেমিক শিক্ষার ফাউন্ডেশন। ফাউন্ডেশন দুর্বল হলে দালান যত আকাশমুখী হবে ততই বিপদজনক। বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষা তথা ফাউন্ডেশন শুধু দুর্বল নয়, খুবই দুর্বল। দুর্বলতার কারন অনেক। প্রধান কারন শিক্ষক। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক যারা আছেন তাদের শিক্ষার গুনগত মান নিয়ে প্রশ্ন করা যায়। অধিকাংশ শিক্ষক নিজের পছন্দকে সামনে রেখে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেননি। নিজের পছন্দ মতো বিয়ে না করলে কারো দাম্পত্য
Author: Naeed
মাছ নয়, নদী নিয়ে গেলো
এক বন্ধুর হাতে স্বর্ন দিয়ে বলেছিলাম 'এক মাস পর নিয়ে যাবো।' দুই বছর পর বন্ধুকে বললাম 'আমার স্বর্ন ফেরত দাও।' বন্ধু ফেরত দিলো রূপা। তার মতে আমি তাকে রূপাই দিয়েছিলাম। আমি বন্ধুর সাথে কোনো প্রকার তর্কে জড়ানোর প্রয়োজন মনে করিনি। কারন ডায়মন্ড হিরার চেয়ে মহামূল্যবান 'আস্থা' সে হারিয়েছে যা তার জন্যে আমার হৃদয়ে জমা ছিল!
দ্যা সাউন্ড অব সাইলেন্স
`সিয়েন আনিয়োস দে সোলেদাদ' উপন্যাসের সূচনা অনেকটা কৌতূহলে , রহস্যে-- যেখানে প্রথম হোসে আর্কাদিয়ো একটি লোককে হত্যা করে আর এরপর সে প্রচণ্ড অনুশোচনায় ভোগে, ভয়ঙ্কর রকমের এক বিবেকের দংশন শেষ পর্যন্ত তাকে তার গ্রাম ছাড়তে বাধ্য করে এবং গ্রাম ছেড়ে পাহাড়-পর্বত ডিঙিয়ে সে পত্তন করে পৌরাণিক মাকোন্দোর। 'সিয়েন আনিয়োস দে সোলেদাদ' উপন্যাসটির লেখক গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস। লাতিন আমেরিকার উপন্যাস নিয়ে বিশেষ করে গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস এর লেখালেখির পেছনের কাহিনি নিয়ে চমৎকার একটি কথোপকথনের [গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস এবং মারিয়ো বার্গাস ইয়োসা এর মধ্যে কথোপকথন] বই আমার হাতে আসে। গোগ্রাসে গিলতে লাগলাম। ক্লাসের পেছনের বেঞ্চটি নির্বাচন করলাম যাতে আমার গিলাতে কোনো কাঁটা না লাগে। ক্লাস শেষে সোজা সেমিনার লাইব্রেরীতে চলে আসি। সেমিনার লাইব্রেরীর বইগুলো চুপচাপ, কলহীন, শান্ত; কুমারীও বলা যায়। কারণ আজ পর্যন্ত
তোমার নামে নামি আমি
ধর্ম
শুদ্ধতার কোনো সঠিক গন্তব্য নেই। শুদ্ধতা এক ভ্রমণের নাম। শুদ্ধতার পথে প্রত্যেক মানুষ পথিক মাত্র। শুদ্ধতার পথে প্রামাণিক কোনো স্টেশন আজো আবিষ্কৃত হয়নি। তারপরও ধর্ম শুদ্ধতার স্টেশন বা প্রতিষ্ঠান হিসাবে জনপ্রিয়। ধর্ম এবং উগ্রতা আলাদা ধারণা। ধর্ম হল একটি বিশ্বাস যা মানুষ ধারণ করে। ধার্মিক বিশ্বাস করে শান্তিময় পৃথিবীর। ধার্মিক জানে কীভাবে শান্তিতে থাকতে হয় এবং অন্যকে রাখতে হয়। উগ্রতা ব্যক্তিগত। অজ্ঞতা উগ্রতার জন্মস্থান। আবু জাহেলের নাম মূলত আবুল হেকাম। হেকাম অর্থ জ্ঞানী, প্রাজ্ঞ। আবু জাহেল যখন হযরত মোহাম্মদের গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারেনি তখনই তার নামের গুরুত্ব কমে যায়। আবু জাহেলের বাড়িতে আজ টয়লেট যেখানে প্রস্রাব করলে পুণ্য হয়। হযরত মোহাম্মদ আবু জাহেলের বাড়িতে প্রত্যেক দিন কয়েকবার করে যেতেন। আয়াত নাযিল হলো তার বাড়িতে গিয়ে ফায়দা নেই। কারণ আল্লাহ তার দিলে মোহর মেরে
রূপালি রোদ আর মিষ্টি আলোর শহর
একবার মানুষের ডাক পেয়ে হাশর পৃথিবীর দিকে হাটা শুরু করে। নদী থেমে যায়। মানুষের জেলখানা বন্ধ হয়ে যায়। একটা লোকের কাছে দায়িত্ব দিয়ে সব লোক ঘুমাচ্ছে। অন্ধকার ঘুম। এখানে নদীর অনেক ঢেউ, অনেক স্রোত। কাল ভোর হবে। আজ একটি নির্দিষ্ট দিন যেখানে কবরের ডাক কানে আসতে পারে। মানুষের ঘুম নেই। নদী ও নারীর ঘুম নেই। মাদের ঘুম নেই। বলেন। আপনি বলতে থাকুন। শুনতে আসা লোকদের বড়ই অভাব। কেউ ব্রার মতো কেউ চরের মতো কেউ নদীর কুয়াশার মতো বলতে চায়। বলুন। বলতে থাকুন। হোক পদ্মা বা মেঘনা নদী। সব জলের সম্পর্ক অনেক গভীর অনেক নিবিড়। মানুষে মানুষে সম্পর্কে অনেক আজাইরা স্বার্থ থাকে যেখান রোদ এসে খেলা করে না। মানুষ নৈর্ব্যক্তিক মানুষ অবজেক্টিভ মানুষ কাকতালীয় ব্যাপার স্যাপার। মানুষ হতে পারেনি প্রিয় আপেল ফুলের নরম
আমাদের ম্যারাথন আমাদের দেখা গল্পের সাপলুডু
দেবলছেড়া পুঞ্জি। কেউ কেউ বলে ডাবলছেড়া পুঞ্জি। শমশেরনগরের একটি জায়গা। বাগান এলাকা। চা বাগান। দেবলছড়া পুঞ্জির পাশেই খাসিয়া পল্লী। মিস্টার পিডিশন এই পল্লীর প্রধান। খাসিয়া পল্লীর পাশেই প্রাইমারি স্কুল। স্কুলের বিশাল মাঠ। মন ঠান্ডা করে দেয় এমন মাঠ। এই মাঠ থেকে সকাল ছয়টা ৪৫ মিনিটে শুরু হয় আমাদের ট্রেইল ম্যারাথন। ৪২.২ কিলোমিটার। আমরা কিন্তু ছয়টা ৪৫ মিনিটে ম্যারাথন শুরু করিনি। আমরা বলতে আমি আর সাদিয়া দেওয়ান মুনা। মুনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের philosophy ডিপার্টমেন্টের স্টুডেন্ট। ম্যারাথন করে প্রায় দুই বছর আগ থেকে। মুনার আন্তরিক সহযোগিতার ফলে ম্যারাথনযাত্রা শুরু করতে পারলাম, তাও আবার ট্রেইল ম্যারাথন দিয়ে। কেন আমরা ৫৫ মিনিট পরে ম্যারাথন শুরু করি? ড্রেস পরিবর্তন করার জন্যে কোনো জায়গা খুজে পাচ্ছিলাম না। ব্যাগ রাখার জন্যে কোনো নিরাপদ জায়গায় খুজে পাচ্ছিলাম না। তাছাড়া শমশেরনগর থেকে
বুদ্ধদেব বসুর ‘রাত ভ’রে বৃষ্টি’ ও আপস্টেজ
বুদ্ধদেব বসুর উপন্যাস 'রাত ভ'রে বৃষ্টি'। বুদ্ধদেব জন্মগ্রহন করেন কুমিল্লায়। 'রাত ভ'রে বৃষ্টি' জন্মগ্রহন করে ১৯৬৭ সালে। জন্মই যেন তার আজন্ম পাপ। তাইতো ১৯৬৯-৭৩ পর্যন্ত মামলার মুখোমুখি হতে হয়েছে তাকে মানে 'রাত ভ'রে বৃষ্টি'কে। কারন কী?কারন সহজ। খুব সহজ। অশ্লীলতার দায়ে 'রাত ভ'রে বৃষ্টি'কে কাঠের ঘরে দাড়াতে হয়েছে। শেষে-মেষে অবশ্যই তাকে নিষ্পাপ ঘোষনা করা হয়। কিন্তু অশ্লীলতার দায় ত এমন এক দায় যা চূড়ান্ত হিসাবেও ডেবিট দেখানো যায় না। অর্থাৎ আমাদের সমাজে অশ্লীলতার অভিযোগ হয়তো মুছে যায় কিন্তু চিহ্ন থেকে যায় স্লোগানে স্লোগানে। আপস্টেজ ( পহেলা মে, দুই হাজার ১৯) 'রাত ভ'রে বৃষ্টি' নামে উপন্যাসটিকে মঞ্চায়ন করেছে। এই উপন্যাসটির প্রথম মঞ্চায়ন তারা করে ১৯ জুলাই, ২০১৯। সাধারন একটি সেট নির্মান করে মাত্র তিন জনের চারিত্রিক প্রবাহে মধ্যবিত্ত দাম্পত্য সংকলনযোগ্য-সংকট স্পষ্ট থেকে স্পষ্টতার দিকে
কনডম কেন? কোথায়?
কনডমকে গ্রাম এলাকায় বলে ফুটকা। বাচ্চা দোকানে যায় এবং দোকানদারের কাছে ফুটকা চায়। দোকানদার ফুটকা দেয় এবং হাসে। বাচ্চা ফুটকায় বাতাস করে বেলুন বানায়, বেলুন দিয়ে আনন্দ খেলে। রাতে বাচ্চার বাবা দোকানে যায় এবং এইদিক সেইদিক ভালো করে দেখে নিয়ে লজ্জাচোখে দোকানদারের কাছে ফুটকা চায়। দোকানদার ফুটকা দেয় এবং হাসে। বাচ্চার বাবা ফুটকা থেকে বাতাস বের করে ইনজেকশন বানায়, ইনজেকশন দিয়ে আনন্দ খেলে। ## এই গল্প থেকে আমরা শিখতে পারলাম বাবারা যে জিনিস থেকে বাতাস বের করে, বাচ্চারা সেই জিনিসে বাতাস ভর্তি করে।
কবুতর
শ্যামবাঢী। শান্তিনিকেতন। রুম ভাড়া নিয়ে থাকি। সকালে বৌদির দোকানে যাই, চুপ করে লুচি- ঘুগনি তারপর দুই কাপ চা খেয়ে সোজা রুমে চলে আসি। গাছের নিচে টিনের চাল, চালের নিচে একমাত্র আমি। দুপুরে রুমে রান্না করি-- ভাত, আলু অথবা ডিম। কোনোদিন আলু-ডিম একসাথে। ঢেড়সভাজি মাঝে মাঝে তরকারির তালিকায় অভিজাত হিশেবে জায়গা করে নেয়। খুব বেশি অলস হয়ে উঠলে রান্না করা গরম ভাতের সাথে আগুনছ্যাঁকা শুটকীই যথেষ্ট। দুপুরে জয়দেব দার কাছ থেকে কয়েক গ্লাস আখের রস খাওয়ার জন্য বের হই। দুপুরেই সূর্যের সাথে আমার দেখা হয়, কেবল দুপুরেই। কতটুকু সূক্ষ্ম হলে নিজেকে দেখা যায় জানি না তবে জানার ব্যাকুল তিয়াস নিয়ে নিমজ্জিত থাকি সময়ের বিন্দু বিন্দু রেখায়। পৃথিবীতে যখন অন্ধকার নামতে শুরু করে, সব পাখি যখন নীড়ে ফিরে, সবাই যখন অন্ধকারকে ঘরে ফেরার আযান মনে