দরজা যখন বন্ধ হতে চায়আমি তো তারে ন থামাই ন থামাইদরজা যখন বন্ধ হয়ে যায়'গম আছো নি বা' মুই ন জিগাই মুই ন জিগাই আসমানের লগে মেঘের লগে কথা কইতে কইতেতোমার বাড়ির উঠোনে নেমেছি কাগজের বিমানেবৃষ্টি ভেবে আঁজল ভরে মুখে তুলে নিয়েছো তুমিঠোঁটের পাশ বেয়ে তোমার কর্কটক্রান্তিরেখা বরাবর নেমে গেছি নিচে আরও আরও নিচে একেবারে বিষুবরেখা হয়ে সমুদ্রের তলতলানিতেতারপরও তুমি জানলে নাতারপরও তুমি মানলে না-- এসেছিলাম আমিতোমার কাছেই এসেছিলাম দরজা বন্ধ করে দিলেআস্ত একটা শব্দ হলোপরিযায়ী পাখি সারারাত তোমার বাড়ি তোমার ঘর তোমার আঙিনায়একবার ছাদ খুলে দেখলে নাঘুম তোমার ভাঙলো না ভাঙলো না কেউ যখন ঘুমিয়ে যায়আমি তো তারে ন জাগাই ন জাগাইতোমহার লগে হামার একখান কথা আছেহামি তোমহারে কেমনে বুঝাই কেমনে বুঝাইকেউ যখন বুঝতে না চায়আমি তো তারে ন বুঝাই ন বুঝাই 'গম
Author: Naeed
Nevertheless
Sound so sweet Night so sweet Daylight so sweet Moonlight so sweet Riverside so sweet Stream so sweet Mountain so sweet You? I am very asleep beyond your presence Think you are now in a cave Think you are now in case in your thought in your anger in your Bolshevik footprint You have done a lot of mistakes over me You just tell me I seize your stole and shoe You have cut my body and mind But I am told that I have touched your breast in a wrong way Yes You are a king Every good for you Of course You are a king of wish Every wrong is right for you Curse me I feel better Your curse is not more cruel than that you had done over me starting to still Night has come and gone Sun has come and
থাকি আমি জিয়া হলে
থাকি জিয়া হলে। জিয়া হলে থাকি বলে আপনারা ভাববেন না এখানে জিয়া সৈনিকদের বাড়িঘর। বাংলাদেশ তো। তাই পুরাই উল্টা। জিয়া হলে বঙ্গবন্ধু সৈনিকের একচেটিয়া আস্তানা। মজা পাবেন একটি কথা শুনলে-- আমাদের হলের যিনি প্রভোস্ট তার নামও জিয়া। আমার রুমের পাশেই মহাসড়ক। মহাসড়কে চব্বিশ ঘন্টা গাড়ি চলে! আর আমাদের মাথার ভেতর চলতে থাকে পু পা বে বো। গরুর নতুন শিং ওঠলে যেমন সবারে গুতা দিতে চায় তেমনি বাংলাদেশী ড্রাইভাররা সারাজীবন শিংধারী নতুন গরু থাকিয়া যায়। সাবেক বছর এমন দিনে আমার ঠান্ডা লাগে। আমার স্মৃতিশক্তি বলে নাই, বলিয়াছে ফেইসবুকের on this day appsটি। ইতিহাসের কী মহান কুদরত এমন দিনে আবারও আমার শরীর ঠান্ডার কবলে পড়িল। সামনে বিশাল কাজ। শরীরে ঠান্ডা থাকিলে হইবে না। তাই ঠান্ডার কৃষ্ণলীলা দূর করিবার মিশন হাতে নিলাম। এক ডাক্তার ভাইকে ফোন
গতিতে নদী স্রোতে সাগর
আপনি যে কাজ করেন সেই কাজের সার্টিফিকেট আশা করা বোকামি। সার্টিফিকেট দেয়া নেয়া প্রতিষ্ঠানের কাজ। প্রতিষ্ঠান সব সময় তার বানানো ফর্মায় আপনাকে মূল্যায়ন করবে। কখনো আপনার মতো করে প্রতিষ্ঠান চিন্তা করতে পারবে না। এখন আপনি নিজেই একটি প্রতিষ্ঠান হতে চান নাকি প্রতিষ্ঠানের পন্য হতে চান বিষয়টি একান্ত আপনার। আমার পরিচিত এক ভাই এখন ভালো মানের ব্যবসায়ী। তার ব্যবসায়ী হওয়ার কথা ছিল না। কথা ছিল কৃষক হওয়ার। এখন সে কৃষি কাজও দেখাশোনা করে আবার ব্যবসাও করে। কিন্তু তার ব্যবসার শুরুটা খুব মজার। পুঁজি বায়ান্ন টাকা। মাত্র বায়ান্ন টাকা! একদিন বায়ান্ন টাকা দিয়ে গ্রামীণ ফোনের একটি মোবাইল কার্ড কিনে নিয়ে আসে নিজে ব্যবহারের জন্য। পাশের বাড়ির যুবক কার্ড কিনতে যাবে। যেহেতু গ্রাম এলাকা এবং রাত সেহেতু আশেপাশে মোবাইল রিচার্জ কার্ড পাওয়া জটিল। খুবই জটিল। রাস্তায় লোকটির
এইতো তুমি তোমার সকাল
কাছে আসতে খুব বেশি কাছে আসতে খুব বেশি কাছে আসতে মানা করবো না আমি কাছে এসে দেখো তোমার দেয়াল ভেঙে পড়বে না তোমার সরিষা ক্ষেতের হলুদ কমে যাবে না তোমার তর্জনী দিয়ে যে ঝরনাটা বের হয়েছে তোমার চোখজল দিয়ে যে সোমেশ্বরী যৌবনা হয়েছে যে আকাশ মেঘ করতে শিখেছে যে আকাশ ভাসতে শিখেছে ভাসতে শিখেছে তোমার কালো চুলের স্পর্শে বিন্দুমাত্র তাদের কোনো লোকসান হবে না কাছে এসে দেখো নদীতমা শীতাতপ সনেটগুচ্ছ আমার একগুচ্ছ স্নিগ্ধ শুভ্র গ্রামীণ সকাল এক আকাশ নীল বেগুনি ছায়ার তমাল মাতার মমতায় পাতাদের আশ্বিনী দামাল হিং মাছের চকিত লম্ফ ডাহুকের রজনী ডাক খেলা করে খেলা করে হৃদয়ে আমার ভোরে আসলেও আসতে পারো দুপুরে আসলেও আসতে পারো আসতে পারো সকাল কিংবা রাতে বড় বেশি ক্ষতি হবে না তোমার গাঙের পাড়ের মতো বিছাও তোমার দেহ হেঁটে যাবে কালিয়া দেহ আমার কালোজিরা শরীর কালোজিরা তনু তোমার তোমার দেহের ভেতর চাষ হবে আমার দেহ এক হলে তুমি
ওয়াজদা এক বিপ্লবের নাম
আরবি শব্দ وجدة, যার অর্থ দাঁড়ায় এমন একজন নারী যে তার অস্তিত্ব খুঁজে পায়। অস্তিত্ব মানে সাহস যা মানুষের মৌলিক গুন। একমাত্র সাহসই মানুষের চরিত্রের মৌলিক দিক যা মানুষের চরিত্রের অন্য দিকগুলোকে হেফাজত করে বা বিকশিত করে তুলে। তাহলে ওয়াজাদা সিনেমায় কে সাহসী বা অস্তিত্ববান? অবশ্যই হাইফা আল মনসুর। কারন অনেক। তবে তার দূরদর্শী মানসিকতার সাথে সর্বময় দৃষ্টিকোনের দিকটি গুরুত্বপূর্নভাবে আলোচনার দাবি রাখে। ওয়াজাদা একটি সিনেমা। দশ বছরের একটি মেয়ের সাইকেল কেনার কাহিনিকে মূল বিন্দু ধরে সৌদি আরবের জীবনাচার তুলে ধরার প্রয়াসই ওয়াজাদার প্রধান চরিত্র। এই সিনেমার লেখক ও পরিচালক হাইফা আল মনসুর। হাইফা আল মনসুরের বাবা একজন কবি। ফলে ছোটকাল থেকেই সৌদি আরবের ধুলাবালির ভেতর যে জীবননাশকারী সাপ লুকিয়ে আছে তার সন্ধান পেয়েছিলেন হাইফা আল মনসুর। তাইতো নির্মান করেন প্রথার বিরুদ্ধে যুদ্ধঘোষনাকারী
চর সোনারামপুর (একটি দ্বীপ গ্রাম)
চর সোনারামপুর আশুগঞ্জ উপজেলার অধীনে একটি দ্বীপ গ্রাম। এটি মূলত একটি জেলে পল্লী। তবে বিচিত্র পেশার মানুষের এখানে দেখা মিলে। হিন্দু মুসলিম পরিবারের মধ্যে এক অপূর্ব মানসিক ঐক্য এখানে বিরাজ করে। এই দ্বীপ গ্রামের এক পাশে আশুগঞ্জ বন্দর, অন্যপাশে ভৈরব বাজার। মেঘনা তাদের জীবনে দিয়েছে প্রান, প্রানে দিয়েছে ভাষা।
প্রেমই পারে মায়া বেগমকে মায়াবতী করে নিতে
তিনশত দুই। তিনশত সাত। তিনশত ৫৪। বাংলাদেশের মানুষের কাছে অধিক পরিচিত তিনটি ধারা। তবে তিনশত দুই ধারা খুব বেশি পরিচিত। দন্ডবিধির তিনশত ৫৪ ধারাটি ইদানিং জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কারন আগে বাংলাদেশের নারীরা নিজের শরীরকে ইজ্জতের প্রথম এবং শেষ মূলধন মনে করতো। এবং এই মূলধনের উপর কোনো প্রকার আক্রমন মানে তাদের জীবন শেষ। এই মূলধন কোনো প্রকার চুরি বা ডাকাতি হলে মৃত্যুই প্রথম এবং শেষ অবলম্বন মনে করে তারা মাটিতে মিশে যাওয়ার নিয়তে যাত্রা করতো। নারীর দৃষ্টিভঙ্গিররর বদল হয়েছে। এখন তারা প্রতিবাদ করতে শিখেছে। অবশ্যই সব সময়ই প্রতিবাদের আড়ালে অসৎ নিয়তের বান্দা থাকে যারা নিজের মানসিক অসুস্থতাকে প্রতিবাদের নামে বিক্রি করতে চায়। এই তিনটি ধারাকে কেন্দ্র করে 'মায়াবতী' জোয়ার পেয়েছে। মায়াবতী মূলত মায়া'র প্রিন্সেস মায়া হয়ে উঠার এক জীবনস্রোত। অরুণ চৌধুরী মায়াকে তাঁর
কথাদের ঘরবাড়ি
শব্দঘর তবন = লুংগি ;ফিরনি > সিরনি >সিন্নি ;আগগা= এগিয়ে আসা;পিচ্চা = পিছনে যাওয়া;ভাটি > বাইট্টা = ছোট আকৃতির, পেছনে যাওয়া ~ সিন্নি দেহলে আগগা, কুত্তা দেহলে পিচ্চা = সুবিধাভোগী মানসিকতা ; আগে গেলে বাগে হা, পিচে গেলে পইসা ফা = শান্ত চিত্তে সফলতা থাকে এমন ;কুস্তা = কিছু, অল্প পরিমাণ ;তাফাত = দূরে;বাগ = দূরে যাওয়া;বন /হের = খড়;আগা / গু = মলমূত্র ;খালা + আম্মা = খালাম্মা > হালাম্মাজ্যেষ্ঠ >জেঠা> জেডা =বড় চাচাজ্যেষ্ঠী > জেঠী>জেডী = বড় চাচী বেছা (becha)~ vend, sell out, sell, encash বিক্রি > বিহি > বেছা দুয়ান (doyan) ~ shop, small market, store, hoard দোকান > দোহান > দুহান > দুয়ান হস্তা (hosta)~ cheap, common, punk,twopenny, potty, get-at-able, inexpensive সস্তা > হস্তা ইলা (ela)~ he/she, subjective form of third person singular number,
বাওড় দেখা হলো এবার
দত্ত। মাইকেল। মাইকেল আর দত্ত এক নয়। তবুও তাঁর নাম মাইকেল মধুসূদন দত্ত। মাইকেল মধুসূদন দত্ত কেনো বলেন বঙ্গে বিবিধ রতন রয়েছে তা যশোরে না আসলে বুঝতে পারতাম না। পৃথিবীর মধ্যে বাংলাদেশের গ্রাম অবশ্যই আলোচনার মতো সৌন্দর্যের দাবিদার। বাংলার গ্রাম শ্যামলিমা-- শ্যামল বর্নের গন্ধ জোয়ার। ঝিকরগাছা থেকে যাবো রাজগঞ্জ। কপোতাক্ষ নদের ব্রিজের গোড়া থেকে বাইকে ওঠলাম। বাইক যিনি চালাচ্ছেন তার নাম আমিন। তার ছেলের নাম আসলাম ( বাংলাদেশের মানুষের নামের অর্থ জানলে আরবি অভিধানের অর্ধেক মুখস্থ হয়ে যাবে)। আসলাম মাদ্রাসায় পড়ে। ঝিকরগাছা ভিক্ষুকমুক্ত এলাকা। সাইনবোর্ডে লেখা। বাস্তবতা কেমন তা অনুমান করতে পারি না। কারন বাংলাদেশের অনেক কিছু অনুমান করা সম্ভব নয়। কারন বাংলাদেশ আর আগের বাংলাদেশ নেই। বাংলাদেশে এখন দৃশ্যমান মুখের চেয়ে অদৃশ্য মুখ অনেক বেশি শক্তিশালী। ঝিকরগাছা থেকে রাজগঞ্জ প্রায় আঠার কিলোমিটার