
যো ন হৃষ্যতি ন দ্বেষ্টি ন শোচতি ন কাঙহ্মতি।
শুভাশুভপরিত্যাগী ভক্তিমান যঃ স মে প্রিয়ঃ।।
রাত অনেক গভীর। ফেনোবারবিটন। গভীর এক বেদনাবোধ কাজ করে মনে। রাত অনেক গভীর। ঘুমিয়ে যাওয়ার কথা। ঘুমানো হচ্ছে না। সকাল হবে। সকালের চেয়ে ভোর শব্দটি দ্যোতনাময়, আশাবাদী।
ভোর হবে। অনেকদিন হলো একটি তাজা ভোর দেখি না। রাতের আকাশে অনেক তারা। আকাশে অনেক তারা হলে একদল নদী চোখে আসে। আজকের আকাশে চাঁদও বেশ সুন্দরী।
মনে আমার অমীমাংসিত বোধ কাজ করে। অমীমাংসিত বোধে প্রশান্তি হাঁটতে আসে না, পরবাসী কেউ তো আরও সাহস পায় না।
আজকাল মানুষকে ফেনা মনে হয় যা ঢেউফল। অথচ ফলাফলের আশায় অনেকদিন ধরে বসে আছি ডাকঘরে— চিঠি আসবে সবুজ খামে সবুজ কালিতে পাতায় পাতায় বেলুনের কারুকার্য।
চিঠি আসে না— ইহা আধুনিক সময়। এখন কেউ ডাকপিয়নের কাছে অপেক্ষা জমা রাখে না। এখন সব কিছু দ্রুত ঘটে— সম্পর্ক কিংবা বিচ্ছেদ।
সনাতন মন নিয়ে বড্ড একা বড্ড অর্বাচীন। আস্থা রাখি এমন একখান হৃদয়বোধ্য পিঁপড়াও নেই— সবাই সময়বাদী শীতকালে বাস করে।
কানের কাছে প্রতিনিয়ত শব্দ করে মুনাফা, চোখের সামনে প্রতিনিয়ত নৃত্য করে মুনাফা, যমুনার জল এখন চায়ের কাপে, যমুনা গ্যাছে মরুভূমিতে। আমাদের সামনে হয়তো অনাগত সবুজ গাছের মেলা, লাল লিপস্টিকের একটু নিচে দুধসাদা দাঁতের বাঁধ। তবুও কী গরীব থেকে যাবো আমরা?
চোখে ঘুম অনেক। তোমার বিছানায়ও অনেক দিনের রাত জাগা। প্রেমিকার জন্য প্রেমিকের আলাদা এক চোখ থাকে যার কোনো সীমাবদ্ধতা নেই— সব কিছু দেখে সেই চোখ তবুও কথা বলে না একটি শব্দ পরিমান।
পরবাসী, একটু আগে তো ঘুমিয়ে গ্যালে, আবার কেন রাত ভাঙলে— আমাদের ঘর এখন অনেক দূরে— অনাগত সুখ অবশ্যই নবাগত কষ্টের পরে।
চোখ এখন ঘুমিয়ে যাবে, তুমিও ঘুমিয়ে যাও…