
প্যান্ডোরার বক্স দুঃখের জন্মভূমি। এই বক্স খোলা হলে পৃথিবী প্রথমবারের মতো দুঃখের সাথে পরিচিত হয়। আজ পর্যন্ত দুঃখের শাষণ চলছে, শোষণ মেনে নিচ্ছি আমরা। মেনে নেয়াতে আনুগত্য থাকে, মুক্তি থাকে না। অনেকে হয়তো গোপনে তার সাথে টেবিলের নিচের কাজটি সম্পূর্ণ করেছেন। নতুবা এতদিন জনাব দুঃখ টিকে থাকেন কীভাবে? আমরা এর প্রমাণও পাই—
হে দারিদ্র, তুমি মোরে করেছ মহান।
তুমি মোরে দানিয়াছ খ্রীস্টের সন্মান
কণ্ঠ-মুকুট শোভা দিয়াছ, তাপস,
অসঙ্কোচ প্রকাশের দুরন্ত সাহস
আহারে! দরিদ্রতা নিয়ে কী রোমান্স। বিকশিত হওয়ার অনেক মাধ্যম বিদ্যমান। দরিদ্রতা প্রধান মাধ্যমে কেন? বরং দরিদ্রতা মানসিক বিকাশের পথে প্রধান অন্তরায়। যাদের নুন আনতে মজুদকৃত পান্তা ফুরিয়ে যায় তারা জানে না সাগরের ইলিশের স্বাদ কেমন। আর আকাশের তারা, শেকড়বিহীন বটবৃক্ষ, সাপ প্রভৃতি তো তাদের দেবী, দেবতা, যাকিনা অনেকের কাছে গ্রহ-উপগ্রহটির, বৃক্ষ, প্রাণি। অর্থনৈতিক মুক্তি ব্যতীত মানসিক মুক্তি অসম্ভব। তাই অর্থনৈতিক দীনতাকে জিওল রেখে দুংখের জয়গান চিন্তার সীমাবদ্ধতাকে জিওল করে। বরং সুস্থ মানসিকতা দুংখের মা দরিদ্রতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে, কোনো আপোষ কিংবা যুদ্ধ বিরতি নয়।