You are here

ইবাদত জ্ঞান শিক্ষা

মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে গাছের উপর নির্ভরশীল— এমন উপকারী বন্ধু গাছও কার্বনডাইঅক্সাইড ত্যাগ করে যা মানুষের জন্যে ক্ষতিকর— গাছ মানুষের উপকার বা অপকারের আশায় কিচ্ছু করে না— গাছ যা করে তা কেবল নিজের প্রয়োজনে করে— গাছ যা কিছু করে নিয়মের সীমানায় থেকে করে— মানুষ নিয়মের সীমানা প্রায় ভুলে যায়।

জ্ঞান— তাহলে মানুষের বড় বন্ধু কে?
প্রাজ্ঞ— মানুষের কোনো বন্ধু নেই— মানুষ অনেক বড় সিন্ধুর মাঝে অনেক ছোট বিন্দু।

ইবাদত— তাহলে তো তার জন্যে কোনো নিয়ম থাকার কথা নেই!
প্রাজ্ঞ— অবশ্যই। নিয়মের কোনো নিয়ম নেই।

শিক্ষা— তাহলে আমরা যে নিয়ম টিয়মের কথা বলি।
প্রাজ্ঞ— তাহলে বলি শোনো— আমাদের কান কোনো শব্দ শুনে না,শুনে আমাদের ব্রেইন, আমাদের ব্রেইন কোনো শব্দ শুনে না,শুনে আমাদের অর্জিত অভিজ্ঞতা, আমাদের অভিজ্ঞতা জাস্ট বানানো একটা গেইম যার শুরু এবং শেষ একই রকম।

মেধা— তাহলে আমরা একই কাজ করছি?
প্রজ্ঞা— তাপের একটা নিয়ম আছে যা মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করে,চাপের একটা নিয়ম আছে যা মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করে,জলের একটি নিয়ম আছে যা মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করে,খাবারের একটি নিয়ম আছে যা মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করে, সমাজের একটি নিয়ম আছে যা মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করে, ব্যক্তি যে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার কথা বলে সেটা জাস্ট নিয়মের ছায়া।

ইবাদত— এটাই কি নিয়তি?
প্রাজ্ঞ— অনেকটা তাই, কারন মানুষ সূর্যের ☀ তাপ পরিবর্তন করতে পারবে না, মানুষ ঝড় তুফান পরিবর্তন করতে পারবে না, পৃথিবীতে বহু উপাদান সক্রিয় রয়েছে যা মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং মানুষ সেখানে জাস্ট অসহায়, সেটাই নিয়তি।

শিক্ষা— তাহলে মানুষের বন্ধু কে?
প্রাজ্ঞ— মানুষের সবচেয়ে বড় বন্ধু পজিটিভ এবং নেগেটিভ।

ইবাদত— বুঝতে পারলাম না।
প্রাজ্ঞ— এই পৃথিবীতে সবকিছু জোড়ায় জোড়ায় আছে— নারী এবং পুরুষ, ভালো এবং মন্দ, শান্তি এবং অশান্তি। যা তোমাকে শান্তি দিবে তা থেকে জন্ম হবে অশান্তি। যা তোমাকে অশান্তি দিবে তা থেকেই জন্ম নিবে শান্তি।

ইবাদত— আচ্ছা, তাহলে এই পৃথিবীতে শতভাগ শান্তি বা অশান্তি পাওয়ার কোনো উপায় নেই!
প্রাজ্ঞ— ঠিক তাই!

Leave a Reply

Top