গাধাকে সিংহাসনে বসতে দিলাম। — তারপর গাধা সিংহাসনকে পীঠে নিলো। — তারপর সিংহাসনকে পীঠে নিয়ে গাধা হাটতে লাগলো। — তারপর সিংহাসনকে পীঠে নিয়ে হাটতে হাটতে গাধা দেশের বাইরে চলে গেলো। —তারপর সিংহাসনকে গাধা দেশের বাইরে রেখে আসলো। —তারপর তারপর গাধা আরেকটি বোঝাভার খুজতে লাগলো।
Year: 2025
এক সিনেমার বহুরূপ
সিনেমা বিনোদনের মাধ্যম— বিনোদনের মাধ্যমে সিনেমা সমাজ, বিচার, নীতি ও মানবমনের জটিলতা অন্বেষণের এক শক্তিশালী রূপ— ব্যতিক্রমী এবং গভীর চিন্তনমূলক চলচ্চিত্র সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত “সত্যি বলে সত্যি কিছু নেই”। ২০২৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই বাংলা চলচ্চিত্রটি একটি আইনি থ্রিলার, যা মূলত আমেরিকান ক্লাসিক 12 Angry Men এবং তার হিন্দি রূপান্তর Ek Ruka Hua Faisla-র আধুনিক ও প্রাসঙ্গিক বাংলা পুনরায় নির্মাণ। চলচ্চিত্রটির কেন্দ্রে রয়েছে একটি বিচারপ্রক্রিয়া, যেখানে বারো জন জুরি সদস্য এক তরুণের বিরুদ্ধে খুনের মামলায় রায় দিতে বসেন। শুরুতে সবাই ছেলেটিকে দোষী বলে মনে করলেও, একজন সদস্য যুক্তির মাধ্যমে অন্যদের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে থাকেন। এই ধাপে ধাপে যুক্তি, তর্ক ও মানবিক বিবেচনার উত্তরণই চলচ্চিত্রটির আসল সৌন্দর্য। ঘটনাটি ঘটতে থাকে স্বপ্নের মাধ্যমে। এক ঘুমে বিচার শেষ— তাও মাতাল ঘুম। কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় অভিনয় করেছেন ব্রজেশ্বর
লোকটি
লোকটি ফেইসবুকে পোস্ট দিচ্ছে, আল্লাহ সর্বোত্তম পরিকল্পনাকারী— কিছুক্ষণ পর লোকটি পরিকল্পনা করছে কেমন করে বোনদেরকে সম্পত্তির ন্যায্য বন্টন থেকে বঞ্চিত করা যায়! লোকটা ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিচ্ছে,আল্লাহ সর্বোত্তম পরিকল্পনাকারী, আর মনে মনে কল্পনা বানাচ্ছে কেমন করে ভালো মানুষের পোশাক পরে আরও আরও জালিয়াতি দুর্নীতি করে প্রচুর টাকাপয়সার মালিক হওয়া যায়!! লোকটা ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিচ্ছে, জনগনই সকল ক্ষমতার একমাত্র উৎস— আর তলে তলে জনগণকে বিক্রি করে টাকা নিয়ে যাচ্ছে উৎস থেকে নিজের ব্যক্তিগত উৎসবে! আসুন, আমরা ইফতার পার্টির আয়োজন করি ফায়েবস্টার হোটেলে এবং গরীব মানুষের জন্যে দোয়া ঢেলে দেই এবং জুড়ে জুড়ে জোড়ায় জোড়ায় সমকন্ঠে বলি— এদেশের মেহনতি মানুষের জয় ✌ হোক এবং ফাইবস্টার মানসিকতার ফাক দিয়ে কোনো শ্রমজীবী মানুষের হাড়ভাঙা মেহনত করা দেখে আরবি ভাষায় বলি— আল্লাহুম্মা বারিক লাহু! লোকটা বক্তব্য শুরু করার আগে বলছে,
রাজা দরবেশ।
দরবেশ— মহারাজ, আপনার রাজ্যে আমি যা ইচ্ছে বলি, ভয় লাগে না। মহারাজ (মৃদু হাসিতে)— এটাই তো চেয়েছি, কেউ যেন আমার নয়—সত্য বলতে ভয় না পায়। দরবারি— কিন্তু যদি কেউ ভুল বলে? মহারাজ— তবে সত্য দিয়ে তাকে ভুল দেখাতে হবে, শাস্তি দিয়ে নয়। দরবারি— তাহলে কি রাজ্যে শাস্তি দেয়ার প্রক্রিয়া থাকবে না। প্রজ্ঞা— রাজার রাজ্যে কেউ সত্য কথা বলতে ভয় পায় না, এটাই রাজার সবচেয়ে বড় জয়। শাস্তি হলে সবার আগে রাজার হবে তারপর প্রজার! দরবারি— তাহলে যারা অন্যায় করে তাদের ব্যাপারে কি সিদ্ধান্ত হবে? প্রজ্ঞা— কেউ অন্যায় করে না: তাকে অন্যায়কারী বানানো হয়! মহারাজা— আমার একটি কথা মনোযোগ দিয়ে শোন—Lies grow stronger in the shadow of fear— Easy for a King to choose to light the way with truth. (দরবারে সবাই করতালি দেয়, মঞ্চে আলো ধীরে নিভে আসে)
ত্যাগানন্দ
আমার জন্যে প্রথম শাড়ি পরেছিলে যখন আমার মনে তখন পাঞ্জাবি ইদ তোমার শরীরে নামায পরে পালন করি ইদ উল ফিতর একবার ডুবে যাই আমি একেবারে ডুবে যাই আমি তোমার রক্তের ভেতর শাদা শাদা রক্তের ভেতর প্রেমের আযান রক্তনদী পারি দিয়ে চুপ করে বসে থাকি জলের শব্দে দিন আসে না ঢেউ উঠে না স্থলে কামের ঢেউয়ে প্রেম ভাঙে ইলমুল ইয়াকিন আইনুল ইয়াকিন হাক্কুল ইয়াকিন— একবার বুক দেখায় একবার পীঠ দেখায় আমার হৃদয়ে বয়ে যাওয়া মরুভূমির গাঙে তোমার ভরা গাঙে ভোগের তুফান আমার মনে তখন ইদ উল আযহা নিজের ভেতরে নিজের সাথে নিজেরে দিয়েছি প্রভুর নামে কোরবান
এক হাতে তালি বাজে।।
প্রত্যেক ইবাদত ভাই ভাই। প্রত্যেক ইবাদত জলের মতো যৌথকোষ। ইবাদত মানে নিজের প্রতি সচেতন থাকা। জলের কোনো অংশে ঢিল মারলে যেমন জলকোষে ঢেউ লাগে তেমনি কোনো ইবাদতে মনোনিবেশ করলে ইবাদতকোষে ঢেউ লাগে। সালাতে সিয়াম, যাকাত, হজ্ব রয়েছে। সালাত বান্দার সাথে আল্লার সম্পর্ক নির্মাণ করে যা হজ্বের নামান্তর, সালাতে শরীরের যাকাত দেয়া হয়ে যায়, সালাত একপ্রকার সিয়াম কারন সরিষা পরিমান খাবারও সালাতরত অবস্থায় খাওয়া যায় না। ইসলামে সালাত কেন? সালাতের উদ্দেশ্য মানুষকে মানুষমুখী করা, উগ্রতা থেকে মানসিকতাকে হেফাজত করা। সালাতের মাধ্যমে আসমানের আল্লাহ মানুষের চিন্তায় নেমে আসে। দুনিয়ামুখী মানুষ আল্লাহমুখী হওয়ার বর্নময় প্রশিক্ষণ লাভ করে। কুরানে আছে তোমাদের উপর সিয়াম ফরজ করেছি, তোমাদের আগেও ফরজ করা হয়েছিল যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো। আলোচ্য বিষয় যেন তাকওয়া অর্জন করতে পারো। মানে সিয়ামের উদ্দেশ্য তাকওয়া অর্জন। তাকওয়া হল
ইবাদত জ্ঞান শিক্ষা
মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে গাছের উপর নির্ভরশীল— এমন উপকারী বন্ধু গাছও কার্বনডাইঅক্সাইড ত্যাগ করে যা মানুষের জন্যে ক্ষতিকর— গাছ মানুষের উপকার বা অপকারের আশায় কিচ্ছু করে না— গাছ যা করে তা কেবল নিজের প্রয়োজনে করে— গাছ যা কিছু করে নিয়মের সীমানায় থেকে করে— মানুষ নিয়মের সীমানা প্রায় ভুলে যায়। জ্ঞান— তাহলে মানুষের বড় বন্ধু কে? প্রাজ্ঞ— মানুষের কোনো বন্ধু নেই— মানুষ অনেক বড় সিন্ধুর মাঝে অনেক ছোট বিন্দু। ইবাদত— তাহলে তো তার জন্যে কোনো নিয়ম থাকার কথা নেই! প্রাজ্ঞ— অবশ্যই। নিয়মের কোনো নিয়ম নেই। শিক্ষা— তাহলে আমরা যে নিয়ম টিয়মের কথা বলি। প্রাজ্ঞ— তাহলে বলি শোনো— আমাদের কান কোনো শব্দ শুনে না,শুনে আমাদের ব্রেইন, আমাদের ব্রেইন কোনো শব্দ শুনে না,শুনে আমাদের অর্জিত অভিজ্ঞতা, আমাদের অভিজ্ঞতা জাস্ট বানানো একটা গেইম যার শুরু এবং শেষ একই রকম। মেধা— তাহলে
প্রাজ্ঞ মেধা শিক্ষা জ্ঞান
ন্যায় বিচার হলো ভালো বীজের মতো— ভালো বীজ 'পানি'তে রাখলে কাজ হয় না— ভালো বীজ বাতাসে রাখলে গাছ হয় না— বীজকে রাখতে হয় মাটিতে। ন্যায় বিচার ন্যায় বিচার বলে ফেনা তুললে লাভ হবে না ওহে মাওলানা ডট কম— মাটি তোমার কথা শুনতে অনেক আগেই হয়েছে অক্ষম। জ্ঞানী— হে মহান প্রাজ্ঞ, তাহলে সমাধান কী? প্রাজ্ঞ— সমাধান একমাত্র বৃষ্টি— মেঘ থেকে নেমে আসা বৃষ্টি। মেধা— বিষয়টি সহজ করে বললে সুবিধা হয়। প্রাজ্ঞ— রহমত হলো বৃষ্টির মতো— রহমতের উদয় হবে এবং রহমত প্রথমে মাটির নষ্ট হয়ে যাওয়া গুনাবলি ফিরিয়ে আনবে, তারপর রহমত এন্ড গং ন্যায়ের কথা বলবে। শিক্ষা— তার জন্যে আমাদের তো প্রস্তুত থাকতে হবে নতুবা রহমত এসে মাইন্ড করবে না!? প্রাজ্ঞ— নদী শুকিয়ে গেলে মাছের প্রস্তুতিতে জলের কি আসে যায়! জ্ঞানী— আসলেই, বিল্ডিং ভেঙে গেলে ইট কাচামাল মাত্র। প্রাজ্ঞ— দারুণ
জ্ঞান প্রজ্ঞা মেধা
জ্ঞান— আমাকে একটা কথা বলো তো? শিক্ষা— কি কথা হে মহান জ্ঞান? জ্ঞান— নৌকা পানিতে ভাসে। পাথর কেনো ডুবে যায়? শিক্ষা— নৌকা জলে শরীর রেখে যে জায়গা দখল করে তার ওজন জলের ওজনের চেয়ে কম: পাথর জলে যখন শরীর রাখে তখন তার ওজন জলের ওজনের চেয়ে বেশি। জ্ঞান— প্রিয় মেধাবী তুমি উত্তরটা দাও তো। মেধাবী— নৌকার মোট ঘনত্ব পানির চেয়ে কম হওয়ায় এটি ভেসে থাকে, আর পাথরের ঘনত্ব বেশি হওয়ায় এটি ডুবে যায়। জ্ঞান— বাহ: তোমরা দুজনে সুন্দর বললে। নৌকা আর পাথরের জীবন থেকে তোমরা কি কোনো লেসন খুঁজে পাও? শিক্ষা— আপনিই বলুন হে প্রানপ্রিয় জ্ঞান। জ্ঞান— দুনিয়ার চাওয়া পাওয়ায় এমনভাবে মন রাখো যাতে চাওয়া পাওয়ার ওজন দুনিয়ার চেয়ে বেশি না হয়: বেশি হলে ডুবে যাবে: কম হলে ভেসে থাকবে এবং তীরে যেতে পারবে। মেধাবী— লোভ-লালসার ভারে যখন মন
দিনাজপুর দুপুর
বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের দিনাজপুর শহরের রেস্ট হাউজটি বা পর্যটন মোটেলটি ভালো— ভালো বলতে দিনাজপুর শহরে এর চেয়ে ভালো মোটেল কিংবা রেস্ট হাউজ আর নেই— তবে সে আরও ভালো হতে পারতো— রুমে সেই পুরাতন এসি— সেই পুরাতন সামগ্রিক সেটআপ— তোয়ালে থেকে শুরু করে নুয়ালে পর্যন্ত। পরিবেশ নিরব শান্ত, নিরাপত্তা পদ্ধতি যথেষ্ট ভালো। কিন্তু সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে পর্যটন মোটেল দিনাজপুর আপডেট হতে পারেনি। সকালে ঘুম থেকে উঠি নয়টায়— তারপর নাস্তা খাওয়ার পালা— নাস্তায় দুটি রুটি একটি ডিম একটি পানির বোতল এক কাপ কফি— বাড়তি একটি রুটি খেতে গেলেও এক্সট্রা বিল পে করতে হবে! অথচ এক রাতের জন্য তারা আমার কাছ থেকে নিয়েছে তিন হাজার দুইশো টাকা!! নাস্তা খেয়ে অটোরিকশা করে যাত্রা করি কান্তজিউ মন্দিরের উদ্দেশ্যে— আগে কান্তজিউকে বলতাম কান্তজির। মাত্র দুইশো টাকায় আসা-যাওয়া