রাধা— রাধাগো আমার রাধাস্নাত শ্রাবণ মাসের বুক ভাসালে তুমি রাত গেলো— ভোর এলো— এলো ভোরের বাহার ভোরশাড়ির ভাজ ভাঙলে না— সকাল হলো তোমার রাধাস্নাত রাত শেষে ভোরের আলো চোখে ঘাসফুলের মতো প্রিয়া প্রিয়া আমার ভালো— নন্দ চন্দ মুখে আলো নাচে আকাশ মেঘে ☁— নদীর জলে ঢেউ তোমার মতো আমার ক্ষত দেখেনি আর কেউ চুলউড়ানো বাতাস আমি— তোমার ঠোঁটের ফুল ভাসতে ভাসতে রাধাকিস্তি চিনছে রেজাকুল অচেনার ঘরে দেখো প্রিয়— চেনা চোরের বাড়ি সংসারের উঠোনহাটে বাড়ছে পুলিশ ফাড়ি লোহা নহে কাস্তে নহে সাগর হয়ে এসো তোমার জন্যে আমার হৃদয়— জলপালঙ্কে বসো
Year: 2025
ভুলের জঠরে: অস্তিত্ব, বিস্মৃতি ও আত্মপরিচয়ের অনির্বচনীয়তা” — এমরানুর রেজা
ভুলের জঠরে বায়তুল্লাহ্ কাদেরী বলিঘোড়া খুব কাছে এসে হ্রেষা ডাকে: উঠুন, সম্ভ্রান্ত। উঠুন এ পৃষ্ঠদেশে। ভাবলাম, এই আরোহণ যদি হয় নদী-মদিরার দেশে আর না ফেরার ? যদি হয় ভুলে-যাওয়া ঋণের চারণভূমি তাহলে কি ঘোড়া স্থির হবে ঘূর্ণন রেখায় ? আবহমানের কোল ঘেঁষে আমিও দাঁড়াই ছিলাম, রয়েছি, রবো- এইভাবে মর্ত্যময় একজন ভাবে, অন্যজন খুব ভোরবেলা অপরজনের কাছে এসে বলে পৃথিবীতে যে লোকের জন্য দম বন্ধ হতে যাচ্ছিল রুহের ফেরেশতার তারও প্রশ্ন ছিল: ছিলাম, রয়েছি, রবো- এসবের মানে কি বলুন? জনাব, জবাব দিয়েই তবে নিয়ে নিন আমার রুহের তোহফা। ফেরেশতাটি থ' মেরে তাজ্জব! বলে কি এ গোয়ালার পুত ! ঝিয়ের পেটেই কি না মায়ের জন্ম! তাহলে ঝিটা কার? কোথায় সে ছিল, রয়েছে কোথায়, কিংবা রবে কোন ভুলের জঠরে ? কবিতাটি এক অস্তিত্ববাদী ভ্রমণ। বলিঘোড়া এখানে নিয়তির রূপক, যেটি মানুষকে টেনে নেয় অজানা গন্তব্যে। “ছিলাম, রয়েছি, রবো”—এই পুনরাবৃত্তি প্রশ্ন তোলে
আফালের মাছ [১৪]
০১ হাল কেটে যারা প্রেম আনলেন তারাই হয়ে উঠলেন কুমির🐊 ০২ ডাকাত তাড়ানোর পর আপনি যখন ডাকাত হয়ে উঠেন তখন কিন্তু আমরা বলতে বাধ্য— ডাকাতই ভালো ছিলো! মানুষ মাস্টারি পছন্দ করে না— মানুষ যাকে মাস্টার মানে তাকে মাস্টারি করা লাগে না। যোগ্যতার একটা নিজস্ব ক্ষমতা আছে— ক্ষমতার নিজস্ব যোগ্যতা নাই: আজ আছে কাল নাই! ০৩ বাঙালি মেয়েরা অলঙ্কার পছন্দ করে— তবে সারাদিন অলঙ্কার পরে বসে থাকে না— বয়ফ্রেন্ড, বাঙালি মেয়েদের কাছে অলঙ্কারের মতো— বিশেষ কারন ছাড়া মেয়েরা বয়ফ্রেন্ডকে পাবলিকলি ওপেন করে না। ০৪ যে যাকে যত ভালোবাসে সে তাকে তত সুন্দর দেখে— আমার কাছে কথাডা সত্য নয়— সুন্দর ইজ অলয়েজ সুন্দর— চান্দের জোছনাকে আপনি ভালো না বাসলেও জোছনার কোনো যায় আসে না—তবে খাবার হিসাবে কাডল পাতা ছাগল পছন্দ করে, মানুষ করে না—রুচির জায়গা আলাদা— আলাদা রুচি আলাদা
তারপর গাধা।
এক সিনেমার বহুরূপ
সিনেমা বিনোদনের মাধ্যম— বিনোদনের মাধ্যমে সিনেমা সমাজ, বিচার, নীতি ও মানবমনের জটিলতা অন্বেষণের এক শক্তিশালী রূপ— ব্যতিক্রমী এবং গভীর চিন্তনমূলক চলচ্চিত্র সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত “সত্যি বলে সত্যি কিছু নেই”। ২০২৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই বাংলা চলচ্চিত্রটি একটি আইনি থ্রিলার, যা মূলত আমেরিকান ক্লাসিক 12 Angry Men এবং তার হিন্দি রূপান্তর Ek Ruka Hua Faisla-র আধুনিক ও প্রাসঙ্গিক বাংলা পুনরায় নির্মাণ। চলচ্চিত্রটির কেন্দ্রে রয়েছে একটি বিচারপ্রক্রিয়া, যেখানে বারো জন জুরি সদস্য এক তরুণের বিরুদ্ধে খুনের মামলায় রায় দিতে বসেন। শুরুতে সবাই ছেলেটিকে দোষী বলে মনে করলেও, একজন সদস্য যুক্তির মাধ্যমে অন্যদের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে থাকেন। এই ধাপে ধাপে যুক্তি, তর্ক ও মানবিক বিবেচনার উত্তরণই চলচ্চিত্রটির আসল সৌন্দর্য। ঘটনাটি ঘটতে থাকে স্বপ্নের মাধ্যমে। এক ঘুমে বিচার শেষ— তাও মাতাল ঘুম। কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় অভিনয় করেছেন ব্রজেশ্বর
লোকটি
লোকটি ফেইসবুকে পোস্ট দিচ্ছে, আল্লাহ সর্বোত্তম পরিকল্পনাকারী— কিছুক্ষণ পর লোকটি পরিকল্পনা করছে কেমন করে বোনদেরকে সম্পত্তির ন্যায্য বন্টন থেকে বঞ্চিত করা যায়! লোকটা ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিচ্ছে,আল্লাহ সর্বোত্তম পরিকল্পনাকারী, আর মনে মনে কল্পনা বানাচ্ছে কেমন করে ভালো মানুষের পোশাক পরে আরও আরও জালিয়াতি দুর্নীতি করে প্রচুর টাকাপয়সার মালিক হওয়া যায়!! লোকটা ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিচ্ছে, জনগনই সকল ক্ষমতার একমাত্র উৎস— আর তলে তলে জনগণকে বিক্রি করে টাকা নিয়ে যাচ্ছে উৎস থেকে নিজের ব্যক্তিগত উৎসবে! আসুন, আমরা ইফতার পার্টির আয়োজন করি ফায়েবস্টার হোটেলে এবং গরীব মানুষের জন্যে দোয়া ঢেলে দেই এবং জুড়ে জুড়ে জোড়ায় জোড়ায় সমকন্ঠে বলি— এদেশের মেহনতি মানুষের জয় ✌ হোক এবং ফাইবস্টার মানসিকতার ফাক দিয়ে কোনো শ্রমজীবী মানুষের হাড়ভাঙা মেহনত করা দেখে আরবি ভাষায় বলি— আল্লাহুম্মা বারিক লাহু! লোকটা বক্তব্য শুরু করার আগে বলছে,
রাজা দরবেশ।
দরবেশ— মহারাজ, আপনার রাজ্যে আমি যা ইচ্ছে বলি, ভয় লাগে না। মহারাজ (মৃদু হাসিতে)— এটাই তো চেয়েছি, কেউ যেন আমার নয়—সত্য বলতে ভয় না পায়। দরবারি— কিন্তু যদি কেউ ভুল বলে? মহারাজ— তবে সত্য দিয়ে তাকে ভুল দেখাতে হবে, শাস্তি দিয়ে নয়। দরবারি— তাহলে কি রাজ্যে শাস্তি দেয়ার প্রক্রিয়া থাকবে না। প্রজ্ঞা— রাজার রাজ্যে কেউ সত্য কথা বলতে ভয় পায় না, এটাই রাজার সবচেয়ে বড় জয়। শাস্তি হলে সবার আগে রাজার হবে তারপর প্রজার! দরবারি— তাহলে যারা অন্যায় করে তাদের ব্যাপারে কি সিদ্ধান্ত হবে? প্রজ্ঞা— কেউ অন্যায় করে না: তাকে অন্যায়কারী বানানো হয়! মহারাজা— আমার একটি কথা মনোযোগ দিয়ে শোন—Lies grow stronger in the shadow of fear— Easy for a King to choose to light the way with truth. (দরবারে সবাই করতালি দেয়, মঞ্চে আলো ধীরে নিভে আসে)
ত্যাগানন্দ
আমার জন্যে প্রথম শাড়ি পরেছিলে যখন আমার মনে তখন পাঞ্জাবি ইদ তোমার শরীরে নামায পরে পালন করি ইদ উল ফিতর একবার ডুবে যাই আমি একেবারে ডুবে যাই আমি তোমার রক্তের ভেতর শাদা শাদা রক্তের ভেতর প্রেমের আযান রক্তনদী পারি দিয়ে চুপ করে বসে থাকি জলের শব্দে দিন আসে না ঢেউ উঠে না স্থলে কামের ঢেউয়ে প্রেম ভাঙে ইলমুল ইয়াকিন আইনুল ইয়াকিন হাক্কুল ইয়াকিন— একবার বুক দেখায় একবার পীঠ দেখায় আমার হৃদয়ে বয়ে যাওয়া মরুভূমির গাঙে তোমার ভরা গাঙে ভোগের তুফান আমার মনে তখন ইদ উল আযহা নিজের ভেতরে নিজের সাথে নিজেরে দিয়েছি প্রভুর নামে কোরবান
এক হাতে তালি বাজে।।
প্রত্যেক ইবাদত ভাই ভাই। প্রত্যেক ইবাদত জলের মতো যৌথকোষ। ইবাদত মানে নিজের প্রতি সচেতন থাকা। জলের কোনো অংশে ঢিল মারলে যেমন জলকোষে ঢেউ লাগে তেমনি কোনো ইবাদতে মনোনিবেশ করলে ইবাদতকোষে ঢেউ লাগে। সালাতে সিয়াম, যাকাত, হজ্ব রয়েছে। সালাত বান্দার সাথে আল্লার সম্পর্ক নির্মাণ করে যা হজ্বের নামান্তর, সালাতে শরীরের যাকাত দেয়া হয়ে যায়, সালাত একপ্রকার সিয়াম কারন সরিষা পরিমান খাবারও সালাতরত অবস্থায় খাওয়া যায় না। ইসলামে সালাত কেন? সালাতের উদ্দেশ্য মানুষকে মানুষমুখী করা, উগ্রতা থেকে মানসিকতাকে হেফাজত করা। সালাতের মাধ্যমে আসমানের আল্লাহ মানুষের চিন্তায় নেমে আসে। দুনিয়ামুখী মানুষ আল্লাহমুখী হওয়ার বর্নময় প্রশিক্ষণ লাভ করে। কুরানে আছে তোমাদের উপর সিয়াম ফরজ করেছি, তোমাদের আগেও ফরজ করা হয়েছিল যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো। আলোচ্য বিষয় যেন তাকওয়া অর্জন করতে পারো। মানে সিয়ামের উদ্দেশ্য তাকওয়া অর্জন। তাকওয়া হল
ইবাদত জ্ঞান শিক্ষা
মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে গাছের উপর নির্ভরশীল— এমন উপকারী বন্ধু গাছও কার্বনডাইঅক্সাইড ত্যাগ করে যা মানুষের জন্যে ক্ষতিকর— গাছ মানুষের উপকার বা অপকারের আশায় কিচ্ছু করে না— গাছ যা করে তা কেবল নিজের প্রয়োজনে করে— গাছ যা কিছু করে নিয়মের সীমানায় থেকে করে— মানুষ নিয়মের সীমানা প্রায় ভুলে যায়। জ্ঞান— তাহলে মানুষের বড় বন্ধু কে? প্রাজ্ঞ— মানুষের কোনো বন্ধু নেই— মানুষ অনেক বড় সিন্ধুর মাঝে অনেক ছোট বিন্দু। ইবাদত— তাহলে তো তার জন্যে কোনো নিয়ম থাকার কথা নেই! প্রাজ্ঞ— অবশ্যই। নিয়মের কোনো নিয়ম নেই। শিক্ষা— তাহলে আমরা যে নিয়ম টিয়মের কথা বলি। প্রাজ্ঞ— তাহলে বলি শোনো— আমাদের কান কোনো শব্দ শুনে না,শুনে আমাদের ব্রেইন, আমাদের ব্রেইন কোনো শব্দ শুনে না,শুনে আমাদের অর্জিত অভিজ্ঞতা, আমাদের অভিজ্ঞতা জাস্ট বানানো একটা গেইম যার শুরু এবং শেষ একই রকম। মেধা— তাহলে