বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের দিনাজপুর শহরের রেস্ট হাউজটি বা পর্যটন মোটেলটি ভালো— ভালো বলতে দিনাজপুর শহরে এর চেয়ে ভালো মোটেল কিংবা রেস্ট হাউজ আর নেই— তবে সে আরও ভালো হতে পারতো— রুমে সেই পুরাতন এসি— সেই পুরাতন সামগ্রিক সেটআপ— তোয়ালে থেকে শুরু করে নুয়ালে পর্যন্ত। পরিবেশ নিরব শান্ত, নিরাপত্তা পদ্ধতি যথেষ্ট ভালো। কিন্তু সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে পর্যটন মোটেল দিনাজপুর আপডেট হতে পারেনি। সকালে ঘুম থেকে উঠি নয়টায়— তারপর নাস্তা খাওয়ার পালা— নাস্তায় দুটি রুটি একটি ডিম একটি পানির বোতল এক কাপ কফি— বাড়তি একটি রুটি খেতে গেলেও এক্সট্রা বিল পে করতে হবে! অথচ এক রাতের জন্য তারা আমার কাছ থেকে নিয়েছে তিন হাজার দুইশো টাকা!! নাস্তা খেয়ে অটোরিকশা করে যাত্রা করি কান্তজিউ মন্দিরের উদ্দেশ্যে— আগে কান্তজিউকে বলতাম কান্তজির। মাত্র দুইশো টাকায় আসা-যাওয়া
Month: October 2024
অভিজিৎ সেনের সিনেমা ‘প্রধান’
অভিজিৎ সেনের সিনেমা 'প্রধান '— তার সিনেমা আগে দেখিছি বলে মনে পড়ে না— সামাজিক আবহের আদলে রাজনৈতিক ছায়াবরনে মারপিটধর্মী নাট্য চলচ্চিত্র 'প্রধান'। তবে মারপিট কিন্তু একেবারে অবাস্তব স্টাইলের ধারণাকে বাস্তব করে দেখানোর প্রয়াস দেখাননি প্রধানের পরিকল্পনা টিম। প্রধান সিনেমায় ইনডোর শর্টগুলো তরতাজা ফিল দিয়েছে। যেহেতু ইমোশনাল প্রেক্ষাপট নির্মাণ এই সিনেমায় চরিত্র নির্মানের মতো গুরুত্বপূর্ণ সেহেতু ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে দায়িত্বশীল উপায়ে। অনির্বাণ চক্রবর্তী বা জটিলেশ্বর মুখোপাধ্যায় একজন রাজনীতিবিদ এবং ধর্মপুর গ্রামপরিষদের পঞ্চায়েত প্রধান— তার অভিনয় বিশেষ করে ইমোশন প্রকাশ খুবই দুর্দান্ত— কথা ছন্দে ছন্দে বলতে পছন্দ করেন। জলপাইগুড়ির ধর্মপুর গ্রামটা কিন্তু খুবই সুন্দর— পাহাড় ও সমতলের দারুণ মিশ্রণ। ক্যামেরাতে যে ধর্মপুর এলাকা দেখানো হয়েছে তা খুবই সীমিত— আরও বড় পরিসরে দেখানো যেতো। দেব বা দীপক প্রধান— ধর্মপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা— তাকে
মাটির ঘর
মাটির ঘর— জানালা থাকে— থাকে দরজা মাটির ঘর— আলো থাকে— থাকে বাতাস মাটির ঘর— থাকে মানুষ— পশুপাখি থাকে থাকে অনেক কিছু— আধুনিক কিংবা প্রাচীন মাটির ঘর— থাকে আমার দেহ যাকে ভালোবাসি রোজ আদর করি— গোসল করাই—খাবার খাওয়াই মাটির ঘরে মৃত আমি সব কিছু করি জীবিত হয়ে একদিন চলে যাবো সবকিছু ছাড়ি দেহ যার তার কাছে যাবে আমি যার যাবো তার কাছে আসা যাওয়া যাওয়া আসা ফুল হয়ে গাছে— গন্ধ হয়ে ফুলে ❀ জল হয়ে মুসাফির কূল থেকে কূলে
নাম জানি না প্রভু তোমার
লাসভিয়াস
আমার পাশে যে মেয়েটি বসে আছে তার নাম আযহা। তাকে জিজ্ঞেস করলাম আজহা মানে কী? বললো, সাইনিং সামথিং। আজহা সরকারি চাকরি করে— মালদ্বীপের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো এক গোপনীয় বিভাগে। অবাক হয়ে গেলাম মানুষের ভীড় দেখে— অলিম্পাস মালে শহরের প্রাচীনতম সিনেমা হল। ইদানিং সংস্কার করা হয়েছে— আগে পরিবেশ ততটা নান্দনিক ছিলো না। লাসভিয়াস ধিবেহী শব্দ যার অর্থ যদিও দেরি হয়ে গেছে— Though It's late. এই সিনেমা দেখতে গিয়ে জীবনে প্রথম ধিবেহী ভাষা টানা তিনঘণ্টা শুনলাম। প্রথমবারের মতো পরিচিত হলাম মোহাম্মদ নিয়াজ টেডির সাথে— সে সিনেমাটির পরিচালক ও লেখক। আহমেদ ইশা এবং ওয়াশিয়া মোহাম্মদ অসাধারণ অভিনয় করেছে। আহমেদ ইশা অভিনয় করেছে মোহাম্মদ ইকবাল নামে আর ওয়াশিয়া মোহাম্মদ অভিনয় করেছে ইউশরা নামে। মিউজিক করেছেন মোহাম্মদ ইকরাম। এই সিনেমার বলতে গেলে তেমন কোনো গল্প নাই। গল্প থাকলেও