পুরো আকাশ ঢেকে গেলো মাটিতে হাত রাখি এমন মেঘ ☁ কোথাও নেই বাতাসে সমগ্র স্থলভাগ ঢেকে গেলো আকাশে নৌকা চালাই মাঝি আমি এমন জল নেই আর এমন জল নেই আর টানটান টনটনে হৃদয়পাশে রোপণ করি ঘুম রোপণ করি আলসেমি এক রাত এক দিন এক অন্ধকার এক আলো— হাতে রাখে হাত: স্বপ্নে রাখে স্বপ্ন চোখের ভেতর যে নীল জমা হয় তাও ঘামে তাও ঘামে জবজব আশার আশ্রয় মনের জঙ্গলে মনের প্রেম সময়ের মঙ্গলে জঙ্গলে মঙ্গলে কাপে অঙ্গ আনন্দ নৃত্য করে উলঙ্গ প্রাংশুলভ্য প্রাঙ্গণে কার যেনো কাদের যেনো কেটে যায় দিন ডিগ্রিরত্ন অর্জনে ডিগ্রিরত্ন পান শেষে অর্থসাগর মন্থনে কার যেনো কাদের যেনো কেটে যায় দিন কেটে যায় দিন পানের ডিবির পাটাতনে
Year: 2024
জেনে রেখো।
জেনে রেখো এই দেশ মেহনতি জনতার ঘামে শ্রমে কথা বলে নেই কোন ভয় তার জেনে রেখো এই বাংলার বাউল সূফি কথাকার প্রয়োজনে এক হয় এক হয়ে একাকার গুলি করলে গুলি হয়ে ফিরে যাবো উল্টো ঝরে যাবে ছিড়ে যাবে নাট আর বুল্টু জেনে রেখো এই দেশ যাত্রাপালা কিসসার বিজাতীয় আলামত শীঘ্রই দেশ ছাড় দেশ ছাড় দেশ ছাড় যতসব শয়তান বাগানে ফুটবে ফুলবাহার ইনসান ❀ মনে রেখো কৃষকের ঘাড়ে থাকে গামছা ফসলের রাজা সে নয় কারো চামচা ভেঙে যাবে ভেঙে দাও কলোনি হামছা জয় হবে হবে জয় বাংলার ইচ্ছা ✌
আগুনের ধর্ম।
বাঘের বাচ্চা— হরিনের জঙ্গলে আগুন লাগলো! বাঘ— তাহলে বেশ ভালো। বাঘের বাচ্চা— কেনো ভালো!? বাঘ— হরিণ বাচতে চাইবে এবং আমাদের জঙ্গলে চলে আসবে: কষ্ট করে আর হরিণকে ধরতে হবে না। বাঘের বাচ্চা— শুধু কি হরিণ আসবে? আগুন আসবে না!? আগুনের প্রশ্নে বাঘ চুপ। আসলেই তো— হরিন আসার আগেই আগুন চলে আসবে! বাঘ দৌড়ে গেলো দরবেশের কাছে। দরবেশ জঙ্গলে ধ্যান করছেন। দরবেশের ধ্যান ভাঙানো অন্যায়। কিন্তু সবচেয়ে বড় ন্যায় হলো প্রান বাচানো। বাঘ— হে মহান দরবেশ, হরিনের জঙ্গলে আগুন লেগেছে! দরবেশ— তোমরা তোমাদের বাসস্থানে যাও, দেখছি আমি কি করা যায়। দরবেশ লোকালয়ে গেলো এবং জঙ্গলে আগুন লাগার বিষয়টি নিশ্চিত করে। দলে দলে মানুষ নেমে আসে জঙ্গলে এবং মানুষের সর্বশক্তি দিয়ে আগুন দমন করে। আগুন নিভে যায়—জঙ্গলে স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে আসে— দরবেশ আবার ধ্যানে বসেন— বাঘ আবার হরিণের মাংস খাওয়ার
আমি আর মামু
আমরা ভালো নেই। আমাদের একটা স্বাধীন ভূখণ্ড লাগবে। আমরা এখন যে ভূখণ্ডে আছি তা আমাদের শান্তি দিতে পারছে না— শান্তির নামে আল্লাহু আকবর বলে আমরা আলাদা হলাম। আমাদের নতুন ভূখণ্ডের নাম পাকিস্তান!যেনো একেবারে পাক হয়ে গেলাম— আর কোনো নাপাকি লাগবে না মোর গায়। আমরা ভালো নেই। আমাদের না খেয়ে থাকতে হয়। আমাদের মুখের ভাষা কেড়ে নিতে চায় তারা, এমন বৈষম্য আমরা মেনে নিতে চাই না— আমাদের নিজস্ব ভূখণ্ড লাগবে। আবারও শান্তির নামে বৃটিশ মনোনিত মানচিত্র থেকে আমরা বের হয়ে আসলাম। আমাদের দেশ হলো— নতুন দেশের নাম বাংলাদেশ! বিজয়ের পতাকা পতপত করে আকাশে উড়লো— অনেক কান্নার নদী সাগরে গিয়ে মিশলো— সাগরজল বাষ্প হয়ে ফিরে এলো আবারও+ফিরে এলো আমাদের চোখে! আমরা ভালো নেই। আমাদের নতুন নিয়ম লাগবে। পুরাতন নিয়ম সব বাদ। যিনি নতুন নিয়ম আনতে গেলেন তাকে হত্যা করো— সময় সুযোগ করে
কারবালার তাবিজ
তিনাকে সতর্ক করা হচ্ছে। আকাশ বাতাস তিনাকে সতর্ক করছেন— সতর্ক করছেন জমিনের গাছপালা। কারো সতর্কবানী কানে নিচ্ছেন না তিনি। তিনি শুনছেন তিনার একান্ত নিজস্ব স্বজনদের কথা। স্বজনদের উপর তিনি অনেক নির্ভরশীল হয়ে গেলেন।লোকজন তিনার বাসভবনের সামনে জমায়েত হতে শুরু করে— তিনি তাদেরকে তিন দিনের সময় দিলেন আন্দোলন ভেঙে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্যে। আন্দোলন আরও তীব্র হয়ে উঠছে। কোনোভাবে আন্দোলন দমন করতে পারছেন না তিনি।তিনি আন্দোলনকারীদের সামনে আসলেন না— আসলেন তিনার পক্ষ থেকে তিনারই একজন স্বজন— এসে বক্তব্য দিলেন—তোমরা কি চাও?তোমরা কি লুটপাট করতে চাও?সময় থাকতে ফিরে যাও।তোমাদের ধারনা, তোমাদের ভয়ে আমাদের রাষ্ট্রপ্রধান পদত্যাগ করে তোমাদের হাতে শাসনভার তুলে দেবেন?যদি তোমরা তা ভেবে থাকো তাহলে বোকামি করবে। আমরা কোনো জালেমের হাতে নিজেদের ন্যস্ত করতে ইচ্ছুক নই।'জালেম' শব্দটা আন্দোলনকারীদের মনে আরও তীব্র
দিনাজপুর এবং আমার কথা
বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের দিনাজপুর শহরের রেস্ট হাউজটি বা পর্যটন মোটেলটি ভালো— ভালো বলতে দিনাজপুর শহরে এর চেয়ে ভালো মোটেল কিংবা রেস্ট হাউজ আর নেই— তবে সে আরও ভালো হতে পারতো— রুমে সেই পুরাতন এসি— সেই পুরাতন সামগ্রিক সেটআপ— তোয়ালে থেকে শুরু করে নুয়ালে পর্যন্ত। পরিবেশ নিরব শান্ত, নিরাপত্তা পদ্ধতি যথেষ্ট ভালো। কিন্তু সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে পর্যটন মোটেল দিনাজপুর আপডেট হতে পারেনি। সকালে ঘুম থেকে উঠি নয়টায়— তারপর নাস্তা খাওয়ার পালা— নাস্তায় দুটি রুটি একটি ডিম একটি পানির বোতল এক কাপ কফি— বাড়তি একটি রুটি খেতে গেলেও এক্সট্রা বিল পে করতে হবে! অথচ এক রাতের জন্য তারা আমার কাছ থেকে নিয়েছে তিন হাজার দুইশো টাকা!! নাস্তা খেয়ে অটোরিকশা করে যাত্রা করি কান্তজিউ মন্দিরের উদ্দেশ্যে— আগে কান্তজিউকে বলতাম কান্তজির। মাত্র দুইশো টাকায় আসা-যাওয়া
অভিজিৎ সেনের সিনেমা ‘প্রধান’
অভিজিৎ সেনের সিনেমা 'প্রধান '— তার সিনেমা আগে দেখিছি বলে মনে পড়ে না— সামাজিক আবহের আদলে রাজনৈতিক ছায়াবরনে মারপিটধর্মী নাট্য চলচ্চিত্র 'প্রধান'। তবে মারপিট কিন্তু একেবারে অবাস্তব স্টাইলের ধারণাকে বাস্তব করে দেখানোর প্রয়াস দেখাননি প্রধানের পরিকল্পনা টিম। প্রধান সিনেমায় ইনডোর শর্টগুলো তরতাজা ফিল দিয়েছে। যেহেতু ইমোশনাল প্রেক্ষাপট নির্মাণ এই সিনেমায় চরিত্র নির্মানের মতো গুরুত্বপূর্ণ সেহেতু ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে দায়িত্বশীল উপায়ে। অনির্বাণ চক্রবর্তী বা জটিলেশ্বর মুখোপাধ্যায় একজন রাজনীতিবিদ এবং ধর্মপুর গ্রামপরিষদের পঞ্চায়েত প্রধান— তার অভিনয় বিশেষ করে ইমোশন প্রকাশ খুবই দুর্দান্ত— কথা ছন্দে ছন্দে বলতে পছন্দ করেন। জলপাইগুড়ির ধর্মপুর গ্রামটা কিন্তু খুবই সুন্দর— পাহাড় ও সমতলের দারুণ মিশ্রণ। ক্যামেরাতে যে ধর্মপুর এলাকা দেখানো হয়েছে তা খুবই সীমিত— আরও বড় পরিসরে দেখানো যেতো। দেব বা দীপক প্রধান— ধর্মপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা— তাকে
মাটির ঘর
মাটির ঘর— জানালা থাকে— থাকে দরজা মাটির ঘর— আলো থাকে— থাকে বাতাস মাটির ঘর— থাকে মানুষ— পশুপাখি থাকে থাকে অনেক কিছু— আধুনিক কিংবা প্রাচীন মাটির ঘর— থাকে আমার দেহ যাকে ভালোবাসি রোজ আদর করি— গোসল করাই—খাবার খাওয়াই মাটির ঘরে মৃত আমি সব কিছু করি জীবিত হয়ে একদিন চলে যাবো সবকিছু ছাড়ি দেহ যার তার কাছে যাবে আমি যার যাবো তার কাছে আসা যাওয়া যাওয়া আসা ফুল হয়ে গাছে— গন্ধ হয়ে ফুলে ❀ জল হয়ে মুসাফির কূল থেকে কূলে
নাম জানি না প্রভু তোমার
লাসভিয়াস
আমার পাশে যে মেয়েটি বসে আছে তার নাম আযহা। তাকে জিজ্ঞেস করলাম আজহা মানে কী? বললো, সাইনিং সামথিং। আজহা সরকারি চাকরি করে— মালদ্বীপের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো এক গোপনীয় বিভাগে। অবাক হয়ে গেলাম মানুষের ভীড় দেখে— অলিম্পাস মালে শহরের প্রাচীনতম সিনেমা হল। ইদানিং সংস্কার করা হয়েছে— আগে পরিবেশ ততটা নান্দনিক ছিলো না। লাসভিয়াস ধিবেহী শব্দ যার অর্থ যদিও দেরি হয়ে গেছে— Though It's late. এই সিনেমা দেখতে গিয়ে জীবনে প্রথম ধিবেহী ভাষা টানা তিনঘণ্টা শুনলাম। প্রথমবারের মতো পরিচিত হলাম মোহাম্মদ নিয়াজ টেডির সাথে— সে সিনেমাটির পরিচালক ও লেখক। আহমেদ ইশা এবং ওয়াশিয়া মোহাম্মদ অসাধারণ অভিনয় করেছে। আহমেদ ইশা অভিনয় করেছে মোহাম্মদ ইকবাল নামে আর ওয়াশিয়া মোহাম্মদ অভিনয় করেছে ইউশরা নামে। মিউজিক করেছেন মোহাম্মদ ইকরাম। এই সিনেমার বলতে গেলে তেমন কোনো গল্প নাই। গল্প থাকলেও