বিকাল মাচায় বসে আছি সন্ধ্যাপথ ধরে জলকন্যা ডাকছে আমায় আড়িয়ালখার ঘরে রোদ পড়েছে চুলের ঘ্রাণে জলকন্যা হাসে প্রিয়া আমার নদী বাংলা জল শরীরের ঘাসে নদী জানে সব জানে জানে সবার কথা অন্ধকার ডানায় ডানায় নাড়ছে বাতাস পাতা অন্ধকারের সামনে বসা মন বসানো ফুল ❀ আশা নদীর পাড়ে বসে মাঝি আকছে কূল ডাকছে ব্যাঙ উড়ছে ফড়িং উদাস করে মন বৃষ্টিজলে আড়িয়ালখা স্মৃতি বৈঠা বন জলের আগে তুমি ছিলে আমিও ছিলাম পাশে সময় খেয়ে আমরা এখন আড্ডা খেলার তাসে
Year: 2023
আমাদের নৈতিক দৈনিক জীবন
ভূমি অফিস বাংলাদেশের এক মহান জায়গা। এক শতক জায়গা আছে এমন বান্দারও ভূমি অফিসে জিয়ারত করতে যেতে হয়। আপনারা শুনে অবাক হবেন বাংলাদেশের অধিকাংশ ফৌজদারি মামলা হওয়ার পেছনে প্রধান কুতুব এই ভূমি। ভূমি সংক্রান্ত ঝামেলার প্রধান আতুরনিবাস বাংলার আঞ্চলিক ভূমি অফিস। ভূমি অফিসে যারা কাজ করেন তারা নিজেকে এই আধুনিক যুগেও খুব উঁচু মানের জমিদার মনে করেন— আর খাজনা প্রদানকারীরা খুব নিচু জাতের প্রজা। নব্বই দশকে জমিজমার জরিপ হয়েছে যা বিএস বা বাংলাদেশ সার্ভে নামে পরিচিত। তখন মেয়েরা বাপের বাড়ি থেকে নিজ হক নেয়াকে লজ্জাকর মনে করতো— কেউ কেউ মনে করতো ইসলাম বাপের বাড়ি থেকে সম্পত্তি নেয়া নিষেধ করে। ভাই ভাই সম্পত্তি বন্টন করে ফেলতো যেখানে বোনদের জিজ্ঞাসা করার ন্যুনতম প্রয়োজন বোধ করতো না। বোনেরা লজ্জায় লাল হয়ে শাড়ির আচল মাথা
আফালের মাছ [ ১২ ]
আমাদের হরতালের দিন কেউ রাস্তায় নামেনি, ঠিকই একটি পাখি রাস্তায় নেমেছিল এবং সবদিক কম্পিত করে বলেছিল ‘হরতাল মানি না’। দুঃখের বিষয় আমরা কেউ পাখির ভাষা বুঝি না। চকচক করলে সোনা হয় না— স্বর্ন চকচকই করে। রাজহাঁস জলের মধ্যে থেকে দুধকে আলাদা করে নিতে জানে— মেয়েরাও ভীড়ের মধ্যে থেকে তার নিজের পুরুষকে আলাদা করে নিতে জানে— তবে রাজহাঁস দুধকে আলাদা করে — মেয়েরা প্রায়ই আলাদা করে জল— ফলে বিয়ের কয়েকদিন পর বালিশ ভেজে যায় জলে। বিয়ে এক উদ্ভট জুয়াখেলা— এই খেলায় দুইপাশে সমান উত্তেজনা— উত্তেজনার উত্তম পরাজয়। মাটির গুনাগুনের উপর নির্ভর করে ফসলের গুনাগুন—ভালো বীজ ভালো মাটিতে শেকড় ছড়ালে ভালো ফসল— কেবল মাটির উপরে ভালো কাজ করলেই মাটির নিচে ভালো থাকা যায় না— মাটিরও রয়েছে কিছু প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ। কারো সাথে
দয়া তোমার না পেলে
দয়া তোমার না পেলে লাভ হবে কী বলো চাওয়া হলে সতত সচল ছলে বলে কৌশলে তুমি প্রেম প্রেমের মহল আমার আমিরও কাছে এক করিতকর্মা নুর পাইনা দেখা আলোরেখা যোজন যোজন দূর তুমি দয়া দয়াল দয়াময় গিরিশ-নন্দিনী স্বয়ং দয়ার সাগর তবু প্রেমহীন কারো সাথে সম্পর্ক রাখে না প্রভু মরা মাছ বাজপাখি শিকার করে না কভু প্রেম জানে চাতক পাখি বৃষ্টিধরা জল ইলেক্ট্রন প্রোটন যতসব খটাখট প্রেমের ফসল
প্রেমফুল শব্দপাঠ
তোমার হাতের দিকে বয়ে যাচ্ছে আমার হাত আমার হাত থেকে দূরে সরে সরে যাচ্ছে তোমার হাত আকাশের চোখের বিছানায় তোমার বাড়ি বানাবো বলে বলি— চলো একসাথে বাচি হাতে না রেখে হাত বাচা যায় বললে তুমি চোখে রেখে চোখ চলো সমুদ্র বানাই চোখে না রেখে চোখ হাটা যায় বললে তুমি পায়ে পায়ে ছন্দে তালে চলো মাখি ঘ্রাণ সভ্যতার পা থেকে পায়ের দূরত্ব কষলেও দেখা যায় দূরত্ব কষলেও দেখা যায় প্রাকৃতিক গ্রাম বললে তুমি দুজনের কানে দুজনে রোপণ করি চলো রোপণ করি চলো প্রেমফুল শব্দপাঠ কথাশব্দ বাহার না জেনেও বানানো যায় বসতির হাট বললে তুমি আমরা পাশাপাশি— আমাদের হাত পা চোখ কান প্রতিটি গ্রহের মতো কক্ষপথ বেছে নিয়েছে— আমরা কেবল বেছে নিতে পারিনি আমাদের পথ।
রেখো আমায় প্রেমে
পাগল আলপনা
কেটে যাবে যতসব হৃদয়ের খরা
কথোপকথন [ ৪ ]
— একটা কথা বলতে চাই, আপনি মাইন্ড করবেন বাসুদেব? — আগে বলো, তারপর মাইন্ড করি। — হা হা হা, বাসুদেব আপনি রসিকতার রাজা। — আপনাকে অনেকে লম্পট, নারীলিপ্সুক বলে। — হা হা হা, যারা বলে অতিসত্য কথা বলে, তবে সত্য বলে না। — কেমন বিষয়টা বাসুদেব, ঠিক মাথার উপর দিয়ে গেলো? — অর্জুন গাছের ছাল থাকে না, জানো তুমি? — জ্বি বাসুদেব, হরিণের সুস্বাদু মাংস যেমন হরিণের শত্রু তেমনি অর্জুন গাছের ছালের অধিক উপকারিবোধ তাকে গাছের সাথে থাকতে দেয় না। — যে নারী আমাকে অধিক ভালোবাসে সেই আমার উপর কলঙ্কের অলঙ্কার লেপন করে যাতে শেষপর্যন্ত আমার শরীরে ছাল থাকে। — শোনো অর্জুন, তোমাকে একটা কথা বলি। — বলুন বাসুদেব, আমার মনোযোগ আপনার দাসত্ব মেনে নিতে প্রস্তুত। — জোলেখা ইউসুফকে জেলে দিয়েছিল, অনেকে অনেক কারন বলে থাকে, মূল কারন আরেকটা—