প্রিয়তমা আমার সবুজবীথি নিশিযাপন ওগো
আমাকে ফুলবাবু নয়— ফুটবল ভেবে
হেড মেরে পৌছে দিতে চাও গোলপোস্টে
দর্শকের হাততালি তোমাকে কনফিউজড করে
পরাজিত হও তুমি কৃষ্ণচূড়ার ফুলপাতা ছলে
আলো নয় বাতাস নয় আরও আরও মনোযোগ দরকার
ফুটবল যতটা গোল ততটা গোল নয় আমি
মানসিক সঞ্চয়
বিকালের হলুদ আলো
হঠাৎ সন্ধ্যা
বিকালের হলুদ আলো থেকে হঠাৎ সন্ধ্যা হয়ে গেলে
গোলকধাঁধা মেঘ বৃষ্টি ছেড়ে বাচে
জোয়ারে যা আসে ভাটায় তা ভেসে যায়
মাঠ ভিজে
ভিজে গেলে মাঠ পরে থাকে মার্জিত ঘাস গোলপোস্ট
ফুলপাতা শাড়ি লিপিবদ্ধ ঠোঁট বৃষ্টিজলে ভিজে গেলো
আমায় নিয়ে ঘরে ফিরো ফুলবাবু নয়— ফুটবল ভেবে
পা থেকে মাথা
মাথা থেকে পা
মাঝে মাঝে বুকে— তাও আশ্রিত মাটির গাছমতো নয়
গোলপোস্টে পৌঁছে দিতে পারলে সর্বার্থ জনম তোমার
সেইজন্য আমি প্রস্তুত— মূলত প্রস্তুত করা হয়েছে
তোমার পা থেকে যে ভাষা আমার দিকে তেড়ে আসে—
তাই আমার নিয়তি
তোমার মাথা থেকে যে কথা আমায় শেখানো হয়—
তাই আমার
Month: July 2023
দুর্যোধনের হুশ
আশা নদীর পাড়ে বসে লিখি জীবনকথা কৃষক আমি ফসল তুলে জয় করি সব ব্যথা আষাঢ় শ্রাবণ বর্ষা আমার জলজোয়ারে থাকি কষ্ট পেলে মনের কথা গপ্পেসপ্পে আকি তোমরা যারা কৃষক কেটে বানাও রাতের সুখ শাষণ তাপে সূর্য গলে ভাঙে আমার বুক মদের গ্লাসে মিছিল মিলন চলে এসিশোক শ্রমিক আমি ঘামে কথা মর্মে আমার দুক তোমার চোখে গাধা আমি মূল্যহীন এক লোক ষড়ঋতুর কালেও আমি ফসলঋতুর মানুষ তোমরা যারা উঁচু গলায় বাজাও পুতুল সুর নও কৃষ্ণ তোমরা আসল দুর্যোধনের হুশ বেচে থাকলে বাচাও কৃষক বাচতে আমি চাই রাজা হবে কর্মে কৃষক ভেদাভেদ তার নাই
সিগ্রেট ও পুরুষ
ইমিগ্রেশনের যাবতীয় কাজ শেষ করে বাংলাদেশে পা রাখলাম। দূর পথের যাত্রায় আমার একমাত্র বাহন ট্রেন। এখন তো বাসে ওঠতেই হবে। কারণ বাস ব্যতীত যশোরের বেনাপোল টু ঢাকা আসার অন্য কোনো সহজ বিকল্প পথ নেই। ভাবছি কী করবো। মনকে বললাম হাজার হাজার লোক বাসে চড়ে, আমিও চড়তে পারবো। আর যদি বমি করি তাতে কী, বমি হতেই পারে। বমি করবো এমন একটি মানসিক প্রস্তুতিও শেষ। সোহাগ কাউন্টার থেকে হিমেল দুটি টিকিট নিল। তাও আবার এসি বাস। সাধারণ বাসে যদিও বমি হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে, এসি বাসে বমি হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি। বাসের পেছনের দিকে আমাদের সিট। আজকে মৃত্যুর স্বাদ নিতেই হবে। মৃত্যুর স্বাদ বললাম এই কারণে যে মৃত্যুর সময় শুধু আত্মা বের হতে চাই, আর বমির সময় আত্মাঘর যেন বের হওয়ার জন্য কমিটি গঠন করে। বাসে
জোছনা সুন্দর বিড়ালের বাচ্চাটা
বনফুলের একটি গল্প পড়লাম। রাত অনেক। দুইটা বাজে। বৃষ্টি তার আয়োজন করছে পৃথিবীতে নেমে আসার। আজকে সারাদিন দারুণ বৃষ্টি ছিলো। ও! একটি কথা বলা হয়নি— আজকের ইদের দিন। আজকে না ঠিক। ঠিক করে বললে গতকাল ইদের দিন ছিলো। বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে মানুষ পশুকে রান্নার উপযোগী করে তুলেছে। টিনের চালে বৃষ্টি পড়লে আমার মন আনন্দে নাচতে থাকে। সরকার আমিন ভাই সুন্দর করে বলেন একটি কথা— বৃষ্টি সৃষ্টির মদ! বনফুলের যে গল্পটা পড়ি তার নাম ‘হিসাব’— পদ্মাবতী যার ডাকনাম পদি, রামচরণ, গল্পকথক ‘হিসাব’ গল্পের রক্তপ্রবাহ। পদ্মাবতী দেখতে বেশ সুন্দর কিন্তু আর্থিকভাবে নির্ভরশীল। গল্পকথক পদিকে বলেছেন ‘গরিবের মেয়ে’— ফলে পাড়াপড়শির ফরমাশ শুনাও পদির অনিবার্য কাজ। গল্পটা পদির বিয়ে হওয়া না হওয়ার আবর্তে ঘুরপাক খাচ্ছে। গল্পে রামচরণ বিবাহিত পুরুষ— বেশ জাদরেল লোক— হাজারখানেক অথবা হাজার দেড়েক টাকা
বন্ধুর কুলে মাথা রেখে
সময় খেয়ে আমরা এখন
বিকাল মাচায় বসে আছি সন্ধ্যাপথ ধরে জলকন্যা ডাকছে আমায় আড়িয়ালখার ঘরে রোদ পড়েছে চুলের ঘ্রাণে জলকন্যা হাসে প্রিয়া আমার নদী বাংলা জল শরীরের ঘাসে নদী জানে সব জানে জানে সবার কথা অন্ধকার ডানায় ডানায় নাড়ছে বাতাস পাতা অন্ধকারের সামনে বসা মন বসানো ফুল ❀ আশা নদীর পাড়ে বসে মাঝি আকছে কূল ডাকছে ব্যাঙ উড়ছে ফড়িং উদাস করে মন বৃষ্টিজলে আড়িয়ালখা স্মৃতি বৈঠা বন জলের আগে তুমি ছিলে আমিও ছিলাম পাশে সময় খেয়ে আমরা এখন আড্ডা খেলার তাসে