তিনি অনেক চেষ্টার পর আমলা হলেন। মানে সরকারের নিজস্ব বাহিনিতে নিজের নাম লেখালেন। আমলাগিরি থেকে অবসর নেয়ার পর এবার জনগণের কাছে নিজের উপস্থিতি জানান দিতে হবে। তাই বই লেখা একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। আমলা থেকে লেখক। এবার প্রকাশকের সাথে তার বিশেষ খাতির। এখন তিনি পাঠকও চিনতে শুরু করেন। কিন্তু অবাক হোন পাঠক দেখে, পাঠক তো সেই লোক যার কাছ থেকে তিনি অনেক অনেক টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন। লেখার চুলচুলানি থেকে অনেকে আবার লেখে। ভালো অভ্যাস। পাশের কয়েকজন বন্ধু লেখকের প্রসংশা করে। আর তাতেই সে নিজেকে নামীদামি গাড়ির মতো নামীদামী লেখক মনে করতে শুরু করে। সুতরাং একটি বই দরকার। শুরু হয় প্রকাশকের কাছাকাছি দৌড়াদৌড়ি। আর প্রকাশক তো মহান কসাই। হাসতে হাসতে কেল্লা কেটে ফেলে কিন্তু লেখক বুঝবেনই না তার কেল্লা নাই। একটি গাছ থেকে একটি
Year: 2022
দয়ালের আলোর দেয়াল
আলোর পথ চলে গেছে দয়ালের বাড়ির দিকে। মাঝখানে কোনো দেয়াল নেই। আমার পথ কেবলই আমার দিকে ফিরে আসে। মাঝখানে দয়ালের আলোর দেয়াল। দয়াল ফিরে আসে, বারবার ফিরে আসে আমার দিকে। আমি তাকে ধারণ করতে পারি, যতন করতে পারিনা। আমি তখন অস্থির হয়ে পড়ি, মানতে পারিনা প্রবাদকথা ‘যতনে রতন মিলে’। দয়াল আমার ফটো তোলে। আমার ফটোপয়েম পূর্ণ করেছে তাঁর গ্যালারি। আজো আমার এ্যালবাম খালি। কেন খালি থাকবেনা? দয়ালের ফটো যে ক্যামেরায় আসেনা। কতভাবে দয়াল যে দয়াল হয়ে উঠে তা আমি বলিতে পারিনা। বলিতে পারি কেবল আমার কঙ্কালের কথা, আমার কঙ্কাল দয়ালের কলঙ্ক বহন করে চলেছে।
মানুষ নশ্বর আবার মানুষই অবিনশ্বর
জান্নাতের দুটি টিকেট আছে। একটা তোমার, আরেকটি যাকে ইচ্ছা তাকে দিতে পারবে। জান্নাত মানে অফুরন্ত সুখের প্রশান্তির দীর্ঘমেয়াদি আবাস— ফুলের গন্ধে শরীর ডুবিয়ে বসে থাকার মতো নাতিশীতোষ্ণ প্রাসাদ। কাকে দিবে তুমি এই টিকেট? তোমার সাথে যে জাহান্নামে যেতে চায় না তাকে কখনো জান্নাতের টিকেট দিবে না—পুত্র আমার জেনো রাখো তুমি। পুত্র আমার জেনো রাখো তুমি— মানুষ নশ্বর আবার মানুষই অবিনশ্বর— মানুষ কালের সন্তান আবার মানুষ থেকেই কালের সৃষ্টি। মানুষকে জানো চোখ কান নাক মুখ হাত পায়ের সমস্ত অনুভূতি প্রয়োগ করে— মানুষকে জানার কিছুক্ষণ আগেও কোনো ফাইনাল কথা বলবে না পুত্র আমার। মানুষ আগুন বানাবে,মানুষ তোমাকে আগুনে ফেলবে, মানুষ আবার নিজের প্রয়োজনে তোমাকে আগুন থেকে রক্ষা করবে— মানুষ নদীর মতো সাগরে মিশে যাওয়ার লোভে পাড় ভাঙে— ভাঙতে ভাঙতে বেচে যায় নদী। আকাশ ভেঙে মাথায় পড়বে
কথোপকথন [ ২ ]
— বাসুদেব একটা কথা বলবো? — মাধব আপনি আমার সাথে কথা বলবেন, তাও আবার অনুমতি নিয়ে! — না বলছিলাম যে গত রাতে একটা স্বপ্ন দেখলাম। — বাহ, আপনারে স্বপ্ন দেখে পুরো সৃষ্টি, আপনাকেও স্বপ্ন দেখতে হয়, বাহ, বাহ, মাধব। — আচ্ছা, তাহলে বলুন দেখি আপনার স্বপ্নের ধারা। — স্বপ্নে দেখি রাধা মথুরায় চলে এসেছে, তাও আবার বোরখা পরে, রাধার আগমনে আপনার চেহারায় অস্বস্তির মেঘ ☁। — মাধব, তুলসী বনের রাধাকে আমি চিনি, সে ছদ্মবেশ জানে না, তাই তাকে আমি দিয়েছি বিরহ, মথুরায় রাধাকে আমি নিয়ে আসতে পারি, মথুরাকে স্থাপন করেছি রাধার মনে, তাইতো আমি মথুরার রাজা। — বাসুদেবের জয়, জয় গোবিন্দ, আপনি বিরহের শিরোমণি, জয় মুকুট আপনার, আপনি প্রশান্তি আপনি ধৃষ্টার সম্মান। — আরেকটি বিষয় জানতে চাই গোবিন্দ — বলুন তবে — স্বপ্নে রাধা আমার সাথে কোনো কথা বলেনি, রেগে
পৃথিবীকে এতো ছোট মনে হয় কেন?
কথোপকথন
আফালের মাছ [ ৯ ]
হারানো রোদের গল্প শুনতে শুনতে যাদের দিন যায় তাদের ডান চোখের নিচের সবুজ গাছটির ছায়ায় বসে থাকি আমি ভাবের সম্পর্ক পরিবর্তন হয় না— ভবের সম্পর্ক প্রয়োজনে আসে আবার প্রয়োজনে চলে যায় চাঁদ দেখবো বলে একটি রাত চেয়েছিলাম, ভোর দেখতে হলে রাতের দরকার হয় লেজ নাড়ানো কুকুরের স্বভাব, চোখ এবং মনের বড়ই অভাব তার মোড শেন ওয়ার্ন কিংবা মুরালিধরনের বলের চেয়ে অধিক সোয়িং করে, বল দেখে ব্যাট করো হে হিটার, আউট হলে ক্যারিয়ার চলে যাবে দর্শক গ্যালারিতে কবিকে দেখা যায় কবিতার আকাশে— অন্য কোথাও কবি যেনো জলের বাতাস ভাইরাসকে আক্রমন নয়, ভাইরাসের আক্রমনের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্যও শক্তিশালী এন্টিবডির প্রয়োজন Man at all software not yet hardware and we are the same software and software has no country
কুয়াশা গলে গলে পড়ে চোখের বিছানায়
জুনায়েদ বোগদাদির মামা সাররী সাকতী। সকত থেকে সাকতী। সকত শব্দটির অর্থ হলো ভূমিতে পড়া। ভূমিতে পতিত ফল কুড়িয়ে বিক্রি করে তিনি জীবনযাপন করেন প্রথম জীবনে। তার পীরের নাম মারুফ কারখি। সাররী সাকতী অত্যন্ত উচু মানের একজন সাধক ছিলেন— কথিত আছে দীর্ঘ ৯৮ বছর তিনি কখনো মাটিতে পীঠ লাগাননি— ঘুম পেলে দেয়ালে ঠেশ দিয়ে বসতেন। সাকতী অসুস্থ হয়ে পড়ে। মুমূর্ষু। আবহাওয়া খুবই গরম। জুনাইদ বোগদাদি বাতাস করতে চায়লেন।তিনি নিষেধ করেন। তার মতে বাতাস আগুনের তেজ নাকি বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়। জুনাইদ বোগদাদি বাতাস করা বন্ধ করে নছিহত চায়লেন নিজের মামার কাছে নিজের জন্যে। — জুনায়েদ! মানুষের সাহচর্য বর্জন করে শুধু আল্লাহর ধ্যানমগ্ন হয়ে কালযাপন করো। জুনায়েদ মামার কথা শুনে জবাব দিলেন— ‘এমন কথা যদি আপনি আগে বলতেন তাহলে আমি মানুষ থেকে এমন দূরে থাকতাম যে
বুদ্ধিজীবীদের ভালো লাগে
বুদ্ধিজীবীদের আমার অনেক ভালো লাগে। তারা মেয়েদের চুলের মতো গোছানো। তারা মেপে মেপে খান, মেপে কথা বলেন। বুদ্ধিজীবীদের আমাদের অনেক ভালো লাগে। তারা সাপের লেজের মতো পিচ্ছিল এবং খুব ভালো করেই গর্ত চিনেন, আর বিড়ালের মতো উষ্ণতা প্রিয়। তাদের ঘিরে থাকে নাতিশীতোষ্ণ তোষামদকারীর দল। বুদ্ধিজীবীদের তাদের খুব ভালো লাগে। কারণ তারা আমার মতোই বোকারামের দল— আবোল তাবোল কথা বলে, তালে বেতালে চলে। আপনি ইমানদার হলে অন্তত কথা বলাতে সাবধান থাকবেন। কারন কোন কথায় আপনার ইমান চলে যাবে আপনি নিজেও জানবেন না। বুদ্ধিজীবীরা কিন্তু কথার ব্যাপারে সাবধান থাকে, কারন যে কোনো কথার কারনে তাদের বুদ্ধির তকমা ডাস্টবিনে চলে যেতে পারে। যত আছান আমার মতো এই নবীন বোকাদের— হারানোর কিচ্ছু নাই, সবই পাওয়া, সবই দয়ালের দান।
দেশটা অপমানিত হলে তুমিও অপমানিত হও
দেবলছেড়া পুঞ্জি। কেউ কেউ বলে ডাবলছেড়া পুঞ্জি। শমশেরনগরের একটি জায়গা। বাগান এলাকা। চা বাগান। দেবলছড়া পুঞ্জির পাশেই খাসিয়া পল্লী। মিস্টার পিডিশন এই পল্লীর প্রধান। খাসিয়া পল্লীর পাশেই প্রাইমারি স্কুল। স্কুলের বিশাল মাঠ। মন ঠান্ডা করে দেয় এমন মাঠ। এই মাঠ থেকে সকাল ছয়টা ৪৫ মিনিটে শুরু হয় আমাদের ট্রেইল ম্যারাথন। ৪২.২ কিলোমিটার। আমরা কিন্তু ছয়টা ৪৫ মিনিটে ম্যারাথন শুরু করিনি। আমরা বলতে আমি আর সাদিয়া দেওয়ান মুনা। মুনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের philosophy ডিপার্টমেন্টের স্টুডেন্ট। ম্যারাথন করে প্রায় দুই বছর আগ থেকে। মুনার আন্তরিক সহযোগিতার ফলে ম্যারাথনযাত্রা শুরু করতে পারলাম, তাও আবার ট্রেইল ম্যারাথন দিয়ে। কেন আমরা ৫৫ মিনিট পরে ম্যারাথন শুরু করি? ড্রেস পরিবর্তন করার জন্যে কোনো জায়গা খুজে পাচ্ছিলাম না। ব্যাগ রাখার জন্যে কোনো নিরাপদ জায়গায় খুজে পাচ্ছিলাম না। তাছাড়া শমশেরনগর থেকে