আকাশে বাড়ি বানানোর পর বাড়ি বানানোর কয়েকদিন পর এবং দুইয়ের সাথে দুই যোগ করার পর যোগফল যখন জনগণের বদলে সরকার হলো তখন ঠিক তখনই পৃথিবীতে নেমে আসে জোছনার প্লাবন চোখে নাকে কানে সাদা আর হরিণ রঙের ফুলের মেলা দূর থেকে ভেসে আসে মানবাধিকার কান্না কান্নাকাটি সেরে তিনি চললেন পুরাতন বাড়ির খুঁজে বাড়ি মিলেও গেলো মোবাইল রেকর্ড দারুণ কাজ জমজমাট ফেইসবুক ইউটিউব টুইটার কেবল ফতুর হচ্ছে ভিখারি আবেগ গাছে পাতা না থাকলে তার কী? কিচ্ছু হবে না ব্যাংকে মেঘ না থাকলে তার কী? কিচ্ছু হবে না বাতাসে ভোর না থাকলে তার কী? কিচ্ছু হবে না জমানো আলোতে তার চশমাচোখ পেয়ে যাবে পথ জমানো চালে তার ক্ষুধার্ত মুখ পেয়ে যাবে ঘাস জোছনার প্লাবন বাড়তে থাকবে শীতার্ত চোখে পাহাড় নেমে ভাসবে গরম জলে পর্যাপ্ত পরিশ্রম স্বার্থক করেছে আকাশের গল্পছাদঘুড়ি জলপ্রেম দেখেছে হাজার বছর তারা ফুল ফুল গভীর স্রোতে উজানে টানা সাপ পাথর নুড়ি
Year: 2022
বিশ্বাস
পানসে নদীতে এখন জলের যৌবন। নৌকা থাকে ঘাটে সারি সারি। রাতে নৌকাড্ডা বেশ জমে উঠে। চাচ্ছি আজকে আমাদের আড্ডায় কুকুরটা অংশগ্রহণ করুক। বাড়ি গেলে যতক্ষণ ঘরের বাইরে থাকি ততক্ষণ সে আমাদের সাথেই থাকে। নৌকায় উঠা তার জন্যে টাফ। তাকে কেউ নৌকায় উঠা শেখায়নি। অথবা তাকে নৌকায় উঠাবে এমন বিশ্বাসযোগ্য লোক কুকুরটা পাইনি। আমি ভালো করেই জানি কুকুরটা আমাকে খুব বিশ্বাস করে। কারন আমি তাকে মিষ্টি খেতে দিয়েছি সে খেয়েছে, আমি তাকে আম খেতে দিয়েছি সে খেয়েছে, এমনকি আমি তাকে পেয়ারা খেতে দিয়েছি সে খেয়েছে। আজকে তাকে নৌকায় উঠাবো। খান ভাই আমার সাথে চ্যালেঞ্জ করেছে যে আমি কুকুরটাকে নৌকায় উঠাতে পারবো না। মুচকি হাসি ☺ দিয়ে চেষ্টা করতে থাকি। কুকুরটা যখন নৌকায় উঠে যাচ্ছে এমন সময় খান ভাই একটা বাশ কুকুরটার দিকে ছুড়ে
ক রো না বি ন তে কো ভি ড উ নি শ [ পঞ্চম পর্ব ]
...দৌলতপুর গ্রাম থেকে চলে যান কুমিল্লা। সেখানে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। সাথে সাথে পুরোদমে চলে ‘দোলনচাঁপা’ লেখার প্রস্তুতি... (দোলনচাঁপার আদি নিবাস নেপাল ও ভারতের হিমালয় অঞ্চল। এটি কিউবার জাতীয় ফুল। এটি ব্রাজিলে প্রথম নেয়া হয় ক্রীতদাস যুগে; যেখানে ক্রীতদাসেরা দোলনচাঁপা গাছের পাতাকে তোষকের মত ব্যবহার করতো। বর্তমানে ব্রাজিলে এর ব্যাপকতার কারণে একে রাক্ষুসে আগাছা হিসেবে অভিহত করা হয়। হাওয়াই অঞ্চলেও একে আগাছা গণ্য করা হয়। স্পেনীয় উপনিবেশ আমলে নারীরা এই ফুলের মধ্যে গোপন বার্তা লুকিয়ে আদান প্রদান করতো)। দুলির আরেক নাম দোলন। প্রমীলার পিতার নাম বসন্ত কুমার সেনগুপ্ত। মায়ের নাম গিরিবালা সেনগুপ্তা। বসন্ত কুমার সেনগুপ্তের আরও দু’ভাই ছিলো। জগত কুমার সেনগুপ্ত তার জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা এবং ইন্দ্র কুমার সেনগুপ্ত তার কনিষ্ঠ ভ্রাতা। ইন্দ্র কুমার সেন তার স্ত্রী বিরজাসুন্দরী দেবীকে নিয়ে বসবাস করতো কুমিল্লার কান্দিরপাড়ে। বসন্ত
আফালের মাছ [ ১০ ]
হুজুর আর খেজুর মরুভূমিতে ভালো জন্মে For the sex you can get easily a lot of terrible sources, for the love you can get something a less than the want, for the better living for the sake of soul touch they are rare and you are rare too— Nature gives you something by giving you nothing মশাকে যতই গালি দেই না কেন আমরা, মশা তার দায়িত্ব সম্পর্কে শতভাগ সচেতন চালাক নিজেকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, বুদ্ধিমান অন্যকে আলোকিত করে। কারন চালাক থামতে জানে না, বুদ্ধিমান পরাজয়ে হাসতে জানে। মানুষ অরক্ষিত প্রাণী। মানুষের শিং নেই, বড় বড় নখ নেই, ধূলিকণা থেকে রক্ষার জন্য শরীরচুলও তেমন নেই, রোগ প্রতিরোধ এন্টিবডিও যে খুব শক্তিশালী এমন নয়। মানুষের একটি শক্তিশালী মস্তিষ্ক রয়েছে। হাজার হাজার বছরের পুরনো
রহস্য আসলেই রহস্য
চিড়িয়াখানার পাশেই বোটানিকেল গার্ডেন। খুব সুন্দর। প্রানি দেখা হয়ে গেলে উদ্ভিদ দেখা। খুবই সুন্দর। তবে অনেকেই চিড়িয়াখানা দেখার পর আর বোটানিকেল গার্ডেনে যায় না। ক্লান্ত হয়ে পড়ে। বোটানিকেল গার্ডেন কিন্তু সমস্ত ক্লান্তি দূর করার মতো ক্ষমতা রাখে! চিড়িয়াখানায় আমার ছোট্ট কালে যাওয়ার কথা কিন্তু যাওয়া হয় নাই। যাওয়া যখন হলো তখন জীবনে আর ছোট কাল নেই, বিচার করার মানসিকতা চলে আসে। শিশুরা সুখী কারন তারা বিচার করার মানসিকতা নিয়ে কারো সাথে মিশে না, তারা আনন্দ পাওয়ার বিনিময়ে আনন্দ বিনিয়োগ করে। তারা ভালোবাসতে গিয়ে কেঁদে ফেলে, তারা কাঁদতে গিয়ে ভালোবেসে ফেলে। ফলে জীবন মানে শিশুদের কাছে মাছ ধরা নয়, মাছ দেখা। চিড়িয়াখানায় বাঘের মাংস খাওয়া দেখলাম, দেখলাম সাপের ঘুম, দেখলাম বিরহী বানরকে। সারস ক্রেনকেও দেখলাম। সারস সবুজ ডিম দেয়, বাংলাদেশে সারস পাখি সবচেয়ে বড়
ইয়া জাজং নিথুয়া
একটু আসো ফাঁকে একটু আসো ফাঁকে ফাঁকে একটু আসো অনেকটা থেমে যাও তসবির দানার মতো সুতায় প্রেম গাও পাতায় পাতায় একটু হাসো অনেকটা থেমে যাও শীতের শিরায় বসে মানুষের প্রান গাও পূর্বাভাস অপূর্ব পুর্বারঙে সূচনাসুর অনাবিল গাঙচিল জলের ফাঁকে থামো একটু আনন্দ অনাবিল নারীবাদী রূপকথায় নারী আবাদি দাওয়াবিল সেইখানে যেখানে মজনু খুঁজে হারানো দিন ইয়া জাজং নিথুয়া দিগন্ত আলপিন লায়লি খুঁজে সুর ভোরবেলা পাতার আদর আন্ধার দেহে নুর বাজনার শানে বাজে সুর নৃত্য তাল আনন্দ পাতার দেহে বাতাস যেমন জয় পরানের ছন্দ হলুদ গুড়ো হলুদ গুড়া আলিফ লাম মিম ঘনঘোর তমসা বাতায়ন লেবানন লুকোনো গন্ধম অদৃশ্য আলাদিন রকদস্তি একদিন দুইদিন তারপর বহুদিন শেষ রাতে জেগে উঠে পাতার ফাঁকে জ্বিন জ্বিন যেনো পরী চায় পরী চায় ঘর থেমে থেমে আপন করো করো না করো একটু পর
রাখে আল্লা মারে কে?
দ্রাক্ষা। লাক্ষা। উচ্চারণ প্রায় কাছাকাছি। অথচ কত পার্থক্য তাদের আচরণ। দ্রাক্ষা মানে কিচমিচ (vine wilt), লাক্ষা মানে জতু অথবা বড়ই গাছের পোকার বুমি অথবা অলক্ত। মহাভারতে জতুগৃহ নামে এক লোমহর্ষক পরিকল্পনা আমরা দেখতে পাই। পঞ্চপাণ্ডবদের মেরে ফেলার জন্যে জতুগৃহ নির্মাণ করা হয়। রাখে আল্লা মারে কে!? লাক্ষার ভয়ঙ্কর আগুন পঞ্চপাণ্ডবদের ক্ষতিনিশানার কোনো পথ দেখাতে পারেনি। কবিরাজ সাহেবের কাছে এসে জানতে পারি লাক্ষা ও দ্রাক্ষার সাক্ষাৎ পার্থক্য। জানতে পারি মধুর বিশাল এলাকার কথা যেখানে মধু বিভিন্ন উপায়ে মানুষের শরীরে পিএইচডি করে। বাড়িতে মধু রাখতে পারেন। মধু জ্বরের বিপরীতে দারুণ কাজ করে। তবে একটা মজার কথা বলি— আমার একান্ত ব্যক্তিগত অবজারভেশনের ফলে বলছি— পৃথিবীতে যত মধু নামের মানুষের সাথে আমার পরিচয় হয়েছে তারা কিন্তু মানুষের মনের অথবা শরীরের জ্বর বৃদ্ধিতে অত্যন্ত সক্রিয় সহায়ক সরকার
ঝাঁকপূর্ণ রাত
ঝাঁকপূর্ণ রাত নেমে আসে। রক্তশুন্য শব্দ চুষে প্রকৃতি মানবিক। ঘুমের রেওয়াজ শুরু হয় নীরবতার তালপাতায়। রাতের জন্মসন্তান পৃথিবী কতো দিন ঘুমিয়ে ছিল জানা নেই। পৃথিবীর জন্মসন্তান আমি অর্ধদিন ঘুমাই। রাতকে দিন বলা পিতৃতান্ত্রিক অভ্যাস। অভ্যাসটাকে ফরমালিন সজীব রাখতে থেরাপির পর থেরাপি চলে— হেফাজত থেরাপি! আমরা ঘুমাই তারাও ঘুমাই মাঝে রাতের বীর্যপাত আল্লা রাইতটারে দিছে ঘুমাইবার লাইগগা ৩-১-১৪২০ ∇ তুমি বন্ধু ছায়া-কায়া আমি তোমার বাড়ি বাড়ির পাশে আড়শিনগর আড়শিপাড়ে নারী ১-১-১৪২০ ∇ মানুষের হাতে শিকার যন্ত্র পাখির ডানায় ওড়ার মন্ত্র
একদিন…
একদিন। গ্লাসের জলে একটি মাছি পড়ে। তার পাখা ভিজে যাচ্ছে এবং সে প্রায় জলে ডুবে যাচ্ছে। তার বেঁচে থাকার তীব্র ইচ্ছা তার ছটফটানিতে দেখতে পেলাম। তার প্রান রক্ষা করলাম। মাছিটি নড়তে পারছে না। তার শরীরে এমন একটি রং দিয়ে দিলাম যাতে হাজার মাছির ভীড়েও আমি তাকে সনাক্ত করতে পারি। সেদিনের মতো মাছিটি উড়ে গেলো। তাকে আমি পোষ মানাতে চাইনি। কারন মাছিকে কেউ পোষ মানাতে চায়না। এখন প্রতিদিন খাবার টেবিলে পৃথিবীর ময়লা নিয়ে সেই মাছিটি হাজির হয়। খাবার নষ্ট করে। আমি তার প্রতি রেগে যেতে পারি কিন্তু রেগে যায় না। কারন আমার কাছে যা ময়লা মাছির কাছে তা খাবার।
হ্যালো মাই ডিয়ার অনর্গল নদী
হ্যালো মাই ডিয়ার অনর্গল নদী সাগরের দেখা পাও যদি বলিও বলিও তারে বৃষ্টি হয়ে যাবো তার বাড়ি সে এক আশ্চর্য সহনশীল আনন্দ— বামটান ডানটান গাছের ছায়ায় এক ভয়ানক গ্রাম ছায়ার সুরে মনোধর ঝড় তুফান তুলে চোখে তার রাগের মিউজিয়াম কোলাহল করে কাকলি বাতাস গভীর রাতে মৃত্যু গিলে বলিও বলিও তারে জলের দুই পার বেদনায় একাকার দুই পার এক হলে জলমনে হাহাকার