এখন অনেক রাত। অনেক বলতে রাত দুইটা ত্রিশ মিনিট। ঘুমানো দরকার। ঘুমাতে যাবো এমন সময় চোখে বার বার নেমে আসে কুড়িগ্রামের চরমানুষের জীবন। ঠিক এই মুহূর্তে চরের অধিকাংশ মানুষ জেগে আছে। কারন তাদের গবাদি পশু চুরি হয়ে যেতে পারে। চরের মানুষ সন্ধ্যা সাতটার সময় ঘুমিয়ে যায়। তাদের প্রথম ঘুম ভাঙে রাত এগারো থেকে বারোটার মধ্যে। তারপর কেউ কেউ জেগে থাকে কেউ কেউ ঘুমায়। যারা জেগে থাকে তারা কেমন করে উজানে একটা ভিটেমাটি কেনা যায় তা নিয়ে গল্প বানায়, আর যারা ঘুমায়— জলের টানে ঘর ভেসে যাচ্ছে এমন ঘামদেয়া খোয়াব দেখে। চরের মানুষের কাছে উজান মানে ইউরোপ আমেরিকা— রংপুর বিভাগের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কাছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মানে বিদেশ। আমরা যাচ্ছি মোহাম্মদ মেম্বরের চর। অলিপুর বাজার থেকে আধা ঘন্টা অটোতে অনন্তপুর, দেড় ঘন্টা ইঞ্জিন নৌকায়।
Month: August 2022
পুত্র আমার…
সব কিছু দ্রুত হবে— জন্ম কিংবা মৃত্যু— ভয় কিংবা সাহস— ভালোবাসা অথবা ঘৃণা। এমন সময় আসবে তিন মাসে জন্ম নিবে মানুষের বাচ্চা— ত্রিশ বছর হবে মানুষের গড় আয়ু। পান খেতে খেতে হাসতে হাসতে মৃত্যুর কুলে ঢলে পড়বে প্রিয় চাচা কিংবা যৌবনা ফুলের বাতাস। মায়ের আঙুল ধরে যে শিশু পাঠশালায় যাবে টুপি আর পাঞ্জাবি পরে হটাৎ সবকিছু ছেড়ে পালাবে— পৃথিবী উপরে পৃথিবী। পালাতে পালাতে মানুষ ভুলে যাবে মানুষের মুখ মানুষের কথা— মানুষ আর হাসবে না মানুষের মতো— পশুকে কেউ কোনোদিন হাসতে দেখেনি— মানুষের পৃথিবীতে হাসি এক উদ্ভুত ভয়ংকর আবিষ্কার। কলা গাছের সমান হবে একটি কলা— ভোগে যাবে— মায়ের ভোগে যাবে তোমাদের জমানো সুখ কিংবা আশ্চর্য ঐশ্বর্য। রাত হলে ভয়ে কাপতে থাকবে দিনের মানুষ— দিন হলে ভয়ে কাপতে থাকবে রাতের মানুষ। ব্যক্তিগত স্ত্রী বলে—
আহারে প্রেম!!
আহা! আহারে প্রেম!! গেলাম চলে দূরে বহুদূর ছিলো আমাদের আকাশ এককালে ছিলো বাতাস প্রানময় তোমার সুরে আহা! আহারে প্রেম!! রোদে শুকায় জোছনায় জেগে উঠে কালের খাতায় চর জাগে চক ডাস্টার স্বভাব ভুলে গেলাম ভুলে গেলাম মনফুল তুমিবন এখন ঢেউয়ের ঘরে দোল আমার দারুন অভ্যাসের বিছানো অভাব আহা! আহারে প্রেম!! চলে যায় ঝরা পাতা পথে আনন্দ নৃত্য করে অনিবার্য শোকে
যাচিত সনাতন পৃথিবী
পুরাতন। পিরিত পুরাতন। স্বাস্থ্যশীল পুরাতন। বহু জাগতিক পুরাতন পৃথিবী। মানুষের কল্পনার মতো যাচিত সনাতন পৃথিবী। কাচা পাতা বিক্রি করতে করতে জলের ছায়ায় কাপ্তাই মানুষ ভাসে— জলে স্থলে রসে কসরত ভঙ্গিতে প্রতারক মানুষ প্রার্থনার কথা বলে— অপরাজিতা ফুল ❀ দিয়ে চা হলেও আমার দুখ তোমার হয়ে যায় না— আমার দুখের কারন হতে পারো তুমি কিংবা তোমরা। আকাশে তারায় ☆ তারা যন্ত্র পাঠায়— তারা আকাশ বানাতে পারে না— আকাশের পাতে সূর্য একটা ডিম পারে— আর সেই ডিম খেয়ে বেচে থাকে যতসব বিজ্ঞানীফুল আর ফুলবানুর দল। আকাশ থেকে যতদূর মানুষের ঘর ততকাছে মানুষের মন— আকাশের সাথে দেখা হয় রোজ— দেখা হয় না দেখা হয় না কেবল মাটির উজ্জ্বল ব্রোর মনবাজারের প্রোজেনিটর সরলতার সাথে— রাখা হয় না রাখা হয় না খোঁজ— দ্যা স্কাই হেজ
মাটি ক্যাফের ডার্টবোর্ড
১৮৬০ সালের কাছাকাছি সময়ে ডার্টবোর্ড ইংল্যান্ডের সোনালি রোদে প্রথম কোনো এক শাদা চামড়ার লোক খেলেছিলো বলে আমরা নিষাদরা অনুমান করে থাকি। বর্তমান আয়ারল্যান্ডসহ পৃথিবীর অনেক দেশে বেশ জনপ্রিয় এই নিশানাপ্রধান খেলাটি। এই খেলাটি হাত, চোখ এবং ব্রেইনের খেলা। ডার্টবোর্ড থেকে ব্যক্তির অবস্থান দূরত্ব ৮ ফোট ৯ ইঞ্চি— ভূমি থেকে বোর্ডটির উচ্চতা ৫ ফোড ৮ ইঞ্চি বা ১.৭২ মিটার। তার কিন্তু অনেক ডাকনাম আছে— throwers, arrows, tungsten, dartsmith। ওয়ার্ল্ড ডার্ট ফেডারেশন (WDF) ১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ইন্ডিয়া-পাকিস্তান এই ফেডারেশনের সদস্য পদ লাভ করলেও বাংলাদেশ এখনো পদ্দা সেতুতে ছবি তুলা নিয়ে ব্যস্ত। PDC World Cup of dart প্রতিষ্ঠা লাভ করে ২০১০ সালে জার্মানিতে। ডার্টবোডের মূলবিন্দু সই করতে পারলে জিত আপনার এবং আপনার নাম্বার হবে ১০০— মূলবিন্দুর শরীর ঘেঁষে রয়েছে স্পর্শবিন্দু এবং তাকে সই করতে
ডেইজি সরকারের ‘পরাণ’
ডেইজি সরকার সক্রিয় চরিত্র। ডেইজি সরকারকে কেন্দ্র করে সব চরিত্র প্রান পেয়েছে। রোমান একজন গুরুত্বপূর্ণ মাস্তান হয়ে উঠে ডেইজি সরকারের কারনে আশ্রয়ে— ডেইজি সরকারের আড়ালে রয়েছে আরও শক্তিশালী কোনো এক সরকার যাকে দেখা যায় না কিন্তু তার উপস্থিতি টের পাওয়া যায়। পলিটিক্যাল স্রোত এবং আইনের বইগন্ধ যে একই গতিপথ খুজে নিয়ে থাকে বাংলাদেশে তা রায়হান রাফি অত্যন্ত চমকপ্রদ ইঙ্গিতপূর্ণ উপায়ে পর্দার সামনে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে পরাণ সিনেমার আলোকে। প্রথম দর্শনে মনে হতে পারে পরাণ একটি প্রেমের দ্বন্দ্ব-সংঘাতের সিনেমা। আসলে সিনেমাটি প্রেমের পরিনতি থেকে শুরু হয়েছে এবং শেষ হয়েছে পরিনতির কারন ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের মাধ্যমে— কজ এন্ড ইফেক্ট। একজন ডেইজি সরকারের সামনে রোমান মাত্র একখান কুফির আলো— ফু দিলেই নিভে যাবে এবং গ্যাছেও বটে— একজন রোমান ডেইজি সরকারের সরাসরি মাঠ পর্যায়ের প্রতিনিধি— রোমানের সামনে
ক রো না বি ন তে কো ভি ড উ নি শ [ ষষ্ঠ পর্ব ]
‘হবুচন্দ্র রাজা বলেন গবুচন্দ্রে ডেকে— ‘আইন জারী করে দিও রাজ্যেতে আজ থেকে, মোর রাজ্যের ভিতর— হোক্ না ধনী, হোক্ না গরীব, ভদ্র কিংবা ইতর, কাঁদতে কেহ পারবে নাক, যতই মরুক শোকে-- হাসবে আমার যতেক প্রজা, হাসবে যত লোকে। সান্ত্রী-সেপাই, প্যায়দা, পাইক ঘুরবে ছদ্মবেশে, কাঁদলে কেহ, আনবে বেঁধে, শাস্তি হবে শেষে।’ বলে গবু- ‘হুজুর— ভয় যদি কেউ পায় কখনো দৈত্য, দানা জুজুর, কিম্বা যদি পিছলে পড়ে মুণ্ডু ফাটায় কেহ, গাড়ীর তলে কারুর যদি থেঁতলিয়ে যায় দেহ; কিম্বা যদি কোনো প্রজার কান দুটি যায় কাটা, কিম্বা যদি পড়ে কারুর পিঠের ওপর ঝাঁটা; সত্যিকারের বিপন্ন হয় যদি, তবুও কি সবাই তারা হাসবে নিরবধি?’ রাজা বলেন- ‘গবু- আমার আইন সকল প্রজার মানতে হবে তবু। কেউ যদি হয় খুন বা জখম, হাড্ডিতে ঘুণ ধরে, পাঁজরা যদি ঝাঁঝরা হয়ে মজ্জা ঝরে পড়ে, ঠ্যাংটি ভাঙে, হাতটি কাটে, ভুঁড়িটি যায় ফেঁসে, অন্ধকারে স্কন্ধ কাটা ঘাড়টি ধরে ঠেসে, কিম্বা যদি ধড়ের