You are here

ক রো না বি ন তে কো ভি ড উ নি শ [ পঞ্চম পর্ব ]

…দৌলতপুর গ্রাম থেকে চলে যান কুমিল্লা। সেখানে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। সাথে সাথে পুরোদমে চলে ‘দোলনচাঁপা’ লেখার প্রস্তুতি…

(দোলনচাঁপার আদি নিবাস নেপাল ও ভারতের হিমালয় অঞ্চল। এটি কিউবার জাতীয় ফুল। এটি ব্রাজিলে প্রথম নেয়া হয় ক্রীতদাস যুগে; যেখানে ক্রীতদাসেরা দোলনচাঁপা গাছের পাতাকে তোষকের মত ব্যবহার করতো। বর্তমানে ব্রাজিলে এর ব্যাপকতার কারণে একে রাক্ষুসে আগাছা হিসেবে অভিহত করা হয়। হাওয়াই অঞ্চলেও একে আগাছা গণ্য করা হয়। স্পেনীয় উপনিবেশ আমলে নারীরা এই ফুলের মধ্যে গোপন বার্তা লুকিয়ে আদান প্রদান করতো)।

দুলির আরেক নাম দোলন।

প্রমীলার পিতার নাম বসন্ত কুমার সেনগুপ্ত। মায়ের নাম গিরিবালা সেনগুপ্তা। বসন্ত কুমার সেনগুপ্তের আরও দু’ভাই ছিলো। জগত কুমার সেনগুপ্ত তার জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা এবং ইন্দ্র কুমার সেনগুপ্ত তার কনিষ্ঠ ভ্রাতা।

ইন্দ্র কুমার সেন তার স্ত্রী বিরজাসুন্দরী দেবীকে নিয়ে বসবাস করতো কুমিল্লার কান্দিরপাড়ে। বসন্ত কুমার সেনের মৃত্যুর পর গিরিবালা দেবী তার মেয়ে দুলিকে নিয়ে দেবর ইন্দ্রকুমার সেনের আশ্রয় গ্রহণ করে।

ইন্দ্রকুমার সেনের স্ত্রী বিরজাসুন্দরী দেবীর মাতৃস্নেহে নজরুল অভিভূত হন। আর তার বড় ভাইয়ের মেয়ে আশালতা সেন দুলির গান শুনে বিমুগ্ধ হন কবি নজরুল।

কবি নজরুল তাঁর দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘দোলনচাঁপা’ প্রমীলার নামে উৎসর্গ করেন। এটি ১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে (আশ্বিন, ১৩৩০ বঙ্গাব্দ) আর্য পাবলিশি হাউস থেকে প্রকাশিত হয়।

বিয়ের আগেই প্রেগন্যান্ট হয়ে যান প্রমীলা। ২৫ এপ্রিল ১৯২৪ নজরুল-প্রমীলা বিয়ে হয়ে গেলো। তখন প্রমীলার বয়স ১৬। তাই আহলে কিতাব অনুযায়ী নজরুল প্রমীলাকে বিয়ে করলেন। কারন সিভিল ম্যারেজ অ্যাক্ট অনুসারে বিয়ে করতে হলে মেয়ের বয়স হতে হবে ১৮।

আর নার্গিস?

তখনও শ্রাবন মাসের দিকে চেয়ে রইলেন। সৈয়দা আসার খানমের জন্ম ১৯০৪ সালে। নজরুল প্রমীলাকে নিয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করতে লাগলেন হয়তো। নার্গিসের চোখে ঘুম নাই। নার্গিসের চোখের সমস্ত ঘুম কেড়ে নিলেন ধূমকেতু নজরুল। জেন্টেলম্যানকে আনার জন্যে আলী আকবর কলকাতায় গেলেন। জেন্টলম্যান আসলেন না। নার্গিস স্বয়ং গেলেন তাও তিনি আসলেন না। আলী আকবরের পীড়াপীড়িতে নার্গিস ভারতীয় লাইব্রেরির রাখাল আজিজুল হাকিমকে ১৯৩৮ সালের ১২ ডিসেম্বর বিয়ে করে। আজিজুল হাকিমও নজরুলভক্ত একজন কবি। বিয়ের ৯ দিন আগে হলুদ খামে একটি চিঠি আসে নার্গিসের কাছ জেন্টলম্যানের পক্ষ থেকে। যেখানে তিনি বলেন, ‘প্রেমের ভুবনে তুমি বিজয়িনী, আমি পরাজিত। আমি আজ অসহায়।’

এমন শান্তনু বানীও কি গরু মেরে জুতা দান নয়!? নজরুলের জন্যে সতেরো বছর ধরে অপেক্ষার পর অপেক্ষা করতে করতে সৈয়দা আসার খানমের চোখের জলে যে সাগর হয়েছে তার খবর একেবারে না নিয়ে আপনি মানবিক বিদ্রোহী সাম্যবাদী কবি হয়ে যাবেন? এতো সোজা? মেয়েটার স্বামী থেকেও স্বামীহারা। পারিপার্শ্বিক বাঙালি মধ্যবিত্ত মুসলিম সমাজ, চারপাশের নিমজ্জিত মানসিকতা সৈয়দা আসার খানমকে দিনের পর দিন সীতাগ্নি প্রশ্ন করে তার হৃদয়ে যে অগ্নিচুল্লি জ্বেলে রেখেছে তার দায় না মোচন করে আপনি মানবজাতির কান্ডারি হয়ে যাবেন? এতো সোজা!?

নার্গিসকে বিয়ে করার কয়েক মাসের মাথায় আপনি প্রমীলার প্রেমে পড়েন, আবার ফজিলাতুন্নেছার জন্যে আপনার হৃদয়ের হাহাকারের শেষ নাই, আবার নার্গিসকে চিঠিতে সান্ত্বনা নামক জুতা দিতেই থাকেন দিতেই থাকেন। গরু মারা গেলে যাক? কুলিকে কে ঠ্যালা দিয়ে মাটিতে ফেলে দিয়েছে এই নিয়ে আপনার চোখে জল আসে, লিখে ফেলেন কুলি-মজুর কবিতা। আর একজন নারীকে স্বামী থেকেও স্বামীহারা করে দিলেন, আপনার হৃদয় এতটুকু কাপল না?

এমন তো নয় যে আপনার হৃদয়ে সেন্সর বলে কিছু ছিল না। আপনার হৃদয়ের সেন্সর আপনার ধীমান কল্পনা শক্তির প্রখরতা আকাশের উজ্জ্বল নীহারিকাপুঞ্জ থেকেও স্পষ্ট স্বচ্ছ উন্মথন। আপনার ঐকবাদন মহিমাধরা চিত্তের সন্ধান পাই ‘রিক্তের বেদন’ গ্রন্থের ‘স্বামীহারা’ গল্পে। এই গল্পে একজন স্বামীহারা নারীর হৃদয়বেদনা কলেরা মহামারীর রূপক-কথার মাধ্যমে আপনি উপমা ইতিহাস সময়-বাস্তবতার নিষ্ঠাবান আচরন প্রয়াসে উপস্থিত কমান্ডো ধ্যানে উপস্থাপন করে গেলেন– ‘এ হতভাগিনীকে জ্বালিয়ে কার মঙ্গল সাধন করছেন মঙ্গলময়? তাই ভাবি– আর,ভাবি– কোন কূলকিনারা পাই না,এর যেন আগাও নেই, গোড়াও নেই। কি ছিল– কি হ’ল,– এ শুধু একটা বিরাট গোলমাল!’

এই বিরাট গোলমালে আমি নজরুল-নার্গিস দেখতে পাই। দেখতে পাই নার্গিসফুলের ম্লান হয়ে যাওয়ার চিত্র। রিক্তের বেদন মোট ৮টি গল্প নিয়ে ১৯২৪ খ্রিষ্টাব্দে প্রথম প্রকাশিত হয়। প্রকাশক ওরিয়েন্টাল প্রিন্টার্স এন্ড পাবলিশার্স লিমিটেড, কলিকাতা।

স্বামীহারা গল্পে আত্মহত্যার বিরুদ্ধেও কথা বলেছেন নজরুল বিধবা নারীর জবানিতে (কেরোসিনে পোড়া, জলে ডোবা, গলায় দড়ি দেওয়া, বিষ খাওয়া, মেয়েদের জাতটার যেন রোগের মধ্যে দাঁড়িয়েছে! আমার কপাল পুড়লেও আমি ও- রকম ‘হারামি মওয়াত’কে প্রাণ থেকে ঘৃণা করি)। কারন নার্গিস আত্মহত্যা করতে পারে এমন বার্তাও নজরুলের কাছে ছিলো।

কপালকুণ্ডলা (কপালকুণ্ডলা সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত দ্বিতীয় উপন্যাস। সম্ভবত এটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক রোমান্টিক উপন্যাস। ১৮৬৬ খ্রিষ্টাব্দে এটি প্রথম প্রকাশিত হয়। বাংলা সাহিত্যের একটি কাব্যধর্মী উপন্যাস কপালকুণ্ডলা) উপন্যাসের যোগসাধক সন্ন্যাসী কাপালিক মনে হয় আপনাকে, মনে হয় না সপ্তগ্রামনিবাসী যুবক নবকুমার। কারন নার্গিসের লাশের উপর দিয়ে রচনা করেছেন আপনি সাহিত্য। মৃত মনের ভার বহন করতে নার্গিসকে কত কষ্ট যাতনা অনিদ্রা অনাহার বয়ে যেতে হয়েছে আপনার জেনেও না জানার উপায়ান্তর রূপান্তর ভাবান্তর সত্যিই আপনাকে একজন সাহিত্যের কাপালিকচর বলে দৃশ্যমান করে তুলে সময়নদীর জলে।আপনি পেয়েছেন বেদনা মানিক আর সৈয়দা আসার খানম পেয়েছে বেদনাঝড়।

তবে একজন কাপালিক হিসাবে আপনি স্বার্থক। নতুবা বাঙালি জীবনের কালিক মহামারী এতো সুন্দর করে কেমন করে উপস্থাপন করতে পারেন স্বামীহারা গল্পের ভাষা-বয়ানে– ২০২০ সালে এসে পৃথিবী যখন থেমে যায় করোনা ভাইরাসের ভয়াল থাবায় তখনো আপনি প্রাসঙ্গিক– মনে হয় না আপনি হুজুগের, মনে হয় আপনি যুগের মানুষ।

হ্যাঁ, আমি কাজী নজরুল ইসলাম (১১ জ্যৈষ্ঠ ১৩০৬ –১২ ভাদ্র ১৩৮৩) সম্পর্কে বলছি। তিনি স্বামীহারা গল্পে দেখালেন কলেরা রোগে মারা যাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। তবে আজকের দিনের মতো এতো মিডিয়া ছিল না তখনকার আমলে। আজকের জীবনের মতো এতো গতি ছিল না মানুষের জীবনে। তবে কলেরা মহামারী গনহারে মৃত্যু বাঙালি জীবনে নতুন কিছু নয়। গ্রামের পর গ্রাম উজার হয়ে যেতো মহামারীর যমদূতগ্রাসে।

‘যখন সবাই চলে গেল গ্রাম ছেড়ে, তখন গেলুম না কেবল আমরা, উনি বললেন, ‘মৃত্যু নাই, এরূপ দেশ কোথা যে গিয়ে লুকুব?’ সবাই যখন মহামারীর ভয়ে রাস্তায় চলা পর্যন্ত বন্ধ করে দিল, তখন কোমর বেঁধে উনি পথে বেরিয়ে পড়লেন, বললেন, ‘এই ত আমার কাজ আমায় ডাক দিয়েছে।’

স্বামীহারা গল্পের আইন পড়ুয়া যুবক আর্তের সেবায় ঘর থেকে বের হয়ে আর ঘরে ফেরেনি চিরস্থায়ীভাবে, চিরস্থায়ীভাবে মাটির ঘরে চলে যায় যুবক। বিধবার সময়ও শেষ হয়ে আসে, ‘শরাবান তহুরা’-ভরা পেয়ালা হাতে তার স্বামী তার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে চিরস্থায়ী মাটির ঘরে।

তাই বলছি, বাঙালি জীবনে মহামারী নতুন কোনো ঘটনা নয়। বহু মৃত্যু বহু অত্যাচার সীমাহীন শোষনের রাহুগ্রাস সহ্য করে আজকের বাঙালি। তাই করোনা ভাইরাসে ভয় পেয়ে কলকারখানা বন্ধ করে অনাহারে দিনাপাত করার মানসিকতা বাঙালির রক্তে থাকার কথা নয়। ব্যাঙের কখনো সর্দি হয়েছে বলে কেউ বলতে পারবে না!

পৃথিবীর প্রথম রাজা বেন। বেনের পিতার নাম অঙ্গ। অঙ্গ বিয়ে করে যমকন্যা সুনীথাকে। সুনীথার পুত্র বেন। ঋষিরা রাষ্ট্রের সমস্ত নিয়ম কানুন সংবিধান সংসদ প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে চালনা করে। তারা মনে করে বেন রাজা হবে।তাই সেই রাজা হয়। বেন রাজা হয়ে নিজেকে ইশ্বর ভাবতে শুরু করে। তাকে পুজা দেবার আহবান জানায়। ঋষিরা ক্ষেপে যায়।ফলে বেনকে মরতে হলো। হত্যা হলো বেন।

বেনের দুই পুত্র। পৃথ্বী। নিষীদ।
পৃথ্বী দেখতে সুন্দর।

নিষীদ ঋষিদের চোখে আগলি। তাই নিষীদকে মনে করা হলো বেনের পাপের ফল। আর পৃথ্বী ঋষিদের ইচ্ছার ফসল। নিষীদ মানে বসে থাকা।ঋষিদের কথা মতো নিষীদ বসে থাকে। তাকে কোনো প্রকার কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করতে দেয়া হয়নি। অবশেষে তাকে বিন্ধ্যপর্বতের শৈলভূমিতে নির্বাসন দেয়া হলো চিরতরে। এই পর্বতে পশুপাখি শিকার করে দিনাপাত করতে থাকে নিষীদ। সময়ের পরিক্রমায় তার বংশ বিস্তার লাভ করে। নিষীদ থেকে নিষাদ।

নিষাদদের প্রধান জীবিকা পশুপাখি শিকার। বাঘ যেমন ইতর প্রানি খেয়ে বেচে থাকে, নিষাদরাও তাদের প্রয়োজনীয় পশুপাখি খেয়ে বেচে থাকে।

একদিন এক নিষাদ খাবারের সন্ধানে বের হয়। কোচবক পেয়ে যায় ব্যাধ। সাথে সাথে ক্রৌঞ্চকে তীরবিদ্ধ করে নিষাদ। মারা গেছে ক্রৌঞ্চ। তাই সঙ্গী-বিরহে আকুল হয়ে কাদছে ক্রৌঞ্চী!

নারদের কথা শুনে ডাকাত হয়ে যায় বাল্মিকী। বল্মীক মানে উইয়ের ঢিবি। বল্মীক থেকে বাল্মিকী। তিনি তখন সোলেমান নবীর মতো অথবা নিজাম উদ্দিন আউলিয়ার মতো দিব্যজ্ঞানের অধিকারী। কোচবকের বিরহব্যথা সে শুনতে পায়। পাখির ব্যথা যেন তার ব্যথা হয়ে গেলো। সাথে সাথে অভিশাপ দিলো। কী অভিশাপ? মা নিষাদ প্রতিষ্ঠাঃ ত্বমগমঃ শাশ্বতীঃ সমাঃ।

এই অভিশাপে বলা হলো নিষাদরা কোনোদিন প্রতিষ্ঠা পাবে না। এই অভিশাপ বৈষম্যমূলক। এই অভিশাপ আর্যদের অন্তরে লালিত নিষাদদের প্রতি রাগের হিংসার বহিঃপ্রকাশ।

আর্যদের তিনটি প্রধান হাতিয়ারের মধ্যে ভাষা বা সাহিত্য একটি। যেখানে সম্ভব হয়েছে সেখানেই তারা নিষাদদের বিরুদ্ধে এই অস্ত্র ব্যবহার করেছে। তাতে পৃথিবীতে মানুষ সম্প্রদায়ের বিশেষ কোনো উপকার হয়নি, ক্ষতি ছাড়া।

নিষাদদের প্রতি আর্যদের এই বৈষম্যমূলক আচরন পৃথিবীর ইতিহাসে অবশ্যই ভয়ঙ্কর মারী। প্লেগ-সার্স-মার্স-কলেরা-স্প্যানিশ ফ্লুর মতো নিষাদের প্রতি আর্যদের হিংসাত্মক আচরনও মহামারী। স্প্যানিশ ফ্লু পৃথিবীর প্রায় পাচ কোটি মানুষের প্রান নিয়ে নেয়। আর নিষাদের প্রতি আর্যদের হিংসাত্মক আরচণের মারী পৃথিবীর কতশত মানুষের প্রান যে নিয়ে নিয়েছে তার হিসাব পৃথিবীর মানুষের কাছে থাকার কথা না। কারন এখানে প্রেমের নামে অপ্রেমের মাহফিল চলে।

করোনার দিনেও জর্জ ফ্লয়েডের হত্যাকাণ্ডের নারকীয় ইতিহাস রচনা করে অনেকের মতে উন্নত জীবনের ধারক আমেরিকার পুলিশ। করোনাকালেও তুরস্ক লাল চোখ নিক্ষেপ করে লিবিয়ার দিকে, শিরোনাম হয় ‘লিবিয়ায় এরদোয়ান না সিসি’, সাগর দখল নিয়ে চলে চীন ইন্দোনেশিয়া মালেশিয়ার মধ্যে মোরগ লড়াই। এই মোরগ লড়াইয়ে আমেরিকা হতে চায় মাতব্বরি মহাজন। অমাবস্যার অন্ধকার যেমন চোর ডাকাতদের সুবিধার সময়, করোনাকালের এই অন্ধকারও ‘পলিটিক্যাল ড্রিম’ বাস্তবায়নের উপযুক্ত সময় মনে করছে পৃথিবীর উদীয়মান ক্ষমতায়ে বুজুর্গ হযরতরা।

এমন দিনে হযরতদের মোরগ লড়াইয়ের গ্রিল ফিতায় মনোযোগ না দিয়ে আমার মতো বিশুদ্ধ বেকার কবি ইউটিউবে পানি খাওয়ার উপকারিতা বিষয়ক ভিডিও দেখি– জল বসে খেতে হয়, জল হজমে সহযোগিতা করে,মাঝেমধ্যে কুসুম গরম জল পান করা ভালো, ঢকঢক করে জল পান করা ঠিক না, খাবারের সময় জল খাওয়া ঠিক না, হালকা গরম জল রক্তের কোলেস্টেরল স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে, সকালে ঘুম থেকে উঠে দুই গ্লাস জল পান করা অত্যন্ত উপকারী, স্নানে যাওয়ার আগে এক গ্লাস জল রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে। ইত্যাদি ইত্যাদি।

পলিটিক্যাল ড্রিম বাস্তবায়নকারী গোষ্ঠীও চায় পৃথিবীর ভেতরে পৃথিবীর খবরটা যেন না জানি। কবিরা কবিতা লিখবে আকাশ বাতাস নদী জল বর্ষা পাখির পালক নিয়ে, রাজনীতির গোপন কথা থেকে যাক আলিফ লায়লা হয়ে। তাই আমিও মনে মনে হাসি আর সুনির্মল বসুর ‘হবুচন্দ্রের আইন’ কবিতাটি পড়ি…

প্রথম পর্ব – ক রো না বি ন তে কো ভি ড উ নি শ (প্রথম পর্ব)
দ্বিতীয় পর্ব – ক রো না বি ন তে কো ভি ড উ নি শ (দ্বিতীয় পর্ব])
তৃতীয় পর্ব – ক রো না বি ন তে কো ভি ড উ নি শ [তৃতীয় পর্ব]
চতুর্থ পর্ব – ক রো না বি ন তে কো ভি ড উ নি শ [ চতুর্থ পর্ব ]

Leave a Reply

Top