ঝাঁকপূর্ণ রাত নেমে আসে। রক্তশুন্য শব্দ চুষে প্রকৃতি মানবিক। ঘুমের রেওয়াজ শুরু হয় নীরবতার তালপাতায়। রাতের জন্মসন্তান পৃথিবী কতো দিন ঘুমিয়ে ছিল জানা নেই। পৃথিবীর জন্মসন্তান আমি অর্ধদিন ঘুমাই। রাতকে দিন বলা পিতৃতান্ত্রিক অভ্যাস। অভ্যাসটাকে ফরমালিন সজীব রাখতে থেরাপির পর থেরাপি চলে— হেফাজত থেরাপি! আমরা ঘুমাই তারাও ঘুমাই মাঝে রাতের বীর্যপাত আল্লা রাইতটারে দিছে ঘুমাইবার লাইগগা ৩-১-১৪২০ ∇ তুমি বন্ধু ছায়া-কায়া আমি তোমার বাড়ি বাড়ির পাশে আড়শিনগর আড়শিপাড়ে নারী ১-১-১৪২০ ∇ মানুষের হাতে শিকার যন্ত্র পাখির ডানায় ওড়ার মন্ত্র
Month: April 2022
একদিন…
একদিন। গ্লাসের জলে একটি মাছি পড়ে। তার পাখা ভিজে যাচ্ছে এবং সে প্রায় জলে ডুবে যাচ্ছে। তার বেঁচে থাকার তীব্র ইচ্ছা তার ছটফটানিতে দেখতে পেলাম। তার প্রান রক্ষা করলাম। মাছিটি নড়তে পারছে না। তার শরীরে এমন একটি রং দিয়ে দিলাম যাতে হাজার মাছির ভীড়েও আমি তাকে সনাক্ত করতে পারি। সেদিনের মতো মাছিটি উড়ে গেলো। তাকে আমি পোষ মানাতে চাইনি। কারন মাছিকে কেউ পোষ মানাতে চায়না। এখন প্রতিদিন খাবার টেবিলে পৃথিবীর ময়লা নিয়ে সেই মাছিটি হাজির হয়। খাবার নষ্ট করে। আমি তার প্রতি রেগে যেতে পারি কিন্তু রেগে যায় না। কারন আমার কাছে যা ময়লা মাছির কাছে তা খাবার।
হ্যালো মাই ডিয়ার অনর্গল নদী
হ্যালো মাই ডিয়ার অনর্গল নদী সাগরের দেখা পাও যদি বলিও বলিও তারে বৃষ্টি হয়ে যাবো তার বাড়ি সে এক আশ্চর্য সহনশীল আনন্দ— বামটান ডানটান গাছের ছায়ায় এক ভয়ানক গ্রাম ছায়ার সুরে মনোধর ঝড় তুফান তুলে চোখে তার রাগের মিউজিয়াম কোলাহল করে কাকলি বাতাস গভীর রাতে মৃত্যু গিলে বলিও বলিও তারে জলের দুই পার বেদনায় একাকার দুই পার এক হলে জলমনে হাহাকার
ক রো না বি ন তে কো ভি ড উ নি শ [ চতুর্থ পর্ব ]
...বলছিলাম রাবনের কথা। রাবন ব্রাহ্মণদের কাছ থেকেও খাজনা নিতেন। ব্রাহ্মণরা হুজুর টাইপের মানুষ। দোয়া দরুদ তপ জপ করা যাদের কাজ। তারা খাজনা দিবে কোথা থেকে। খাজনা দিতে অক্ষম ব্রাহ্মণদের কাছ থেকে রাবন রক্ত নিতো, নিয়ে মাটির পাত্রে সংগ্রহ করতো। ব্রাহ্মণরা অভিশাপ দিলো— এই মাটির পাত্র যেখানেই রাখা হবে সেখানেই অভাব অনটন দেখা দিবে। রাবন জানতো ব্রাহ্মণদের অভিশাপ সত্য হবে। তাই সে রক্তভরা মাটির পাত্র মিথিলার রাজা জনকের রাজ্যে রেখে আসে রাতের অন্ধকারে। জনকের রাজ্যে অভাব দেখা দেয়। জনক রাজা অভাব থেকে পরিত্রাণের জন্যে বিধান সভার সাহায্য প্রার্থনা করে। বিধান সভা তাকে হালচাষের পরামর্শ দেয়। রাজা জনক হালচাষ করতে গিয়ে বাচ্চা সীতার দেখা পায়। সীতা মানে তাই হলরেখা। জনক রাজার হালচাষের বিষয়টি মেটাফর হিসাবে নিলাম। অর্থাৎ রহস্যে ভরপুর এই বসুন্ধরার রহস্যময় ইতিহাস আমাদের