সবাই কেবল খুলতে বলে খেলতে গ্যাছে চাঁদ চোখের দেশে ফুলের বাগান ঠোঁট কাঁপানো রাত বিজন বনে হরিণ নাচে পাতার ফাঁকে আলো পাপড়ি ধরে প্রেমের ধরন দেহের ফলন ভালো খুলতে খুলতে জোছনা দেখা সাপের মতো নদী তলদেশে এটেল মাটি মাটির আরাম গদি গভীর থেকে গভীরে যাওয়া আরাম বনে আরাম পাওয়া গরম নরম বেদি খুলতে খুলতে চাবি তালা গন্ধে ব্যাকুল দেহ মালা বাড়তে থাকে পারদ জ্বালা তুলসী বনে রাধা কাঁপে কাঁপে তুলসী কালা সবাই কেবল খুলতে বলে বলে তাকে প্রেম কামে সবুজ মানবদেহ জানে রাধাশ্যাম ভালো লাগা নীলের জলে দেখা বকের সারি খুলতে জানা নদী জানে সাগর আসল বাড়ি সাগর থেকে সাগরে যাওয়া ওপেন টিউন মেটার খুলে ফেলার সুরা কেরাত মন্দ নয় বেটার আঙুল আঙুল খেলার পালায় তার হয়ে যায় গিটার সবাই কেবল খুলতে বলে খেলতে পারে ধীজন খেতে গেলে গলায় ধরে চোখের নেশায় ভোজন ভোজন রসিক সাতার জানে জল জোয়ারে ভাসে খুলতে জানলে বেহা হাড় সোজা হয়ে হাসে
Month: February 2022
কোনো ব্যক্তিগত আকাশ থাকে না
অনেক সুন্দর। অনেক সুন্দর আজ। জানালার ফাঁকে মায়াবী রোদ নামে। ফেনের মতো ঘন হয়ে আসে সুখ। ভ্রমনকালীন জীবন আমার সারারাত সারাদিন। একদিনের কথা মনে পড়ে। এক জোছনামাখা রাতের কথা মনে পড়ে। এক বিকাল শৈশবের কথা মনে পড়ে। মনে পড়ে না চোখের সামনের সাজুগুজু সময়ের কথা। কথাদের কোনো ব্যক্তিগত বিমান নেই কথাদের কোনো ব্যক্তিগত আকাশ থাকে না কথা আমার সাইকেল চালায় কম খরচে ক্যালরিতেলে রাত বিরাইতে— আকাশ থামে বৃষ্টিসকাল খুব প্রভাতে মর্জিমাফিক ছায়ার পাশে রোদ ঘুমিয়ে যায়, গভীর হতে হতে পাতলা হয়ে আসে কতিপয় মরীচিকা বিকেলে বিকেলে রাত রাতে রাতে সকাল সকালে সকালে দুপুর অনেক সুন্দর আজ। অনেক সুন্দর মানুষের কাল। ভর্তার ঘ্রানে জিভে জল আসে, ছনের ঘরে আনন্দ কালে চলতে থাকে ছাইউৎসব। সবুজের পাশে নগর, বিলকুল জীবন— বৈদ্যুতিক তারে জমা থাকে প্রিয়তমা সম্পর্ক, পাওয়ারে পাওয়ারে হিসাব নিকুচি মেঘলা আকাশ
দিল্লির স্মৃতি
সিকিউরিটি ঢুকতে দিবে না। দিবে না তো দিবে না। আমার সাথের তারা আশা ছেড়ে দিয়েছে। আমি শালা সহজে পরাজিত হওয়ার মানুষ না। আমি জানি পৃথিবীতে নিজের ইচ্ছা বাস্তবায়নের জন্য কোনো না কোনো উপায় থাকে। জাস্ট আবিষ্কার করতে হয়। আমাদের কেন ঢুকতে দিবে না? কারন আমরা জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র না। রেজা ভাই, চলেন চলে যায়... কোনো কথা না বলে সিকিউরিটির কাছ থেকে দূরে গেলাম, গেলাম গেইটের কাছে বসা এক ছাত্রের কাছে। সমস্ত বিষয় খোলাখুলি বললাম। হিন্দি তেমন পাড়ি না। তারপরও আমি আমার বক্তব্য উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছি। ভূপেন্দ্র দা যথেষ্ট সহযোগিতা করলেন। হামিদ ভাই নিজের আইডি কার্ড দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করেছে। আমরা জে এন ইউ ক্যাম্পাসে ঢুকতে সক্ষম হয়েছি। ক্যাম্পাসটি মুগ্ধকর। অনেকটাই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অথবা চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের টাইপের। তবে চরিত্রগত পার্থক্য তো আছেই। দিল্লি
ঘর সাজানোর জন্য বই
তিনি অনেক চেষ্টার পর আমলা হলেন। মানে সরকারের নিজস্ব বাহিনিতে নিজের নাম লেখালেন। আমলাগিরি থেকে অবসর নেয়ার পর এবার জনগণের কাছে নিজের উপস্থিতি জানান দিতে হবে। তাই বই লেখা একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। আমলা থেকে লেখক। এবার প্রকাশকের সাথে তার বিশেষ খাতির। এখন তিনি পাঠকও চিনতে শুরু করেন। কিন্তু অবাক হোন পাঠক দেখে, পাঠক তো সেই লোক যার কাছ থেকে তিনি অনেক অনেক টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন। লেখার চুলচুলানি থেকে অনেকে আবার লেখে। ভালো অভ্যাস। পাশের কয়েকজন বন্ধু লেখকের প্রসংশা করে। আর তাতেই সে নিজেকে নামীদামি গাড়ির মতো নামীদামী লেখক মনে করতে শুরু করে। সুতরাং একটি বই দরকার। শুরু হয় প্রকাশকের কাছাকাছি দৌড়াদৌড়ি। আর প্রকাশক তো মহান কসাই। হাসতে হাসতে কেল্লা কেটে ফেলে কিন্তু লেখক বুঝবেনই না তার কেল্লা নাই। একটি গাছ থেকে একটি
দয়ালের আলোর দেয়াল
আলোর পথ চলে গেছে দয়ালের বাড়ির দিকে। মাঝখানে কোনো দেয়াল নেই। আমার পথ কেবলই আমার দিকে ফিরে আসে। মাঝখানে দয়ালের আলোর দেয়াল। দয়াল ফিরে আসে, বারবার ফিরে আসে আমার দিকে। আমি তাকে ধারণ করতে পারি, যতন করতে পারিনা। আমি তখন অস্থির হয়ে পড়ি, মানতে পারিনা প্রবাদকথা ‘যতনে রতন মিলে’। দয়াল আমার ফটো তোলে। আমার ফটোপয়েম পূর্ণ করেছে তাঁর গ্যালারি। আজো আমার এ্যালবাম খালি। কেন খালি থাকবেনা? দয়ালের ফটো যে ক্যামেরায় আসেনা। কতভাবে দয়াল যে দয়াল হয়ে উঠে তা আমি বলিতে পারিনা। বলিতে পারি কেবল আমার কঙ্কালের কথা, আমার কঙ্কাল দয়ালের কলঙ্ক বহন করে চলেছে।
মানুষ নশ্বর আবার মানুষই অবিনশ্বর
জান্নাতের দুটি টিকেট আছে। একটা তোমার, আরেকটি যাকে ইচ্ছা তাকে দিতে পারবে। জান্নাত মানে অফুরন্ত সুখের প্রশান্তির দীর্ঘমেয়াদি আবাস— ফুলের গন্ধে শরীর ডুবিয়ে বসে থাকার মতো নাতিশীতোষ্ণ প্রাসাদ। কাকে দিবে তুমি এই টিকেট? তোমার সাথে যে জাহান্নামে যেতে চায় না তাকে কখনো জান্নাতের টিকেট দিবে না—পুত্র আমার জেনো রাখো তুমি। পুত্র আমার জেনো রাখো তুমি— মানুষ নশ্বর আবার মানুষই অবিনশ্বর— মানুষ কালের সন্তান আবার মানুষ থেকেই কালের সৃষ্টি। মানুষকে জানো চোখ কান নাক মুখ হাত পায়ের সমস্ত অনুভূতি প্রয়োগ করে— মানুষকে জানার কিছুক্ষণ আগেও কোনো ফাইনাল কথা বলবে না পুত্র আমার। মানুষ আগুন বানাবে,মানুষ তোমাকে আগুনে ফেলবে, মানুষ আবার নিজের প্রয়োজনে তোমাকে আগুন থেকে রক্ষা করবে— মানুষ নদীর মতো সাগরে মিশে যাওয়ার লোভে পাড় ভাঙে— ভাঙতে ভাঙতে বেচে যায় নদী। আকাশ ভেঙে মাথায় পড়বে
কথোপকথন [ ২ ]
— বাসুদেব একটা কথা বলবো? — মাধব আপনি আমার সাথে কথা বলবেন, তাও আবার অনুমতি নিয়ে! — না বলছিলাম যে গত রাতে একটা স্বপ্ন দেখলাম। — বাহ, আপনারে স্বপ্ন দেখে পুরো সৃষ্টি, আপনাকেও স্বপ্ন দেখতে হয়, বাহ, বাহ, মাধব। — আচ্ছা, তাহলে বলুন দেখি আপনার স্বপ্নের ধারা। — স্বপ্নে দেখি রাধা মথুরায় চলে এসেছে, তাও আবার বোরখা পরে, রাধার আগমনে আপনার চেহারায় অস্বস্তির মেঘ ☁। — মাধব, তুলসী বনের রাধাকে আমি চিনি, সে ছদ্মবেশ জানে না, তাই তাকে আমি দিয়েছি বিরহ, মথুরায় রাধাকে আমি নিয়ে আসতে পারি, মথুরাকে স্থাপন করেছি রাধার মনে, তাইতো আমি মথুরার রাজা। — বাসুদেবের জয়, জয় গোবিন্দ, আপনি বিরহের শিরোমণি, জয় মুকুট আপনার, আপনি প্রশান্তি আপনি ধৃষ্টার সম্মান। — আরেকটি বিষয় জানতে চাই গোবিন্দ — বলুন তবে — স্বপ্নে রাধা আমার সাথে কোনো কথা বলেনি, রেগে