জুনায়েদ বোগদাদির মামা সাররী সাকতী। সকত থেকে সাকতী। সকত শব্দটির অর্থ হলো ভূমিতে পড়া। ভূমিতে পতিত ফল কুড়িয়ে বিক্রি করে তিনি জীবনযাপন করেন প্রথম জীবনে। তার পীরের নাম মারুফ কারখি। সাররী সাকতী অত্যন্ত উচু মানের একজন সাধক ছিলেন— কথিত আছে দীর্ঘ ৯৮ বছর তিনি কখনো মাটিতে পীঠ লাগাননি— ঘুম পেলে দেয়ালে ঠেশ দিয়ে বসতেন। সাকতী অসুস্থ হয়ে পড়ে। মুমূর্ষু। আবহাওয়া খুবই গরম। জুনাইদ বোগদাদি বাতাস করতে চায়লেন।তিনি নিষেধ করেন। তার মতে বাতাস আগুনের তেজ নাকি বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়। জুনাইদ বোগদাদি বাতাস করা বন্ধ করে নছিহত চায়লেন নিজের মামার কাছে নিজের জন্যে। — জুনায়েদ! মানুষের সাহচর্য বর্জন করে শুধু আল্লাহর ধ্যানমগ্ন হয়ে কালযাপন করো। জুনায়েদ মামার কথা শুনে জবাব দিলেন— ‘এমন কথা যদি আপনি আগে বলতেন তাহলে আমি মানুষ থেকে এমন দূরে থাকতাম যে
Day: January 12, 2022
বুদ্ধিজীবীদের ভালো লাগে
বুদ্ধিজীবীদের আমার অনেক ভালো লাগে। তারা মেয়েদের চুলের মতো গোছানো। তারা মেপে মেপে খান, মেপে কথা বলেন। বুদ্ধিজীবীদের আমাদের অনেক ভালো লাগে। তারা সাপের লেজের মতো পিচ্ছিল এবং খুব ভালো করেই গর্ত চিনেন, আর বিড়ালের মতো উষ্ণতা প্রিয়। তাদের ঘিরে থাকে নাতিশীতোষ্ণ তোষামদকারীর দল। বুদ্ধিজীবীদের তাদের খুব ভালো লাগে। কারণ তারা আমার মতোই বোকারামের দল— আবোল তাবোল কথা বলে, তালে বেতালে চলে। আপনি ইমানদার হলে অন্তত কথা বলাতে সাবধান থাকবেন। কারন কোন কথায় আপনার ইমান চলে যাবে আপনি নিজেও জানবেন না। বুদ্ধিজীবীরা কিন্তু কথার ব্যাপারে সাবধান থাকে, কারন যে কোনো কথার কারনে তাদের বুদ্ধির তকমা ডাস্টবিনে চলে যেতে পারে। যত আছান আমার মতো এই নবীন বোকাদের— হারানোর কিচ্ছু নাই, সবই পাওয়া, সবই দয়ালের দান।
দেশটা অপমানিত হলে তুমিও অপমানিত হও
দেবলছেড়া পুঞ্জি। কেউ কেউ বলে ডাবলছেড়া পুঞ্জি। শমশেরনগরের একটি জায়গা। বাগান এলাকা। চা বাগান। দেবলছড়া পুঞ্জির পাশেই খাসিয়া পল্লী। মিস্টার পিডিশন এই পল্লীর প্রধান। খাসিয়া পল্লীর পাশেই প্রাইমারি স্কুল। স্কুলের বিশাল মাঠ। মন ঠান্ডা করে দেয় এমন মাঠ। এই মাঠ থেকে সকাল ছয়টা ৪৫ মিনিটে শুরু হয় আমাদের ট্রেইল ম্যারাথন। ৪২.২ কিলোমিটার। আমরা কিন্তু ছয়টা ৪৫ মিনিটে ম্যারাথন শুরু করিনি। আমরা বলতে আমি আর সাদিয়া দেওয়ান মুনা। মুনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের philosophy ডিপার্টমেন্টের স্টুডেন্ট। ম্যারাথন করে প্রায় দুই বছর আগ থেকে। মুনার আন্তরিক সহযোগিতার ফলে ম্যারাথনযাত্রা শুরু করতে পারলাম, তাও আবার ট্রেইল ম্যারাথন দিয়ে। কেন আমরা ৫৫ মিনিট পরে ম্যারাথন শুরু করি? ড্রেস পরিবর্তন করার জন্যে কোনো জায়গা খুজে পাচ্ছিলাম না। ব্যাগ রাখার জন্যে কোনো নিরাপদ জায়গায় খুজে পাচ্ছিলাম না। তাছাড়া শমশেরনগর থেকে