পৃথিবীকে এতো ছোট মনে হয় কেন? বিভীষিকার মতো ছোট চারদিকে তৈরি করা ছাঁচ রাইফেল ধরে আছে বলে কেবল, ‘আমার মতো থাকো, নতুবা চলে যাও’ চলে যেতে যেতে দেখি শকুনেরা খেয়েছে আমার বিশাল পৃথিবী
Month: January 2022
কথোপকথন
আফালের মাছ [ ৯ ]
হারানো রোদের গল্প শুনতে শুনতে যাদের দিন যায় তাদের ডান চোখের নিচের সবুজ গাছটির ছায়ায় বসে থাকি আমি ভাবের সম্পর্ক পরিবর্তন হয় না— ভবের সম্পর্ক প্রয়োজনে আসে আবার প্রয়োজনে চলে যায় চাঁদ দেখবো বলে একটি রাত চেয়েছিলাম, ভোর দেখতে হলে রাতের দরকার হয় লেজ নাড়ানো কুকুরের স্বভাব, চোখ এবং মনের বড়ই অভাব তার মোড শেন ওয়ার্ন কিংবা মুরালিধরনের বলের চেয়ে অধিক সোয়িং করে, বল দেখে ব্যাট করো হে হিটার, আউট হলে ক্যারিয়ার চলে যাবে দর্শক গ্যালারিতে কবিকে দেখা যায় কবিতার আকাশে— অন্য কোথাও কবি যেনো জলের বাতাস ভাইরাসকে আক্রমন নয়, ভাইরাসের আক্রমনের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্যও শক্তিশালী এন্টিবডির প্রয়োজন Man at all software not yet hardware and we are the same software and software has no country
কুয়াশা গলে গলে পড়ে চোখের বিছানায়
জুনায়েদ বোগদাদির মামা সাররী সাকতী। সকত থেকে সাকতী। সকত শব্দটির অর্থ হলো ভূমিতে পড়া। ভূমিতে পতিত ফল কুড়িয়ে বিক্রি করে তিনি জীবনযাপন করেন প্রথম জীবনে। তার পীরের নাম মারুফ কারখি। সাররী সাকতী অত্যন্ত উচু মানের একজন সাধক ছিলেন— কথিত আছে দীর্ঘ ৯৮ বছর তিনি কখনো মাটিতে পীঠ লাগাননি— ঘুম পেলে দেয়ালে ঠেশ দিয়ে বসতেন। সাকতী অসুস্থ হয়ে পড়ে। মুমূর্ষু। আবহাওয়া খুবই গরম। জুনাইদ বোগদাদি বাতাস করতে চায়লেন।তিনি নিষেধ করেন। তার মতে বাতাস আগুনের তেজ নাকি বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়। জুনাইদ বোগদাদি বাতাস করা বন্ধ করে নছিহত চায়লেন নিজের মামার কাছে নিজের জন্যে। — জুনায়েদ! মানুষের সাহচর্য বর্জন করে শুধু আল্লাহর ধ্যানমগ্ন হয়ে কালযাপন করো। জুনায়েদ মামার কথা শুনে জবাব দিলেন— ‘এমন কথা যদি আপনি আগে বলতেন তাহলে আমি মানুষ থেকে এমন দূরে থাকতাম যে
বুদ্ধিজীবীদের ভালো লাগে
বুদ্ধিজীবীদের আমার অনেক ভালো লাগে। তারা মেয়েদের চুলের মতো গোছানো। তারা মেপে মেপে খান, মেপে কথা বলেন। বুদ্ধিজীবীদের আমাদের অনেক ভালো লাগে। তারা সাপের লেজের মতো পিচ্ছিল এবং খুব ভালো করেই গর্ত চিনেন, আর বিড়ালের মতো উষ্ণতা প্রিয়। তাদের ঘিরে থাকে নাতিশীতোষ্ণ তোষামদকারীর দল। বুদ্ধিজীবীদের তাদের খুব ভালো লাগে। কারণ তারা আমার মতোই বোকারামের দল— আবোল তাবোল কথা বলে, তালে বেতালে চলে। আপনি ইমানদার হলে অন্তত কথা বলাতে সাবধান থাকবেন। কারন কোন কথায় আপনার ইমান চলে যাবে আপনি নিজেও জানবেন না। বুদ্ধিজীবীরা কিন্তু কথার ব্যাপারে সাবধান থাকে, কারন যে কোনো কথার কারনে তাদের বুদ্ধির তকমা ডাস্টবিনে চলে যেতে পারে। যত আছান আমার মতো এই নবীন বোকাদের— হারানোর কিচ্ছু নাই, সবই পাওয়া, সবই দয়ালের দান।
দেশটা অপমানিত হলে তুমিও অপমানিত হও
দেবলছেড়া পুঞ্জি। কেউ কেউ বলে ডাবলছেড়া পুঞ্জি। শমশেরনগরের একটি জায়গা। বাগান এলাকা। চা বাগান। দেবলছড়া পুঞ্জির পাশেই খাসিয়া পল্লী। মিস্টার পিডিশন এই পল্লীর প্রধান। খাসিয়া পল্লীর পাশেই প্রাইমারি স্কুল। স্কুলের বিশাল মাঠ। মন ঠান্ডা করে দেয় এমন মাঠ। এই মাঠ থেকে সকাল ছয়টা ৪৫ মিনিটে শুরু হয় আমাদের ট্রেইল ম্যারাথন। ৪২.২ কিলোমিটার। আমরা কিন্তু ছয়টা ৪৫ মিনিটে ম্যারাথন শুরু করিনি। আমরা বলতে আমি আর সাদিয়া দেওয়ান মুনা। মুনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের philosophy ডিপার্টমেন্টের স্টুডেন্ট। ম্যারাথন করে প্রায় দুই বছর আগ থেকে। মুনার আন্তরিক সহযোগিতার ফলে ম্যারাথনযাত্রা শুরু করতে পারলাম, তাও আবার ট্রেইল ম্যারাথন দিয়ে। কেন আমরা ৫৫ মিনিট পরে ম্যারাথন শুরু করি? ড্রেস পরিবর্তন করার জন্যে কোনো জায়গা খুজে পাচ্ছিলাম না। ব্যাগ রাখার জন্যে কোনো নিরাপদ জায়গায় খুজে পাচ্ছিলাম না। তাছাড়া শমশেরনগর থেকে
হয় বিপ্লব নয় মৃত্যু
হয় বিপ্লব নয় মৃত্যু মাঝখানে কোনো দাড়ি কমা সেমিকোলন নেই হৃদয় থেকে আত্মা থেকে বলছি মা বলছি আমার জঠরবাস সত্য থেকে এমন কথা এখনো বলতে পারিনি মা যে কথায় কথারা দাড়িয়ে যাবে কাতারে কাতার ঘুম থেকে জেগে উঠবে তোমার সন্তান তোমার সন্তানেরা তুলে আনবে প্রভাত মা জেনে রাখো তুমি— হয় বিপ্লব নয় মৃত্যু দেশের মা নদী পৃথিবীর মা নদী মা মারা যাচ্ছে প্রতিদিন প্রতিনিয়ত মায়ের লাশের উপরে উঠছে অট্টালিকা প্রাসাদ অভিশপ্ত সন্তান অভিশপ্ত দেশ অভিশপ্ত পৃথিবী অভিশপ্ত পৃথিবীর বাতাস হয় বিপ্লব নয় মৃত্যু জেনে রাখো মা জেনে রাখো আকাশের স্বাধীন নীলিমা জনপ্রিয়তা আর পাসওয়ার্ড প্যাটার্ন জীবন দিয়ে কি করবো মা— বউখাওয়া আর স্বামীমারা জীবন বহু দেখেছে পৃথিবী— ঠোঁট থেকে চামচ— চামচ থেকে ঠোঁট— উঠানামা আর উঠানামা— যাওয়া আর যাওয়া— আসা আর আসা— কাকের ঠোঁটের মতো হলুদ আলেয়ার খেলা। হয় বিপ্লব নয় মৃত্যু মরে যাওয়ার শোকে নয়— সুখে হোক পথচলা সব হালারা প্রোডাক্ট— বিক্রি
অভিমানী মেঘের তারা
অভিমানী মেঘের তারা আকাশ পথে ঝড়ে পদ্মফুলের পাটিগণিত হিসাব নিকাশ করে ছায়াবন্ধু গভীর সিন্ধু অলস দুপুর প্রায় সামনে থাকা রাজা ভুলে অতীতের গান গায় কোন সাগরের বাতাস তুমি কোন আকাশের মেঘ শীতের দেশে বালুর মাঠে রাজ কুমারীর ড্রেস বালুর পাশে সবুজ জঙ্গল সোনা রোদের খেলা আকাশ ফেঁটে আশা নামে সামনে এগিয়ে চলা অজয় নদীর সজল হাসি তারার মুখে ভাসে অসভ্য এক বন্য আবেগ রাজকুমারীর দেশে তবুও তারা স্বপ দেখে বৃষ্টি নামবে রোজ মরুর বুকে জলের প্লাবন সুখ স্বপ্নের খোঁজ