বাজে কয়টা ভাই? দশটা। সই দশটা? হুম। ব্রাহ্মণবাড়িয়া নরসিংদী কিশোরগঞ্জে সই মানে সমান। সই দশটা মানে সমান দশটা। সই(সহি) দেয়া মানে স্বাক্ষর দেয়া— টিপসই শব্দটি বৃহত্তর ময়মনসিংহ ও ত্রিপুরা রাজ্যে বহুল প্রচলিত। সই আবার বান্ধবী অর্থেও ব্যবহৃত হয়— দুস্ত মানে বন্ধু, দুস্তের বিপরীত শব্দ হিসাবে সই ব্যবহৃত হয়— তখন সখি হতে সই শব্দের জন্ম। ‘সই কইরা লামু’ শব্দটি ঠিক করে ফেলা অর্থে ব্যবহৃত হয়। কেউ যখন খুব বাড়াবাড়ি করে তখন ‘সই কইরা লামু’ শব্দটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া অঞ্চলের মানুষ বলে থাকে। ‘সই করা’ মানে সমান করা। লাঙল দিয়ে চাষ করার পর ক্ষেতে ইডা বা মাটির ঢিলা জমা হয়। আর সেই ইডা বা মাটির ঢিলা মই বা চগম দিয়ে অথবা মুহৈর<মুগুর ব্যবহার করে ভেঙে সমান করে বিজ ফেলার উপযোগিতা নির্মাণ করতে হয়। ক্ষেতের ইডা বা মাটির ঢিলা ভেঙে
Year: 2022
স্টেশনের নিরাপদ নির্জনতা
একটি বেকার স্টেশন— একটি বেকার স্টেশনে বসে আছি—কতিপয় মৌমাছি টেবিলে বৈকালিক খেলাধূলা ছেড়ে খাওয়াদাওয়াতে ব্যস্ত। ট্রেন আসতে অনেক দেরি। একজন দোকানি মহিলার সাথে স্টেশনের হকার এক লোকের তুমুল বাকযুদ্ধ চলছে। নিশ্চিত হকার লোকটির রাতে ঘুম হয়নি। হকার লোকটির ভাবসাব এমন যেনো সে প্রতিবাদী আন্দোলনের সম্মুখযোদ্ধা। ট্রেন আসতে অনেক দেরি। রোদের ছায়া পশ্চিম দিকে হেলেদুলে পড়ছে। হকার লোকটির রাগ বাড়ছে— তিন নাম্বার থেকে একেবারে সাত নাম্বার বিপদ সংকেত— দোকানি মহিলার বাড়ছে অসহায়ত্ব—চোখে জল তার টলমল। হকার লোকটির রাগভাব একেবারে দমন করে স্টেশনের এক হুজুর দোকানি— সেরের উপর সোয়া সের। প্রায় এক মাস পর আবার স্টেশনে হিজরা দেখি— তাও আবার বোরখা হিজাব পরিহিত অবস্থায়। দোকানি মহিলাটি খাবার খাচ্ছে— দুপুরের খাবার— তাও আবার বিকালবেলার চশমাপরা সময়ে। ট্রেন আসতে অনেক দেরি। স্টেশনের নিরাপদ নির্জনতা আর কবরের হাইফেন রূপকথার মধ্যে
দুইটি কবিতা
কথোপকথন [ ৩ ]
অর্জুন— বাসুদেব, ইদানিং ব্রেইন কাজ করে কম,স্মৃতিশক্তি হ্রাস পাচ্ছে মনে হচ্ছে। বাসুদেব— রাতে ঘুমানোর ঠিক আগ মুহূর্তে এক চামচ মধু খাবে। প্রায় এক মাস বয়ে গেলো— অনেকগুলো রাত ঢুকে গেলো দিনের ভেতর— অনেকগুলো দিন ঢুকে গেলো রাতের ভেতর— জন্ম নিলো হাজারো ঘটনা হাজারো লেনদেন। অর্জুন— বাসুদেব, আমার ব্রেইনের অবস্থা তো আগের চেয়েও খারাপ হচ্ছে বাসুদেব— আচ্ছা অর্জুন— একটা পথ দেখান বাসুদেব বাসুদেব— মধু খেয়েছো নিয়মিত? অর্জুন— মধুতে ভেজাল, তাই খেজুর গুড় খেয়েছি, মধুও মিডা খেজুরের গুড়ও মিডা। বাসুদেব— হা হা হা বাসুদেব— বাবুরে, বিষও তিতা, চিরতার জলও তিতা, তুমি নিশ্চয়ই চিরতার অভাবে বিষের প্রয়োজন অনুভব করবে না!? অর্জুন— ভুল হয়েছে বাসুদেব, ব্রেইন ইদানিং একটু কম কাজ করছে তো কথোপকথন [ ২ ]
অজুহাতের আয়না
পড়তে যখন ইচ্ছে হলো পড়তে তুমি থাকো অসুখটুসুখ গায়ে তোমার ভালো করে মাখো ইচ্ছে এক দারুণ ব্যাপার সকাল বেলার পাখি ইচ্ছে হলে পালক কেটো কেটে নিও আখি কিচ্ছু হবেনা রঙের দুনিয়া দেখবেনা উড়বেনা— এইটুকু আর কি!? মন খারাপের দিনে বেদনাকে ডাকো ইচ্ছে হলে বিষন্নতায় অহিনিশি থাকো ভালো থাকা বাজে ব্যাপার তোমার সাথে যায়না বাজার থেকে কিনে আনো অজুহাতের আয়না তারপর এক সকাল দেখে মন খারাপের দেশে সব প্রজাদের রাজা হয়ে বাচো দীর্ঘশ্বাসে
আমদানি
এখানে উঁচু হিল আমদানি করা হয়। অথচ ভোক্তা জানে না হিল এই মাটির জন্য প্রযোজ্য না। কারণ এখানকার অধিকাংশ রাস্তাঘাট কাঁচা। ফলে দেখা যায় তারা মাটিতে এমনভাবে পা ফেলে যেন সার্কাসের চিকন রশিতে পা ফেলছে। হিলযুক্ত জুতা পায়ের সামনের অংশ থেকে পেছনের অংশকে দুই থেকে তিন ইঞ্চি উঁচু করে। এর প্রভাব গিয়ে পড়ে বুকে। ফলে বুক হাঁসের মতো সামনের দিকে ঝুলে থাকে, বুক যখন সামনের দিকে ঝুলে থাকে তখন এর একটি প্রভাব পড়ে কোমরে। কোমর তার স্বাভাবিক ব্যালেন্স হারায়। কোমর হেলেদুলে চলতে থাকে। নিতম্ব যেহেতু রাবারের মতো সেহেতু কোমরের চাপে নিতম্ব প্রশস্ত হয়ে পড়ে। একদিকে বুক সামনের দিকে, অন্যদিকে নিতম্ব পেছনের দিকে রাবারের মতো স্প্রিং করে চলে। নিতম্ব আর বুকের দুলদুল তখন পুরুষের মনে ঝনঝনা শব্দ তৈরি করে। পুরুষ কামনার ঘরে বাঁধ
আফালের মাছ [ ১১ ]
মানুষ ‘শয়তান’ বলে গালি দিতে দিতে শয়তানের দায়িত্ব কমিয়ে দিচ্ছে আজ বৃষ্টি হলে কাল থেকে জলের ইহকাল শুরু, ঘুম এক পরকালের নাম অনেকের কাছে প্রেমিকা শব্দের বাংলা অনুবাদ রোবট যাকে রিমোট দিয়ে নিয়ন্ত্রন করা যায়, স্বামী শব্দের বাংলা অনুবাদ রাখাল যার ইশারা সীমানায় প্রত্যেকটি পশু রাব্বাইক রাব্বাইক বলতে বাধ্য গোবরের পদ্মফুল ছদ্মবেশে গোবরই থাকে রেজা ভাই একা চলে, সাথে নিয়ে রব, কখনো তাকে সাথে অনিন্দ্য রফরফ সমস্যা সমুদ্র হমান, সমাধানের উপায় যেনো ডিঙি নৌকা, তবু সমস্যা সমাধান করতে হবে এক এক করে, একেবারে নয় অঙ্গ ব্যবহার না করলে অঙ্গহানি ঘটে কালো কোনো রঙ নয়— সব রঙকে সে ধারন করে— আল্লা কোনো রঙ নয়— সব রঙকে তিনি ধারণ করেন পরিস্থিতি পালটাই কিন্তু দরজা খোলার কাজটি দরজাতেই থেকে যায় টাকাহীনরে হঠাৎ
বৃষ্টি তুমি পড়ছো কেনো এমন দিনে
মায়াভরা সুরের রাধাশ্যাম আহ্বান
কবুতর শান্তির প্রতীক— এমনটাই বলা হয়ে থাকে— এমনটা বলার পেছনে অনেক কাহিনি রয়েছে— ইসলামিকসংস্থা একধরনের কাহিনি বলে— সমাজবিজ্ঞানী একধরনের কাহিনি বলে— রাষ্ট্র বিজ্ঞানীরা নিশ্চয়ই আরেকধারার কাহিনি বলবেন। তবে আমার কাছে একটি কথা খুব ভালো লেগেছে— কবুতর পরকীয়া করে না— কবুতর সঙ্গী বদল করতে চায় না— সঙ্গী মারা গেলেও নতুন সঙ্গী নিতে বা তাকে দিতে বহু জটিল প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। তাই কবুতর শান্তির প্রতীক। নাফার খুব প্রিয় কবুতর। কারন একটাই। কবুতর পরকীয়া করে না। নাফার খুব ভালো বন্ধু তুন ইয়াত। তুন ইয়াতের সাথে নাফা আজ ঘুমধুম গ্রামে যাবে। বাড়ির বাইরে-টাইরে সে খুব একটা যায় না— যাওয়ার ইচ্ছা হয়। আজ সে যাবেই। তারা যাত্রা শুরু করে। পাহাড়ি রাস্তা তাদের চেনা। অল্প সময়ের মধ্যেই তারা পৌঁছে যায় ঘুমধুম গ্রাম। গ্রাম ভালো লেগে যায়
আমাকে বহন করে যাচ্ছি
বহন করে যাচ্ছি— আমাকে বহন করে যাচ্ছি আমি— উত্তর থেকে দক্ষিণ— দক্ষিণ থেকে পশ্চিম— পশ্চিম থেকে পাতাদের সংসার পর্যন্ত। সন্ধ্যার মুখে বাতাস নড়েচড়ে— অমায়িক হাসি ☺ ঢলে পড়ে চোখের ছায়ায়— চোখেরা কথা বলে— মুখ চুপচাপ— বিধবা চাওয়া সূর্যাস্তের পথ চিনে না— পথিক ভাবনায় নামে— ভাবনাযানে তার ঠোঁটে উড়তে উড়তে বাড়ে তিয়াসা— চোখে ভাসে তার মুখ যেনো জোছনা শরৎ প্যাগোডা হাসি— বলা হয় না তাকে বলা হয় নাই তাকে রাতের ট্রেন তুমি বড় ভালোবাসি— ঝকঝকা রঙের ঘোড়াময় শব্দ— শিবিরে পিদিম আলো মিটমিট গন্ধে মিষ্টি কুয়াশা ছড়ায়— শব্দের ভেতর নীরবতা রাশি রাশি— মহাকালের নৌকায় পথিক পথ চেয়ে থাকে জলের জোয়ারে ব্রহ্মালোক আকাশ। আবেগের মিছিল— আন্দোলনে তুমিহীন আমি— বহন করে যাচ্ছে— আমাকে বহন করে যাচ্ছে আমি— পালতোলা নৌকার ডাক— আত্মাবৃষ্টি রোজ ভেজায় পলিমাটির দেহ। মানুষের সেবায়