আমার বোতলে যে মধু ছিল আজকে তাকে পরিপূর্নভাবে শেষ করলাম। মধুটা জেনুইন। গাছ থেকে সরাসরি সংগ্রহ করা। আমার ভাই সংগ্রহ করে দিয়েছিলেন। প্রতিদিন মধুকে দেখতাম আর আস্তে আস্তে খেতাম। ইচ্ছা করলে তিন মাসেই খেয়ে শেষ করতে পারতাম। করি নাই। ভালো কিছু আস্তে আস্তে খাওয়া উত্তম। আবার নতুন মধু আসবে আমার ঘরে। এই মধু আরও ভালো হবে। কারন এইবার নিজেই মৌয়াল হবো, নিজেই মধু সংগ্রহ করবো। জীবনের জন্য যা কিছু উত্তম তা চয়েজ করতে ভাই কেন বাবার উপরও নির্ভরশীল হওয়া উচিত নয়। বোতলের মধু তোমাকে বিদায়! আমার মধু তোমাকে স্বাগতম!! আমি জানি আজ সকাল থেকে মৌমাছি উড়তে শুরু করবে ফুলে ফুলে। কেবল আমার জন্য। আমি মৌয়াল হবো— এই আনন্দে মৌমাছি উড়বে। আমি নিজে মৌপর্না থেকে মধু নিয়ে আসবো— এই আনন্দে মৌমাছি উড়বে। মৌমাছি আর আমার
Year: 2021
বাওনবাইরার ভাষা [ ৮ ]
ব্রাহ্মানবাড়িয়ায় শব্দ উচ্চারণের শেষে ‘গা’ প্রাধান্য লক্ষ্য করা যায় — নেয়া > নিমু > নিমুগা যাওয়া > যামু > যামুগা আজ > আজকে > আজগা লাগি > লাইগগা চাওগা খাওগা লওগা লাগি > লাইগগা ( আরও পড়ুন ) ♥ বাওনবাইরার ভাষা [ ৭ ] ♥ বাওনবাইরার ভাষা [ ৬ ] ♥ বাওনবাইরার ভাষা [ ৫ ] ♥ বাওনবাইরার ভাষা [ ৪ ] ♥ বাওনবাইরার ভাষা [ ৩ ] ♥ বাওনবাইরার ভাষা [ ২ ] ♥ বাওনবাইরার ভাষা [ ১ ]
দুই পৃথিবী
নারী ও পাখি উড়ে উড়ে চলে রমণী ও ঘুড়ি উড়ে কথা কই নারী ও কাক শীতে ঢল ঢল নদী ও নারী স্রোতে কল কল নারীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম পুরুষ, পুরুষের বৃন্দাবন নারী 〈〉 আমারে না জানাইয়্যা পৃথিবী ঢুক্কু ঢুক্কু খেলে শ্রাব্য-অশ্রাব্য শব্দের মাইদ্যে আমি টুয়াপাতি খেলে যায় কানা ঘোষ স্বামী তরও আকাশ ছিল আমারও ছিল চোখ চোখভরা নগ্ন আকাশ হাতভরা দুহ
রাত তখন এগারো
চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে দুইবার আসলাম। তিন বছর আগে এসেছিলাম ছোট বোনকে ভর্তি করানোর জন্য, আবার এইবার আসলাম আমাদের সবার ছোট বোনকে ভর্তি করানোর জন্য। আগে চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে আমার ধারনা ছিল গুড বেটার বেস্ট জাতীয় স্কেলে। এখন সিদ্ধান্তে অবস্থান নিয়ে কিছু কথা বলা যেতেই পারে। বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞান অর্জনের জায়গা না, জ্ঞান চর্চার জায়গা। মানুষ জ্ঞান অর্জন করে মানুষের কাছ থেকে, তার পারিপার্শ্বিকতার জায়গা থেকে, প্রাতিষ্ঠানিকভাবে মানুষ কখনো জ্ঞান অর্জন করতে পারে না। অর্থাৎ জ্ঞান অর্জনের জন্য একটি পারিবারিক বলয়ের প্রয়োজন হয়ে থাকে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পারিবারিক বলয়ের এক জীবন্ত ব্লাকহোল— এখানে সবাই আসে বিচ্ছিন্ন মানসিকতা নিয়ে কিন্তু এক পারিবারিক মানসিকতা নিয়ে বের হয়ে যায়। চলনে বলনে এমন যৌথ খামার পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল যদিও বিপুলা এই পৃথিবীর কতটুকু আর জানি। পাহাড় থেকে জুদা হওয়া এক
দুই সময়ের ভাবনা
(২০১২) অন্ধচোখ যখন পৃথিবী খোঁজে না খোঁজার মানুষ তখন নিজেকে খোঁজে নর্তকীআয়নায়, তারাসন্ধ্যায়, ডুবন্তশঙ্কায় হারানোর ভান করে হাসির তামাশায়। ‡ (২০১৪) তোমাদের পথে হাঁটিনি বলে আমি খোঁড়া তোমাদের চোখে দেখিনা বলে আমি অন্ধ তোমাদের মতো শুনিনা বলে আমি কালা আমাকে থামাতে তোমার অনুপম ভাষার মেলা থেমে যাবে তুমি, তোমাদের দলবল সময় সত্যের মতো রাক্ষস
কাভি না কাভি…
শীতার্ত হৃদয়ে অনন্ত কালের জমানো বরফ,আস্তে আস্তে পোষা হৃদয় বরফের পাহাড় হয়ে উঠে, উষ্ণ আলিঙ্গনে গলে যেতে চায় হৃদয় চিরতরে। কাভি না কাভি, কাহি না কাহি, কোয়ি না কোয়ি তো আয়েগা আপনা মুঝে বানায়েগা দৃষ্টির কোনো চাষযোগ্য জমি নেই। আজ এখানে, কাল সেখানে, পরের দিন ঐখানে নোঙর ফেলে চলে। দৃষ্টির একনিষ্ঠ আবাসিক জমির ভেতর একটা তৃপ্তির ঢেকুর। কাভি না কাভি,কাহি না কাহি, কোয়ি না কোয়ি তো আয়েগা আপনা মুঝে বানায়েগা ভাড়াটে কথা আর ভালো লাগে না। কথা হবে ঘুমের চুলের মতো অগোছালো তবুও যেন প্রাণে প্রাণে মেশাল এক দাতব্য গজল। কাভি না কাভি, কাহি না কাহি,কোয়ি না কোয়ি তো আয়েগা আপনা মুঝে বানায়েগা এক রাতের ভেতর আরেক অন্ধকার এসে হামলা করে, ডাকাতি করে নিয়ে যায় সিন্ধুকে রাখা সরল মুক্তা। এক রাতের ভেতর বন্য এক জোছনা চাই। কাভি না কাভি,কাহি না
মিডিয়া ও তার টিআরপি
মোস্তফা রহমান আরজু। এলাকায় পরিচিত আরজু মাস্টার নামে। তিনি আর এখন নেই। তিনার ছেলে ইমরান এখনো আছেন। ইমরান মামা। ইমরান মামাকে আমি কোনোদিন দেখি নাই। নাম শুনেছি। এখন ইমরান মামার রুমে ঘুমাতে যাচ্ছি। কানে আসতেছে গোবিন্দ জপনাম— হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ। আজ সারা রাত গোবিন্দ জপনাম চলবে। চব্বিশ প্রহরের আজ শেষ দিন। মাইক বাজতেছে। বাসুদেব শ্রীকৃষ্ণ কোথায় আছেন জানি না। ভক্তকুল কৃষ্ণ কৃষ্ণ জপ করতে করতে হাওরের চাদের মোলায়েম জোছনাস্নানে বিকীর্ন করছে হৃদয়। যে রুমে ঘুমাতে যাচ্ছি তার পাশে একটা ঘর, তার পাশে গোবিন্দ জপমালা চলছে। শুনে হয়তো অনেকে অবাক হবেন এই কারনে যে এই গ্রামটির নাম চৈয়ারকুড়ি যা নাছিরনগর উপজেলার অধীনে। ইদে মিলাদুন্নবী তথা হযরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শুভ জন্মদিন ছিল একদিন আগে। এই উৎসবের কারনে মিল্লাদুনবী এশার
পরিচয় মানে ধর্ম পরিচয় নয়
আজ মানে বৃহস্পতিবার। আজ মানে আর এক সপ্তাহ। আমার পাশে বসা মিষ্টি। আজ সে আমার পাশে বসা। গতকাল সে আমার পাশে ছিল না। আগামীকালও সে আমার পাশে থাকবে না। গতকাল যে আমার পাশে ছিল তাকে যেমন করে অনুভব করতে পারি আগামীকাল যে আমার পাশে থাকবে তাকে তেমন করে অনুভব করতে পারি না। গতকাল আর আগামীকালের মাঝে আমিকাল বরাবরই নিয়তি হয়ে যায়। নিয়তি ঠিক নয়— বলা যায় সময়নিষ্ঠুরতা। সময়নিষ্ঠুরতা যতবার উপলব্ধি করেছি ততবার নাজিম হিকমতের কয়েকটি লাইন আমাকে জাপটে ধরেছে ‘বাতাস আসে বাতাস যায় / চেড়ির একই ডাল একই ঝড়ে / দুইবার দোলে না।’ এক সপ্তাহ পর আমরা কেউ আর ক্লাসে বসবো না। ক্লাস হবে। জেলখানার মতো নিয়মকানুন ঠিকঠাক চলবে। এক সপ্তাহ পর আমরা কেউ আর জেলখানায় থাকবো না। অনেক কালো টিপ আর
সো বি রেডি এন্ড ফাইট
ভ্রমন বা টুর বলতে অনেকে যা অনুধাবন করে বা মিন করে আমাদের এই টুরটা ঠিক তেমন না। আমরা যাচ্ছি সিলেটে। উদ্দেশ্য। প্রধান উদ্দেশ্য একটাই— ছাতক হাফ ম্যারাথনে অংশগ্রহন করা। হাফ ম্যারাথন বলে আসলে কিছু নেই। হাফ ম্যারাথন শব্দটা বানানো। ম্যারাথন ইজ ম্যারাথন— ৪২ কিলোমিটার। আমি দৌড়াবো ২১ কিলোমিটার, রাই দৌড়াবে দশ কিলোমিটার। রাইয়ের সাথে যাচ্ছে তার পরিবার সমগ্র। রাইয়ের পরিবার সমগ্রের সাথে বলতে গেলে আমি গেস্ট। ঠিক গেস্ট না— গেস্ট টাইপের। ভৈরব থেকে ট্রেনে উঠি। পুরো কেবিন আমাদের দখলে। ভালো একটা ঘুম দিই। ট্রেনের কেবিনে ঘুমানো আর মেঘে ঘুমানোর মধ্যে অমিল অনেক থাকলেও মিল তো আছেই। ঘুম থেকে উঠে ট্রেনের খাবারের কেবিনে গিয়ে ছয়টি কাকলেট খাই। ট্রেনের সবজি কাকলেট আমার খুবই প্রিয়— ঝাল ঝাল কোল কোল। সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে যখন আমরা পা
শীত আর সূর্যের আদরে যে গাছ বেড়ে ওঠে…
আমাদের ভানুসিংহের আক্ষেপ ছিল মাঝে মাঝে তার দেখা পায় চিরদিন কেন পায় না। চিরদিন যারে পাওয়ার ইচ্ছা তার দেখা মাঝে মাঝে পাইলেই বেটার। শীত আর সূর্যের আদরে যে গাছ বেড়ে ওঠে তার পুষ্টিমান অনেক ভালো। তাইতো প্রতিদিন নিয়মতান্ত্রিক ব্যস্ততার মধ্যে যখন একদুইদিন ছুটি পাওয়া যায় তখন স্বাভাবিকভাবেই আলিফ লাইলার সিন্দবাদ হয়ে রাতের জলে জাহাজ ভাসাতে ইচ্ছা করে এবং বাস্তবায়নও করি। এখান থেকে সেখানে, সেখান থেকে এখানে— এমন করে রাতজাগাপাখি হয়ে ছুটি উপভোগে ব্যস্ত কতিপয় বিন্দুবোধের দল। আমরা যারা বিন্দুবোধের সদস্য তারা তাবৎ পৃথিবীর তাবলিক রাতের জলে ভাসা জাহাজে নিয়ে আসি, আর বাতাসের স্রোতে ভাসিয়ে দেই আমাদের বিশ্লেষন। আজকে কথা হচ্ছিল সার্বিয়া নিয়ে, কথা হচ্ছিল জেনেভা ক্যাম্প নিয়ে, কথা হচ্ছিল ওমর মুভিটি নিয়ে যেখানে প্রেমিক দম্পতি বাংলাদেশ হানিমুনে আসার ব্যাপারে হাস্যরসের কারখানায়, কথা