বাংলাদেশের প্রধান প্রধান সড়কে ভ্যান চলে, বাস চলে, রিক্সা চলে, মোটর বাইক চলে, চলে আরো বিলাসবহুল গাড়ি। জগাখিচুড়ি রাস্তা। রাস্তা দেখেই বাংলাদেশের মানুষের মানসিকতা অনুধাবন করা যায়। জগাখিচুড়ি মানসিকতা। অর্থাৎ এখানে আদর্শের কোনো ঐক্য নেই। এখানকার মেয়েরা বোরখাও পড়তে চায়, আবার পার্কের অন্ধকারাচ্ছন্ন গাছের নিচেও বসতে চায়। আর ছেলেরা টুপি পড়বে, সারারাত ধর্মের কাহিনি শুনবে কিন্তু সকালে সালাত কায়েম করবে না। জনাব পীর সাহেব মোনাজাত ধরেন মানুষের মুক্তির জন্য যতটুকু তার চেয়ে বেশি নিজস্ব দল ভারী করার জন্য। পীর সাহেবদের মধ্যে শত শত গ্রুপ। হযরত মাওলাদের মধ্যেও শত শত গ্রুপ। এক গ্রুপ আরেক গ্রুপকে ফতোয়ার উপর ফতোয়াবর্ষণ করতে থাকে, কাফের ফতুয়া। এখানে আছে সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থা, ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থা। ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থা অনেক ভাগে বিভক্ত। সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থা অনেক ভাগে বিভক্ত। এখানে
Year: 2021
মহাকালের পথে অনন্ত সাধনা
একটা শব্দ আমরা যখন শুনি, আমাদের অনেকেরই ধারনা শব্দটা বাইরে হচ্ছে। বাইরে হয়তবা শব্দটা হয়। কিন্তু শব্দটা আসলে ভেতরে হয়। আমরা শব্দটা শুনি আমাদের ভেতরে। প্রশ্ন আসতে পারে, শব্দ যদি বাইরে না হয় আমরা ভেতরে শুনি কীভাবে? অনেক শব্দ বাইরে হয় আমরা ভেতরে শুনি না। কারন যে শব্দকম্পনগুলোর সাথে আমাদের অভ্যাস হয়েছে, বায়োলজিক্যাল রিদম সম্পূর্ন হয়েছে, ঐ শব্দগুলো আমরা শুনি। কারন কুকুর যে শব্দগুলো শুনে আমরা সেই শব্দগুলো শুনি না। কিন্তু বাইরে তো কুকুরের শোনা শব্দটা ঠিকই রয়েছে। আমি একটা খাবার খেয়ে খুব স্বাদ পেলাম। কিন্তু এই আমিই যখন অসুস্থ হয়ে যাই তখন কিন্তু এ খাবারের স্বাদটা আর পাই না। এর মানে কি? খাবারের মধ্যে স্বাদ নাই? অবশ্যই খাবারের মধ্যে স্বাদ আছে। আমার মধ্যে নাই। আমার মধ্যে নাই বিধায় আমি ঐ স্বাদ পাচ্ছি না।
গন্তব্য, প্রশান্তি বাড়ি
শীতের সকাল। স্নানের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমিন ভাইয়ের ফোন। পরীক্ষা আছে কিনা জানতে চাইলেন। জানালাম পরীক্ষা নেই। বললেন বাংলামোটর অবস্থান করতে। জাস্ট এগারটায়। কারন জিজ্ঞেস করিনি। প্রশ্ন আসতে পারে কেন কারন জিজ্ঞেস করিনি। বন্ধু কখনো বন্ধুর কাছে ব্যাখ্যা চায়না। বন্ধু যদি ব্যাখ্যা দেয় তবে তা বোনাস। ব্যাখ্যাকে আমি ছোট্ট করে দেখছি না। ব্যাখ্যাবিদ যারা আছেন বিষয়টি তারা দেখবেন। এখনো আমি বন্ধুত্বের জায়গাটিকে উপলব্ধির আতুঁড়ঘর মনে করি, যেখানে কেরাবান-কাতিবানের প্রবেশাধিকার নেই। হল থেকে বের হলাম। প্রকৃতিতে পা রাখি। প্রকৃতি অপূর্ব একা। কুয়াশা আর রোদকে ব্লেন্ডারিং করলে যে দৃশ্যটি দেখা দিবে আজকে কিন্তু প্রকৃতির এমন অবস্থা। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সামনে আমরা অবস্থান করছি। আমরা বলতে আমি, আমিন ভাই, জীবন চৌধুরী। গাড়ি নিয়ে আসতেছেন মিন্টু ভাই। জাপানি কোম্পানির গাড়ি। চার জনের কাফেলা। অবশ্যই অযান্ত্রিক গল্পে জগদ্দলও একটি চরিত্র। সেই হিসেবে পাঁচ
শান্তিবাতাস, তোমার ঘরে
সুখের সময় নাইবা পেলে পাশে দুখের সময় বজ্রপাতের সাথে একলা পথে হাঁটতে গিয়ে দেখো আলো হয়ে পথ দেখাবো রাতে আলোর সময় অনেক পোকা আসে আগুন হয়েও জলের মতো নাচে মাঘের শীতে তুমি যখন কাঁপো মেঘের বানে তুমি যখন ভাসো সব শালারা লুঙ্গি তুলে হাসে আমিও এখন হাসি সরল হাসি তোমার চেনা পথ ছেড়ে উল্টো পথে হাঁটি ভালো থেকো ভালো মতো বাজাও সুখবাঁশি শান্তিবাতাস তোমার ঘরে আসুক রাশি রাশি
প্রত্যেক পথ একটি ভ্রমনের কথা বলে
মাঠের পর মাঠ মাঠের পর মাঠ এবং মাঠের পর মাঠ। ট্রেন চলছে তো চলছে। আসামির মতো বসে আছে, শুয়ে আছে নিজ সিটে তারা। জানালার চোখ দিয়ে সবুজ মাঠে শাদা বকের মতো মন্দির দেখা যায়। শরৎ বাবুর কোনো উপন্যাসের কোনো একটি চরিত্র খুব মনে পড়ছে। আকাশ হতে থেকে থেকে নেমে আসছে জাপানি রোদ। তাহলে বুঝতে পারলুম পৃথিবীর সব জায়গায় কমবেশি রোদ থাকে। এতো রোদের মাঝেও কারা যেন অন্ধকারের চাষ করে। রবিবাবুর অমলের মতো বসে আছি জানালার পাশে। অনেক পথের সাথে দেখা হচ্ছে। অনেক পথ। কোনো পথ সোজা, কোনো পথ অদ্বয়, কোনো পথ পাড়াত আবার কোনো পথে নেমে আসে ধান সবুজ। কোনো পথই মানুষের মনের মতো এতো লোভাতুর নয়। প্রত্যেক পথ একটি ভ্রমনের কথা বলে। আর মানুষ চিনে সীমানা। চোখের সীমানা দিয়ে লাফিয়ে
প্রজাপতি
প্রজাপতি, তরমুজের বাইরে সবুজ ভেতরে লাল। লাল আর সবুজ মিলে একটি দেশ— বাংলাদেশ। তোমার মুখে যেদিন বাংলাদেশ দেখেছিলাম সেই দিন প্রথমবারের মতো হারিয়ে যাওয়া আমিকে খুঁজে পাই। প্রত্যেক আমির ভেতর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র তোমরা থাকে। আর প্রত্যেক তোমাদের ভেতর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আমরা থাকে। আমিও তাই মনে করতাম কিন্তু এখন দেখি আমার সমস্ত মনের ক্যানভাসে একটাই জলেরঙের আঁকা ছবি— তুমি এবং তুমি তা যেন তুমি নও, হুবহু আমি এবং আমি। গতকাল সারা রাত ঘুম হয় নি। আকাশে মেঘ ছিল প্রচুর। বৃষ্টি আসবে বলে আসেনি। তাই বালিশের সাথে মাথা থাকলেও ঘুমের সাথে চোখের সম্পর্ক হয়নি। তুমি তো জানো আমার একটি প্রিয় বদঅভ্যাস ছিল— বালিশে মাথা দেয়ার সাথে সাথে ঘুম চলে আসতো। আজকাল বদঅভ্যাসটি খুব করে আমাকে হামলা করেনা। আমিও এখন ঘুমহীন রাত কাটাতে শিখে গেছি।
চাকরি করার কোনো বয়স থাকতে পারে না
চাকরি মানে খেলার মাঠ নয় যে খেলতে নামলেন আর সময়ের দিকে তাকাতে থাকবেন। চাকরি মানে সেবা। সেবা করার কোনো বয়স থাকতে পারে না। কারো মনে হলো চল্লিশ বছর বয়সে চাকরি করবে মানে সেবা করবে, একটি কল্যানমূলক রাষ্ট্রে সেই ব্যবস্থাও থাকা আবশ্যক। পৃথিবীর কোথাও কী আছে এটা দেখা খুব জরুরী নয়, পৃথিবীর কোথাও কী আমরা রপ্তানি করবো এটা দেখার বিষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে নেই, এই বাংলায় আছে, আমরা তাঁর আদর্শ পৃথিবীর অন্য দেশে রপ্তানি করতে পারি এবং করেছি। এই লেংদেয়া বয়সীনীতি জাতিকে মানসিকভাবে দুর্বল করে তুলে, মানসিকভাবে দুর্বল জাতি উন্নত রাষ্ট্রের নাগরিক হতে পারে না। সাহসিক মানসিকতাও একটি জাতির বিশাল সম্পদ। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ আমাদের সাহসের চিহ্নসূচক। একটি কথা প্রচলিত আছে। আর তাহলো বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া মেধার দিক
লিলিথ
লিলিথ। যায় আভিধানিক অর্থ ডাইনি। হ্যাঁ। ডাইনিটি এ্যাডামের মনকে ছন্নছাড়া করেছে। আজও এ্যাডাম লিলিথটানে উদাসীন। আমৃত্যু এ্যাডামের জীবনে লিলিথ অধরা। তাইতো এ্যাডামের প্রতিনিধি প্রত্যেক মানুষের জীবনে একজন লিলিথ থাকে যাকে সে পায় না। একজন ইভ থাকে যাকে নিয়ে সে সংসার করে। এ্যাডামের একা একা ভালো লাগে না। দেহসাথী প্রার্থনা করা হলো। আবেদন মঞ্জুর। সমস্ত সৌন্দর্যের সার বস্তু থেকে তৈরি করা হলো লিলিথকে। সুন্দরী লিলিথ বড় বেশি অহংকারী। মিলনক্ষণে এ্যাডামের নিচে শোতে তার আপত্তি। এ্যাডাম লিলিথকে বাধ্য করতে চায়। কিন্তু লিলিথ বাধ্যগত হওয়ার না। ফলস্বরূপ দুজন দুপথে দুভাবে! শেষ হয় তাদের মিলনস্পর্শ। শুরু হয় বিরহ স্পর্শকাতরতা। লিলিথ-এ্যাডাম এই কাহিনিপ্রবাহটি মেসোপটেমিয়া হিব্রু মিথলজির অংশবিশেষ। ভারতীয় কিচ্ছা-কাহিনিতেও একজন লিলিথ সজ্জিত সজীব। এখানকার লিলিথের নাম তিলোত্তমা। বিশ্বকর্মা সৌন্দর্যের মাখনে তিলে তিলে তাকে গড়েছেন। পুরুষের অর্ধঅংশ হতে নয়।
স্বরসতী
আকাশ। আজ কত দূরে। অথচ একদিন এই আকাশ হাতের কাছে ছিল। তখন আজকের মতো এতো মানুষ ছিলনা। মানুষ বলতে কেবল আমাদের পরিবার। ঠাকুরমা ছিলেন আমাদের পরিবারের সবচেয়ে লম্বা মানুষ। ঠাকুরমার রাগও ছিল খুবই বেশি। তাঁর একটি সুন্দর বদভ্যাস ছিল। আর তা হল খুব সকালে ঘুম থেকে উঠা, আমাদেরকে উঠানো। একদিন সকালে তিনি উঠোন ঝাড়ু দেয়ার কাজে ব্যস্ত। ঐ দিন আকাশটা কেন যেন আরো একটু নিচে নেমে আসে। ঠাকুরমা যখন সোজা হয়ে দাঁড়ায় তখনই আকাশের সাথে ধাক্কা খায়। ঠাকুরমা খুব বিরক্ত হচ্ছিলেন। ইয়া আলী বলে আকাশকে দিলেন এক ঝাড়ুমধ্যম। আকাশ আবার যথেষ্ট ব্যক্তিত্ববান। খুব লজ্জা পেল। আকাশ সিদ্ধান্ত নিল আর না, আর পৃথিবীর মানুষের কাছাকাছি থাকা যাবেনা। পৃথিবীর মানুষ হাতের কাছের মূল্যবান কিছু মূল্যায়ন করতে জানেনা। দূরের তুচ্ছ কিছু নিয়ে রাতকে দিন বানাতে পারে। যেই
কেন তুমি হাসতে জানো না?
চরমে যাবার ভয় বারবার জড়ায়ে ধরে পরমকে পাওয়ার আকুতি বারবার হৃদয়ে আসে গুনাগারের মতো ভগবান আমার বারবার ডাকে আমি যেতে চাই আমি ধরতে চাই ঘুমাতে চাই যোনির ভেতর গতিশীল নদী হয়ে ঘাসফুল অজ্ঞান না হয়ে মরে যায়, আকাশ থেকে নেমে আসে নৌকাবাইচ— লাল পতাকা— নাগরিক শব্দ থেকে নিস্তার নেই— বাড়িদের কোনো ঘর নেই— এতো নাইএর মাঝে ক্যামনে মাঝি নৌকা চালায় ইচ্ছে জাগে জানিবার— বৃষ্টির মতো মোনালিসা মেঘ আসে— সৃষ্টির জল চলে যায় পাহাড়ে— চলে যায় পর্বতের পরপারে। কেন তুমি হাসতে জানো না? কেন তুমি প্রার্থনার মতো চুপ থাকো ইথারে ইথারে? কেন তুমি পুষে রাখো কাফের অভিমান? আমি তো রোজ মানুষ, মিনিটে মিনিটে মানুষ, কিয়ামতের পরেও মানুষ— আমার জন্য একপাশে দোযখ অন্যপাশে স্বর্গ— অনিয়মিত হাসি আমাকেও দিতে হয়— স্বর্গের লোভে আমিও কায়েম করি সালাত— আমার হৃদয়েও আসে কামাতুর এলহাম। কেন তুমি মেলে ধরনা